বাংলার মানুষের একের পর এক স্বপ্নপূরণ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা : সমাজকল্যাণমন্ত্রী
ঢাকা, ৬ শ্রাবণ (২১ জুলাই) :
সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে বাংলার মানুষের একের পর এক স্বপ্নপূরণ করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সারাদেশে ২৬ হাজার ২২৯টি ভূমিহীন, গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ গৃহ প্রদান করেন। এর অংশ হিসেবে লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার ১৪ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন উপকারভোগীদের মাঝে ঘর ও জমির দলিল হস্তান্তর উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতেন বাংলাদেশ একটি সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এক সময়ের অচেনা বাংলাদেশ আজ বিশ্বের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আঃ মান্নান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজু ও প্রেসক্লাব সভাপতি আমিরুল ইসলাম হেলাল উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের সাথে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অভ্ প্রফেশনালস উপাচার্য এর সাক্ষাৎ
বঙ্গভবন, ৬ শ্রাবণ (২১ জুলাই) :
আজ বঙ্গভবনে সাক্ষাৎকালে বিইউপি উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও অবকাঠামো উন্নয়নসহ সার্বিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
করোনা বিশ্বব্যাপী মানুষকে জীবনজীবিকা নির্বাহে নতুনভাবে ভাবাচ্ছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, এ ধরনের পরিস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে নতুন নতুন প্রযুক্তি ও পদ্ধতি ব্যবহারে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।
বিশ্বায়নের এ যুগে বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখতে যুগোপযোগী কারিকুলাম প্রণয়নসহ গবেষণা কার্যক্রম বাড়ানোর ওপর জোর দেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন এবং সচিব সংযুক্ত মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা মেডিকেল কলেজের ১ম বর্ষের ওরিয়েন্টেশন ক্লাস ১ আগস্ট
ঢাকা, ৬ শ্রাবণ (২১ জুলাই) :
খুলনা মেডিকেল কলেজে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তিকৃত নবাগত শিক্ষার্থীদের ১ম বর্ষের পরিচিতিমূলক ক্লাস আগামী ১ আগস্ট সোমবার সকাল ১০টায় কলেজের এস এম সুলতান অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে এবং একই দিন থেকে ক্লাস রুটিন মোতাবেক নিয়মিত ক্লাস শুরু হবে।
কলেজের সকল শিক্ষককে এবং নবাগত সকল শিক্ষার্থীকে তাদের একজন অভিভাবকসহ যথাসময়ে উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
খুলনা মেডিকেল কলেজের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিএনপিকে না ভূতে পেয়ে বসেছে : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ৬ শ্রাবণ (২১ জুলাই) :
বিভিন্ন নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশন আহূত সংলাপে অংশ না নেয়ায় ‘বিএনপিকে না ভূতে পেয়ে বসেছে’ মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ ।
আজ রাজধানীতে নিকুঞ্জ খেলার মাঠে আয়োজিত খিলক্ষেত থানা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন বিএনপিকে সংলাপে ডেকেছিল, বিএনপি সংলাপে যায়নি। বিএনপির সবকিছুতে না। সংসদ নির্বাচনে না, পৌরসভা নির্বাচনে না, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে না, সংলাপে না, সবকিছুতে না। আসলে তাদেরকে না ভূতে পেয়ে বসেছে। নানা ধরনের ভূত আছে, বিএনপিকে পেয়ে বসেছে না ভূতে, যে কারণে তাদের সবকিছুতে না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আসলে বিএনপি নির্বাচনকে ভয় পায়। কারণ গত দুই নির্বাচনে ২০১৮ সালের নির্বাচনে তারা বাম-ডান, অতিবাম-অতিডান সব দলের ঐক্য করে বিএনপি ঝুলিতে মাত্র পাঁচটি সংসদীয় আসন পেয়েছে। সে কারণে তারা এখন আর নির্বাচনে যেতে চায় না। আরেকটি কারণ হচ্ছে, নির্বাচনে গেলে খালেদা জিয়াও নির্বাচন করতে পারবে না, তারেক রহমানও নির্বাচন করতে পারবে না। এজন্য খালেদা জিয়াও নির্বাচন চায় না, তারেক রহমানও নির্বাচন চায় না। সেজন্য তারা নির্বাচন চায় না, সংলাপেও যেতে চায় না।’
তবে ২০১৪, ২০১৮ সালে নির্বাচনের ট্রেন কারো জন্য অপেক্ষা করে নাই, ট্রেনের পাদানিতে চড়ে বিএনপি নির্বাচনের ট্রেনে উঠেছিল। এবারও নির্বাচনের ট্রেন কারো জন্য অপেক্ষা করবে না, হুঁশিয়ারি দেন মন্ত্রী।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন ও বিএনপির প্রতিক্রিয়ার কথা উল্লেখ করে হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘পদ্মা সেতু হওয়ায় বিএনপি এখন সরষে ফুল দেখছে, যখন মেট্রোরেল চালু হবে তখন তো বিএনপি পাগল হয়ে যাবে। আর এ বছরের মধ্যেই দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম কর্ণফুলি টানেল উদ্বোধন হবে। তখন বিএনপির ঘুম হারাম হয়ে যাবে।’
‘টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত সমগ্র বাংলাদেশ গত দুই বছরে ঘুরেছি এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে যে উদ্দীপনা, যে উচ্ছ্বাস বিরাজমান দেখেছি, আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি আগামী নির্বাচনে ইনশাআল্লাহ ধস নামানো বিজয় হবে, কেউ ঠেকাতে পারবে না, সে কারণে বিএনপির মাথা খারাপ হয়ে গেছে’ বলেন মন্ত্রী। নেতাকর্মীদের অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা নেতৃত্বের পতাকায় ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। আর যারা দুঃসময়ে দলের সাথে ছিল এবং দুঃসময়ে থাকবে, সেই পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের হাতেই দলের পতাকা থাকবে।
খিলক্ষেত থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি কেরামত আলী দেওয়ানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ মোঃ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, সংসদ সদস্য হাবিব হাছানসহ উত্তর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সম্মেলনে বক্তৃতা দেন।
আরো এক হাজার মুজিবকিল্লা ও এক হাজার ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করবে সরকার
— ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৬ শ্রাবণ (২১ জুলাই) :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ এনামুর রহমান বলেছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বন্যার প্রকোপ এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিস্থিতির উন্নতি এবং জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে সরকার নদীর তলদেশ খননের মাধ্যমে গভীরতা বৃদ্ধিতে ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এছাড়া আরো এক হাজার মুজিবকিল্লা ও এক হাজার বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করবে সরকার।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় ‘উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আকস্মিক বন্যা : শিক্ষণীয়, করণীয় ও পুনর্বাসন’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক এবং দৈনিক কালের কণ্ঠ যৌথভাবে এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে। লেখক-সাংবাদিক ইমদাদুল হক মিলন অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ১২২ বছরের ইতিহাসে এত ভয়াবহ বন্যা দেখা যায়নি। সিলেট ও সুনামগঞ্জের প্রায় ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ জায়গা পানির নিচে ছিল। এবারের বন্যা মোকাবিলায় উদ্ধার কাজের জন্য আমাদের ৬০টি নৌকা প্রস্তুত ছিল। বন্যার পরে আরো চারশটি নৌকা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বন্যায় আশ্রয়ের জন্য ৫৫০ মুজিবকিল্লার প্রকল্প ছাড়াও আরো ১ হাজার মুজিবকিল্লা ও ১ হাজার বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র বানানো হবে। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ ‘ডেল্টা প্ল্যান ২১০০’ যদি বাস্তবায়ন করা যায় তাহলে ৪০টি বন্যাপ্রবণ জেলায় বন্যার এমন ভয়াবহতা আর দেখা যাবে না।
অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবি তাজুল ইসলাম, ব্র্যাকের দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির পরিচালক সাজেদুল হাসান, বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, স্থানীয় সরকার ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিবৃন্দ।
বন্যার ক্ষয়-ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পাশে থাকবে এডিবি
ঢাকা, ৬ শ্রাবণ (২১ জুলাই) :
সম্প্রতি সিলেটসহ সারা দেশে বন্যায় ক্ষয়-ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে এবং এসব এলাকার উন্নয়নে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানে বাংলাদেশের পাশে থাকবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবি।
আজ স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলামের সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন জিনটিং সাক্ষাৎ করতে এসে মন্ত্রীকে একথা জানান।
সাক্ষাৎকালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সিলেট অঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট এবং পানি ও স্যানিটেশনের সমস্যাসহ অন্যান্য বিষয় তুলে ধরেন এবং এসব ক্ষতি দ্রুত কাটিয়ে উঠার জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে জানান। তিনি বলেন, গ্রামীণ অবকাঠামো, পানি সম্পদ, কৃষি, শিক্ষা, পরিবহন, জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতে এডিবি সহায়তা দিয়ে আসছে। বাংলাদেশের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তা পুনরুদ্ধারে এডিবি শুরু থেকেই বাংলাদেশের পাশে আছে। এসময় বাংলাদেশের পাশে থাকায় এডিবিকে ধন্যবাদ জানিয়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও সংস্থাটিকে পাশে থাকার জন্য আহ্বান জানান মন্ত্রী।
সাক্ষাৎকালে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন জিনটিং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সরকারের পাশাপাশি এডিবি’র পক্ষ থেকে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে এডিবি সবসময় পাশে ছিলো এবং যে কোনো ক্রান্তিলগ্নে পাশে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে এডিমন জিনটিং বলেন বাংলাদেশ উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বিশ্বে রোল মডেলে রূপান্তরিত হয়েছে।
সাক্ষাৎকালে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ সাইফুর রহমান এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
নবায়ণযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পসমূহের অগ্রগতি বাড়াতে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা চালাতে হবে :বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৬ শ্রাবণ (২১ জুলাই) :
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, নবায়ণযোগ্য জ্বালানির প্রকল্পসমূহের অগ্রগতি বাড়াতে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা চালাতে হবে। নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পসমূহের অগ্রগতি আশানুরূপ হচ্ছে না। সৌরবিদ্যুতের সম্ভাবনা থাকলেও কাঙ্ক্ষিতভাবে সাফল্য আসছে না। সরকারি যে সকল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করা হলো সেখানে দ্রুত সোলার বা নবায়ণযোগ্য জ্বালানি হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রকল্প নেয়ার উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় বিদ্যুৎ ভবনে বিদ্যুৎ বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থা ও কোম্পানি কর্তৃক গৃহীত নবায়ণযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পসমূহের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সভায় অন্যান্যের মাঝে বিদ্যুৎ সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান, পিডিবি’র চেয়ারম্যান মোঃ মাহবুবুর রহমান, পাওয়ার সেলের ডিজি মোহাম্মদ হোসাইনসহ বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, নবায়ণযোগ্য জ্বালানি হতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রম বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে জায়গা পড়ে রয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) বা জয়েন্ট ভেঞ্চার বা সুবিধাজনক কোনো প্রক্রিয়ায় জমির যথাযথ ব্যবহারের উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। প্রতিমন্ত্রী এসময় নেট মিটারিং কার্যক্রমের অগ্রগতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, নেট মিটারিং একটি চমৎকার বিজনেস মডেল। এর ফলে সময়, অর্থ ও বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। নেট মিটারিং কার্যক্রম প্রসারে প্রতিটি বিতরণ কোম্পানি ও স্রেডাকে সমন্বিতভাবে কাজ করা উচিত।
উল্লেখ্য, আজ বিদ্যুৎ ভবনে অনুষ্ঠিত সভাটি এসি ও বৈদ্যুতিক বাতি ছাড়া প্রাকৃতিক আলোতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগে বিদ্যুতের সাশ্রয়ী ব্যবহার সংক্রান্ত পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ৬ শ্রাবণ (২১ জুলাই) :
আজ অনলাইনে বিদ্যুৎ সচিব মোঃ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে বিদ্যুতের সাশ্রয়ী ব্যবহার সংক্রান্ত পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় গত ২০ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সভাপতিত্বে ব্যয় সংকোচন সংক্রান্ত সভায় গৃহীত বিদ্যুৎ বিভাগের জন্য প্রযোজ্য সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।
সভায় লোডশেড এর তথ্য এসএমএস-এর মাধ্যমে গ্রাহকদের অবহিত করা, রাত ৮টার পর দোকানপাট, শপিংমল, মার্কেট, বিপণীবিতান বন্ধের বিষয়টি মনিটরিং জোরদার, ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে সভাসমূহ করা, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে বাতি ও এসি সর্বোচ্চ কম ব্যবহার নিশ্চিত করাসহ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের বিষয়ে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করার সুবিধার্থে বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন)-কে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
পর্যালোচনা সভায় অন্যান্যের মাঝে পিডিবি’র চেয়ারম্যান মোঃ মাহবুবুর রহমান, আরইবি’র চেয়ারম্যান মোহাঃ সেলিম উদ্দিন, পাওয়ার সেলের ডিজি মোহাম্মদ হোসাইনসহ দপ্তর ও সংস্থার প্রধানগণ সংযুক্ত ছিলেন।
জনসংখ্যা ও সম্পদের সমন্বয় করে কাজ করছে সরকার : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ৬ শ্রাবণ (২১ জুলাই) :
আজ ঢাকার কারওয়ান বাজারস্থ পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০২২’ পালিত হয়েছে। অধিদপ্তরের আইইএম ইউনিট সভাকক্ষে এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মোঃ সাইফুল হাসান বাদল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, এনডিসি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মুঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার এবং UNFPA এর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ Kristine Blokhus।
এ সময় ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব এখন ৭৯৬ কোটি মানুষ রয়েছে, যা আগামী নভেম্বরেই ৮০০ কোটি হবে। বিশে জনসংখ্যার ধারণ ক্ষমতা এক হাজার থেকে ১২’শ কোটি। সুতরাং জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে বিশ্ববাসীকে এখনই ভাবতে হবে। বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখন সাড়ে ১৬ কোটি। সরকারকে দেশের সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের স্বাস্থ্য সেবা, পুষ্টির নিশ্চয়তা নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। করোনায় গোটা বিশ্বের অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়েছে। বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় বিশ্ব ৫ম হয়েছে ঠিকই কিন্তু বিশ্বের অন্য দেশগুলোর অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে গোটা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও তেল, গ্যাস ও বিদ্যুৎ-সহ অন্যান্য অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এছাড়া করোনার কারণে জনশক্তি রপ্তানিতেও প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এসব কারণে সরকারকে জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি দেশের মানুষকে কর্মমুখী করার উদ্যোগ হাতে নিতে হচ্ছে। আমাদের সম্পদ সীমিত। এই সীমিত সম্পদ দিয়েই দেশের মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে, শিক্ষার সুবিধাসহ স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ পরিবার পরিকল্পনা কর্মী, শ্রেষ্ঠ সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এবং পরিবার পরিকল্পনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড-২০২২ পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে পুরস্কার ও ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (UNFPA) কর্তৃক নির্ধারিত জনসংখ্যা দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ÔA world of 8 billion: Towards a resilient future for all-Harnessing opportunities and ensuring rights and choice for all’, যার বাংলা ভাবান্তর হলো ‘৮০০ কোটির পৃথিবী: সকলের সুযোগ, পছন্দ ও অধিকার নিশ্চিত করে প্রাণবন্ত ভবিষ্যৎ গড়ি’। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের আওতাধীন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর উপজেলা, জেলা, বিভাগ ও জাতীয় পর্যায়ে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি উদ্যাপন করেছে।
রাজধানীতে পাইকারি ও খুচরা কাঁচাবাজার নির্ধারিত স্থানে বসাতে হবে : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
ঢাকা, ৬ শ্রাবণ (২১ জুলাই) :
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, রাজধানীতে জনদুর্ভোগ ও যানজট কমাতে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে পাইকারি ও খুচরা কাঁচাবাজার বসাতে হবে। মানুষের চলাচলের রাস্তা দখল করে কেউ দোকান বসালে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আজ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলামকে সাথে নিয়ে রাজধানীর কারওয়ানবাজারস্থ কাঁচাবাজার স্থানান্তরের লক্ষ্যে গাবতলী কাঁচাবাজার এলাকা পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের মন্ত্রী এসব কথা বলেন ।
মন্ত্রী বলেন, কারওয়ানবাজার অনেক আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখান থেকে সারা ঢাকা শহরের খুচরা বাজারগুলোতে পণ্য সরবরাহ হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যারা শাক-সবজি-মাছসহ অন্যান্য পণ্য কারওয়ানবাজারে নিয়ে আসেন তাদের জন্য অনেক কষ্টকর হয়। আবার ঢাকা অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় এখান থেকে খুচরা বাজারে পৌঁছাতেও অনেক যানজট ও সমস্যা হয়। তাই কারওয়ানবাজার থেকে ঢাকার ভিন্ন পয়েন্টে সুবিধাজনক স্থানে কাঁচাবাজার কীভাবে স্থানান্তর করা যায় তা নিয়ে কাজ করছে মন্ত্রণালয়। সকলের প্রচেষ্টায় এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে।
মোঃ তাজুল ইসলাম জানান, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় পাইকারি ও খুচরা কাঁচাবাজার এক জায়গায় হওয়া উচিত নয়। এতে করে একদিকে যেমন জনদুর্ভোগ তৈরি হবে অন্যদিকে যানজটও সৃষ্টি হবে। সরকার চায় পাইকারি ও খুচরা বাজারগুলো একটি নির্দিষ্ট জায়গায় হোক। পাইকারি কাঁচাবাজারগুলো শহরের বাহিরে হলেই বেশি ভালো হবে। মন্ত্রণালয়, ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, কাউন্সিলরসহ সংশ্লিষ্ট সকলে মিলে এলক্ষ্যে কাজ করছে। সবাইকে নিয়ে বসে করণীয় ঠিক করা হবে বলে জানান স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, যত্রতত্র পাইকারি ও খুচরা বাজার না রেখে কোন এলাকায় কতটি বাজার লাগবে সেটি মেয়র এবং কাউন্সিলর বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে বাস্তবায়ন করবে। জায়গা চিহ্নিত করে যদি নতুন করে আরো কাঁচা বাজার প্রয়োজন হয় তা করা হবে।
অপরিকল্পিতভাবে ঢাকা শহর গড়ে উঠেছে উল্লেখ করে এ সময় মন্ত্রী বলেন, অনেক সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা পূরণ ও একটি পরিকল্পিত নগর গড়ে তোলার জন্য মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয় করে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
পরিদর্শনকালে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং কাউন্সিলরগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রকৃতির একশন থেকে বাঁচতে পরিবেশ সংরক্ষণ করতে হবে : পরিবেশমন্ত্রী
বড়লেখা (মৌলভীবাজার), ৬ শ্রাবণ (২১ জুলাই) :
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, প্রকৃতির একশন থেকে বাঁচতে পরিবেশ সংরক্ষণ করতে হবে। শুধু বন নয় এর সাথে তৃণ-লতা, পশু-পাখিসহ প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে হবে। অবৈধভাবে পাহাড়, টিলা, বৃক্ষ কর্তন বন্ধ করতে হবে। প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট করলে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব হতে কেউ বাঁচতে পারবো না।
মন্ত্রী আজ মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে আয়োজিত ‘বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা ২০২২’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় ইউরোপ, আমেরিকা-সহ উন্নত বিশ্বে কেউ আগুন ধরানো ছাড়াই বিভিন্ন স্থানে আগুন ধরে যাচ্ছে। অত্যধিক তাপমাত্রায় রেললাইন, বিমানবন্দর অকেজো হয়ে যাচ্ছে। সেসকল দেশ জরুরি অবস্থা জারী করতে বাধ্য হচ্ছে। প্রকৃতির এই রুদ্রলীলা থেকে বাঁচতে হলে প্রকৃতিকে আগে বাঁচতে দিতে হবে, বেশি বেশি করে গাছ-পালা লাগাতে হবে।
বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলীর সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলেট বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ তৌফিকুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান তাজউদ্দিন এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সুন্দর প্রমুখ। মন্ত্রী এ সময় সুফল প্রকল্পের কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের আওতায় উপজেলার ৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩০টি ফ্যান বিতরণ করেন।
এরপূর্বে মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ৩১টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমির দলিল হস্তান্তর করেন। এছাড়া, অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর ৩১জন শিক্ষার্থীর মাঝে শিক্ষা উপবৃত্তি, অসচ্ছল ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ৬০টি পরিবারকে আর্থিক অনুদান, ১২ জন শিক্ষার্থীর মাঝে শিক্ষা উপবৃত্তি বিতরণ করেন। কৃষি বিভাগের উদ্যোগে ২ হাজার কৃষকের মাঝে
৫ কেজি ধানের বীজ ও ২০ কেজি সার এবং মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মাধ্যমে ৩ জনকে সেলাই মেশিন প্রদান করেন।
গণমাধ্যমকর্মী আইনের খসড়া সংশোধনের লিখিত প্রস্তাবনা দিলেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ
ঢাকা, ৬ শ্রাবণ (২১ জুলাই) :
গণমাধ্যমকর্মী আইনের খসড়া সংশোধনের বিষয়ে লিখিত প্রস্তাবনা তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং সচিব মো: মকবুল হোসেনের কাছে হস্তান্তর করেছেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
আজ সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর দপ্তরে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু, টেলিভিশন ক্যামেরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সভাপতি মাহবুব আলম, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল হক জীবন, ঢাকা সাব এডিটরস কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান ও বরিশাল সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি স্বপন খন্দকার প্রস্তাবনাটি মন্ত্রী ও সচিবের হাতে তুলে দেন। মন্ত্রণালয় প্রস্তাবনাটি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে পাঠাবে।
পাশাপাশি সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ এসময় সংবাদপত্রের প্রচার সংখ্যা বাস্তবতার নিরিখে নির্ধারণ, সাংবাদিকদের তথ্য অধিদফতরের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড প্রদানের ক্ষেত্রে যথার্থতা বিচার এবং প্রয়োজনীয় সংশোধন সম্পন্ন করে দ্রুত নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেবার দাবি তুলে ধরেন। মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ দাবিগুলো দ্রুত পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।
করোনা মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেও দেশ এগিয়ে যাচ্ছে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৬ শ্রাবণ (২১ জুলাই) :
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ ছোট ভূখন্ডের, বিপুল জনগোষ্ঠীর দেশ। করোনা মহামারি, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। যারা নীতি ও আদর্শহীন; তাদেরই পায়ের নিচে মাটি নাই।
আজ মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী-এর সাথে সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সাক্ষাতকালে তারা পারস্পারিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট দ্বিপাক্ষিক বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দু’দেশের মধ্যে শিপিং সেক্টরের অনেক বিষয় রয়েছে। করোনা ও অন্যান্য কারণে কিছু কাজ ধীরগতির হয়ে গেছে। সেগুলোকে এগিয়ে নেয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বিভিন্ন নৌরুট ড্রেজিং, চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার, ভারতের বিশাখাপত্তম ও কৃষ্ঞাপত্তনাম বন্দর ব্যবহার, খাগড়ছড়ির রামগড় স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা চালুসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় বলে তিনি জানিয়েছেন।
সংস্কার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক-২০২২ মনোনীত ভূমি মন্ত্রণালয়
ঢাকা, ৬ শ্রাবণ (২১ জুলাই) :
স্বচ্ছতা ও দক্ষতার সাথে সরকারি সম্পত্তির সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত ‘ভূমি তথ্য ব্যাংক’-এর জন্য ‘সংস্কার’ ক্যাটাগরিতে ‘প্রতিষ্ঠান’ পর্যায়ে ‘ভূমি মন্ত্রণালয়’-কে ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক-২০২২’-এর জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত করা হয়েছে।
তবে বেশকিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে সংস্কার ক্ষেত্রে ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক-২০২২’ মনোনীত হয়েছেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তাফিজুর রহমান যা সত্য নয়।
ভূমি মন্ত্রণালয় আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রচলিত শিক্ষা ডিজিটাল শিক্ষায় রূপান্তর না হলে কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে : টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ঢাকা, ৬ শ্রাবণ (২১ জুলাই) :
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের ফলে আগামী পাঁচ থেকে দশ বছর পর পৃথিবীতে প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা থাকবে না। প্রচলিত শিক্ষা ডিজিটাল শিক্ষায় রূপান্তর না হলে আমাদের কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।
মন্ত্রী গতকাল ঢাকায় টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে শিক্ষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি এগিয়ে যাওয়ার চালিকা শক্তি। করোনাকালে উন্নত দুনিয়ার তুলনায় বাংলাদেশ ভাল করার মূল মন্ত্রটি ডিজিটাল কর্মসূচি। যে শিশুরা পড়তে চায় না তাদের আগ্রহ সৃষ্টিতে ডিজিটাল কন্টেন্টে পাঠ দান ফলপ্রসূ অবদান রাখতে পারে। তিনি বলেন, শিশুরা খেলার ছলে তাদের এক বছরের সিলেবাস ২ মাসের মধ্যে শেষ করতে সক্ষম হবে। নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলায় একটি ডিজিটাল স্কুলের দৃষ্টান্ত তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, শিশুদেরকে ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করতে হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে কম্পিউটার ব্যবহার করে পাঠদান দেখেছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় ২০০৯ সাল থেকে গত তের বছরে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যক্রম ডিজিটালে রূপান্তরে সক্ষম হয়েছি। বিশ্বে বাংলা ভাষায় এ ধরণের ডিজিটাল উপাত্ত তৈরি করা এটাই প্রথম। প্রশিক্ষণ লব্ধ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষকগণ ডিজিটাল মানবসম্পদ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষকগণ তাদের প্রতিক্রিয়ায় প্রকল্পটি কেবল ৬৫০টি বিদ্যালয়ে সীমাবদ্ধ না রেখে দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত সম্প্রসারণে মন্ত্রীর সহায়তা কামনা করেন। মন্ত্রী তাদেরকে এ বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস ব্যক্ত করেন।
টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: আবদুল মোকাদ্দেম-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডিজিটাল কনটেন্ট বিষক মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিজয় ডিজিটাল লিমিটেডের সিইও জেসমিন জুই। প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুল ওহাব এবং টেশিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহসান হাবিব তফাদার অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
উল্লেখ্য, ডিজিটাল কনটেন্ট ব্যবহার করে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের পাঠদান বিষয়ে শিক্ষক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ডিজিটাল রুপান্তরের কার্যক্রম শেষ স্তরে রয়েছে। সুবিধাবঞ্চিত প্রত্যন্ত ও দুর্গম অঞ্চলের ৬শ’ ৫০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরে বিটিআরসি‘র এসওএফ তহবিলের অর্থায়নে টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।