দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের কাউকে ছাড় দেবে না সরকার : আইনমন্ত্রী
ঢাকা, ২ ভাদ্র (১৭ আগস্ট) :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার ব্যাপারে সরকার অত্যন্ত তৎপর। এই মামলার সাজাপ্রাপ্ত ও পলাতক আসামিদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সাজাপ্রাপ্ত ও পলাতক আসামিদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে চেষ্টা করছে সরকার। একই সাথে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পলাতক আসামিদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন কর্মসূচির অংশ হিসেবে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আজ ঢাকার তেজগাঁওয়ে সরকারি শিশু পরিবারের দেড় শতাধিক অবহেলিত ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুর মাঝে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের উদ্যোগে ২০১৬ সাল থেকে প্রতি বছর আগস্ট মাসের একদিন দুপুরে তেজগাঁও সরকারি শিশু পরিবারে এভাবে খাবার পরিবেশন করে আসছে আইন মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রী বলেন, সকলেই জানেন একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার কতোদিন পর শুরু হয়েছে। আবার বিচার করতে গিয়ে জজ মিয়া নাটক সাজানো হয়েছে। সে কারণে অধস্তন আদালতে বিচার শেষ হতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। এটি এখন উচ্চ আদালতে আছে। খুব শিগগিরই এই মামলার আপিল শুনানি শুরু করা হবে। এ ব্যাপারে এটর্নি জেনারেলের সাথে কথা হয়েছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকার সবসময় আইনের শাসনে বিশ্বাসী। তাঁর সরকারের সময় যেহেতু বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার হয়েছে, তাই সব হত্যা মামলারই বিচার হবে। ২০০৫ সালের সিরিজ বোমা হামলার মামলার ব্যাপারে তিনি বলেন, সব মামলার বিচারই পর্যায়ক্রমে শেষ করা হবে।
অনুষ্ঠানে আইন সচিব মোঃ গোলাম সারোয়ার এবং তেজগাঁও সরকারি শিশু পরিবার ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বক্তৃতা করেন। এ সময় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উভয় বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
টিসিবি’র পণ্য বিক্রয় নিয়ে টিআইবি’র প্রতিবেদন যথাযথ তথ্যের ভিত্তিতে প্রস্তুত করা হয়নি : বাণিজ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ২ ভাদ্র (১৭ আগস্ট) :
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দেশের নিম্নআয়ের এককোটি পরিবারের মাঝে টিসিবি’র ভরতুকি মূল্যে পণ্য বিক্রয় নিয়ে টিআইবি’র প্রতিবেদন যথাযথ তথ্যের ভিত্তিতে প্রস্তুত করা হয়নি। টিআইবি যে কোনো বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করতেই পারে, তবে তা সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে হওয়া উচিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশে এককোটি পরিবারের মাঝে নির্ধারিত ডিলারদের মাধ্যমে কার্ডধারী পরিবারগুলোর মাঝে এ পণ্য বিক্রয় করা হচ্ছে। প্রায় একশত ভাগ ভরতুকি দিয়ে পরিবার কার্ডের মাধ্যমে টিসিবি’র পণ্য বিক্রয় করা হচ্ছে। কিউআর কোড ব্যবহার করে পণ্য বিক্রয়ের কারণে শৃঙ্খলা এসেছে। একই ব্যক্তির দু’বার পণ্য ক্রয়ের সুযোগ নেই।
আজ ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত টিসিবি’র ভরতুকি মূল্যে পণ্য বিক্রয়ের ওপর টিআইবি’র প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে জনপ্রতিনিধি এবং স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় এ তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। ঢাকায় অল্পকিছু ছাড়া সারা দেশে এ কার্ড বিতরণ সম্পন্ন করা হয়েছে। কার্ডধারী মানুষ এখন সুশৃঙ্খলভাবে টিসিবি’র পণ্য ক্রয় করতে পারছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, আগে ট্রাকসেলের মাধ্যমে এ পণ্য বিক্রয় করা হতো, এতে একই ব্যক্তি একাধিকবার লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য ক্রয় করতো, অনেকে পেতো না। এ জন্য কার্ডের মধ্যে এককোটি পরিবারের মাঝে পণ্য বিক্রয় করা হচ্ছে। টিসিবি’র পণ্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। যাতে প্রকৃত নিম্নআয়ের মানুষ এ পণ্য ক্রয়ের সুবিধা পান। টিসিবি’র পণ্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে অনিয়ম হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। দেশব্যাপী প্রায় ৩ হাজার ৩০০ ডিলারের মাধ্যমে এ পণ্য বিক্রয় করা হচ্ছে। ডিলারের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য কাজ করা হচ্ছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ট্রেডিং করপোরেশন অভ্ বাংলাদেশ(টিসিবি) এর চেয়ারম্যান ব্রি. জে. মোঃ আরিফুল হাসান এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
সমাজের বিত্তবানদেরকে গরিব ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে : শিল্প প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২ ভাদ্র (১৭ আগস্ট) :
শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেছেন, করোনা মহামারির কারণে সমগ্র বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা চলমান থাকা অবস্থায় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বিরূপ প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে বাংলাদেশের বাজারেও জ্বালানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য অস্থিতিশীল রয়েছে, যা মোকাবিলায় বর্তমান সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদেরকেও গরিব ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদেরকে সাধ্য মোতাবেক সাহায্য-সহযোগিতা করতে হবে।
আজ রাজধানীর মিরপুর-১৩ এলাকায় হাজী আলী হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জাতীয় শোক দিবস-২০২২ উপলক্ষ্যে গরিব ও অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের কালরাতে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন এবং তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, বিশেষ কমিশন গঠনের মাধ্যমে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বিশ্ব ও মানব সভ্যতার ইতিহাসে নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের কুশীলবদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ এক বাংলাদেশ, সেই স্বপ্নই বাস্তবায়ন করছেন তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ সর্বস্তরের মানুষের জন্য বিনামূল্যে কোভিড-১৯ এর টিকার সুব্যবস্থাসহ অত্যন্ত সফলভাবে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে কামাল আহমেদ মজুমদার চার শতাধিক গরিব ও অসহায় পরিবারের মাঝে নিজের পক্ষ থেকে ১০ কেজি চাউলসহ খাদ্যসামগ্রীর একটি করে প্যাকেট বিতরণ করেন।
হাজী আলী হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলবেলী আফিফা রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করা হবে : আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২ ভাদ্র (১৭ আগস্ট) :
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করা হবে উল্লেখ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল বৈষম্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্য মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্প দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু দৌহিত্র ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট সজীব ওয়াজেদ এর অনুপ্রেরণায় গত ১৩ বছরে প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগিয়ে শহর-গ্রাম, ধনী-দরিদ্রের মধ্যে কিছুটা হলেও বৈষম্য দূর করা সম্ভব হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ। মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা জাদুঘরের বোর্ড অভ্ ট্রাস্টিজ এর ট্রাস্টি মফিদুল হক।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ’৭১ এর পরাজিত অপশক্তি পরাজয়ের গ্লানির প্রতিশোধ নেয়ার জন্যই ঘাতকচক্র শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের, এমনকি ১০ বছরের নিষ্পাপ শিশু শেখ রাসেলকেও হত্যা করেছে। কারণ তারা চেয়েছিল বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানেও যেন বঙ্গবন্ধুর পরিবারের কেউ তাঁর আদর্শকে ধরে রাখতে না পারে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরি ও অনুসারী কেউ যেন মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনা লালন করতে না পারে তার জন্য এ হত্যাকাণ্ড।
পলক বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে বিভেদের যে বিষবৃক্ষ রোপণ করা হয় তার শাখা, প্রশাখা আজ বিস্তৃত। তিনি বলেন, জিয়া, এরশাদ এবং খালেদা জিয়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে মিথ্যা অপবাদ এবং অপপ্রচার করে একটি বিভক্ত সমাজ তৈরি করতে চেয়েছিল। পঁচাত্তর পরবর্তী দীর্ঘ ২১ বছর জনগণকে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়।
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছে : পরিবেশমন্ত্রী
ঢাকা, ২ ভাদ্র (১৭ আগস্ট) :
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, অসহনীয় মাত্রার শব্দ মানবস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে তাই শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছে। তিনি বলেন, এটি সফল করতে সকল ক্ষেত্রে অযথা শব্দ সৃষ্টি করা থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে। এ বিষয়ে নিজে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি অন্যকেও সচেতন করতে হবে। শিশুদেরকে শৈশব থেকেই শব্দ সচেতন করে গড়ে তুলতে পাঠ্যসূচিতে বিষয়টি অন্তর্ভুক্তির জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শব্দদূষণ রোধে সরকারের উদ্যোগের সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা পেলে দেশের শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
আজ ঢাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প কর্তৃক আয়োজিত ‘শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে অংশীজনের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এবং সংসদ সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত।
মন্ত্রী বলেন, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে পরিবেশ অধিদপ্তর “শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প” বাস্তবায়ন করছে। এ প্রকল্পের আওতায় এ কার্যক্রমে সক্রিয় ভূমিকা পালনের জন্য শিক্ষার্থী, পরিবহন চালক/শ্রমিক, কারখানা ও নির্মাণ শ্রমিক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, ইমাম, শিক্ষক, বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন পেশাজীবীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। টেলিভিশন, বেতার, প্রিন্ট মিডিয়ায় সচেতনামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আইনের যথাযথ প্রয়োগের জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। সরকার ঘোষিত নীরব এলাকা শব্দদূষণ মুক্ত করার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পুলিশ, সিটি কর্পোরেশন, বিআরটিএসহ বিভিন্ন সংস্থা একযোগে কাজ করবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে শব্দদূষণ বিধিমালা যুগোপযোগী করা হবে। এ বিষয়ে দেশের বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিবর্গের পরামর্শ মতো কাজ করা হবে।
অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মোঃ মুশফিকুর রহমান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, বেলা’র নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও সিনিয়র এডভোকেট মনজিল মোরশেদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব ও নাগরিক টেলিভিশনের হেড অভ্ নিউজ দীপ আজাদ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এসোসিয়েট প্রফেসর (ইএনটি) ডা. হুসনে কমর ওসমানী এবং প্রকল্প পরিচালক সৈয়দা মাসুমা খানম।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সুযোগ নিয়ে অহেতুক নিত্যপণ্যের দাম বাড়ালে কঠোর ব্যবস্থা : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ২ ভাদ্র (১৭ আগস্ট) :
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সুযোগ নিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ও পরিবহনের ক্ষেত্রে অহেতুক দাম বাড়ালে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলেছেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ।
আজ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে দেশে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি করতে হয়েছে, মূল্য সমন্বয় করে পশ্চিমবঙ্গের সমপরিমাণ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর সুযোগ নিয়ে কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিজেদের মুনাফা বাড়ানোর জন্য পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে এবং পরিবহনের খরচও তারা বাড়িয়ে দিয়েছে। এটি কোনভাবেই কাম্য নয়, কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমাদের সরকার এসব মনিটরিং করছে এবং আমি আশা করবো ব্যবসায়ী সংগঠন ও নেতৃবৃন্দ এ নিয়ে ভূমিকা রাখবেন। সরকার প্রয়োজনে এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বামজোটের ডাকা হরতাল প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বব্যাপী। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯.৬%, আমেরিকায় ৮.৫%, যুক্তরাজ্যে ৯.৪%, পাকিস্তানে ২৫%, অস্ট্রেলিয়ায় ৯% এর ওপরে। কিন্তু আমাদের দেশে ৭.৫% এর ওপরে যা মে মাসের আগ পর্যন্ত ৭% এর নিচে ছিল এবং তা এখনও অনেক দেশের চেয়ে কম। আর বামজোটের ভাইয়েরা মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি, তাই আমি তাদের সম্মান করি। কিন্তু আমি বিনীতভাবে অনুরোধ জানাবো, তাদের কর্মকান্ড যেন বিএনপিসহ স্বাধীনতাবিরোধী, দেশবিরোধী অপশক্তি, জঙ্গিগোষ্ঠী লাভবান না হয়। যারা স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি, জঙ্গিদের লালন-পালন-তোষণ করে, তারা যেন বাম ভাইদের কর্মকান্ডে লাভবান না হয়, দেশটাও যেন তাদের হাতে চলে না যায়। সেটিই তাদের প্রতি অনুরোধ।’
বিএনপি মহাসচিব বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের তদন্তের দাবি জানিয়েছেন এ প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি মাঝে মধ্যে যারা গুম হয়েছে বলে, কিছুদিন পরে তাদের আবার দেখা যায়, খুঁজে পাওয়া যায়। এতে প্রমাণিত হয় বিএনপি প্রকাশিত গুমের তথ্য ঠিক নয়। আমি মনে করি, ২০১৩-১৪-১৫ সালে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যারা দেশে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে, মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, ঘুমন্ত ট্রাক চালককে পুড়িয়ে, মুসল্লিকে বোমা মেরে হত্যা করেছে, তাদের এবং যারা মদত দিয়েছে, অর্থায়ন করেছে, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে সেই বিএনপিনেতাদের দ্রুত বিচার হওয়া প্রয়োজন, এটিই আজকের দিনের দাবি।’
বঙ্গবন্ধুর ওপর লিসা কালামের ১০০ গানের সংকলন উদ্বোধন
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহ্মুদ এদিন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বঙ্গবন্ধুর ওপর শিল্পী লিসা কালামের একক কণ্ঠে ১০০ গানের সংকলনের মোড়ক উন্মোচন করেন। লিসা কালাম, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী মো: জাহাঙ্গীর আলম ও লিসা কালামের বাবা আবুল কালাম এসময় বক্তব্য রাখেন। শিল্পী আশফ-উদ-দৌলা, সাংবাদিকবৃন্দ ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী লিসা কালামকে বঙ্গবন্ধুর ওপর একশত গান গাওয়ার জন্য ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, প্রত্যেকটি গানের ইংরেজি অনুবাদ করা ও কয়েকটি গান ইংরেজিতে গাওয়া বিষয়টিকে নতুন মাত্রা দিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ওপর অগাধ মমত্ববোধ ও শ্রদ্ধা না থাকলে এটি সম্ভবপর হতো না। শিল্পী লিসা কালাম বঙ্গবন্ধুর ওপর গান যেমন গাইবেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সমাজের অবহেলিত মানুষের জন্যও গান গাইবেন, সমাজের অসংগতি নিয়ে গান গাইবেন এবং সেই গানগুলো মানুষকে জাগ্রত করবে, আশাপ্রকাশ করেন হাছান মাহ্মুদ।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২১ প্রদানের লক্ষ্যে জুরি বোর্ড গঠন
ঢাকা, ২ ভাদ্র (১৭ আগস্ট) :
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২১ প্রদানের লক্ষ্যে সরকার ১৩ সদস্যের একটি জুরি বোর্ড গঠন করেছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (চলচ্চিত্র) এর সভাপতিত্বে বোর্ডের অন্যান্য সদস্যগণ হলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (চলচ্চিত্র), বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম এন্ড ফটোগ্রাফী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রিফাত ফেরদৌস, বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক মোরশেদুল ইসলাম, সুরকার ও সংগীত পরিচালক মকসুদ জামিল মিন্টু, বিশিষ্ট চিত্রগ্রাহক পঙ্কজ পালিত, বিশিষ্ট অভিনেতা জাহিদ হাসান, বিশিষ্ট অভিনেত্রী সালমা বেগম সুজাতা (সুজাতা আজিম), বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী মোহাম্মদ নকিব উদ্দিন খান (নকিব খান) ও দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত। বোর্ডের সদস্য সচিব বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ১৬ আগস্টের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে এ বোর্ড ২০২১ পঞ্জিকাবর্ষের মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রসমূহ মূল্যায়নপূর্বক পুরস্কারপ্রাপক ব্যক্তি/চলচ্চিত্রের নাম সুপারিশ করবে।
বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজতে কমিশন গঠন করা হচ্ছে : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২ ভাদ্র (১৭ আগস্ট) :
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যায় জড়িত ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজতে কমিশন গঠন করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু হত্যার কুশীলবদের এবং এর নেপথ্যে কারা ছিল সেসব ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করা হবে। তাছাড়া বাংলাদেশের ভবিষ্যতকে বদলে দেওয়ার জন্য যে কলঙ্কিত প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছিল, যে নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিলে তার সাথে কারা জড়িত ছিল, নতুন ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সেটা জানানোর উদ্দেশ্যেই এই কমিশন গঠন করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর গুলিস্তানে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র মিলনায়তনে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২২ উপলক্ষ্যে বিশেষ পাঠ-কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী সেরা পাঠক-শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদপত্র ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল মনসুর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারতবর্ষের সকল ইতিহাসকে ছাপিয়ে গেছে বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন সংগ্রাম ও ত্যাগ-তিতিক্ষার মাধ্যমে শোষিত-বঞ্চিত বাঙালি জাতির জন্য একটি স্বাধীন- সার্বভৌম ভূখণ্ড উপহার দিয়েছেন। একটি মানুষ কত বেশি ত্যাগ স্বীকার করতে পারেন, তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ বঙ্গবন্ধু। ভারতবর্ষে বঙ্গবন্ধুর মতো এমন কোনো রাজনীতিক বা নেতা নেই যিনি দেশের জন্য নিজের জীবনকে বিসর্জন দিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী সেরা ২০ জন পাঠক-শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদ ও পুরস্কার বিতরণ করেন। পরে সংগীত, আবৃত্তি ও নৃত্যের সমন্বয়ে সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
টিসিবি’র পণ্য বিক্রয় নিয়ে টিআইবি’র প্রতিবেদনযথাযথ তথ্যের ভিত্তিতে প্রস্তুত করা হয়নি : বাণিজ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ২ ভাদ্র (১৭ আগস্ট) :
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দেশের নিম্নআয়ের এক কোটি পরিবারের মাঝে টিসিবি’র ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রয় নিয়ে টিআইবি’র প্রতিবেদন যথাযথ তথ্যের ভিত্তিতে প্রস্তুত করা হয়নি। টিআইবি যে কোনো বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করতেই পারে, তবে তা সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে হওয়া উচিৎ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশে এক কোটি পরিবারের মাঝে নির্ধারিত ডিলারদের মাধ্যমে কার্ডধারী পরিবারগুলোর মাঝে এ পণ্য বিক্রয় করা হচ্ছে। প্রায় একশত ভাগ ভর্তুকি দিয়ে পরিবার কার্ডের মাধ্যমে টিসিবি’র পণ্য বিক্রয় করা হচ্ছে। কিউআর কোর্ড ব্যবহার করে পণ্য বিক্রয়ের কারণে শৃঙ্খলা এসেছে। খুব কম সময়ের মধ্যে পণ্য বিক্রয় করা যাচ্ছে। এখন পণ্য ক্রয়ে আর কষ্ট করতে হয় না। এখন আর একই ব্যক্তির দু’বার পণ্য ক্রয়ের সুযোগ নেই। কার্ডধারী ব্যাক্তি তার সুবিধাজনক সময়ে ডিলারদের কাছ থেকে পণ্য ক্রয় করছেন। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের অনিয়মকে প্রশ্রয় দেয়া হচ্ছে না। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে জনপ্রতিনিধি এবং স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় এ তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। ঢাকায় অল্পকিছু ছাড়া সারাদেশে এ কার্ড বিতরণ সম্পন্ন করা হয়েছে। কার্ডধারী মানুষ এখন সুশৃঙ্খলভাবে টিসিবি’র পণ্য ক্রয় করতে পাচ্ছেন। আমরা চেষ্টা করছি প্রকৃত নিম্নআয়ের মানুষের মাঝে টিসিবি’র পণ্য বিক্রয় করতে। টিসিবি’র মাধ্যমে তেল, চিনি, ছোলা, মশুর ডাল, পবিত্র রমজান মাসে চিনি, খেজুর বিক্রয় করা হয়। কার্ডের মাধ্যমে সুশৃঙ্খলভাবে পণ্য কিনতে পেরে মানুষ খুশি।
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত টিসিবি’র ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রয়ের ওপর টিআইবি’র প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং এ এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আগে ট্রাক সেলের মাধ্যমে এ পণ্য বিক্রয় করা হতো, এতে একই ব্যক্তি একাধিকবার লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য ক্রয় করতো, অনেকে পেতো না। এজন্য কার্ডের মধ্যে এক কোটি পরিবারের মাঝে পণ্য বিক্রয় করা হচ্ছে। টিসিবি’র পণ্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। যাতে প্রকৃত নিম্নআয়ের মানুষ এ পণ্য ক্রয়ের সুবিধা পান। টিসিবি’র পণ্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে অনিয়ম হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। দেশব্যাপী প্রায় ৩,৩০০ ডিলারের মাধ্যমে এ পণ্য বিক্রয় করা হচ্ছে। ডিলারের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য কাজ করা হচ্ছে।
প্রেস ব্রিফিং এর সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর চেয়ারম্যান ব্রি. জে. মো. আরিফুল হাসান এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান।
সরকারি ভবনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবহার সংক্রান্ত নির্দেশনা
ঢাকা, ২ ভাদ্র (১৭ আগস্ট) :
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট মোকাবেলায় সরকারি দপ্তরে বিদ্যুতের সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিত করতে সরকার নির্দেশনা জারি করেছে।
নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য এলইডি লাইট ব্যবহার করা, আলোর উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য দেয়ালে উপযুক্ত রং ব্যবহার করা, সিঁড়ি, ওয়াশরুম, ওয়েটিং রুম, করিডোরসহ কমন স্পেসে মানুষের উপস্থিতিতে জ্বলে/নিভে এমন লাইটিং সিস্টেম ব্যবহার করা, বিল্ডিং কোডে উল্লিখিত কোন্ কাজে কত মাত্রার উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে হবে তা অনুসরণ করা, বৈদ্যুতিক বাল্ব নিয়মিত পরিষ্কার রাখা, দিনের আলোয় সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা।
এসির ক্ষেত্রে তাপমাত্রা ২৫০C বা এর উপরে রাখা, এসি ব্যবহারের সময় কক্ষের দরজা-জানালা ভালোভাবে বন্ধ রাখা, জানালায় দুই স্তর বিশিষ্ট (Double Glazed) কাঁচ অথবা পর্দা ব্যবহার করা, এসির ফিল্টার নিয়মিত পরিষ্কার করা, বছরে কমপক্ষে একবার এসির সার্ভিসিং করানো, এসির ডাক্ট বা পাইপের লিকেজ পরীক্ষা করা, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ও ইনভার্টারযুক্ত এসি ও ফ্রিজ ব্যবহার করা।
এছাড়া বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ও বাতাস বেশি তৈরি হয় এমন ফ্যান ব্যবহার করা, কাজ ব্যতিরেকে অফিসের চালু কম্পিউটার ও ল্যাপটপসমূহ পাওয়ার সেভিং মোডে রাখা, ডেস্কভিত্তিক প্রিন্টার ও স্ক্যানার ব্যবহারের পরিবর্তে নেটওয়ার্কের আওতায় কম যন্ত্রপাতি ব্যবহার উৎসাহিত করা ইত্যাদি।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২ ভাদ্র (১৭ আগস্ট) :
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু এমন একটি আদর্শ-যাকে কোনোভাবেই হত্যা করা যাবেনা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। তাঁর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থাকলে দেশ সবল থাকবে। বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ শোধ করতে পারবো না। স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের মাধ্যমেই তাঁর প্রতি সম্মান জানাতে পারবো।
প্রতিমন্ত্রী গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের ৭ মার্চ অডিটরিয়ামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ সকল শহিদ স্মরণে ‘শোক থেকে শক্তির অভ্যুদয়- স্বপ্নপূরণের দৃঢ় প্রত্যয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে কেউ ভাবতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে দাঁড় করাতে পেরেছিলেন। সে সময় প্রবৃদ্ধি ছিল প্রায় ৯ দশমিক ৬ ভাগ। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলার মানুষ সঠিক ধারায় ফিরেছিল। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা জানতো শেখ মুজিবকে হত্যা না করলে বাংলাদেশকে দাবিয়ে রাখা যাবেনা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা একটি পারিবারিক হত্যাকাণ্ড নয়; এটা বাংলাদেশকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র। বঙ্গবন্ধুর উত্তারাধিকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এখন এগিয়ে যাচ্ছে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মানবাধিকার নেতৃবৃন্দ মানবাধিকার নিয়ে এখন অনেক কথা বলছেন। কিন্তু তারা কি কখনো শিশু রাসেল হত্যা, গর্ভবতী মাকে হত্যার প্রতিবাদ করেছেন? কোথাও কথা বলেছেন? ১৫ আগস্ট মানবাধিকার লংঘিত হয়েছে -সে বিষয়ে কোথাও বলেছেন?
রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকা বিনতে হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ ১৫ আগস্টের সকল শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের লক্ষ্যে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
পরে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগ আয়োজিত ‘মহাকালের মহানায়ক’ শীর্ষক আবৃত্তি প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। রোকেয়া হলের শিক্ষার্থী সীমা মন্ডলের আঁকা বঙ্গবন্ধুর ছবি উন্মোচন করা হয়।
গুলশান ক্লাবে জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠান
ঢাকা, ২ ভাদ্র (১৭ আগস্ট) :
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর গুলশান ক্লাবে অনুষ্ঠিত হল ‘আমার বঙ্গবন্ধু, আমাদের বঙ্গবন্ধু’ আলোচনা সভা ও কবিতাপাঠ।
গতকাল গুলশান ক্লাবের প্রেসিডেন্ট রফিকুল আলম হেলালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে কে এম রহমতুল্লাহ কবি ও বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা, কবি কামাল চৌধুরী, পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, কবি সৈয়দ আল ফারুক, কবি আসাদ মান্নান, কবি সোহরাব হোসাইন, কবি দিলারা হাফিজ, আবৃত্তিশিল্পী রূপা চক্রবর্তী প্রমুখ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
‘বঙ্গবন্ধু স্মরণে কবিতাপাঠের পাশাপাশি আলোচকবৃন্দ জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে জীবন ও সমাজ গড়ার মাধ্যমে দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নেওয়ার কথা বলেন।
সভাশেষে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মভিত্তিক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশুদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মন্ত্রী।