বঙ্গবন্ধু হত্যার সুবিধাভোগীদের সৃষ্ট উপজাত হচ্ছে বিএনপি : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ৩১ শ্রাবণ (১৫ আগস্ট) :
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য, বঙ্গবন্ধু হত্যার অন্যতম প্রধান কুশীলব বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। জিয়া ও তার পরিবার বঙ্গবন্ধু হত্যার সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী এবং সেই সুবিধাভোগীদের সৃষ্ট উপজাত হচ্ছে আজকের জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি।’
আজ জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু ভবন চত্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে দলীয়ভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৫ সালের এই দিনে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। হত্যাকারীদের বিচার হয়েছে, কিন্তু জিয়াউর রহমানসহ যারা হত্যাকাণ্ডের প্রধান কুশীলব, তাদের বিচার হয়নি। জাতির প্রত্যাশা হচ্ছে একটি কমিশন গঠনের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানসহ যারা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রধান কুশীলব, তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জানার জন্য তাদের মুখোশ উন্মোচন করা। সেই লক্ষ্যে এবং বঙ্গবন্ধুর যেসব খুনি বিদেশে পালিয়ে আছে, তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর করার জন্য সরকার কাজ করছে।’
এ দিন দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা দেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি টানা সাড়ে ১৩ বছর ধরে দেশ পরিচালনার দায়িত্বে থাকার কারণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী, দেশবিরোধী অপশক্তিরা অধৈর্য হয়ে পড়েছে, সে কারণে নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে, মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা হচ্ছে।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের দায়িত্ব প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের স্বাধিকার আন্দোলন থেকে স্বাধীনতার সংগ্রাম, পরবর্তীতে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন সকল ক্ষেত্রে সাংবাদিক সমাজ কলম ধরেছে, মানুষ ও সমাজের চিন্তাকে সঠিকখাতে প্রবাহিত করতে ভূমিকা রেখেছে। পৃথিবীর কোনো সরকার শতভাগ নির্ভুলভাবে দেশ পরিচালনা করতে পারেনি, পারবে না। আমাদেরও ভুলত্রুটি আছে। কিন্তু বিশ্ব পরিস্থিতি আড়াল করে দেশের পরিস্থিতিকে আংশিক তুলে ধরে মানুষকে বিভ্রান্ত করার পথ যে ইদানীং কিছু কিছু গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান নিয়েছে, তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য স্ব স্ব জায়গায় থেকে লেখনী ও রিপোর্টিংয়ের মাধ্যমে দায়িত্ব পালনের জন্য আমি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাংবাদিক ফোরামের প্রত্যেক সদস্যের প্রতি আহ্বান জানাই।’
এসময় আন্দোলনকারীদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ড. হাছান বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহানুভব বলেই আন্দোলনকারীদের বাধা দিতে বা গ্রেফতার করতে না করেছেন, আমরা আগেও কোনো শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বাধা দেইনি। কিন্তু আন্দোলনের নামে যদি ভাংচুর, অগ্নিবোমা, অগ্নিসংযোগ, জনগণের শান্তি বিনষ্টের অপচেষ্টা চালানো হয়, তাহলে জনগণের শান্তি, নিরাপত্তা, জানমাল ও দেশের সম্পত্তি রক্ষার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি, ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য অন্যায়ের প্রতিকার ও প্রতিরোধ প্রয়োজন। ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্যই বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে। যারা নিরীহ মানুষ, ঘুমন্ত মানুষের ওপর পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে হত্যা করেছে এবং যারা এই হত্যার নির্দেশ দিয়েছে, অর্থ দিয়েছে, ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য তাদের দ্রুত বিচার হওয়া প্রয়োজন।’
বিএনপিনেত্রী খালেদা জিয়ার জন্মদিন ১৫ আগস্টের পরিবর্তে ১৬ তারিখ পালনের বিএনপির ঘোষণা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বেগম জিয়া তার জন্মের তারিখ বদলে ১৫ আগস্ট পালনের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করেছেন, স্বীকার করে নিয়েছেন, তার স্বামী জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রধান কুশীলব এবং সেটির সাথে যে তিনিও মানসিকভাবে যুক্ত ছিলেন, তাও প্রকারান্তরে স্বীকার করে নিয়েছেন।’
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাংবাদিক ফোরামের আহ্বায়ক ডেইলি অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, সিনিয়র সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, আজিজুল ইসলাম ভুঁইয়া, জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক মাঈনুল আলম, কোষাধ্যক্ষ শাহেদ চৌধুরী, সিনিয়র সাংবাদিক আবু সাঈদ, রফিকুল ইসলাম রতন, ডিইউজে সহসভাপতি মানিক লাল ঘোষ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ষড়যন্ত্রকারীরা বর্ণচোরা, তাদের চিনে রাখতে হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ৩১ শ্রাবণ (১৫ আগস্ট) :
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, প্রতি বছর ১৫ আগস্ট এলে প্রথমেই জাতির ষড়যন্ত্রকারীদের কথা আগে মনে পড়ে। এই ষড়যন্ত্রকারীরা জাতির পিতার সাথেই মিশে থেকে ১৯৭৫ সালের এই দিনে তাঁকে সপরিবারে হত্যা করেছে। সেই ষড়যন্ত্রকারীরা ও তাদের বংশধরেরা এখনো প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে ষড়যন্ত্র চালিয়েই যাচ্ছে। ষড়যন্ত্রকারীরা বর্ণচোরা, তারা আমাদের সাথেই মিশে থাকে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষার জন্য হলেও তাদেরকে আমাদের চিনে রাখতে হবে।
আজ জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট হাসপাতাল অডিটোরিয়ামে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ষড়যন্ত্রকারীদের প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ষড়যন্ত্র করেই বাঙালি জাতিকে দীর্ঘদিন নির্যাতন করেছে পাকিস্তানিরা। ষড়যন্ত্র করেই তারা বঙ্গবন্ধুকে দীর্ঘদিন সময়ে সময়ে জেলে রেখেছে এবং ষড়যন্ত্রের মাধ্যমেই জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ষড়যন্ত্রকারী কারা হয়? যারা খুব বেশি কাছাকাছি থাকে। সবসময় সে পর্যবেক্ষণ করে। তাদের পেছনেও অনেক লোক থাকে। যারা বঙ্গবন্ধুর কাছে ছিল, তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। তাদের অনেকে মুক্তিযুদ্ধেও অংশগ্রহণ করেছিল, কিন্তু তারা বাংলাদেশকে বিশ্বাস করেনি। ষড়যন্ত্রকারীরা আশেপাশেই ঘুরে বর্ণচোরার মতো।
সাম্প্রতিক সময়ে জ্বালানিসহ কিছু দ্রব্যমূল্যের মূল্য বৃদ্ধি প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জ্বালানি তেল ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ দায়ী নয়। করোনা পরবর্তী দুঃসময় ও যুদ্ধ-বিগ্রহের কারণে বিশ্বময় অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতোই সাময়িকভাবে অসুবিধা বাংলাদেশেও হচ্ছে। ঝড়, বন্যা এলে সেটি কোনো নির্দিষ্ট এলাকায় বাছ বিচার করে আসে না। একইভাবে বিশ্বময় অস্থিরতার কিছুটা চাপ বাংলাদেশে চলে এলেও বাংলাদেশ জানে কিভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয়। বাংলাদেশ অতি দ্রুতই এই সাময়িক অসুবিধা থেকে বেরিয়ে সুদিনে ফিরে আসবে। এজন্য আমাদের সবাইকে কিছুটা ধৈর্য ধারণ করতে হবে। ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দেয়া যাবে না।
১৫ আগস্টের দিনে দেশের কিছু মানুষের শোক প্রকাশ না করা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এখনও দেশের বিরাট একটা অংশ বঙ্গবন্ধুকে মানে না। জাতির পিতাকে তারা ধারণ করে না। এমনকি তারা জয় বাংলাও বলে না। স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়তো সবাই করে না, কিন্তু পরে স্বাধীনতার স্থপতির বিষয়ে সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকে। ভারতের স্বাধীনতার স্থপতি মহত্মা গান্ধীর বেলায় কিন্তু তাদের জাতি ঐক্যবদ্ধ, তারা সবসময় ঐকমত্য আছে, কিন্তু আমাদের দেশে বঙ্গবন্ধুর বেলায় কোনো ঐকমত্য নেই।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব সাইফুল হাসান বাদল, কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের সভাপতি অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলানসহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
বৈশ্বিক অস্থিরতা দূর করতে বঙ্গবন্ধুর দর্শন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে হবে : অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার
ক্যানবেরা (১৫ আগস্ট) :
অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ সুফিউর রহমান বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর দর্শন ও চিন্তা-চেতনা অস্ট্রেলিয়াসহ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়ে বৈশ্বিক অস্থিরতা দূর করার পাশাপাশি, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। এ বিষয়ে গবেষণা ও ভূমিকা রাখার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। হাইকমিশনার বলেন, এধরনের কার্যক্রমের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং বাংলাদেশকে সারা বিশ্বে সঠিকভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব হবে।
অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় আজ স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় মোহাম্মদ সুফিউর রহমান এসব কথা বলেন। হাইকমিশন আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশিসহ হাইকমিশনের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর মানবতা, রাজনৈতিক দর্শন এবং জাতীয়তাবাদের ধারণা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশ গঠনে কাজ করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান হাইকমিশনার। তিনি বলেন, বাঙালি জাতিসত্তার বিকাশ ও জাতীয়তাবাদ গঠনে সহস্র বছরে বঙ্গবন্ধু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ত্যাগ, অসাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গী, অভিজাত শ্রেণির ঊর্ধ্বে উঠে দেশের সকল মানুষকে একত্রিত করে তাদের প্রতিনিধিত্ব করার ক্ষমতা বঙ্গবন্ধুকে অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। বঙ্গবন্ধুর অনন্য অবদানের জন্য বাঙালি জাতি চিরদিন তাঁর কাছে ঋণী থাকবে।
বঙ্গবন্ধুর হত্যা বাঙালি জাতির জন্য কলঙ্কজনক অধ্যায় উল্লেখ করে হাইকমিশনার বলেন, ৪৭ বছর পর এ কলঙ্ক থেকে দায় মুক্তি পেতে হলে বাঙালি জাতিকে চিন্তার অসহিষ্ণুতা, সাম্প্রদায়িতা, ধর্মান্ধতা এবং ব্যক্তিগত লোভ লালসা থেকে মুক্ত হয়ে সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে কাজ করতে হবে । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বাধীনতার চেতনা সমৃদ্ধ প্রগতিশীল সমাজ গঠন করতে পারলে একটি সমৃদ্ধ অর্থনীতিও তৈরি হবে।
আলোচকগণ জাতির পিতার কিংবদন্তী নেতৃত্ব ও অবদানের ওপর আলোচনা করেন। বঙ্গবন্ধুর তৈরি পথরেখা অনুসরণ করে একটি আদর্শভিত্তিক ও উন্নতসমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তারা।
এ সময় জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন হাইকমিশনার মোহাম্মদ সুফিউর রহমান ও তাঁর সহধর্মিণী সামসিয়া রহমানসহ উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশি ও হাইকমিশনের সদস্যবৃন্দ। এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
এদিকে, গত ৫ আগস্ট শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩ তম জন্মবার্ষিকী এবং ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশন প্রাঙ্গণে ভিডিওচিত্র প্রদর্শনী, দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় হাইকমিশনার সুফিউর রহমান বঙ্গমাতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। অনুষ্ঠানে ক্যানবেরাস্থ প্রবাসী বাংলাদেশিগণ এবং হাইকমিশনের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের কর্মীরা গা ঝাড়া দিয়ে উঠলে ষড়যন্ত্রকারীরা ভেসে যাবে : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী
কালীগঞ্জ, (লালমনিরহাট), ৩১ শ্রাবণ (১৫ আগস্ট) :
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, যত ষড়যন্ত্র হোক না কেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ যুবলীগ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগসহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের কর্মীরা গা ঝাড়া দিয়ে উঠলে ষড়যন্ত্রকারীরা ভেসে যাবে।
মন্ত্রী আজ লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন কালীগঞ্জ উপজেলা শাখা আয়োজিত স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বের মাধ্যমে আগুন সন্ত্রাসীদের আমরা প্রতিহত করেছি। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকাণ্ডের দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে বিচারের মাধ্যমে হত্যাকারীদের ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়েছেন। তিনি বলেন, ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকীতে নতুনভাবে আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে পরবর্তী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রদান করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে হবে। আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবার বিজয়ী করে ষড়যন্ত্রকারী হায়েনাদের দেখিয়ে দিতে হবে।
মন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও আদর্শ নিয়ে আলোকপাত করতে গিয়ে বলেন, তিনি জীবনের মূল্যবান সময় জেলখানায় কাটিয়েছিলেন। পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী তাঁকে জেলখানার বাইরে আসতে দিতে চায়নি, যেন আন্দোলন সংগ্রাম মাথা ছাড়া দিয়ে না উঠতে পারে। মন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখে কাজ করার জন্য তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কালীগঞ্জ উপজেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কালীগঞ্জ উপজেলার সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুজ্জামান আহমেদ ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান মিজান (মিজু)।
এর আগে মন্ত্রী কালীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কালীগঞ্জ উপজেলার সাংগঠনিক সম্পাদক কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতভাবে উত্তোলন করেন এবং কালীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী এবং জাতীয় শোক দিবসের ওপর আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন।
উন্নত দেশ গড়তে কারিগরি শিক্ষায় জোর দেয়া হচ্ছে : শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, ৩১ শ্রাবণ (১৫ আগস্ট) :
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, দারিদ্র্য যেন শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষায় বাধা হয়ে না দাঁড়ায় সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে উন্নত অবস্থায় রয়েছে। দেশকে আরো অগ্রসর পর্যায়ে নিয়ে যেতে কারিগরি শিক্ষায় জোর দেয়া হচ্ছে, একই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে দক্ষ নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে বিভাগীয় পর্যায়ে চারটি নতুন মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপনসহ অনেক কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি করা হচ্ছে।
আজ ঢাকা মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে জাতীয় শোক দিবস-২০২২ উপলক্ষ্যে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ও দোয়া মাহফিলে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করে দেশকে পিছিয়ে দেয়ার চক্রান্ত করা করা হয়েছিল। কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার আবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ পরিচালনা করে যাচ্ছে। দেশকে সঠিক ধারায় চালিত করতে দরকার দক্ষ মানবিক প্রযুক্তিবান্ধব সৃজনশীল মানবসম্পদ। আর এসব যোগ্যতা অর্জনের জন্য বঙ্গবন্ধু ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করবেন। শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষার্থীদেরকে বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও তাঁর লিখিত বই পড়তে পরামর্শ দেন। এসময় মন্ত্রী রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ কামাল হোসেন ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোঃ ওমর ফারুক।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যারা ধ্বংস করেছে তাদের বিচার হয়নি : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
ঢাকা, ৩১ শ্রাবণ (১৫ আগস্ট) :
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পূর্ণাঙ্গ বিচার হয়নি। খণ্ডিত বিচার হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডে যারা ষড়যন্ত্রকারী তাদের বিচার হয়নি। পরিকল্পনায় যারা জড়িত ছিল তাদের বিচার হয়নি। যারা সুবিধাভোগী তাদের বিচার হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যারা ধ্বংস করেছে তাদের বিচার হয়নি। এখন সময় এসেছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারী, পরিকল্পনাকারী, সুবিধাভোগী এবং যারা সে সময়ে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ ছিল তাদেরও বিচার করতে হবে।
আজ রাজধানীর মৎস্য ভবনে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২২’ উপলক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনের যে কলঙ্ক বাঙালি জাতির ললাটে লেপন করা হয়েছিল, এ কলঙ্ক কোনোদিনই মুছে যাবে না। বঙ্গবন্ধু বাঙালির অধিকারের প্রশ্নে জীবনের প্রায় ১৪ বছর কারাগারে কাটিয়েছেন। পাকিস্তানিরা তাঁকে ফাঁসি দিতে পারেনি। কিন্তু কিছু বাঙালি তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে নিষ্ঠুরতা এবং বর্বরতার সঙ্গে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড শুধু একজন ব্যক্তি মুজিবের হত্যাকাণ্ড হিসেবে বিবেচনার অবকাশ নেই। এটি ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করার চেষ্টা।
মন্ত্রী যোগ করেন, ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসার পর আবার নতুন করে যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। ২১ বছর রাষ্ট্র ক্ষমতার বাইরে থাকা আওয়ামী লীগকে তিনি আবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় ফিরিয়ে এনে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করা হবে। খুনিদের বিচারের লক্ষ্য নিয়ে তিনি ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স বাতিল করেন। ৩৪ বছর পরও খুনিদের বিচারের রায় কার্যকর করা সম্ভব হয়নি।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান কাজী আশরাফ উদ্দীন, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা আলোচনা সভায় বক্তব্য প্রদান করেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মন্ত্রী ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এদিন দুপুরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২২ উপলক্ষ্যে পিরোজপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় মন্ত্রী রাজধানীর বেইলি রোডের সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ পরিশোধই হোক আমাদের শপথ : শ্রম প্রতিমন্ত্রী
খুলনা, ৩১ শ্রাবণ (১৫ আগস্ট) :
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, আজ বাঙালি জাতির জীবনে সবচেয়ে কলঙ্কময় দিন। আজকে আমাদের শপথ হোক আমরা বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ পরিশোধ করবো। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী প্রজন্মের জন্য উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গড়বো।
আজ খুলনা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন আয়োজিত স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকীতে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৭১ এর পরাজিত শক্তি, তাদের দোসররা ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তি পরাজয়ের গ্লানি থেকে জাতির পিতাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। জননেত্রী শেখ হাসিনা হত্যাকারীদের বিচার করেছেন। ১৫ আগস্ট ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রকারী, নেপথ্য কারিগরদেরও এ দেশের মাটিতেই বিচার হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু এদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। তাঁর স্বপ্ন ছিল এদেশের গরিব অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটানো, অর্থনৈতিক মুক্তি এনে দেয়া। তাই স্বাধীনতা অর্জনের পরপরই তিনি অর্থনৈতিক মুক্তির কর্মসূচি শুরু করেন। খুনিরা জাতির পিতার সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে দেয়নি। জাতির পিতার সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিনিয়ত পদক্ষেপ গ্রহণ করে যাচ্ছেন। তাই আজ বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।
জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে বিভাগীয় কমিশনার মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরী, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ মাসুদুর রহমান ভুঁঞা, জেলা পরিষদ প্রশাসক শেখ হারুনুর রশীদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা কমান্ড এর সাবেক কমান্ডার অধ্যাপক আলমগীর কবির, মাহবুবুর রহমান এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বক্তৃতা করেন।
পরে প্রতিমন্ত্রী জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ এবং বঙ্গবন্ধুর ওপর কবিতা আবৃত্তি এবং রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
খুলনায় জাতীয় শোক দিবস পালন
খুলনা, ৩১ শ্রাবণ (১৫ আগস্ট):
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ও স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস খুলনায় যথাযোগ্য মর্যাদা এবং ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়।
এদিন সকাল আটটায় খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ১৫ আগস্টে শাহাদত বরণকারী জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, বিভাগীয় কমিশনার মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরী, কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার মোঃ মাসুদুর রহমান ভূঞা, জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার, মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সংগঠন, সরকারি-বেসরকারি দপ্তর, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এসময় পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।
দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে খুলনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। প্রতিমন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীন পতাকা ও স্বাধীন ভূখন্ড দিয়েছেন। শেখ মুজিব কখনও অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। তিনি বাঙালি জাতিকে অর্থনৈতিক মুক্তি দিতে চেয়েছিলেন, যা বাস্তবায়নের আগেই তিনি দুষ্কৃতিকারীদের হাতে নিহত হন। আজ তাঁরই কন্যা শেখ হাসিনার ঐকান্তিক চেষ্টায় আমরা উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি।
অনুষ্ঠান শেষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার জিনাত আরা আহমেদের সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা সভা এবং দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম বিষয়ক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। খুলনায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে গরিব দুঃস্থদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ এবং অসুস্থ অসহায় ব্যক্তিদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ বেতার খুলনা কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
কেসিসি’র উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা ও মহানগরীর সকল মসজিদে দোয়া মাহফিলসহ বিশেষ মোনাজাত এবং মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। সকল সরকারি, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয় শোক দিবসের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ আলোচনা সভা, আবৃত্তি, রচনা, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, চিত্র প্রদর্শনী, হামদ ও নাত প্রতিযোগিতা এবং দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। খুলনা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও সড়ক দ্বীপসমূহ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়। হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানা, শিশু পরিবার ও ভবঘুরে আশ্রয় কেন্দ্রসমূহে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়।
জাতীয় শোক দিবসে স্থানীয় সংবাদপত্রগুলো বিশেষ সংখ্যা ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে এবং বাংলাদেশ বেতারের খুলনা কেন্দ্র বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করে।
খুলনার উপজেলাসমূহেও অনুরূপ কর্মসূচি পালিত হয়।
১৫ আগস্টের ষড়যন্ত্রকারী ও হত্যাকারীদের যারা রক্ষাকারী তাদেরও বিচার করতে হবে : ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা
ঢাকা, ৩১ শ্রাবণ (১৫ আগস্ট) :
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, বিজয়ের আনন্দ ক্ষণস্থায়ী, পরাজয়ের গ্লানি চিরস্থায়ী। তাই পরাজয়ের গ্লানি মোচন করার জন্য ’৭১ এর পরাজিত শক্তি জাতির পিতাকে হত্যা করে। জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের হত্যাকারী, ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড ১৫ আগস্টের ষড়যন্ত্রকারী, নেপথ্য কারিগর ও পরবর্তীতে হত্যাকারীদের রক্ষাকারী ঘৃণিত বিশ্বাসঘাতকদেরও বিচার করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রথম স্বপ্ন ছিল এদেশের স্বাধীনতা, দ্বিতীয় স্বপ্ন ছিল এদেশের মানুষের মুক্তি। তাই স্বাধীনতা অর্জনের পরপরই তিনি অর্থনৈতিক মুক্তি সংগ্রামের ডাক দেন এবং সবুজ বিপ্লবের কর্মসূচি শুরু করেন। তখনই বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। পৃথিবীতে অনেক রাষ্ট্র নায়কদের হত্যা করা হয়েছে, কিন্তু কোথাও এভাবে পরিবারের সদস্য ও শিশুদের হত্যা করা হয়নি।
ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা আজ ঢাকায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। সকালে প্রতিমন্ত্রী নেসা ইন্দিরা শিশুদের নিয়ে শিশু একাডেমি প্রাঙ্গণে জাতির পিতার ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনামের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিব মো: হাসানুজ্জামান কল্লোল।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে কোরআন খানি, ফাতেহা পাঠ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে শিশুরা বঙ্গবন্ধু লেখা আমার দেখা নয়া চীন থেকে পাঠ, ছড়া, কবিতা ও পুঁথি পাঠ করে।
বঙ্গবন্ধু সারা জীবন শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ করেছেন : শিল্পমন্ত্রী
ঢাকা, ৩১ শ্রাবণ (১৫ আগস্ট) :
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু সারা জীবন শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ করেছেন। তিনি বলেন, আজ দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম নিয়ে গবেষণা হচ্ছে, আলোচনা হচ্ছে এবং গ্রন্থ প্রকাশ হচ্ছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২২ উপলক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, স্বেচ্ছায় রক্তদান, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শিল্পমন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু মানুষের দুঃসময়ে পাশে থাকার রাজনীতি করেছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনাও সব সময় গণমানুষের রাজনীতি করছেন। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের দুঃসময়, দুর্যোগে জনগণের পাশে থেকেছে। করোনা মহামারির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক সংকট ও দুঃসময়ে আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে। জাতীয় শোক দিবসে যারা রক্তদানের মতো মহতী কাজে অংশগ্রহণ করেছেন তিনি তাদের ধন্যবাদ জানান।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদেই ঘাতকচক্রের নির্মম বুলেটের আঘাতে ধানমণ্ডিতে ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বাসভবনে শাহাদত বরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ আরো অনেকে। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন। বঙ্গবন্ধু বিশ্বব্যাপী স্বাধীনতাকামী মানুষের জন্য প্রেরণার চিরন্তন উৎস। জাতির পিতাকে হারানোর শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হবে।
সোনার বাংলা গড়ে তুলে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নেয়া হবে : বাণিজ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ৩১ শ্রাবণ (১৫ আগস্ট) :
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলে নির্মম এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নেয়া হবে।
মন্ত্রী আজ রংপুরের পীরগাছা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তিই বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছে। আজ থেকে ৪৭ বছর আগে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হলেও তাঁর আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর পুরো জীবনটাই সংগ্রামের। ভারত-পাকিস্তান যেদিন ভাগ হয়েছিল, সেদিনই বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন, পাকিস্তান বাঙালিদের জন্য নয়। বঙ্গবন্ধু জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়গুলো জেলে কাটিয়েছেন, দেশ স্বাধীন করেছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল দেশের মানুষদের অর্থনৈতিক মুক্তি। সে কাজটি করতে পারেননি তিনি। আজ তাঁরই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। দেশ আজ শক্তিশালী অর্থনীতির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। বিশ্ববাসী বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করছে।
টিপু মুনশি আরো বলেন, সারাবিশ্বে এখন অর্থনৈতিক অস্থিরতা চলছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পণ্যের দাম বেড়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে তেল, গ্যাস, চাল, ইত্যাদির মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এ পরিস্থতির সুযোগ নিয়ে একটি মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। সাশ্রয়ী হয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। তিনি বলেন, আশা করা যায় আগামী ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ শামসুল আরেফীনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু নাছের শাহ মো. মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।
জাতীয় শোক দিবসে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে কুরআন খতম ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ৩১ শ্রাবণ (১৫ আগস্ট) :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২২ উপলক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে আজ সকাল ১১ টায় ১০০ জন কুরআনে হাফেজের মাধ্যমে ১০০ বার কুরআন খতম সম্পন্ন হয়েছে। কুরআন খতম শেষে জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো: ফরিদুল হক খান।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মোঃ মুশফিকুর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মুফতি মাওলানা রুহুল আমীন।
এছাড়া আজ বাদ যোহর বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদসহ সারাদেশের মসজিদসমূহে জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া আজ সকালে বনানী কবরস্থানে জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে পবিত্র কোরআনখানি ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
শ্রম প্রতিমন্ত্রীর খুলনা জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন
খুলনা, ৩১ শ্রাবণ (১৫ আগস্ট) :
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আজ শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান খুলনা জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
প্রতিমন্ত্রী প্রথমে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পক্ষে এবং পরে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেককে সাথে নিয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার সারা জীবনের ত্যাগ বাঙালি জাতি বৃথা যেতে দেয়নি। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সবাইকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে তাঁর নেতৃত্বে ৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গঠনে অবদান রাখতে হবে।
পরে প্রতিমন্ত্রী শহীদ হাদিস পার্কের পাশে শঙ্খ মার্কেট চত্বরে মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে যুব শ্রমিক লীগের আয়োজনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে স্বেচ্ছায় রক্তদান এবং মহিলা শ্রমিক লীগের ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। পরে তিনি জাতীয় শোক দিবসের শোক র্যালিতে অংশ নেন। র্যালিটি খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।