ব্রিটিশ কারি অ্যাওয়ার্ডের প্রবর্তক এনাম আলীর মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
ঢাকা, ২ শ্রাবণ (১৭ জুলাই) :
ব্রিটিশ কারি অ্যাওয়ার্ডের প্রবর্তক, স্পাইস বিজনেস ম্যাগাজিনের প্রতিষ্ঠাতা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক এনাম আলী এমবিই এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
এক শোকবার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এনাম আলী এমবিই ব্রিটেনে কারি শিল্পের অগ্রযাত্রায়, বিশেষ করে বাংলাদেশিদের জন্য অনুকরণীয় ভূমিকা রেখে গেছেন। তাঁর উদ্যোগেই ২০০৫ সালে ব্রিটিশ কারি অ্যাওয়ার্ড প্রতিষ্ঠিত হয় যেটা সারাবিশ্বের কারি শিল্পের অস্কার হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এনাম আলী ব্রিটেনে বাংলাদেশি কমিউনিটির অত্যন্ত সুপরিচিত মুখ ছিলেন। তিনি তাঁর শ্রম ও মেধা দিয়ে কারি শিল্পে অবদান রাখার পাশাপাশি বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। এছাড়া ব্রিটেনে বাংলাদেশি কমিউনিটির উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে তিনি যে অবদান রেখে গেছেন তা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি মরহুম এনাম আলীর রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
উল্লেখ্য, রবিবার যুক্তরাজ্যের একটি হাসপাতালে এনাম আলী মৃত্যুবরণ করেন।
পানির মূল্য যৌক্তিকভাবে নির্ধারণের নির্দেশ স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর
ঢাকা, ২ শ্রাবণ (১৭ জুলাই) :
রাজধানীতে পানির মূল্য যৌক্তিকভাবে নির্ধারণের জন্য ঢাকা ওয়াসাকে নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।
আজ রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ঢাকা ওয়াসার এলাকাভিত্তিক পানির মূল্য নির্ধারণ বিষয়ক টেকনিক্যাল স্টাডির (কারিগরি গবেষণা) ফলাফল উপস্থাপনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ নির্দেশ দেন।
মন্ত্রী বলেন, পানির দাম অবশ্যই যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ করতে হবে। মানুষের জন্য যেন কষ্টকর না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আবার কম মূল্যে পানি সরবরাহ করতে গিয়ে প্রতিষ্ঠান যাতে অকার্যকর না হয় সে দিকটাও লক্ষ্য রাখতে হবে।
মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, ভুর্তকি দিয়ে কোনো প্রতিষ্ঠান টিকে থাকতে পারবে না। পানির দাম কত হবে তা ওয়াসার বোর্ড সভার মাধ্যমে নির্ধারণ করতে হবে। অযৌক্তিকভাবে পানির দাম যেমন বাড়ানো উচিত নয়, তেমনি যৌক্তিক মূল্য প্রদানে অসহযোগিতা করার সুযোগ নেই। উৎপাদন খরচ কোনোভাবেই বিক্রয়ের চেয়ে কম হতে পারে না। শুধু দাম বাড়লেই প্রতিষ্ঠান লাভজনক হবে না। যদি সেখানে অব্যবস্থাপনা থাকে। অব্যবস্থাপনা বা দুর্নীতির কারণে পানির দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হবে। দুর্নীতিকে কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না।
মন্ত্রী বলেন, অভিজাত এলাকায় বসবাসরত মানুষকে যে মূল্যে পানি দেয়া হয় বস্তিবাসী বা নিম্নবিত্তদের তার থেকে কম ম্ল্যূ পানি সরবরাহ করা উচিত। গরিব মানুষের কাছ থেকে রাজস্ব নিয়ে ধনীদের কম দামে পানি দেয়ার সুযোগ নেই। এজন্য জোনভিত্তিক পানির মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। শুধু পানি নয় গ্যাস, বিদ্যুৎ ও হোল্ডিং ট্যাক্সসহ অন্যান্য ইউটিলিটিক্যাল সার্ভিসের মূল্য নির্ধারণ হওয়া উচিত।
মন্ত্রী জানান, বিশ্বের অনেক উন্নত দেশের মূল শহরে বেশি মানুষ বসবাস করে না। কারণ এখানে বসবাস করা অনেক ব্যয়বহুল। তাই ব্যয় সংকোচনের জন্য পার্শ্ববর্তী শহরে বসবাস করে। সকালে ট্রেনে করে মানুষ শহবে এসে অফিস করে বিকেলে চলে যায়। আমরাও যদি আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন করতে পারি তাহলে ঢাকার মানুষকে আশপাশের শহরে রিলোকেট করা সম্ভব হবে।
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী আরো বলেন, সবাই ঢাকায় থাকতে চায়। দেশের সব মানুষকে ঢাকায় রাখা যাবে না। আবার ঢাকা থেকে মানুষকে জোর করে বের করে দেওয়াও যাবে না। শহরমুখী মানুষের চাপ কমাতে গ্রামগুলোকে উন্নত করতে হবে।
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা এবং ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিনা জাহান।
চট্টগ্রাম পিআইডি পরিদর্শনে তথ্য ও সম্প্রচার সচিব
চট্টগ্রাম, ২ শ্রাবণ (১৭ জুলাই) :
তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মোঃ মকবুল হোসেন পিএএ আজ চট্টগ্রাম পিআইডি পরিদর্শন করেন। এসময় সচিব চট্টগ্রাম পিআইডির বঙ্গবন্ধু কর্নার, দিবসপঞ্জি, ফটোগ্যালারি, সংবাদ কক্ষ, সম্মেলন কক্ষ পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে সচিব চট্টগ্রাম পিআইডির কার্যক্রমের খোঁজখবর নেন। এসময় তিনি বিগত বছরের (২০২১-২২) এপিএ কার্যক্রমের অবস্থা, এপিএ বাস্তবায়নের হার, দৈনন্দিন কার্যক্রম যথা সংবাদ গতিধারা, প্রেস ক্লিপিংস এবং ইস্যুকৃত তথ্যবিবরণী ও আলোকচিত্র বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চান।
চট্টগ্রাম পিআইডির উপপ্রধান তথ্য অফিসার মীর হোসেন আহসানুল কবীর অফিসের সার্বিক কার্যক্রম বিষয়ে সচিবকে অবহিত করেন।
সচিব বলেন, কর্ণফুলী টানেল, ফ্লাইওভার এবং চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনসহ চট্টগ্রামকেন্দ্রিক সরকারের যেসব উন্নয়নমূলক মেগা প্রকল্প রয়েছে, সেসব বিষয়ে সচিত্র প্রতিবেদন তুলে ধরে সরকারের কার্যক্রম জনগণকে আরো অবহিত করতে হবে। জনস্বার্থে সরকারি কার্যক্রমের প্রচার বাড়াতে হবে। পদ্মা সেতুর উদাহরণ দিয়ে সচিব বলেন, কেউ কাজের কথা বলে দেবে না। নিজেরা দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। গতানুগতিক কাজের বাইরে সৃজনশীল কাজও করতে হবে। এসময় তিনি সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমের উপর ‘আলোকচিত্র প্রদর্শনী’ (ফটো এক্সিবিশন) করার নির্দেশ দেন।
চট্টগ্রাম বেতারের পরিচালক মোঃ আবুল হোসেন এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সচিব চট্টগ্রাম পিআইডিতে পৌঁছলে অফিসের পক্ষ থেকে সচিবকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
কর্মক্ষেত্রে অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে : তথ্য ও সম্প্রচার সচিব
চট্টগ্রাম, ২ শ্রাবণ (১৭ জুলাই):
আজ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মকবুল হোসেন পিএএ শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক প্রশিক্ষণে বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন।
এসময় সচিব জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করেন।
শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক প্রশিক্ষণে মোঃ মকবুল হোসেন পিএএ বলেন, বিশ্ব পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকারি বেসরকারি প্রতিটি পর্যায়ে শুদ্ধাচার অতিব গুরুত্বপূর্ণ। শুদ্ধাচার নিশ্চিত করতে হলে সর্বপ্রথমে আমাদের চরিত্র বদলাতে হবে। তিনি বলেন, আমরা যদি কর্মক্ষেত্রে অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারি তবেই শুদ্ধাচার নিশ্চিত হবে।
সচিব আরো বলেন, সরকারি অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। চট্টগ্রাম কেন্দ্রের ক্রমবর্ধমান সম্প্রচার কার্যক্রমের কথা মাথায় রেখে কিভাবে স্বল্প পরিসরে সকলের অংশগ্রহণে সৃজনশীল মেধা কাজে লাগিয়ে প্রতিটি কার্যক্রম সুন্দরভাবে এগিয়ে নেওয়া যায় সে বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে তিনি এসময় কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জিএম মাহফুজা আক্তারের সভাপতিত্বে এ কেন্দ্রের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন।
এর আগে সচিব বাংলাদেশ বেতার কালুরঘাট কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি বেতারের ঐতিহাসিক স্বাধীনতা কক্ষ, ট্রান্সমিটার কক্ষসহ সম্প্রচারের অন্যান্য কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে কেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।
গ্রেফতার করেও অন্যায়ের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুকন্যার প্রতিবাদ স্তব্ধ করা যায়নি বিএনপির রাজনীতি আর মাঠে নেই : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ২ শ্রাবণ (১৭ জুলাই):
গ্রেফতার করেও অন্যায়-অনাচারের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার প্রতিবাদ স্তব্ধ করা যায়নি বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ।
আজ রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বপ্ন ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাবরণ দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা’য় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী একথা বলেন। সমসাময়িক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপির রাজনীতি এখন আর মাঠে নেই। তারা রাত-বিরাতে বিভিন্ন দূতাবাসে ধর্ণা দিচ্ছে।
ড. হাছান বলেন, ‘২০০৭ সালের ১৬ জুলাই ভোরে বিনা ওয়ারেন্টে সবাইকে অবাক করে দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কারণ সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার দুর্নীতি-দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কথা বলে ক্ষমতা গ্রহণ করলেও তারা নিজেরাই নানা অনাচার-দুর্নীতির সাথে যুক্ত হয়ে গিয়েছিল। স্বামীর অপরাধে অসুস্থ স্ত্রীকে গ্রেফতার, বাবার অপরাধে নাবালিকা সন্তানকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, গণতন্ত্রকে শিকলবন্দি করা হয়েছিল। রাজনৈতিক নেতাদের ওপর নজরদারি, সভা-সমাবেশে যাওয়া বন্ধ করা হয়েছিল এবং তখন একমাত্র জননেত্রী শেখ হাসিনা অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন।’
আপসহীন বঙ্গবন্ধুকন্যাকে গ্রেফতার করেও অন্যায়ের বিরুদ্ধে তার প্রতিবাদী কণ্ঠ স্তব্ধ করা যায়নি উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘কারাগারে থেকেই জননেত্রী যেভাবে দল পরিচালনা করেছেন আর তার প্রতিনিধি হিসেবে শ্রদ্ধাভাজন প্রয়াত নেতা জিল্লুর রহমান যেভাবে দলকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছেন সেই কারণেই আমরা ২০০৮ সালের ১১ জুন বঙ্গবন্ধুকন্যাকে মুক্ত করতে পেরেছিলাম। এবং খালেদা জিয়া গ্রেফতারের পর বিএনপি কোনো আন্দোলন করতে পারেনি, আমাদের আন্দোলনে খালেদা জিয়াও মুক্তি লাভ করেছিলেন।’
এখনকার রাজনীতি নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির রাজনীতি এখন আর মাঠে নেই। রাতের বেলায় বিভিন্ন দূতাবাসে যাওয়া, পার্টি করা, এই হচ্ছে তাদের রাজনীতি। আমি তাদের অনুরোধ জানাবো, রাত-বিরাতে এদিক সেদিক ঘুরে ফিরে, দূতাবাসে ধর্ণা দিয়ে কোনো লাভ হবে না, আপনারা জনগণের কাছে যান। এগুলো ২০১৪ সালেও করেছিলেন, ২০১৮ সালেও করেছিলেন, কোনো লাভ হয় নাই, এবারও কোনো লাভ হবে না।’
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল-আইএমএফ প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন পৃথিবীর ৪১তম উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইএমএফ তালিকায় অর্থনীতিতে পৃথিবীর প্রথম ৫০টি দেশের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়া থেকে মাত্র দু’টি দেশ- ভারত ও বাংলাদেশ। ২০২৫ সালে আমাদের অর্থনীতি আরো উপরের দিকে যাবে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘এইভাবে দেশ যখন এগুচ্ছে, করোনা মহামারির মধ্যে আমাদের মাথাপিছু আয় ভারতকেও ছাড়িয়েছে, তখন বিএনপি এবং কিছু গোষ্ঠী প্রার্থনা করছে বাংলাদেশটা কেনো শ্রীলংকা হচ্ছে না, কারণ তারা প্রয়োজনে নিজের নাক কেটে অন্যের যাত্রা ভঙ্গ করতে চায়।’
স্বপ্ন ফাউন্ডেশনের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং ডিইউজে সহ-সভাপতি মানিক লাল ঘোষ প্রমুখ আমন্ত্রিত হিসেবে সভায় বক্তব্য রাখেন।
সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রয়েছে : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
ঢাকা, ২ শ্রাবণ (১৭ জুলাই):
সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশে ডেঙ্গুর প্রভাব সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।
আজ রাজধানীর কাকরাইলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের হলরুমে ‘Launching of 2020 Global State of the World Volunteerism Report : Strengthening volunteerism towards inclusive, balanced societies and support to SDGs in Bangladesh’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, কয়েক বছর আগেও দেশে ডেঙ্গু আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের শক্ত অবস্থান, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলরের তদারকি, সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টিসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিদের পরিশ্রমের কারণে ডেঙ্গু এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, বিগত দুই/তিন বছরে কিছু মানুষ আক্রান্ত হয়েছে আবার দুর্ভাগ্যজনকভাবে কয়েকজন মারাও গিয়েছে। কিন্তু সার্বিকভাবে বিবেচনা করলে পার্শ্ববর্তী দেশ যেমন সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম ও ফিলিপাইনের তুলনায় আমাদের অবস্থা ভালো ছিল এবং এখনো পর্যন্ত ভালো অবস্থানে রয়েছে।
মোঃ তাজুল ইসলাম জানান, এ বছর ঢাকায় এখন পর্যন্ত জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়নি। জলাবদ্ধতার কারণে নগরবাসীর যে অবর্ণনীয় কষ্ট হতো সেটি কিন্তু এখন আর নেই। কারণ ঢাকা ওয়াসা থেকে সিটি কর্পোরেশন নিকট খালগুলো হস্তান্তর করায় দুই মেয়র জনগণকে সাথে নিয়ে অনেক কাজ করেছেন। অবৈধ ভাবে দখল হওয়া খালগুলো উদ্ধার করে সংস্কার, খনন/পুনঃখনন ও ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করেছেন যার কারণেই আজকের এই সুফল।
প্রধান অতিথি বলেন, ঢাকা শহরসহ সারা দেশে বর্তমানে চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ময়লা আবর্জনা সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মধ্যে নিয়ে আসা। এটা নিয়ে আমরা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি। সরকার বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছে এবং খুব শীঘ্রই ঢাকা, গাজীপুর, চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জসহ সারাদেশে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ ভলান্টিয়ারের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিলে তারা জানান যে, বাংলাদেশে কোনো স্বেচ্ছাসেবক নীতিমালা নেই। সংস্থাটির পক্ষ থেকে একটি জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক নীতিমালা প্রণয়নের অনুরোধ জানালে তিনি পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে আলোচনা করে তাঁর সম্মতি নিয়ে জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক নীতিমালা প্রণয়নের কাজ শুরু করেন। নীতিমালা প্রণয়নে ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করে অনেকগুলো সভা এবং তৃণমূল ও বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে এই নীতিমালার খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে এবং মন্ত্রিপরিষদে এই নীতিমালা প্রণয়নে নীতিগত সিদ্ধান্ত দিয়েছে।
বাংলাদেশে বিদ্যমান স্বেচ্ছাসেবার এই মহৎ কাজকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া ও স্বেচ্ছাসেবা প্রদানকারী ব্যক্তিদেরকে স্বীকৃতি দেয়ার মাধ্যমে অন্যদেরকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবা চর্চার বিষয়টিকে আরো গতিশীল করবে। যা জাতীয় উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে একটি কৌশল হিসেবে ভূমিকা রাখবে বলে জানান মন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমবার ক্ষমতায় এসেই শতবর্ষের দারিদ্র্যের কষাঘাত থেকে দেশকে মুক্তি দিয়ে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছেন। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল এবং কর্ণফুলী টানেলসহ মেগা প্রকল্পসমূহ দেশের অর্থনৈতিক চালচিত্র পাল্টিয়ে দেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করতে হবে যাতে কোনোভাবেই কেউ উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে না পারে।
উপাত্ত নিয়ন্ত্রণের জন্য নয়, সুরক্ষার জন্য আইন করা হচ্ছে : আইনমন্ত্রী
ঢাকা, ২ শ্রাবণ (১৭ জুলাই):
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, উপাত্ত সুরক্ষা আইন উপাত্ত নিয়ন্ত্রণের জন্য করা হচ্ছে না বরং উপাত্ত সুরক্ষার জন্য করা হচ্ছে।
আজ রাজধানীর রেডিসন হোটেলে উপাত্ত সুরক্ষা আইনের খসড়া প্রণয়নের বিষয়ে আয়োজিত পরামর্শ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এ সভার আয়োজন করে।
আইনমন্ত্রী বলেন, উপাত্ত সুরক্ষা আইন যাতে সর্বজনীন হয় এবং বাংলাদেশের জনগণ যাতে এই আইনের মাধ্যমে পরিবর্তিত পৃথিবীকে সঠিকভাবে মোকাবিলা করতে পারে তার উপযোগী করে তোলার জন্য বিভিন্ন পরামর্শ সভা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এই আইন নিয়ে জুলাই-আগস্ট মাসে আরো ২-৩টি পরামর্শ সভা করা হবে এবং এসব পরামর্শ সভার মাধ্যমে উঠে আসা যুক্তিসঙ্গত সুপারিশগুলো গ্রহণ করে সকলের জন্য মঙ্গলজনক এবং সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য আইন করা হবে।
এই আইনের দ্বারা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের সময় বঙ্গবন্ধু মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ব্যাপারে যে সুরক্ষা ও নিশ্চিয়তা দিয়ে গেছেন, সেখানে হাত দেওয়ার ক্ষমতা কারো নেই। বর্তমান সরকার যেহেতু আইনের শাসনে বিশ্বাস করে এবং জাতির পিতার নীতি অনুসরণ করে, সেজন্য আমরা সেখানে হাত দিবোই না, বলেন তিনি।
এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক উপাত্ত সুরক্ষা আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের, প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের এবং রাষ্ট্রের তথ্যের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মোঃ মইনুল কবির, আইসিটি বিভাগের সিনিয়র লেজিসলেটিভ এক্সপার্ট এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব মোঃ শহিদুল হক, আইসিটি এক্সপার্ট তারিক এ বরকতুল্লাহ বক্তৃতা করেন। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সভায় মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন। সভায় মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে বিভিন্ন অংশীজন আইনটির বিভিন্ন ধারা ও উপধারার বিষয়ে মতামত তুলে ধরেন।
এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু
ঢাকা, ২ শ্রাবণ (১৭ জুলাই):
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সরবরাহকৃত ডেঙ্গু রোগীর তালিকা অনুযায়ী রোগীর বাড়ির আঙ্গিনা ও সংলগ্ন এলাকায় বিশেষ চিরুনি অভিযান পরিচালনা, ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা এবং মশক নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা ও তদারকির লক্ষ্যে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
আজ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
পরে মেয়র তাপস ওয়ার্ড কাউন্সিলর, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস এবং ডেঙ্গু রোগীর বাড়ির ছাদ হতে আঙ্গিনা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বিশেষভাবে লার্ভিসাইডিং ও এডাল্টিসাইডিং কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দেন। এছাড়া তিনি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ হতে সংযুক্ত হয়ে সরাসরি ফেসবুক লাইভে নির্দেশিত কার্যক্রম মনিটরিং করেন।
এ সময় শেখ তাপস বলেন, ডেঙ্গু রোগ ও এডিস মশার বিস্তার প্রতিরোধ করার জন্য আজ থেকে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা হলো এবং এই নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমাদের মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম সরাসরি তদারকি করা হবে।
প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ও আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে মশক সুপারভাইজার ও মশক কর্মীরা নিয়োজিত আছেন উল্লেখ করে মেয়র বলেন, প্রত্যেকটি রোগীর ঠিকানা চিহ্নিত করে সেই বাসাবাড়ি এবং স্থাপনার ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত কোথাও যদি পানির উৎস, এডিশ মশার উৎস থাকে সেটা নির্মূল করা হবে। এ সকল এলাকা সকালবেলা লার্ভিসাইডিং করা এবং বিকেলবেলা আবার সেই এলাকাটা যথাযথভাবে ফগিং (এডাল্টিসাইডিং) করে সম্পূর্ণভাবে মশক বিস্তার নির্মূল এবং নিয়ন্ত্রণ করার কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। আগামী দুই মাস এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, আমরা আশাবাদী যে, তাতে ডেঙ্গু প্রতিরোধ এবং এডিস মশার বিস্তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হবো। আমাদের সকল কাউন্সিলর ইতোমধ্যে কাজে নেমে গেছে। সকাল থেকেই আমরা কার্যক্রম শুরু করেছি। আজ আমরা ১৩টি ঠিকানায় বিভিন্ন ওয়ার্ডে ১৩ জন রোগীকে শনাক্ত করতে পেরেছি। এছাড়াও আমাদের নিয়মিত কার্যক্রম আমরা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকেই সরাসরি তদারকি করবো। এছাড়াও ম্যাজিস্ট্রেটরা বিভিন্ন নির্মাণাধীন বাসা, সরকারি আবাসনসহ যে সকল জায়গায় আমরা ব্যত্যয় পাচ্ছি সেসব জায়গায় আমরা ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করছি, জরিমানা করছি এবং সচেতন করার চেষ্টা করছি।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহম্মদ, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন উপস্থিত ছিলেন।
বিআরটিসি’র লাভের ধারা অব্যাহত রাখার আহ্বান সেতুমন্ত্রীর
ঢাকা, ২ শ্রাবণ (১৭ জুলাই) :
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি)’র লাভের ধারা অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মন্ত্রী আজ বিআরটিসি’র প্রধান কার্যালয়ে কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ নির্দেশ দেন।
সভায় উপস্থিত সকল কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, শুধু লাভের ধারা অব্যাহত রাখলেই হবে না, বিআরটিসি’র যাত্রী সেবার মানও উন্নত করতে হবে। বিআরটিসিকে আধুনিক পরিবহনে রূপান্তর করতে হবে। বিআরটিসি’র সকল বাস ও ট্রাকে ভেহিক্যাল ট্রাকিং সিস্টেম চালু করারও নির্দেশ দেন তিনি।
সভায় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, বিআরটিসি’র চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলামসহ বিআরটিসি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়নে সরকার দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ :পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী
ঢাকা, ২ শ্রাবণ (১৭ জুলাই):
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন একটি চলমান প্রক্রিয়া। অনেক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে শান্তি চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। সকল পক্ষকে আস্থায় নিয়ে এই চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা ও পার্বত্যবাসীর জীবনমান উন্নয়নে সরকার দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ।
আজ সচিবালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘সমৃদ্ধির সোপানে বাংলাদেশ এবং পার্বত্য অঞ্চলের আর্থসামাজিক উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগম সভাপতিত্ব করেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও সুযোগ্য নেতৃত্বে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে এই অঞ্চলের দীর্ঘদিনের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান হয় এবং উন্নয়ন অভিযাত্রা শুরু হয়। যার ফলশ্রুতিতে ১৯৯৮ সালের ১৫ জুলাই সৃষ্টি হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। সৃষ্টির পর হতে এই পযর্ন্ত এ মন্ত্রণালয় পার্বত্যবাসীর জীবনমান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
বীর বাহাদুর আরো বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে মাত্র তিন শতাংশ চাষযোগ্য সমতলভূমি রয়েছে। সরকার এখানকার অর্থনীতির বিকাশের লক্ষ্যে দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে সকল মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নকে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়েছে। এই লক্ষ্যে, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসমূহের সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি ও কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের দারিদ্র্য বিমোচন, আর্থসামাজিক উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, সামাজিক নিরাপত্তা, মিশ্র ফলজ বাগান ও মসলা চাষ, উদ্বাস্তু পুনর্বাসন, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, অবকাঠামো উন্নয়ন, সক্ষমতা বৃদ্ধি, খেলাধূলা ও সংস্কৃতি চর্চাসহ আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।
মেরিন একাডেমিতে ভর্তির আবেদনের শেষ সময় ৩১ জুলাই
ঢাকা, ২ শ্রাবণ (১৭ জুলাই) :
বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি চট্টগ্রামসহ সরকারি ও বেসরকারি মেরিটাইম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেরিন ক্যাডেট (নটিক্যাল/ইঞ্জিনিয়ারিং) প্রশিক্ষণ কোর্সে ২০২২-২০২৩ সেশনে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদনপত্র আহ্বান করেছে নৌপরিবহন অধিদপ্তর। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩১ জুলাই ২০২২। নৌপরিবহন অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dos.gov.bd এর মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করা যাবে। আবেদনের নির্দেশিকা বর্ণিত ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে। প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য মোবাইল নম্বর-০১৮১০০০১১৯০। লিখিত পরীক্ষার তারিখ, সময় এবং কেন্দ্র পরবর্তিতে মোবাইলে এসএমএস-এর মাধ্যমে জানানো হবে।
সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি চট্টগ্রাম; বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি পাবনা; বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি বরিশাল; বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি রংপুর; বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি সিলেট ও মেরিন ফিসারিজ একাডেমি, চট্টগ্রাম এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম একাডেমি, ঢাকা; ওয়েস্টার্ন মেরিটাইম একাডেমি, ঢাকা এবং মাস মেরিন একাডেমি, চট্টগ্রাম এর জন্য আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
মেরিন ক্যাডেট (নটিক্যাল/ইঞ্জিনিয়ারিং) প্রশিক্ষণ কোর্সে ২০২২-২০২৩ সেশনে ভর্তির জন্য ৫৯০টি আসন রয়েছে। ২৫টি মহিলা আসনসহ সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য আসন সংখ্যা ৪৩০টি। এর মধ্যে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি চট্টগ্রামের মহিলা আসন ২০টি এবং মেরিন ফিসারিজ একাডেমি, চট্টগ্রামের মহিলা আসন ৫টি। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য আসন ১৬০টি।
আজকের শিশুরাই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করবে : খাদ্যমন্ত্রী
নওগাঁ (নিয়ামতপুর), ২ শ্রাবণ (১৭ জুলাই):
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বাংলাদেশ এখন তলাবিহীন ঝুড়ি নয়, সমৃদ্ধির পথে দ্রুত এগিয়ে চলা একটি দেশের নাম। আজকের শিশু-কিশোররা আগামীদিনের ভবিষ্যৎ কর্ণধার। সুনাগরিক হয়ে তারাই উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়বে ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিবে।
মন্ত্রী আজ নিয়ামতপুর বহুমুখী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২২ এর ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়া এখন আমাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। নতুন প্রজন্মকে মাদকমুক্ত রাখতে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সংস্কৃতির চর্চা বাড়াতে হবে। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করেন। এ প্রচেষ্টা দেশে ফুটবলের নবজাগরণ সৃষ্টি করেছে। এ টুর্নামেন্ট ভালোমানের অনেক ফুটবলার তৈরি করেছে। আমাদের দেশের মেয়েরা আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে সফলতা অর্জন করে দেশের জন্য গৌরব বয়ে এনেছে।
বিএনপির সমালোচনা করে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, তারা পদ্মাসেতু নির্মাণ করতে পারেনি বরং বিরোধিতা করেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শত বাধার পরও জাতির মর্যাদার প্রতীক পদ্মাসেতু তৈরি করেছে। বিএনপি ষড়যন্ত্রকারীদের দল উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারাই ষড়যন্ত্র করে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে।
নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদ আহম্মেদ।
টুর্নামেন্টে বালিকা গ্রুপে কানইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বালক গ্রুপে চাপড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে।
পরে খাদ্যমন্ত্রী বিজয়ীদলের খেলোয়াড়দের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
ম্যারিল্যান্ডে বাংলাদেশ হাউজে ঈদ পরবর্তী সংবর্ধনা অনুষ্ঠান
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে : পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
ওয়াশিংটন ডিসি, ১৭ জুলাই:
মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ইদুল-আজহা উপলক্ষ্যে গত ১৫ জুলাই ম্যারিল্যান্ডে অবস্থিত ‘বাংলাদেশ হাউজে’ এক সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত
মোঃ সহিদুল ইসলাম আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন সার্ভিসের মহাপরিচালক এবং গ্লোবাল ট্যালেন্টের পরিচালক রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া এস বার্নিকাট। এছাড়া, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকবৃন্দ, মার্কিন সরকার ও স্টেট ডিপার্টমেন্টের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং প্রবাসী বাংলাদেশি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চমৎকার সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে আগামী দিনগুলোতে এ সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে যে সহায়তা পেয়েছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ইদুল-আজহা উপলক্ষ্যে সবাইকে শুভেচ্ছা জানান।
ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া বার্নিকাট বাংলাদেশে তাঁর চমৎকার সময়ের কথা স্মরণ করে আশা প্রকাশ করেন দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সবসময় বজায় থাকবে।
রাষ্ট্রদূত সহিদুল ইসলাম সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য অতিথিদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং ইদুল-আজহার তাৎপর্য তুলে ধরেন।