মনোহরদীর চন্দনবাড়িতে বইছে ইউপি নির্বাচনের হাওয়া : এগিয়ে বাদল
ঢাকা নভেম্বর ১১ ২০২১ :
নরসিংদীঃ চতুর্থ ধাপে দেশের ৮৪০টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৩ ডিসেম্বর।গত বুধবার নির্বাচন কমিশন সভায় অনুমোদনের পর এ ধাপের ভোটের তফসিল ঘোষণা করেন ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।
মনোহরদী উপজেলার ৯ ইউনিয়নে শুরু হয়েছে আসন্ন ইউপি নির্বাচন নিয়ে আলোচনা । মূলত এরই সূত্র ধরে শুরু হয়েছে নির্বাচনী আলোচনা সমালোচনা। উপজেলায় চন্দনবাড়ি ইউনিয়নের সম্ভাব্য প্রার্থীরা ইতোমধ্যে অনেকটাই দৃশ্যমান।
প্রার্থীরা এখন নির্বাচনী প্রচারণা ও রাজনৈতিক কর্মতৎপরতার মাধ্যমে জনগণের কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করছেন। সর্বপরি ঊর্ধ্বতন নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের মাধ্যমে নিজের পক্ষে দলীয় নমিনেশন নেয়ার আকাঙ্খায় ব্যস্ত রয়েছেন অনেক প্রার্থী।
নির্বাচনের জন্য ইতোমধ্যে প্রচার প্রচারণা শুরু করেছেন উপজেলার চন্দনবাড়ি ইউনিয়নের তরুণ চেয়ারম্যান প্রার্থী, মনোহরদী উপজেলা আওয়ামী সেচ্ছাসেবকলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য,ও মনোহরদী সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক, মোফাজ্জল হোসেন বাদল।
তিনি ইতিপূর্বে নৌকায় মার্কায় ভোট চেয়ে বিশাল মোটর সাইকেল শোভাযাত্রা ও উঠান বৈঠক করে চন্দনবাড়ি ইউনিয়ন সহ উপজেলা পর্যায়ে জনসাধারণকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। তিনি নিজের জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করে এবার নির্বাচনে কাজ করতে চান।
তিনি জানান, আমি নৌকা প্রতীকে পেলে বিপুল ভোটের নির্বাচিত হবো, নির্বাচিত হয়ে এলাকাবাসীকে পাশে নিয়ে সকল অসমাপ্ত কাজ গুলো ধারাবাহিক ভাবে করে যাবো।
মোফাজ্জল হোসেন বাদল, প্রসঙ্গে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের একজন প্রবীন নেতা জানান, চন্দনবাড়ী ইউনিয়নবাসী পরিবর্তন চায় ।
আমাদের ইউনিয়নের ভোটারা অত্যন্ত সচেতন,যুবসমাজই পারে বর্তমান সমাজ ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করতে এবং ইউনিয়নকে একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ইউনিয়নে রুপ দিতে এজন্য মোফাজ্জল হোসেন বাদল এর মনোনয়ন পাওয়ার বিকল্প নাই। তিনি আরও বলেন মোফাজ্জল হোসেন বাদল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে উন্নয়ন কর্মকান্ডে কোনো দূর্নীতি কিংবা স্বজনপ্রীতির সম্ভাবনা থাকবেনা।
সে ইউনিয়নের প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে মানুষের মন জয় করে ফেলেছে। এছাড়াও, প্রাথীদের মধ্যে মনোহরদী উপজেলা আওয়ামীলীগের কাযনির্বাহী সদস্য ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদ ফরিদ সাধারন জনগন ও তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে নির্বাচনী মতবিনিময় করতে দেখা গেছে ।
সম্প্রতি তিনিও নৌকায় সমর্থনে বিশাল শোডাউন করে চন্দনবাড়ীতে। এদিকে,চন্দনবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এর সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান দলের প্রবীন ও ত্যাগী নেতা হিসেবে পরিচিত হলেও তিনি নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় অনেকটা পিছিয়ে রয়েছেন অন্যান প্রার্থীদের তুলনায়।
এ বিষয়ে এলাকায় ততটা আলোচনা নেই বললেই চলে। অন্যদিকে, বর্তমান চেয়ারম্যান ও মনোহরদী সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি আব্দুর রউফ হিরণ, মনোনয়ন প্রাপ্তির প্রতিযোগীতায় অনেকটা পিছনের সারিতে রয়েছেন। ইউনিয়নের তৃনমুলের কর্মীদের মাঝে তার বিরুদ্ধে অন্যে অনিয়ম ও সেচ্ছাচারিতায় অভিযোগ উঠেছে।
আব্দুর রউফ হিরণ লাখপুর ডিগ্রি মাদ্রাসায় দূর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্য,বিধি লংঘন করে ভূয়া শিক্ষকে অর্থ উত্তোলন করিয়ে দেওয়া, উপজেলা নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনে কাজ করা, বিএনপি জামায়াতকে মদদ দেয়া ও মাদক সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর অভিযোগ করেছেন আরো আগে চন্দনবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক সোহেল তালুকদার ও ইউনিয়ন কমিটির ৫৭ জন সদস্য।
চন্দনবাড়ি ইউনিয়নে ঘুরে উনার জনপ্রিয়তা জিরো টলারেন্সে নেমে যাওয়ার বিষয়ে কোন অবকাশ নাই বললেই চলে।