বিজ্ঞান বিষয়ক নতুন ওয়েবসাইটের যাত্রা
ঢাকা, ১ ভাদ্র (১৬ আগস্ট) :
বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানের নানান বিষয় নিয়ে ‘বিজ্ঞান জগৎ’ নামের একটি ওয়েবসাইট যাত্রা শুরু করেছে। সহজ ভাষায় বিজ্ঞান’ এই বার্তা নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে ওয়েবসাইটটি। ওয়েবসাইটটির ঠিকানা
হলো www.bigganjagat.com।
বিজ্ঞান নিয়ে বাংলা ভাষায় তেমন একটা ওয়েবসাইট দেখা যায় না। তরুণ ও যুবকরা দিনের একটি বড় সময় এখন অনলাইনে কাটায়। তাই নতুন প্রজন্মের মাঝে বিজ্ঞানের জ্ঞান ছড়িয়ে দিতে অনলাইন একটি বেশ কার্যকর মাধ্যম হতে পারে।
ইতিমধ্যে বিজ্ঞান জগৎ ওয়েবসাইটটিতে পদার্থবিদ্যা, রসায়নবিদ্যা, মহাবিশ্ব, টেকসই বিজ্ঞান, মস্তিষ্ক, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, ইনোভেশন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বেশ কিছু লেখা রয়েছে। বিজ্ঞান জগতের ওয়েবসাইটে যেতে ক্লিক করুন www.bigganjagat.com
বঙ্গবন্ধুর দর্শন গভীরভাবে উপলব্ধি করতে হবে: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১ ভাদ্র (১৬ আগস্ট) :
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, সরকার বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করে চলেছে। দেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করতে হলে বঙ্গবন্ধুর দর্শন আরো গভীরভাবে উপলব্ধি করতে হবে।
আজ ঢাকায় ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে ‘জাতীয় শোক দিবস’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
ফরহাদ হোসেন বলেন, সরকারের লক্ষ্য দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করা। এ লক্ষ্য অর্জনে সকলকে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ আরো গভীরভাবে চর্চা করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির বোর্ড অভ্ ট্রাস্টির সদস্য এ মতিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ড. তানভির হাসান, প্রফেসর ইমতিয়াজ এ. হোসেন ও প্রফেসর আহমেদ আহসানুজ্জামান আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
বঙ্গবন্ধু সারাবিশ্বের নিপীড়িত মানুষের নেতা : পানি সম্পদ উপমন্ত্রী
শরীয়তপুর, ১ ভাদ্র (১৬ আগস্ট) :
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর তুলনা বঙ্গবন্ধু নিজেই। তিনি সারা বিশ্বের অবিসংবাদিত নেতা। তিনি নিপীড়িত, বঞ্চিত ও শোষিত মানুষের নেতা ছিলেন। বঙ্গবন্ধু তাঁর ভাষণেই বলেছিলেন, ‘আজ সমগ্র বিশ্ব দুই ভাগে বিভক্ত, একদিকে শোষিত-বঞ্চিত ও নির্যাতিত মানুষ, অন্যদিকে শোষণকারী। আমি শোষিত-বঞ্চিত নির্যাতিত মানুষের পক্ষে’। তাঁর দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের ফলে বাঙালি জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পায়। আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন দেশ, একটি পতাকা, একটি মানচিত্র, একটি জাতীয় সংগীত।
গতকাল জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জেলার সখিপুর ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সখিপুর থানা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
উপমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হিমালয় সমান মহান, ব্যক্তিত্বে আকাশছোঁয়া উচ্চতা। অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপসহীন, সাহসী, বজ্রকন্ঠের অবিসংবাদিত এই নেতাকে জর্জ ওয়াশিংটন-মহাত্মা গান্ধীর চেয়ে উঁচু আসনে স্থান দিয়েছেন কেউ কেউ। তার মৃত্যুতে সৃষ্ট শূন্যস্থান, বিশ্বনেতাদের অনেকের কাছেই ছিল অপূরণীয়।
এনামুল হক শামীম বলেন, দেশি-বিদেশি অপশক্তি ও একাত্তরের পরাজিত শক্তি যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি এবং যারা বঙ্গবন্ধুকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছিল, তারাই ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাঁকে হত্যা করেছিল। বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট খুনি মোশতাক, জিয়াউর রহমান গং মনে করেছিল জাতির পিতাকে হত্যা করে তাঁর নাম মুছে ফেলবে। কিন্তু তাঁর নাম মুছে ফেলা যায়নি। কারণ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের হৃদয়ে।
উপমন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের মাধ্যমেই বিশ্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশ ও জাতির কল্যাণে নিবেদিত হয়ে যেসব রাষ্ট্রনায়ক বিশ্ব নেতৃত্বেও গৌরবের অধিকারী হয়েছেন, তাদের অন্যতম বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
সখিপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন সখিপুর থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এমএ কাইউম, আলী আকবর পাইক ও নড়িয়া উপজেলার সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান খোকন।
প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে : ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১ ভাদ্র (১৬ আগস্ট) :
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু দেশ ও দেশের মানুষকে জীবন দিয়ে ভালবাসতেন। বঙ্গবন্ধুর শাহাদতবার্ষিকীতে শোককে শক্তিতে পরিণত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় হামদর্দ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২২ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কখনো বিশ্বাস করতেন না কোনো বাঙালি তাঁর ক্ষতি করতে পারে। যারা সেদিন বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যা করেছিল তারা অবয়বে বাঙালি হলেও অন্তরে ছিল পাকিস্তানি, যারা বাংলাদেশকে মেনে নিতে পারেনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্র সেদিন ভেবেছিল বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারকে নিঃশেষ করে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে শেষ করে দিতে পারবে। কিন্তু তারা জানতো না বঙ্গবন্ধু মুজিব শুধু একজন ব্যক্তি ছিলেন না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি আদর্শ, একটি চেতনা ও একটি দর্শনের নাম। তিনি বলেন, জাতির পিতার আদর্শ ও নীতি অনুসরণ করে তাঁরই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গত এক যুগের শাসন আমলে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে এক ঈর্ষণীয় সাফল্য এনে দিয়েছেন।
হামদর্দ বাংলাদেশ এর চিফ মোতাওয়াল্লি ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. হাকীম মোঃ ইউসুফ হারুন ভূইয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন ওয়াকফ প্রশাসক খান মোঃ নূরুল আমিন, হামদর্দ বাংলাদেশ’র বোর্ড অভ্ ট্রাস্টিজ এর চেয়ারম্যান কাজী গোলাম রহমান।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্রমূলক : আইনমন্ত্রী
ঢাকা, ১ ভাদ্র (১৬ আগস্ট) :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু অবিচ্ছেদ্য। বঙ্গবন্ধুকে যারা সপরিবারে হত্যা করেছে তারা বুঝতে পেরেছিল বঙ্গবন্ধু পরিবারের এক ফোটা রক্ত বেঁচে থাকলে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা যাবে না। এ থেকেই বোঝা যায় এটি পূর্বপরিকল্পিত, ষড়যন্ত্রমূলক হত্যা।
আজ জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘বাঙালির শোকের শ্রাবণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু নিজেকে খুব সাধারণ মানুষ মনে করতেন। কিন্তু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দৃষ্টিকোণ থেকে তিনি মোটেও একজন সাধারণ মানুষ ছিলেন না। তিনি সারা বিশ্বের দুঃখী মানুষের নেতৃত্ব দেওয়ার পর্যায়ে চলে গিয়েছিলেন। এ কারণে তাঁর শত্রু বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু সেই শত্রুরা দেশে একটি ষড়যন্ত্র করে তাঁকে হত্যা করবে, এটা কখনও ভাবা হয়নি।
মন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান তো শুরুই করেছিল শাহ আজিজুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে। শাহ আজিজুর ছিলেন রাজাকার নম্বর ওয়ান। এছাড়াও জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভার অনেকেই আইয়ুব খানের মন্ত্রী ছিলেন। এ থেকে তো পরিষ্কারভাবে বোঝা যায়, মুক্তিযুদ্ধের ধারাকে সম্পূর্ণভাবে বা ৩৬০ ডিগ্রি পরিবর্তন করার জন্যই জিয়াউর রহমান এই হত্যাকাণ্ড ঘটানোর পর দেশ শাসন শুরু করেছিলেন। তার মানে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে তারা বাংলাদেশকে সম্পূর্ণভাবে হত্যা করতে চেয়েছিল।
আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হওয়ার পর এখন এদেরকে চিহ্নিত না করলে এই শত্রুরা নিজেদেরকে লালন-পালনে অবকাশ পাবে। আমি বলছি না যে তাদের সকলকে জেলখানায় ঢুকাতে হবে, হয়তো অনেকেই মরে গেছেন। কিন্তু এদেরকে এবং এই গোষ্ঠীটাকে যদি আমরা চিহ্নিত করতে পারি এবং তাদের সম্বন্ধে সাবধান থাকতে পারি তাহলে আমরা ২০৪১ সালে যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা নিয়েছি, সেই জায়গায় পৌঁছতে পারবো।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তদন্ত কমিশন গঠন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, কমিশনের রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে। প্রথমে করোনা ভাইরাসের অতিমারি ও পরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে কমিশন গঠন একটু দেরি হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, কমিশন কয় সদস্য বিশিষ্ট হবে, কমিশনের উদ্দেশ্য ও কাজ কী হবে, কীভাবে কাজ করবে তা কমিশনের রূপরেখায় আছে। কমিশনের কাজ হবে অনেকটাই গবেষণামূলক। কমিশনের রূপরেখা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংশোধন, পরিমার্জন, পরিবর্ধন করার কথা বলতে পারেন। তিনি রূপরেখা চূড়ান্ত করে দিলে সেটাকেই জনগণের সামনে উপস্থাপন করা হবে।
সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন সুপ্রীম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সচিব এ কে এম আতিকুর রহমান এবং রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী শিকদার প্রমুখ।
পূর্বপ্রস্তুতি থাকলে দুর্যোগ মোকাবিলা করে টিকে থাকা সহজ হবে : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
নারায়ণগঞ্জ, ১ ভাদ্র (১৬ আগস্ট) :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ এনামুর রহমান বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণ ছাড়াও ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে আমাদেরকে নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের কোনো হাত নেই কিন্তু আমরা যদি পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারি তাহলে এসব দুর্যোগ মোকাবিলা করে টিকে থাকা আমাদের জন্য অনেক সহজ হবে। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সে কাজটাই করে যাচ্ছে।
আজ নারায়ণগঞ্জে বাংলাদেশ নৌবাহিনী পরিচালিত নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ড এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেডে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জন্য নির্মাণাধীন ৬০টি মাল্টিপারপাস এক্সেসিবল রেসকিউ বোটের মধ্যে ৩০টি বোট হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নবনির্মিত এসব রেসকিউ বোটের প্রতিটির দৈর্ঘ্য ৫৪ ফুট ও প্রস্থ ১২ দশমিক ৫০ ফুট এবং যা প্রতি ঘণ্টায় ৭ নটিক্যাল মাইল গতিতে চলতে সক্ষম। প্রতিটি রেসকিউ বোট ৮০ জন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন, যার মাধ্যমে বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ কবলিত অঞ্চলের জনগণকে দ্রুততম সময়ে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করা সম্ভব হবে। এছাড়া বোটগুলো যেকোনো দুর্যোগকালে স্বল্প সময়ে ত্রাণসহ বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করতে সক্ষম। বোটগুলোর ড্রাফট অত্যন্ত কম হওয়ায় দেশের বিভিন্ন নদীপথে এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলসমূহে বন্যা দুর্গতদের সেবায় যাতায়াত করাসহ যেকোনো স্থানে ল্যান্ডিং করার মাধ্যমে দুর্গত এলাকায় উদ্ধারকার্য পরিচালনা করতে পারবে। বোটগুলোতে আহত ব্যক্তিদের জন্য হুইল চেয়ার, ওয়াকিং ফ্রেম ও স্ট্রেচারের ব্যবস্থা রয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ কামরুল হাসান, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর রিয়ার এডমিরাল এম শফিউল আজম এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আতিকুল হক।
বঙ্গবন্ধুর সাহস ও দূরদর্শিতায় অনুপ্রাণিত হয়ে দ্রুত কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছবে বাংলাদেশ : বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১ ভাদ্র (১৬ আগস্ট) :
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাহস ও দূরদর্শিতা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে কাজ করলে দ্রুত কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছবে বাংলাদেশ। রূপকল্প ২০৪১ নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই বাস্তবায়ন করতে বঙ্গবন্ধুর দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ বিদ্যুৎ বিভাগ এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আয়োজনে ‘জাতীয় শোক দিবস’ উপলক্ষ্যে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর অবদান’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে যারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করেছিল সেই সব সামরিক স্বৈরশাসকরা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের দিকে কোনো নজর দেননি। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে যখন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসলেন তখন থেকেই ভঙ্গুর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করলো। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেই বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করে দিলেন। যার ফলে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতও এখন বিদ্যুৎ উৎপাদনে অবদান রাখতে পারছে।
বর্তমান সংকটের কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারে যে ঊর্ধ্বমুখী মূল্য তার কারণে বাংলাদেশও ভুক্তভোগী। তবে এটা সাময়িক সময়ের জন্য। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমাতে শেখ হাসিনার সরকার কাজ করছে বলেও জানান তিনি। এ সময় তিনি আরো বলেন, এ বছরের শেষ নাগাদ বৈশ্বিক পরিস্থিতি ভালো হলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্য সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে জাতীয় সংসদের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম ওয়াসিকা আয়শা খান, বিদ্যুৎ সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান, বিপিসি’র চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ, পিডিবি’র চেয়ারম্যান মোঃ মাহবুবুর রহমান, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান ও পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইনসহ দপ্তরসমূহের প্রধানগণ সংযুক্ত ছিলেন।
বাণিজ্যে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হবে : বাণিজ্যমন্ত্রী
রংপুর, ১ ভাদ্র (১৬ আগস্ট) :
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করে দেশের মানুষের জন্য পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হবে। সরকার এ উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন গঠন করেছে। প্রতিযোগিতা কমিশনের উদ্দেশ্য এবং সংশ্লিষ্টদের করণীয় সম্পর্কে ব্যাপক প্রচার চালাতে হবে যাতে সবাই জানতে এবং বুঝতে পারেন।
আজ রংপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন আয়োজিত ‘ব্যবসা-বাণিজ্যে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা নিশ্চিতকরণে অংশীজনের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, একচেটিয়া ব্যবসা করার আর কোনো সুযোগ নেই। কমিশনকে বাজারে নজরদারি বাড়াতে হবে। কোনো পর্যায়ে অনিয়ম হলে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশের মানুষ উপযুক্ত মূল্যে প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয়ের সুযোগ পেলেই বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন গঠন সার্থক হবে। এ লক্ষ্য পূরণে কমিশনকে জেলা, উপজেলা এবং তৃণমূল পর্যায়ে প্রচার চালাতে হবে।
বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন মোঃ মফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কমিশনের সদস্য ড. এ এফ এম মনজুর কাদির, আরো বক্তব্য রাখেন কমিশনের সদস্য (আইন) নাসরিন বেগম। সেমিনারে বিষয়ের ওপর উপস্থাপনা করেন কমিশনের সদস্য জি এম সালাউদ্দিন। সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ সাবিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ পুলিশের রংপুর বিভাগের ডিআইজি মোহা. আবদুল আলীম মাহমুদ, রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বারের প্রেসিডেন্ট মোঃ রেজাউল ইসলাম, রংপুর উইমেন চেম্বারের ভাইস প্রেসিডেন্ট বেগম আখতার জাহান (আর্শি), রংপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধ্বা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু।
এর আগে বাণিজ্যমন্ত্রী রংপুর পৌরসভা আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষ্যে ‘রংপুরে বঙ্গবন্ধু’ নামক স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির স্বাধীনতা এবং অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য সারা জীবন সংগ্রাম করেছেন। সে সময় পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলনে রংপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা শংকু সমজদার শহিদ হন। বঙ্গবন্ধু সাতই মার্চের ভাষণে রংপুরের নাম উচ্চারণ করেছিলেন। ‘রংপুরে বঙ্গবন্ধু’ স্মরণিকাটিতে রংপুরে বঙ্গবন্ধুর অনেক স্মৃতি, অজানা তথ্য উঠে এসেছে। এটি একটি মহতী উদ্যোগ। তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা পরাজিত হয়েছিল তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য দিন-রাত কাজ করছেন। বাংলাদেশের উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নিতে হবে।
পরে মন্ত্রী নিজ উদ্যোগে পীরগাছা উপজেলায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে হুইল চেয়ার, বাইসাইকেল এবং সেলাই মেশিন বিতরণ করেন। এ সময় পীরগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু ছিলেন সারা বিশ্বের নির্যাতিত ও মুক্তিকামী মানুষের সাহসী কণ্ঠস্বর : প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী
ঢাকা, ১ ভাদ্র (১৬ আগস্ট) :
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন সারা বিশ্বের নির্যাতিত ও মু্ক্তিকামী মানুষের সাহসী কণ্ঠস্বর। বঙ্গবন্ধু সারা জীবন গরিব-দুঃখী মানুষের জন্য রাজনীতি করেছেন।
আজ প্রবাসী কল্যাণ ভবনের বিজয় ৭১ মিলনায়তনে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন। মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন কমিটির সাবেক প্রধান সমন্বয়ক ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
বঙ্গবন্ধুই বাঙালির মহানায়ক উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু না হলে বাংলাদেশ হতো না। তিনি আমাদেরকে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ ও জাতি উপহার দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর পুরো পরিবার দেশের জন্য অবদান রেখেছেন। তিনি বলেন, শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) এর মহাপরিচালক মোঃ শহীদুল আলম ও মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আব্দুল মান্নান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠান শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্ট কালো রাতে নিহত সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
উত্তরায় গার্ডার চাপায় নিহতদের লাশ স্বজনদের নিকট পৌঁছানোসহ সরেজমিন খোঁজ নিলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১ ভাদ্র (১৬ আগস্ট) :
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান আজ ঢাকায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে রাজধানীর উত্তরায় ক্রেন ছিঁড়ে গার্ডারের চাপায় নিহত ৫ ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা প্রদান করেছেন।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের সাথে আলোচনা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় নিহত ব্যক্তিদের পোস্টমর্টেমসহ আনুসঙ্গিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে লাশ দাফনের জন্য নিজ নিজ বাড়িতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। প্রতিমন্ত্রী এ সময় নিহত ব্যক্তিদের লাশ পরিবহন ও অন্যান্য ব্যয় মেটানোর জন্য নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদেরকে আর্থিক অনুদান প্রদান করেন।
এ সময় শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. এবিএম মাকসুদুল আলম এবং পরিচালক প্রফেসর ডা. মোঃ খলিলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, নিহত ৫ জনের মধ্যে ৪ জনের বাড়ি জামালপুর জেলায় এবং অন্য একজনের বাড়ি মেহেরপুর জেলায়।
গতকাল ১৫ আগস্ট গার্ডারের চাপায় প্রাইভেটকারের যাত্রীদের হতাহতের ঘটনায় এবং রাজধানীর চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ।
প্রতিমন্ত্রী দুর্ঘটনায় নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন ও তাঁদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
বিডা ও আইএলও’র মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
ঢাকা, ১ ভাদ্র (১৬ আগস্ট) :
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এর কনফারেন্স হলে , বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান মোঃ সিরাজুল ইসলামের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এর মধ্য এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এ সময় সমঝোতা স্মারকে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন বিডার নির্বাহী সদস্য মহোসিনা ইয়াসমিন এবং আইএলও বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পৌটিয়াইনেন ।
এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে, ILO (আইএলও) বিডার ওয়ান স্টপ সার্ভিস এর কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিডাকে সহযোগিতা প্রদান করবে। বিশেষ করে, বিনিয়োগ সেবাকে আরো সহজ দ্রুত ও আধুনিক করে তোলার লক্ষ্যে , বিডার ওয়ান স্টপ সার্ভিস সিস্টেম প্রচারের অংশ হিসাবে সেমিনার বা কর্মশালা আয়োজনে বিডাকে প্রয়োজনীয় লজিস্টিক প্রদান, সেমিনার বা কর্মশালায় ব্যবহারের জন্য অডিও-ভিজুয়াল Promotional Material প্রস্তুত; One Process, One Fee to start a business বাস্তবায়নে Process Simplification -এ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান; এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর সেবাসমূহ বিডার ওয়ান স্টপ সার্ভিস সিস্টেমের সাথে সংযুক্তির লক্ষ্যে সহযোগিতা প্রদানসহ বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করবে আইএলও।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বলেন, ২০১৯ সাল থেকে বিডা ওয়ান স্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের পঁচাত্তর হাজারের উপরে বিনিয়োগ সেবা দিয়ে আসছে এবং একইসাথে বিনিয়োগ সেবাকে আরো সহজ, সাশ্রয়ী ও দ্রুত করছে। এসময়ে তিনি আরো বলেন, ওয়ান স্টপ সার্ভিস সিস্টেমকে স্ট্রিমলাইন করতে আইএলও’র সহযোগিতা পেয়ে বিডা খুশি এবং তিনি আশা প্রকাশ করেন আইএলও এর সাথে এই চুক্তির মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা আরো বেশি বিনিয়োগ সেবা পাবেন এবং একইসাথে তাদের ব্যবসা স্থাপনে সময় খরচ অনেক কমে আসবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে, আইএলও বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পৌটিয়াইনেন বলেন, পেশাগত নিরাপত্তায় বিনিয়োগের ফলে কর্মক্ষেত্রে ঝুঁকি নিরসন এবং ব্যবসা সুরক্ষিত হয়। এটা বাংলাদেশের ব্র্যান্ড ইমেজের জন্যও কল্যাণকর। আমরা আশা করছি বিডা-ওএসএসে নিরাপত্তা লাইসেন্সসমূহ একীভূত করা এবং ওএসএস সিস্টেমের সহজীকরণ নিরাপত্তা পারমিটের জন্য আবেদন করতে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করবে।
এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে, আগামী ১ (এক) বৎসর বিডা’র ওয়ান স্টপ সার্ভিসের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিডাকে সহযোগিতা করবে আইএলও (ILO), পরবর্তীতে উভয় পক্ষের সম্মতি সাপেক্ষে সমঝোতা স্মারকের মেয়াদ এবং সহযোগিতার ক্ষেত্রসমূহ বৃদ্ধি করা হবে।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে, বিডা ও আইএলও এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ সহ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার সংবাদ প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় শ্রম প্রতিমন্ত্রীর শোক
নিহতদের পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা
ঢাকা, ১ ভাদ্র (১৬ আগস্ট) :
পুরান ঢাকার চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এবং নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল থেকে ২ লাখ টাকা করে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী এক শোক বার্তায় গতকালের মর্মান্তিক অগ্নিদুর্ঘটনায় চকবাজারের ‘বরিশাল হোটেলের’
৬ মৃত শ্রমিকের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে তিনি জানান।
গতকাল চকবাজারের চারতলা ভবনে আগুন লাগে পরে আগুন পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভবনে ছিল পলিথিন ও প্লাস্টিক কারখানা, নিচতলায় ‘বরিশাল হোটেল’ নামে খাবার হোটেল। অগ্নিকাণ্ডে ৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। নিহত ৬ জনই বরিশাল হোটেলের কর্মচারী।
বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী গঠিত বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল থেকে প্রতিষ্ঠানিক-অপ্রতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের কর্মস্থলে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু, আহত, দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত শ্রমিকের চিকিৎসা এবং তাদের মেধাবী সন্তানদের উচ্চশিক্ষায় সহায়তা দেয়া হয়।
নৌযানের যাত্রীভাড়া ৩০ ভাগ সমন্বয় করে পুনর্নির্ধারণ
ঢাকা, ১ ভাদ্র (১৬ আগস্ট) :
জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়ের প্রেক্ষিতে নৌযানের যাত্রীভাড়া শতকরা ৩০ ভাগ বৃদ্ধি করে পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজ থেকে কার্যকর হবে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আজ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে ।
শতকরা ৩০ ভাগ বৃদ্ধির ফলে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বের জন্য জনপ্রতি যাত্রীভাড়া প্রতি কিলোমিটারে হবে ৩ টাকা। ১০০ কিলোমিটারের অধিক দূরত্বের জন্য প্রতি কিলোমিটারের যাত্রীভাড়া হবে ২.৬০ টাকা। জনপ্রতি যাত্রীভাড়া সর্বনিম্ন ৩৩ টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।
২০২১ সালে নৌযানে যাত্রীভাড়া পুনর্নির্ধারণের ফলে বর্তমানে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বের জন্য প্রতি কিলোমিটারের যাত্রীভাড়া রয়েছে ২.৩০ টাকা। ১০০ কিলোমিটারের অধিক দূরত্বের জন্য প্রতি কিলোমিটারের যাত্রীভাড়া রয়েছে ২ টাকা। সর্বনিম্ন ভাড়া ২৫ টাকা।
এর আগে ২০১২ ও ২০১৩ ও সালে নৌযানের যাত্রীভাড়া পুনর্নির্ধারণ করা হয়।
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে জাতীয় শোক দিবস পালন
নিউইয়র্ক, ১৬ আগস্ট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় ও অত্যন্ত ভাবগম্ভীর পরিবেশে গতকাল নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়। স্পিকার
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। এতে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠন, মুক্তিযোদ্ধাগণ, এবং যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি অংশগ্রহণ করেন। জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয় ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হয় দিবসের কর্মসূচি। এরপর জাতির পিতা, বঙ্গমাতা এবং তাঁদের শহিদ পরিবারবর্গসহ ১৫ আগস্টের সকল শহিদদের বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে একমিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে রক্ষিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এসময় স্পিকারের সাথে ছিলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিতসহ মিশনের সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ। অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষ্যে দেওয়া রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। জাতির পিতার জীবন ও কর্মের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্য ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। এরপর শুরু হয় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা। এতে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও মুক্তিযোদ্ধাগণ বক্তব্য রাখেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে জাতির পিতার শৈশব ও কৈশোরসহ তাঁর পরিবারের ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের নানাদিক তুলে ধরেন। দু:খ-দুর্দশাগ্রস্ত ও অসহায় মানুষের প্রতি জাতির পিতার গভীর মমত্বের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতির পিতা ছিলেন বিশ্বের শোষিত বঞ্চিত মানুষের মুক্তির অগ্রনায়ক। সদ্য স্বাধীন যুদ্ধবিধ্বস্থ একটি দেশের ভগ্নস্তুপের ওপর দাঁড়িয়ে কীভাবে জাতির পিতা বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করতে চেয়েছিলেন তা তুলে ধরেনে স্পিকার। তিনি বলেন, জাতির পিতার সেই আদর্শ ধারণ করেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন। আমরা আজ স্বল্পোন্নত দেশের ক্যাটেগরি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণ হয়েছি। পদ্মাসেতুসহ বিভিন্ন মেগা উন্নয়ন প্রকল্পের উদাহরণ তুলে ধরে স্পিকার বলেন, জাতির সকল উন্নয়নে জাতির পিতা আছেন এবং চিরদিন থাকবেন। এসডিজি’র উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, এর অনেকগুলো লক্ষ্য ও অভীষ্টের কথা জাতির পিতা ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভাষণে উল্লেখ করে গেছেন।
নিউইয়র্ক সফররত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল খুরশিদ আলম প্রদত্ত বক্তব্যে স্বাধীনতার পর চট্টগ্রাম বন্দর সচল করার ক্ষেত্রে জাতির পিতার দূরদর্শীতার কথা তুলে ধরেন।
জাতীয় শোক দিবসের তাৎপর্য এবং জাতির পিতার জীবনাদর্শ তুলে ধরে স্বাগত ভাষণ দেন রাষ্ট্রদূত মুহিত। তিনি বলেন, জাতির পিতার কালজয়ী সেই ভাষণের মর্মবাণী এবং তাঁর নীতি-আদর্শ অনুসরণ করে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্বশীল ভূমিকা রেখে চলেছে বাংলাদেশ।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দ দণ্ডপ্রাপ্ত খুনিদের মধ্যে যারা এখনও বিদেশে অবস্থান করছেন তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত সকল প্রবাসী বাংলাদেশিদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তারা বলেন, ‘আমরা চাই জাতির পিতার কোনো খুনিই যেন বিচারের হাত থেকে পার না পায়’। বক্তাগণ পনের আগস্টের এই শোককে শক্তিতে রূপান্তর করার মাধ্যমে জাতির পিতা যে স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখেছিলেন স্ব স্ব অবস্থান থেকে তা অর্জনের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সবশেষে ১৫ আগস্টের শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
বঙ্গবন্ধু বাংলার শান্তি, অগ্রগতি ও সাম্যের অবিসংবাদিত নেতা
মেক্সিকো সিটি, ১৬ আগস্ট :
যথাযথ মর্যাদা ও ভাব গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে মেক্সিকো সিটিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস গতকাল বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা এবং মহান স্বাধীনতার রূপকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করে।
দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতিতে জাতীয় সংগীতের সাথে রাষ্ট্রদূত জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন এবং দূতালয় ভবনে স্থাপিত জাতির পিতার আবক্ষ প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসটির কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদতবরণকারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের সকল শহিদ সদস্যদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ করা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং শাহাদতবরণকারী তাঁর পরিবারের সকল সদস্যবৃন্দের আত্মার শান্তি কামনা করে এ সময় বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় ভাগে মেক্সিকোর Anahuac বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১৬ জন শিক্ষার্থী জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচিতে অংশ নেয়। এ সময় জাতির পিতার জীবনী ও তাঁর অবদানের ওপর নির্মিত ‘BANGABANDHU IN OUR HEARTS FOREVER’ শীর্ষক একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরবর্তিতে, রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি উপস্থাপনার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে সুদীর্ঘ আন্দোলন এবং সার্বভৌম ও স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জনে বঙ্গবন্ধুর অপরিসীম অবদানের পাশাপাশি যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে তাঁর বিপ্লবী পদক্ষেপসমূহের কথা তুলে ধরেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’র স্বপ্ন এবং জাতির পিতার এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন উদ্যোগ বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন। উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধু, তাঁর রাজনৈতিক জীবন এবং বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কারণসহ তাঁর অবদান সম্পর্কে আরো অবগত হন।
নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল-এ জাতীয় শোক দিবস পালন
নিউইয়র্ক, ১৬ আগস্ট :
নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল গতকাল যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করে। এ উপলক্ষ্যে কনস্যুলেটে দু’পর্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম নিয়ে এক উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় এবং দ্বিতীয় পর্বে বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শনের ওপর আলোকপাত করে “The Vision of Bangabandhu in Global Context” শীর্ষক একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কনসাল জেনারেল ড. মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। জাতির পিতা, তাঁর পরিবারের অন্যান্য শহিদ সদস্য ও শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
কনসাল জেনারেল তাঁর বক্তব্যের শুরুতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টকে ইতিহাসের জঘন্যতম ও কলঙ্কময় দিন হিসেবে উল্লেখ করেন। বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা ও মহান স্বাধীনতার রূপকার বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আমরা আজ স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ পেতাম না মন্তব্য করে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ছিলেন অন্যায়, অবিচার ও শোষণের বিরুদ্ধে এক বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর। বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতির মূল ভিত্তি ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব কারো সাথে বৈরিতা নয়’ উল্লেখ করে তিনি যোগ করেন, বঙ্গবন্ধু শুধুমাত্র বাঙালিরই নয় বরং তিনি বিশ্বব্যাপী স্বাধীনতাকামী মানুষের প্রেরণার উৎস হয়ে সকলের হৃদয়ে চিরদিন বেঁচে থাকবেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ অদম্যগতিতে উন্নয়ন ও স্বনির্ভরতার পথে এগিয়ে
যাচ্ছে। কনসাল জেনারেল সকলকে যার যার অবস্থান থেকে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্বপালনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’ স্বপ্নের বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবারের অন্যান্য শহিদ সদস্য ও শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।
খুনি রাশেদ চৌধুরীর প্রত্যর্পণ বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘গেম-চেঞ্জার’ হতে পারে : প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা
ওয়াশিংটন ডিসি, ১৬ আগস্ট :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পলাতক দণ্ডপ্রাপ্ত খুনি রাশেদ চৌধুরীকে বিচারের মুখোমুখি করতে অবিলম্বে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য মার্কিন সরকারের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বীরবিক্রম।
জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী পালনের অংশ হিসেবে গতকাল ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ‘Deportation of the killer of Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman: A long pending issue in Bangladesh-US relations’ শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নর্থ ক্যারোলিনা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. এবিএম নাসির।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনির যুক্তরাষ্ট্রে অব্যাহত অবস্থান দুই দেশের মধ্যে বিরাজমান চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে দুর্ভাগ্যজনক, এবং রাশেদ চৌধুরীর প্রত্যর্পণ বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি ‘গেম-চেঞ্জার’ হবে বলে মত প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে খুনি রাশেদ চৌধুরীকে প্রত্যর্পণ নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন প্রচেষ্টার একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সেমিনার আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরো দৃঢ় করতে বঙ্গবন্ধুর খুনিকে প্রত্যর্পণের জরুরি প্রয়োজন সম্পর্কে মার্কিন জনগণ এবং বাংলাদেশি-আমেরিকান প্রবাসীদের মধ্যে বৃহত্তর সচেতনতা তৈরি করা।
অধ্যাপক ড. এবিএম নাসির তার মূল প্রবন্ধে বলেন, খুনি রাশেদ চৌধুরী তিন শিশু, দুই গর্ভবতী নারী ও অন্যান্য নিরস্ত্র সাধারণ মানুষকে নৃশংসভাবে হত্যা করে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন। তিনি অবিলম্বে রাশেদ চৌধুরীকে আটক ও প্রত্যর্পণের জন্য মার্কিন সরকারের কাছে দাবি জানান।
ডেপুটি চিফ অব মিশন ফেরদৌসী শাহরিয়ার সেমিনারে সঞ্চালনা করেন। বিশিষ্ট অভিনেতা সৈয়দ হাসান ইমাম, বিশিষ্ট কোরিওগ্রাফার ও নৃত্যশিল্পী লায়লা হাসান, প্রখ্যাত সংবাদ পাঠক সরকার কবির উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন চৌধুরী, দূতাবাসের কাউন্সেলর আরিফা রহমান রুমা এবং মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শফিকুল আজম আজাদ প্রমুখ সেমিনারে বক্তব্য রাখেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের শোক দিবস সভা
ঢাকা, ১ ভাদ্র (১৬ আগস্ট) :
জাতীয় শোক দিবসে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় আয়োজিত বিশেষ স্মরণ সভা ও চিরঞ্জীব বঙ্গবন্ধু প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলে তথ্য ভবন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সভায় প্রধান অতিথি এবং সচিব মোঃ মকবুল হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেন। আলোচনা করেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খাদিজা বেগম, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহীন ইসলাম, বিটিভির মহাপরিচালক মো. সোহরাব হোসেন এবং চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতরের মহাপরিচালক স. ম. গোলাম কিবরিয়া।
সভায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন বক্তারা। মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের মর্মন্তুদ ঘটনা শুধু হত্যাকাণ্ড নয়, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। এসময় মানুষকে সঠিক চিন্তার পথনির্দেশনা দিতে গণমাধ্যমের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলেন, গণমাধ্যমে যেমন স্বাধীনতার প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন দায়িত্বশীলতা।
সচিব মো: মকবুল হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। তথ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন অধিদপ্তর ও সংস্থার সদস্যদের এ সভার শেষে জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের এবং সকল শহীদের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।