[Valid RSS]
September 27, 2023, 2:56 pm
Treanding
GIZ Bangladesh’s training held on SDG localisation in Khulna ছোটদের সহজ প্রোগ্রামিং শিক্ষায় প্রকাশিত হল বাংলা স্ক্র্যাচ বই Ditching Russian gas no way to reach climate goals : Putin চট্টগ্রামে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে প্রচারনা কর্মসূচি সমাপ্ত Samsung brings month-long smartphone campaign On September 6–7, Vladimir Putin will make working trip to Vladivostok Two Russian embassy workers killed in ‘suicide bombing’ Shocked & devastated by the horrific attacks : Justin Trudeau  SSC, equivalent exams begin Sept 15: Dipu Moni Ten killed in Canadian stabbing spree Russia wants UN to pressure US : media Daraz Bangladesh Anniversary Campaign – Now LIVE! realme offers upto BDT 3400 off on occasion of Daraz’s 8th anniversary General Pharmaceuticals employees will receive insurance from MetLife চট্টগ্রামের কলেজিয়েট স্কুলে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে প্রচারনা কর্মসূচি শুরু Bangladesh a secular country, immediate action is taken whenever minorities are attacked: PM  Two more mortar shells from Myanmar land in Bangladesh OPPO launches killer device A57 in 15-20K price range ShareTrip and Grameenphone join hands to offer exciting travel privileges ড্যাপ ২০২২-২০৩৫ এর পরিপূর্ণ বাস্তবায়নের দাবী বিআইপির

১৮ আগস্ট এক নজরে বাংলাদেশ

Bangladesh Beyond
  • Updated on Thursday, August 18, 2022
  • 148 Impressed

১৮ আগস্ট এক নজরে বাংলাদেশ

 

শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের জন্য বঙ্গবন্ধুর মতো এমন দরদী নেতা বিশ্বে বিরল : শ্রম প্রতিমন্ত্রী

 

খুলনা, ৩ ভাদ্র (১৮ আগস্ট) : 

 

শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন সংগ্রাম করেছেন শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের জন্য। জীবনের প্রতিটিক্ষণ ত্যাগ স্বীকার করে এদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের জন্য বঙ্গবন্ধুর মতো বিশাল হৃদয়ের অধিকারী এমন দরদী, মহানুভব নেতা বিশ্বে বিরল।

 

প্রতিমন্ত্রী আজ খুলনা মহানগর শহীদ হাদিস পার্কের পাশে শঙ্খ মার্কেট চত্বরে মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতীয় শ্রমিক লীগ খুলনা মহানগর শাখার অয়োজনে জাতীয় শোক দিবস এবং জাতির পিতার ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শোকসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক।

 

শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল এদেশের গরিব অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। তাই তিনি স্বাধীনতা অর্জনের পরপরই অর্থনৈতিক মুক্তির কর্মসূচি শুরু করেন। খুনিরা জাতির পিতার সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে দেয়নি। জাতির পিতার সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশে মেগা প্রকল্পগুলো গ্রহণ করেছেন। দেশের মানুষ এ মেগা প্রকল্পগুলোর সুফল পেতে শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের আগেই আমরা উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ পাবো। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।

 

খুলনা মহানগর জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি মোঃ মোতাহার হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, বিভাগীয় শ্রম দপ্তর খুলনার পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান, শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রনজিত কুমার ঘোষসহ খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ এবং শ্রমিক লীগের নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন। শোকসভা শেষে ১৫ আগস্টে শাহাদতবরণকারী জাতির পিতা এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

 

 পরে প্রতিমন্ত্রী খালিশপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সানাউল্লা নান্নুর সভাপতিত্বে দৌলতপুর থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশাল শোক সভায় যোগদান করেন।

 

বঙ্গবন্ধু যেমন গণমাধ্যমকে ভালোবেসেছেন, গণমাধ্যমও ভালোবেসেছে : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

ঢাকা, ৩ ভাদ্র (১৮ আগস্ট) : 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু যেমন গণমাধ্যমকে ভালোবেসেছেন, গণমাধ্যমও তেমনি বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসেছে। বঙ্গবন্ধু প্রচণ্ড গণমাধ্যমবান্ধব ছিলেন এবং তার দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনে গণমাধ্যমের ভূমিকা অনেক।

আজ রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) প্রাঙ্গণে দীপ্ত টিভি এবং বিএফডিসি আয়োজিত চারদিনব্যাপী ‘গণমাধ্যম ও বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক দুর্লভ আলোকচিত্র ও ‘১৫ আগস্টে দুই বাড়ি’ তথ্যচিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।

ড. হাছান বলেন, অনেকে পঁচাত্তর সালে চারটি সংবাদপত্র রেখে বাকিগুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে কথা বলেন, কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত ছিল সাময়িক এবং অনেকে হয়তো জানেন না, কোনো পত্রিকার কোনো সাংবাদিক তখন বেকার হননি। তথ্য দফতরের মাধ্যমে প্রত্যেককে সরকারি বিভিন্ন বিভাগে চাকুরি দেয়া হয়েছিল।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর মতো বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও অত্যন্ত গণমাধ্যমবান্ধব। তাঁর নেতৃত্বে দেশে গণমাধ্যমের অভূতপূর্ব বিকাশ ঘটেছে। তাঁর হাত ধরেই দেশে বেসরকারি টিভির যাত্রা শুরু। এরপর ২০০৯ সালে আবার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার সময় ১০টি টিভি ছিল। এখন ৪৫টি। ৩৮টি সম্প্রচারে আছে, শীঘ্রই আরো সম্প্রচারে আসছে। বেসরকারি এফএম, কমিউনিটি বেতারও বঙ্গবন্ধুকন্যার হাত ধরেই এসেছে, দেশে দৈনিক পত্রিকা ১২শ’র বেশি। 

অনেক উন্নয়নশীল এমনকি অনেক উন্নত দেশের চেয়েও বাংলাদেশে গণমাধ্যম অনেক বেশি স্বাধীনতা ভোগ করে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পাশাপাশি গণমাধ্যমের দায়িত্বশীলতা অতীব প্রয়োজন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পটভূমি তৈরিতে যেমন অপসাংবাদিকতা ভূমিকা রেখেছে, বাসন্তীকে জাল পরানো ছবি ছেপে এবং এমন অনেক মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হয়েছে, তেমনি এখনো কিছু কিছু গণমাধ্যমে তেমন চর্চা দেখা যাচ্ছে। 

বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি, জ্বালানি সংকটের কথা এড়িয়ে গিয়ে শুধু দেশের দ্রব্যমূল্য নিয়ে সংবাদ দিলে তা ঠিক সাংবাদিকতা হয় না, বলেন ড. হাছান মাহ্‌মুদ। তিনি বলেন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডে হাতে গোনা কয়েকটি টিভি আর পত্রিকা, মালয়েশিয়ায় সকল টিভির ফিড একটি ট্রান্সমিশন কেন্দ্রের মাধ্যমে যায়, কোনো বিতর্কিত বিষয় থাকলে ফিল্টার করা হয়, আমাদের দেশে তা হয় না। অসত্য সংবাদ পরিবেশনের জন্য বিবিসি’র একটি সেকশনের পরিচালকসহ সবাইকে পদত্যাগ করতে হয়েছে, অসত্য সংবাদ পরিবেশনের ফলে মামলায় কয়েক বিলিয়ন ডলার জরিমানা না দিতে পেরে ১৩০ বছরের পুরনো ব্রিটিশ পত্রিকা নিউজ অভ দ্য ওয়ার্ল্ড দেউলিয়া হয়ে বন্ধ হয়ে গেছে। ইউরোপ-আমেরিকায় ভুল বা অসত্য সংবাদ পরিবেশন করলে বিশাল অংকের জরিমানা হয়, আমাদের দেশে হয় না। আমাদের দেশে গণমাধ্যম অনেক বেশি স্বাধীন।

মন্ত্রী আমন্ত্রিতদের সাথে নিয়ে প্রদর্শনীটি ঘুরে দেখেন এবং এর বড় ক্যানভাস ও দুর্লভ চিত্রের সমাবেশের প্রশংসা করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মোঃ মকবুল হোসেন, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর নজরুল ইসলাম খান, এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিন, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন, দীপ্ত টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী জাহেদুল হাসান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফুয়াদ চৌধুরী।

‍‍‍‍‍

রাষ্ট্রপতির সাথে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

 

ঢাকা, ৩ ভাদ্র (১৮ আগস্ট):

 

শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের একটি প্রতিনিধিদল আজ বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের সাথে সাক্ষাৎ করে। সাক্ষাৎকালে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান এবং সংসদ সদস্য ড. বীরেন শিকদার, মনোরঞ্জন শীল গোপাল ও পংকজ দেবনাথ উপস্থিত ছিলেন।

 

এ সময় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেন, ধর্মীয় সম্প্রীতি বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তিনি বলেন, সকল ধর্মের মূল বাণী হচ্ছে মানুষের কল্যাণ। আদিকাল থেকেই এ দেশে প্রতিটি ধর্মীয় উৎসব সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশে উদ্‌যাপিত হয়ে আসছে। ধর্মীয় বা জাতিগত ভেদাভেদের অজুহাত তুলে কেউ যাতে আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এ পরিবেশ ক্ষুণ্ন করতে না পারে, সে ব্যাপারে সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।

 

রাষ্ট্রপতি বলেন, করোনা মহামারি ও বিশ্বব্যাপী বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা সহজ করতে সরকার বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা প্রদানের পাশাপাশি বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। সমাজের দরিদ্র জনগোষ্ঠী যাতে জন্মাষ্টমীর উৎসবে শামিল হতে পারে, সেজন্য রাষ্ট্রপতি সকলের প্রতি সহযোগিতা ও সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান।

 

রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন এবং সচিব সংযুক্ত  মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

 

দেশে সবধরনের সারের মজুত পর্যাপ্ত

 

ঢাকা, ৩ ভাদ্র (১৮ আগস্ট) : 

 

          চাহিদার বিপরীতে দেশে সব রকমের সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। বর্তমানে দেশে ৬ লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার, ৩ লাখ ৯৪ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি, ৭ লাখ ৩৬ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি এবং ২ লাখ ৭৩ হাজার মেট্রিক টন এমওপি মজুত আছে। 

 

          বিগত বছরের একই সময়ের তুলনায় সারের বর্তমান মজুত বেশি। বিগত বছরে এই সময়ে ইউরিয়া সারের মজুত ছিল ৬ লাখ ১৭ হাজার মেট্রিক টন, টিএসপি ২ লাখ ২৭ হাজার টন, ডিএপি ৫ লাখ ১৭ হাজার টন। সারের বর্তমান মজুতের বিপরীতে আগস্ট মাসে সারের চাহিদা হলো ইউরিয়া ২ লাখ ৫১ হাজার টন, টিএসপি ৪৭ হাজার টন, ডিএপি ৮১ হাজার টন ও এমওপি ৫২ হাজার টন।

         

          কৃত্রিমভাবে যাতে কেউ সারের সংকট তৈরি করতে না পারে এবং দাম বেশি নিতে না পারে সে বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয় ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা নিবিড় তদারকি করছে। কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারীদেরকে শাস্তির আওতায় আনার কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

 

          এদিকে বগুড়া জেলাতেও সব রকমের সারের মজুত প্রয়োজনের চেয়ে বেশি রয়েছে। আজ পর্যন্ত বগুড়ায় ১৬৭৩ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার, ৬৮৯ মেট্রিক টন টিএসপি, ১৪০০ মেট্রিক টন ডিএপি এবং ৪৪৪ মেট্রিক টন এমওপি মজুত রয়েছে। 

 

ফিলিস্তিন, মিয়ানমারে নজর দিন, অগ্নিসন্ত্রাসের শিকারদের কথা শুনুন : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

 

ঢাকা, ৩ ভাদ্র (১৮ আগস্ট) : 

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের উচিত ফিলিস্তিন, মিয়ানমারের দিকে নজর দেওয়া এবং ভালো হতো যদি তাদের হাইকমিশনার এদেশে ২০১৩-১৪-১৫ সালে অগ্নিসন্ত্রাসে হতাহতদের পরিবারের কথা শুনতেন। 

 

আজ ঢাকায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।

 

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনে শিশুরা ইসরায়েলি সৈন্যের দিকে ঢিল ছুঁড়লে প্রত্যুত্তরে বৃষ্টির মতো গুলি ছুঁড়ে তাদের হত্যা করা হয়। আর রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করে বাংলাদেশকে বাহবা দিলেই হবে না, মিয়ানমারে গিয়ে সেখানে  তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেয়া নিশ্চিত করতে হবে। মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন ঘটা এসব দেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের নজর দেওয়া উচিত।

 

ড. হাছান বলেন, ‘বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী জিয়া ও তার দল।  জিয়াউর রহমান ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করেছিল, খুনিদের পুনর্বাসিত করেছিল। শুধু তাই নয়, ক্ষমতা নিষ্কণ্টক করতে হাজার হাজার সেনাসদস্যকে বিনা বিচারে হত্যা করেছিল। আর ২০১৩-১৪-১৫ সালে তার তৈরি  করে রেখে যাওয়া দল বিএনপি ও তাদের দোসর জামাতের হরতাল-অবরোধের নামে শত নিরীহ মানুষকে পেট্রোল বোমায় পুড়িয়ে মারা হয়েছে।’

 

জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশেলেট তার সদ্যসমাপ্ত বাংলাদেশ সফরকালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে যে কথা বলেছেন, ‘সে প্রেক্ষিতে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রত্যেক নাগরিকের ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য এই আইন। আমাদের এ আইন নিয়ে যারা প্রশ্ন তোলেন, তাদের বলবো অস্ট্রেলিয়া, সিংগাপুরে এ আইনের দিকে তাকাতে। সেখানকার আইনে আমাদের  চেয়েও কঠিন ধারা আছে। আমাদের যে ধারাগুলো নিয়ে কথা হয়, ভারত ও পাকিস্তানেও একইরকম ধারা আছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে ফ্রেমওয়ার্ক ল’ করা হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য। সেটির আলোকে সদস্য রাষ্ট্রগুলো তাদের আইন করেছে। কই, সেগুলো নিয়ে তো কোনো কথা বলেন না।’ 

 

‘অনেক সময় আইন না পড়ে, না বুঝেও নানা ধরনের কথা বলা হয়’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন,  ‘হ্যাঁ, এই আইনের যাতে কোনো অপপ্রয়োগ না হয়, সে জন্য আমরা সতর্ক আছি, কেউ যাতে নিগৃহীত না হয় সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।’

 

হাছান মাহ্‌মুদ এ সময় গভীর শ্রদ্ধা ও শোকে জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের শহিদদের স্মরণ করেন এবং বলেন, ‘যারা বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্য কুশীলব ও যারা এর পটভূমি রচনা করেছে, বাসন্তীকে জাল পরিয়ে জনগণকে উত্তেজিত করেছে, তাদের বিচার ও মুখোশ উন্মোচনের জন্য কমিশন গঠনের দাবির সাথে আমি একাত্ম।’

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নে কৃষিবিদ ও কৃষির সকল ক্ষেত্রে কর্মরতদের অনেক অবদান রয়েছে উল্লেখ করে একটি নিবেদন হিসেবে পরিবেশ গবেষক ড. হাছান বলেন, বাংলাদেশের আয়তনের চারভাগের একভাগ নেদারল্যান্ডসের কৃষিখাতে বার্ষিক রপ্তানি আয় ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা প্রায় আমাদের মোট রপ্তানির সমান। আশা করি, আমাদের কৃষিবিদরা কৃষিজমি রক্ষাসহ বহুমুখী কার্যক্রমে দেশের কৃষিখাতকে তৈরি পোশাক খাতের মতো অন্যতম প্রধান রপ্তানি আয়ের উৎসে পরিণত করতে সচেষ্ট থাকবেন। 

 

অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, জিয়াউর রহমান কমিশন্ড অফিসার হিসেবে জীবনের বিনিময়ে হলেও রাষ্ট্রপতি, রাষ্ট্র ও সংবিধান রক্ষার শপথ নিয়ে তা ভঙ্গ করে বঙ্গবন্ধু হত্যায় কুশীলবের ভূমিকা নিয়েছেন, সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন, সংসদে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ পাশ করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করেছেন। তিনি এসময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিদ্রুপাত্মক সমালোচনার কঠোর জবাব দেওয়ার আহ্বান জানান।

 

বিশেষ অতিথি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, যারা জাতির পিতার হত্যাকারীদের রক্ষা করেছিল ও সরকারি চাকরি দিয়েছিল তারা এখনও বাংলাদেশের রাজনীতিতে রয়েছে। তারা বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান চায় এবং বঙ্গবন্ধুকন্যাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চায়। এরাই দেশে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছিল এবং এখনো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

 

শেকৃবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কৃষিবিদ অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদের সভাপতিত্বে সভায় আলোচনা করেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কৃষিবিদ অধ্যাপক ড. মোঃ শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া, শেকৃবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব এবং যুব ও ক্রীড়া সচিব কৃষিবিদ মেজবাহ উদ্দিন, বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষিবিদ ড. মোঃ সাঈদুর রহমান সেলিম প্রমুখ।

‍‍‍‍‍

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সাথে জড়িত মুনাফাখোরদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে : শিল্প প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ২ ভাদ্র (১৭ আগস্ট):

 

শিল্প প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ কামাল আহমেদ মজুমদার বলেছেন, বৈশ্বিক মহামারি চলাকালে জনগণের অসহায়ত্বের সুযোগে যেসব মুনাফাখোর কালোবাজারী বিভিন্ন অজুহাতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সাথে জড়িত রয়েছে সবাই মিলে তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

আজ রাজধানীর মিরপুর-১০ এলাকায় আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ‘জাতীয় শোক দিবস-২০২২’ উপলক্ষ্যে গরিব ও অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী এ সময় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ এবং জাতীয় চার নেতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী সকল শহিদদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন এবং তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে। সমগ্র বিশ্ব কোভিড-১৯ মহামারিতে বিপর্যস্ত হলেও প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ অত্যন্ত সফলভাবে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যার গতিশীল নেতৃত্বেই সকল বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে বাঙালি জাতি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে এবং ২০৪১ সালের মধ্যেই গড়ে তুলবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা।

প্রতিমন্ত্রী এ সময় তিন শতাধিক গরিব ও অসহায় পরিবারের মাঝে নিজের পক্ষ থেকে ১০ কেজি চাউলসহ খাদ্যসামগ্রীর একটি করে প্যাকেট বিতরণ করেন এবং বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যবৃন্দসহ সকল শহিদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন।

৯৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এবং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলহাজ মোঃ ম‌ইজ‌উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার উদ্দেশ্য ছিলো বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে হত্যা করা : মোস্তাফা জব্বার

 

ঢাকা, ৩ ভাদ্র (১৮ আগস্ট) : 

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার উদ্দেশ্য ছিলো বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে হত্যা করা, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে হত্যা করা। বঙ্গবন্ধু যুদ্ধের ধ্বংসস্তুপের ওপর দাঁড়িয়ে তিন বছর সাত মাসে যে কাজ করেছেন তার দৃষ্টান্ত বিরল। যোগাযোগ, কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ এমন কোন খাত নেই যে খাতের অগ্রগতির অভিযাত্রা বঙ্গবন্ধু শুরু করেননি। বঙ্গবন্ধুর শাসনামল বাহাত্তর থেকে পঁচাত্তর ছিল অত্যন্ত ঘটনাবহুল। তিনি এই সময়ের মধ্যেই জাতিকে এগিয়ে নেওয়ার সোপান রচনা করেন।

মন্ত্রী গতকাল জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমিতি, ঢাকা আয়োজিত আলোচনা সভায় ডিজিটাল প্লাটফর্মে সংযুক্ত থেকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দূরদৃষ্টি ও দৃঢ়তা এবং সম্মোহনী ক্ষমতা ও তাঁর ব্যক্তিত্ব রাজনীতির ইতিহাসে বিরল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার লড়াই করেছেন, কিন্তু পাকিস্তান সৃষ্টি হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই নিশ্চিত হন এই পাকিস্তান বাঙালির জন্য নয়। তিনি সকলকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘ভুলে যাবেন না একাত্তরের শত্রুরা যুদ্ধে পরাজিত হয়েছিল কিন্তু ধ্বংস হয়ে যায়নি’।

মন্ত্রী বলেন, আমরা বৈশ্বিক মন্দার মধ্যেও তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগে শ্রীলংকা অংশের ক্যাবল সংযোগ কিনে নিয়েছি। আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়ামের কাছে আমরা আমাদের নিজেদের অংশসহ শ্রীলংকার অংশের টাকা সাবমেরিন ক্যাবলের নিজস্ব অর্থ থেকে পরিশোধ করছি।  

মন্ত্রী ১৫ আগস্টের মর্মান্তিক ঘটনার বিবরণ তুলে ধরে বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার কারণ বাংলাদেশ রাষ্ট্রের নেতৃত্ব শূন্য করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনকালে ১৮ বছরে বাংলাদেশ বিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

 

ঢাকা-গুয়াংজু রুটে বিমানের যাত্রীবাহী ফ্লাইট চালু

ঢাকা, ৩ ভাদ্র (১৮ আগস্ট) : 

ঢাকা-গুয়াংজু-ঢাকা রুটে চালু হয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী ফ্লাইট ।

আজ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বহির্গমন টার্মিনালে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী প্রধান অতিথি হিসেবে এ ফ্লাইটের উদ্বোধন করেন।

ফ্লাইট উদ্বোধনকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিমান একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে বিমানের আর্থিক অবস্থা ভালো। সামনে আরো ভালো অবস্থানে যাবে বলে আশা করছি। বিমানের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত আন্তরিক।

মাহবুব আলী আরো বলেন, ঢাকা-গুয়াংজু-ঢাকা রুটে ফ্লাইট চালুর ফলে বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের চীনে যাতায়াতের সমস্যা দূর হবে। বর্তমানে ফ্লাইটের ফ্রিকোয়েন্সি কম থাকলেও অদূর ভবিষ্যতে এই ফ্রিকোয়েন্সি আরো বৃদ্ধি পাবে। দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা ও যোগাযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি এই রুট বিমানের অন্যতম লাভজনক রুটে পরিণত হবে।

উল্লেখ্য, আজ স্থানীয় সময় সকাল ১১:০০ টায় ১৭৭ জন যাত্রী নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে ফ্লাইট বিজি-৩৬৬ স্থানীয় সময় বিকাল ৪:৪৫ টায় চীনের গুয়াংজু বাইয়ুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। ফিরতি ফ্লাইট বিজি-৩৬৭ ঐদিনই গুয়াংজু বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭:৪৫ টায় উড্ডয়ন করে ঢাকায় পৌঁছাবে আনুমানিক রাত ৯:৩০ টায়। 

যাত্রীগণ বিমানের বিক্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি বিমানের ওয়েবসাইট www.biman-airlines.com ও বিমান অনুমোদিত ট্রাভেল এজেন্সি থেকেও টিকেট ক্রয় করতে পারবেন।   

 

বাংলাদেশ ডিজিটাল সংযুক্তির হাইওয়ে দিয়েই এগিয়ে যাবে : টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

ঢাকা, ৩ ভাদ্র (১৮ আগস্ট) : 

 

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলাদেশ ডিজিটাল সংযুক্তির হাইওয়ে দিয়েই এগিয়ে যাবে। দেশে টেলিযোগাযোগখাতে মানসম্মত গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে অপারেটরদের মধ্যে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার পরিবেশ থাকা অপরিহার্য। টেলিযোগাযোগখাতে সেবার গুণগত মান নিশ্চিত করা এবং বাজারে সুস্থ প্রতিযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টির উদ্দেশ্য নিয়েই বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রন কমিশন (বিটিআরসি) বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

মন্ত্রী গতকাল ঢাকায় এক হোটেলে রবি আয়োজিত ডাটাথনের দ্বিতীয় সংস্করণের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, তেল ও স্বর্ণের চেয়েও অনেক বেশি মূল্যবান হয়ে উঠেছে ডাটা। এজন্য প্রয়োজন দক্ষ ডাটা সায়েন্টিস্ট ও ডাটা ইঞ্জিনিয়ার, যারা  ডাটার এই মূল্যায়ন কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছে দিতে পারবেন। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে ‘টেলিকম নেতৃত্ব দেবে’ উল্লেখ করে টেকসই ডিজিটাল প্রযুক্তির মহাসড়ক তৈরিতে টেলকোদের প্রতি আহ্বান জানান মোস্তাফা জব্বার। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ছাড়া ভবিষ্যতে কোনো বাণিজ্যিক বা শিল্প প্রতিষ্ঠান চলবে না সতর্ক করে মন্ত্রী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এ বিষয়টি অন্তর্ভূক্তির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ হয়েছে আমেরিকায়। তৃতীয় শিল্পযুগ মিস করার পর বাংলাদেশ আকস্মিকভাবে প্রবেশ করেছে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে ডিজিটাল রূপান্তরের পথ ধরে ২০৪১ সালে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ করবো। তিনি আরো বলেন, ২০২১ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছেন, যা জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি সুখীসমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গিকার বলে তিনি উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাসিম এবং রবি’র ভারপ্রাপ্ত সিইও রিয়াজ রশীদ বক্তৃতা করেন।

 

জ্বালানি সমস্যা কাটিয়ে উঠার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টার আশাবাদ

 

ওয়াশিংটন ডিসি, ১৮ আগস্ট : 

প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বীরবিক্রম, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট দেশে চলমান বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সমস্যা সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় কাটিয়ে উঠার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

গতকাল ওয়াশিংটন ডিসিতে হাডসন ইনস্টিটিউট আয়োজিত “Energy security and development challenges for developing countries: Bangladesh case” শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ শহিদুল ইসলামসহ দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। হাডসন ইনস্টিটিউটের ইনিশিয়েটিভ অন দ্য ফিউচার অব ইন্ডিয়া অ্যান্ড সাউথ এশিয়ার ডিরেক্টর ড. অপর্ণা পান্ডে গোলটেবিল বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন।

ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সমস্যা শুধুমাত্র বাংলাদেশের একার নয়, এটি এখন একটি বৈশ্বিক সমস্যা। গণমাধ্যমসহ দল-মত নির্বিশেষে আমরা সবাই মিলে প্রচেষ্টা চালালে এই সমস্যার সমাধান করা যাবে।

তিনি বলেন, জ্বালানির ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধি এবং সরবরাহের ঘাটতির কারণে বিশ্বে যে আঘাত এসেছে তা বাংলাদেশেও পড়েছে। এই প্রেক্ষাপটে বৈশ্বিক এ সংকটের সমাধান খুঁজতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে তাদের আরো সোচ্চার ভুমিকা রাখা দরকার।

জ্বালানি উপদেষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বে গত ১৩ বছরে বাংলাদেশে জ্বালানি খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছেছে এবং কৃষি ও শিল্প খাতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ব্যাপক অবদানের কারণে দেশের অর্থনীতি দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।

ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী উল্লেখ করেন যে, জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাতে সরকার সৌরবিদ্যুতের মতো নবায়নযোগ্য শক্তির উৎপাদন বাড়াতে পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করেছে, এবং বাংলাদেশ জলবিদ্যুৎ ব্যবহারে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে এক সাথে কাজ করে যাচ্ছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর, হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটি, ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল, ন্যাশনাল ব্যুরো অফ এশিয়ান রিসোর্সেস, ইউএস ইনস্টিটিউট অফ পিস এবং আটলান্টিক কাউন্সিলের প্রতিনিধিরা ঘণ্টাব্যাপী গোলটেবিলে অংশগ্রহণ করেন।

 

Read us@googlenews

 

Social

More News
© Copyright: 2020-2022

Bangladesh Beyond is an online version of Fortnightly Apon Bichitra 

(Reg no: DA 1825)

Developed By Bangladesh Beyond