জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকা ১১ ডিসেম্বর ২০২১ :

          আজ থেকে সারা দেশে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। আজ ঢাকা শিশু হাসপাতাল প্রাঙ্গণে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে এ কর্মসূচি। চার দিনের এ কর্মসূচি চলবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। 

          এই সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ১২-৫৯ মাস বয়সী প্রায় ১ কোটি ৯৬ লাখ এর অধিক শিশুকে লাল রঙের ১টি করে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল, ৬-১১ মাস বয়সি ২৪ লাখ এর অধিক শিশুকে নীল রঙের ১টি করে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

          মন্ত্রী আরো বলেন, ভিটামিন এ দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি কমায়। এছাড়া ভিটামিন এ শিশুর স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি বজায় রাখে ফলে শিশু রাতকানা রোগ থেকে রক্ষা পায়। তিনি শিশুকে নিকটস্থ কেন্দ্রে নিয়ে আসতে এবং ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য সকল অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান।

          উল্লেখ্য, সারা দেশে প্রায় এক লাখ ২০ হাজার কেন্দ্রে এই জাতীয় ক্যাম্পেইন চলবে। তবে করোনার কারণে এবার বাস ও রেলস্টেশনগুলোতে ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্র পরিচালনা বন্ধ থাকবে। ওয়ার্ড পর্যায়ে ইপিআই আউট রিচ সেন্টার, কমিউনিটি ক্লিনিক, পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র (এফডব্লিউসি), উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্স, জেলা সদর হাসপাতালের ইপিআই কেন্দ্র ও মেডিকেল কলেজে কেন্দ্র করা হবে। 

          এ ছাড়া শহরাঞ্চলে আরবান ডিসনেপনসারি এবং জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে এমন প্রতিষ্ঠান যেমন, সূর্যের হাসি ক্লিনিক ও মেরিস্টোপের মতো বিভিন্ন বেসরকারি এনজিওগুলোতে শিশুদের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে হেলথ ওয়ার্কারের সঙ্গে দুজন করে স্বেচ্ছাসেবক থাকবে। প্রত্যেক উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তাদের তত্ত্বাবধান করতে স্বাস্থ্য সহকারী ও হেলথ ইন্সপেক্টর নিয়োজিত রয়েছে। পাশাপাশি বেসরকারি এনজিও কর্মীরাও সহায়তা করবে।

          স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চিকিৎসা শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো: আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা: আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, বিএসএমএমইউ এর উপাচার্য অধ্যাপক ডা: মোঃ শরফুদ্দিন আহমেদ, ঢাকা শিশু হাসপাতাল এবং ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা: সৈয়দ সফি আহমেদ প্রমুখ।