পবিত্র ইদুল-আজহা উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির শুভেচ্ছা – মোবারকবাদ
পবিত্র ইদুল-আজহা উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা ০৮ জুলাই ২০২২ :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০ জুলাই পবিত্র ইদুল-আজহা উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“পবিত্র ইদুল-আজহা উপলক্ষ্যে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মুসলিম জনগোষ্ঠীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং ঈদ মোবারক।
হযরত ইব্রাহিম (আঃ) মহান আল্লাহর উদ্দেশ্যে প্রিয় বস্তুকে উৎসর্গের মাধ্যমে তাঁর সন্তুষ্টি লাভে যে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন, তা বিশ্ববাসীর কাছে চিরকাল অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় হয়ে থাকবে। প্রতিবছর এ উৎসব পালনের মধ্য দিয়ে স্বচ্ছল মুসলমানগণ কোরবানিকৃত পশুর গোশত আত্মীয়স্বজন ও গরিব-দুঃখীর মধ্যে বিলিয়ে দিয়ে মানুষে-মানুষে সহমর্মিতা ও সাম্যের বন্ধন প্রতিষ্ঠা করেন। শান্তি, সহমর্মিতা, ত্যাগ ও ভ্রাতৃত্ববোধের শিক্ষা দেয় ইদুল-আজহা।
করোনাভাইরাস আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। আল্লাহ বিপদে মানুষের ধৈর্য পরীক্ষা করেন। এসময় সকলকে অসীম ধৈর্য নিয়ে সহনশীল ও সহানুভূতিশীল মনে একে অপরকে সাহায্য করে যেতে হবে। পাশাপাশি আমি এই মহামারিতে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি করার অনুরোধ জানাই। আমরা যেন ঘরে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করি এবং আল্লাহতায়ালার দরবারে বিশেষ দোয়া করি যেন এই সংক্রমণ থেকে সবাই দ্রুত মুক্তি পাই।
আসুন, আমরা সকলে পবিত্র ইদুল-আজহার মর্মবাণী অন্তরে ধারণ করে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জনকল্যাণমুখী কাজে অংশ নিয়ে বৈষম্যহীন, সুখী, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলি।
আমি প্রত্যাশা করি, প্রতিবারের মতো এবারও ঈদ ধনী-গরিব নির্বিশেষে সকলের জীবনে সুখ ও আনন্দের বার্তা বয়ে আনবে।
ইদুল-আজহা’র এ দিনে আমি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও মুসলিম উম্মাহর উত্তরোত্তর উন্নতি, সমৃদ্ধি ও অব্যাহত শান্তি কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
পবিত্র ইদুল-আজহা উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা ০৮ জুলাই ২০২২ :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ১০ জুলাই পবিত্র ইদুল-আজহা উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“ঈদ মোবারক।
পবিত্র ইদুল-আজহা উপলক্ষ্যে আমি দেশবাসীসহ বিশ্বের সকল মুসলিম ভাইবোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ।
মহান আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য ও সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর পবিত্র ইদুল-আজহা। ‘আজহা’ অর্থ কুরবানি বা উৎসর্গ করা। ইদুল-আজহা উৎসবের সাথে মিশে আছে চরম ত্যাগ ও প্রভুপ্রেমের পরাকাষ্ঠা। মহান আল্লাহর নির্দেশে স্বীয় পুত্র হযরত ইসমাইল (আঃ) কে কুরবানি করতে উদ্যত হয়ে হযরত ইব্রাহিম (আঃ) আল্লাহর প্রতি অগাধ ভালোবাসা, অবিচল আনুগত্য ও অসীম আত্মত্যাগের যে সুমহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা ইতিহাসে অতুলনীয়।
কুরবানি আমাদের মাঝে আত্মদান ও আত্মত্যাগের মানসিকতা সঞ্চারিত করে, আত্মীয়স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর সঙ্গে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেয়ার মনোভাব ও সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয়। বিগত দু’টি বছর বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্ব করোনা মহামারির বিভীষিকার মধ্যেই ইদুল-আজহা উদযাপন করেছে। বর্তমানে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসলেও ভবিষ্যৎ সংক্রমণ বৃদ্ধি রোধে যথাযথ সাবধানতা অবলম্বনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। করোনা মহামারি ও বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধ-সংঘাতের কারণে বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি উর্ধ্বমুখী। এ প্রেক্ষাপটে বিশ্বব্যাপী নিম্নআয়ের মানুষ নানা সীমাবদ্ধতার মাঝে দিনাতিপাত করছে। তারাও যাতে ঈদের আনন্দ হতে বঞ্চিত না হয় এবং ঈদোৎসবে শামিল হতে পারে সেলক্ষ্যে আমি দেশের বিত্তবান ও স্বচ্ছল ব্যক্তিবর্গকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। ত্যাগের শিক্ষা আমাদের ব্যক্তি জীবনে প্রতিফলিত হলেই সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবে শান্তি ও সৌহার্দ্য।
মহান আল্লাহর নিকট কুরবানি কবুল হওয়ার জন্য শুদ্ধ নিয়ত ও বৈধ উপার্জন থাকা আবশ্যক। সরকার নির্ধারিত স্থানে কুরবানি করে এবং কুরবানির বর্জ্য অপসারণের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ বন্ধে সকলে সচেষ্ট থাকবেন বলে আমি আশা রাখি। পবিত্র ইদুল-আজহা সবার জন্য বয়ে আনুক কল্যাণ, সবার মধ্যে জেগে উঠুক ত্যাগের আদর্শ।
জয় বাংলা। খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”