পণ্ডিত সুদর্শন দাশ গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের মাধ্যমে দেশ ও জাতিকে সম্মানিত করেছেন : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ ভাদ্র (১ সেপ্টেম্বর) :
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, পণ্ডিত সুদর্শন দাশ গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের মাধ্যমে দেশ ও জাতিকে সম্মানিত করেছেন। বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। শুধু এক দুই বার নয়, দীর্ঘতম তবলা ম্যারাথন (৫৫৭ ঘণ্টা ১১ মিনিট, ২০১৬), দীর্ঘতম ঢোল ম্যারাথন (২৭ ঘণ্টা, ২০১৭), ড্রাম রোল (১৪ ঘণ্টা, ২০১৮) সহ পাঁচবার গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন বাংলাদেশের চট্টগ্রামের এ কৃতী সন্তান। শুধু ভাগ্যের জোরে এ অর্জন সম্ভব নয়; দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টা, অধ্যবসায় ও ত্যাগের মাধ্যমে তিনি এ অসাধ্যকে সাধন করেছেন। সেজন্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাঁকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাতে রাজধানীর বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে তারার মেলা সংগীত একাডেমি আয়োজিত পাঁচবার গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডধারী পণ্ডিত সুদর্শন দাশকে সম্মাননা প্রদান এবং তবলা এন্ড ঢোল একাডেমি লন্ডন এর ঢাকা শাখার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উদ্বোধকের বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব লাকী ইনাম, সম্মাননাপ্রাপ্ত গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডধারী পণ্ডিত সুদর্শন দাশ, তারার মেলা সংগীত একাডেমির চেয়ারম্যান ও তবলা এন্ড ঢোল একাডেমি লন্ডন এর ঢাকা শাখার পরিচালক লোপা দাশ এবং তবলা এন্ড ঢোল একাডেমি লন্ডন এর হেড অব মিউজিক Michael Broad।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, যে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে দেশের অগ্রযাত্রাকে কেউ রুখতে পারবে না। যে দেশের সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষক শেখ হাসিনা সে দেশের সংস্কৃতি এগিয়ে যাবে এবং দেশ-বিদেশে সুনাম অর্জন করবে। তিনি এ সময় উপস্থিত সবাইকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, আসুন, সংস্কৃতির মাধ্যমে বিশ্বের দরবারে এ লাল-সবুজের পতাকাকে আরো সমুন্নত করি।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী তবলা এন্ড ঢোল একাডেমি লন্ডন এর ঢাকা শাখার উদ্বোধন করেন। উল্লেখ্য, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিষ্ঠানটির ৫টি শাখা রয়েছে এবং এটি ষষ্ঠ শাখা। এ শাখায় সংস্কৃতির বিভিন্ন বিষয়ে ৫ বছর মেয়াদি প্রশিক্ষণ দেয়া হবে এবং প্রশিক্ষণার্থীবৃন্দ গ্রেড-৫ শেষ করার পর লন্ডনে গিয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ পাবে।
শিনজো আবে বাংলাদেশের খাঁটি বন্ধু ছিলেন : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ ভাদ্র (১ সেপ্টেম্বর) :
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বাংলাদেশের খাঁটি বন্ধু ছিলেন। আঞ্চলিক ও বিশ্ব শান্তির পক্ষে অবদানের জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। ড. মোমেন বলেন, শিনজো আবে’র আকস্মিক মৃত্যুতে সারা বিশ্বের ২৫৯টি দেশ ও সংস্থার পক্ষ হতে ১ হাজার ৭ শতাধিক শোকবার্তা প্রাপ্তি প্রমাণ করে- শিনজো আবে শুধু জাপানের একজন প্রথিতযশা নেতা নয়, বরং তিনি সারা বিশ্বের একজন বরেণ্য ব্যক্তিত্ব।
আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট অডিটোরিয়ামে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে’র স্মরণে আয়োজিত শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শিনজো আবে’র আকস্মিক মৃত্যুতে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রেরিত শোকবার্তার কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোকবার্তায় বলেছেন- শিনজো আবের মতো একজন রাষ্ট্রনায়কের মৃত্যু শুধু জাপানের জন্য ক্ষতি নয়, বরং তাঁর নেতৃত্ব, চিন্তা, স্বপ্ন ও প্রজ্ঞা থেকে সারা বিশ্ব বঞ্চিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রয়াত শিনজো আবে’র স্ত্রী আকি আবে’র নিকট প্রেরিত শোকবার্তায়ও বলেছেন- শিনজো আবে বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু ছিলেন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের উন্নত রাষ্ট্রের মর্যাদা অর্জনের প্রচেষ্টায় তিনি অবিচল সহযোগী ছিলেন।’
ড. মোমেন আরো বলেন, শিনজো আবে’র এই অসময়ে চলে যাওয়ায় বিশ্ব একজন অসাধারণ ও দূরদর্শী নেতাকে হারিয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে’র ভূমিকা ও সহযোগিতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ শিনজো আবেকে বিশেষভাবে মনে রাখবে। তাঁর মৃত্যুতে গত ৯ জুলাই একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনসহ গত ২৫ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ সভায় এবং গত ২৮ আগস্ট বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করে এই অকৃত্রিম বন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন, প্রয়াত শিনজো আবে’র স্বজনদের প্রতিও গভীর সমবেদনা জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগ ও ঢাকাস্থ জাপান দূতাবাসের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ শোক সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আখতারুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি।
শিক্ষা ক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বেশি নজর দিতে হবে : শিক্ষামন্ত্রী
গাজীপুর, ১৭ ভাদ্র (১ সেপ্টেম্বর) :
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমাদের শিক্ষা ক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বেশি নজর দিতে হবে। তবে আমরা যেটি চাই তা হলো, আমাদের শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞানমনস্ক হবে। প্রযুক্তিবান্ধব শুধু নয় প্রযুক্তি ব্যবহারে ও উদ্ভাবনে দক্ষ হবে, সৃজনশীল ও মানবিক হবে। শুধু যা শিখবে তা শেখার মধ্যে নয়, সেটাকে ভালোভাবে প্রয়োগ করতে শিখবে। শুধু চাকরি খুঁজবেন তা নয়, উদ্যোক্তাও হবেন।
আজ ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) এর প্রতিষ্ঠার ১৯তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের সবগুলো অভীষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছাতে সামনে যে সময়টা আসছে তা কাজে লাগাতে হবে। সবগুলো অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন করার জন্য কাজ করতে হবে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। নতুন কারিকুলাম নিয়ে তিনি বলেন, শুধু পড়লাম, মুখস্থ করলাম, পরীক্ষা দিলাম, নম্বর পেলাম, ওটা আর কাজে লাগাতে পারছি না, সেই শিক্ষা দিয়ে চলবে না। সে জন্য আমরা নতুন কারিকুলাম করেছি প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষায় পরিবর্তন নিয়ে আসছি।
কারিগরি ও উচ্চশিক্ষা নিয়ে দীপু মনি বলেন, জাতির পিতা বলেছিলেন, মেধাবী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় দারিদ্র্য যেন বাধা না হয়ে দাঁড়ায়। সকল শিক্ষার্থীকেই যে উচ্চশিক্ষা নিতে হবে তার কোনো মানে নেই। যত বেশি উন্নত দেশ দেখবেন তারা তত বেশি কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার ওপর বেশি জোর দিয়েছে।
সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ায় অগ্নিকাণ্ডসহ যেকোনো দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি কমেছে : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ ভাদ্র (১ সেপ্টেম্বর) :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমিন্ত্রী ডা. মোঃ এনামুর রহমান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ায় অগ্নিকাণ্ডসহ যেকোনো দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি কম হচ্ছে এবং দেশ এগিয়ে যাওয়ায় দুর্যোগ হ্রাস পাচ্ছে। পাশাপাশি দেশে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বহুমুখী কর্মসংস্থান সৃষ্টি হওয়ায় অভাব-অনটন পূর্বের যেকোনো সময়ের চেয়ে কমে গেছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ হাজারিবাগ এলাকার বটতলা বাজারসংলগ্ন বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় জনসাধারণের মাঝে জরুরি খাদ্য সহায়তা বিতরণকালে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ঢাকার জেলা প্রশাসক মোঃ শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোঃ সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। এ সময়ে স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারের মাঝে বিতরণকৃত খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চাল ২০ কেজি, ডাল ২ কেজি, সয়াবিন তেল ২ লিটার, লবণ ২ কেজি, চিনি ২ কেজি। এছাড়া আরো রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ হলুদের গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া এবং ধনিয়ার গুঁড়া।
বাকশক্তি না হারালে নজরুল বাংলা সাহিত্যকে অনেক বেশি সমৃদ্ধ করতে পারতেন: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ ভাদ্র (১ সেপ্টেম্বর) :
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর ৭৬ বছরের জীবনকালে ৩৪ বছর ১২০ দিন নির্বাক ছিলেন। নজরুলের আবির্ভাব এমন এক সময়ে যখন বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দোর্দণ্ড প্রতাপে রাজত্ব করছিলেন। রবীন্দ্রনাথ সাহিত্য চর্চা করেছেন ৬২ বছরেরও অধিক। আর অসুস্থতার কারণে নজরুল সাহিত্য চর্চা করতে পেরেছিলেন ৩০ বছরেরও কম সময়। অসুস্থতা নজরুলকে স্পর্শ না করলে নজরুল বাংলা সাহিত্যকে কোথায় নিয়ে যেতেন তা সহজেই অনুমেয়। নির্বাক না হলে নজরুল বাংলা সাহিত্যকে অনেক বেশি সমৃদ্ধ করতে পারতেন। অধিষ্ঠিত করতে পারতেন আরো উচ্চ আসনে, উচ্চ শিখরে।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর দিলকুশাস্থ কৃষি ভবন সেমিনার হলে চন্দ্রাবতী একাডেমি আয়োজিত নজরুল গবেষক এ এফ এম হায়াতুল্লাহ সংকলিত ‘নজরুল সাহিত্যের মণিমঞ্জুষা’ শীর্ষক গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক জাতিসত্তার কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর দে এবং কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ জাকীর হোসেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ এফ এম হায়াতুল্লাহ একজন বিশিষ্ট নজরুলপ্রেমী ও নজরুল গবেষক। নজরুলের সৃষ্টিশীল কর্মের আদ্যোপান্ত তাঁর জানা। আর সেজন্যই নজরুলের বাণী সংকলিত করে ‘নজরুল সাহিত্যের মণিমঞ্জুষা’ শিরোনামের এক অসাধারণ গ্রন্থ আমাদের উপহার দেয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব হয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চন্দ্রাবতী একাডেমির স্বত্বাধিকারী কামরুজ্জামান খন্দকার কাজল। নজরুল সংগীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী প্রিয়াংকা গোপ।
পাকিস্তানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে প্রায় দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ
ঢাকা, ১৭ ভাদ্র (১ সেপ্টেম্বর) :
সম্প্রতি পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে বিস্কুট, ড্রাইকেক, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, ওরস্যালাইন, মশারি, কম্বল এবং তাঁবু জরুরিভিত্তিতে ক্রয়পূর্বক পাকিস্তানে প্রেরণের জন্য এক কোটি চল্লিশ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে আজ এ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ১০ মেট্রিক টন বিস্কুট, ১০ মেট্রিক টন ড্রাইকেক, ১ লাখ পিস পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, ৫০ হাজার প্যাকেট ওরস্যালাইন, ৫ হাজার পিস মশারি, ২ হাজার পিস কম্বল এবং ২ হাজার পিস তাঁবু।
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ১৭ ভাদ্র (১ সেপ্টেম্বর) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২১৬ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ সময় ৩ হাজার ৯৫৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে ২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৩২৫ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৫৬ হাজার ৭১৬ জন।
বিজিবি’র অভিযানে ১১২ কোটি ৩৯ লাখ টাকার চোরাচালান ও মাদকদ্রব্য জব্দ
ঢাকা, ১৭ ভাদ্র (১ সেপ্টেম্বর) :
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গত আগস্ট মাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে সর্বমোট ১১২ কোটি ৩৯ লাখ ২৮ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান পণ্যসামগ্রী, অস্ত্র ও গোলাবারুদ এবং মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে।
জব্দকৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে ৯ লাখ ৩৫ হাজার ১৪৪ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৩ কেজি ১৭১ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ৮ কেজি ১০৯ গ্রাম হেরোইন, ২৬ হাজার ৫৯৬ বোতল ফেনসিডিল, ১৭ হাজার ২৩৬ বোতল বিদেশি মদ, ২ হাজার ৭৫৫ ক্যান বিয়ার, ৩৩৭ লিটার বাংলা মদ, ২ হাজার ৮১৯ কেজি গাঁজা, ২ লাখ ১০ হাজার ৭১০ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ২১ হাজার ২৪১টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন, ৭ হাজার ৫৯৮টি ইস্কাফ সিরাপ, ৮০০ কেজি তামাক পাতা, ১ হাজার ১০২ বোতল এমকেডিল/কফিডিল, ২৭ লাখ ৬৪ হাজার ২ পিস বিভিন্ন প্রকার ঔষধ, ১৯ হাজার ২৬৭টি অ্যানেগ্রা/সেনেগ্রা ট্যাবলেট এবং ৭৮ হাজার ৪০০টি অন্যান্য ট্যাবলেট।
জব্দকৃত অন্যান্য চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ১২ কেজি ৮৭১ গ্রাম স্বর্ণ, ৪ কেজি ৬৫৬ গ্রাম রূপা, ৯৪ হাজার ৯৮০টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ৪ হাজার ৪৪০টি ইমিটেশন গহনা, ১৭ হাজার ২৯১টি শাড়ী, ১ হাজার ১৪৯টি থ্রিপিস/শার্টপিস/চাদর/কম্বল, ২ হাজার ৭৩৬টি তৈরিপোশাক, ৩ হাজার ৭৮ ঘনফুট কাঠ, ১ হাজার ২০৫ ঘনফুট পাথর, ৩ হাজার ২২৩ কেজি চা পাতা, ৩৯ হাজার ৫৮০ কেজি কয়লা, ৮৩৯ কেজি কারেন্ট জাল, ১টি কষ্টি পাথরের মূর্তি, ৭টি ট্রাক/কাভার্ডভ্যান, ৩টি প্রাইভেটকার/মাইক্রোবাস, ৫টি পিকআপ, ৩০টি সিএনজি/ইজিবাইক এবং ৭১টি মোটরসাইকেল।
উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ২টি পিস্তল, ১টি রিভলবার, ৬টি গান, ১টি ম্যাগাজিন, ১টি সিসাবল এবং ২৮ রাউন্ড গুলি।
এছাড়া সীমান্তে বিজিবি’র অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৬৪ জন চোরাচালানী এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ১৩১ জন বাংলাদেশি নাগরিক ও ৭ জন ভারতীয় নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
গ্রাম-গঞ্জের বর্জ্য সংগ্রহ করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ ভাদ্র (১ সেপ্টেম্বর) :
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, শুধু সিটি কর্পোরেশন বা বড় শহরে নয়, প্রত্যন্ত গ্রাম-গঞ্জের ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহ করে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে।
আজ রাজধানীর একটি হোটেলে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন। বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মোঃ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী।
মন্ত্রী বলেন, মানুষের মাথাপিছু আয় বাড়ার সাথে সাথে ভোগ বেড়েছে। এতে করে গ্রাম-গঞ্জেও এখন প্রচুর বর্জ্য উৎপাদন হচ্ছে। যদি গ্রাম এলাকার উৎপাদিত বর্জ্যের সুষ্টু ব্যবস্থাপনা না করা যায় তাহলে ইকোলোজিক্যাল ব্যালেন্স নষ্ট হবে। নদী-নালা, খাল-বিল সবকিছু বর্জ্যের স্তূপে পরিণত হবে। এজন্য গ্রামের বর্জ্যগুলোকে সংগ্রহ করে পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। একটি বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট চালু করার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ বর্জ্যের দরকার হয়। একটি নির্দিষ্ট এলাকায় প্ল্যান্ট স্থাপন করে গ্রাম-গঞ্জের সকল বর্জ্য সংগ্রহ করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে।
কিছু কিছু পৌরসভায় ছোট ছোট আকারের বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্ল্যান্টের অনুমোদন দেয়া হচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো বলেন, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিষয়টি শুধু শহরে সীমাবদ্ধ থাকবে না। গ্রামেও প্ল্যান্ট স্থাপন করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, প্রতিটি দেশ সমভাবে চলছে না। ইউরোপসহ অনেক দেশ তাদের বিদ্যুৎ ও ফুড সাপ্লাইয়ে পরিবর্তন এনেছে। ইউরোপের অনেক দেশে স্থিতিশীল অবস্থা নেই। এর মধ্যেও বাংলাদেশ ভালো আছে। এ কথাটা কেউ বলতে চান না। পৃথিবীর অনেক দেশ বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দিচ্ছে। আমাদের চেয়ে অনেক বেশি লোডশেডিং দিচ্ছে। আমাদের দেশে তার চেয়ে তুলনামূলক অনেক কম লোডশেডিং হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা যেভাবে অব্যাহত রয়েছে এবং যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি তাতে আমাদের কোনো চিন্তার কারণ নেই। শ্রীলংকা ও পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশকে তুলনা করার সুযোগ নেই। বাংলাদেশ শ্রীলংকা হবে এ কথারও কোনো ভিত্তি নেই।
দেশব্যাপী গণ্ডগোলের পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে বিএনপি : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ ভাদ্র (১ সেপ্টেম্বর) :
‘দেশব্যাপী গণ্ডগোলের পরিকল্পনা নিয়েই বিএনপি মাঠে নেমেছে’ বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ ।
আজ সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে নারায়ণগঞ্জের ঘটনা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিএনপি সারা দেশে গণ্ডগোল করার পরিকল্পনা করেই নানা কর্মসূচি সাজিয়েছে। সে কারণে তারা সারা দেশে পুলিশ, পথচারী, মানুষের সম্পত্তির ওপর হামলা পরিচালনা করছে। অর্থাৎ দেশে একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য তারা ২০১৩-১৪-১৫ সালে যে কাজগুলো করেছিলো সেটির নতুন সংস্করণ শুরু করেছে।’
ড. হাছান বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ পুলিশের সাথে আলাপ করেছি। সেখানে পুলিশ বা জেলা প্রশাসন কিংবা সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি ছাড়াই বিএনপি রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করেছিল। রাস্তা বন্ধ না করে তাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার জন্য পুলিশ তাদের অনুরোধ জানায়। সেটি না শুনে তারা রাস্তা বন্ধ করে দেয় এবং ইট-পাটকেল ও পাশের রেললাইনের পাথর পুলিশের ওপর নিক্ষেপ করে হামলা পরিচালনা করে, সেখানে থাকা পুলিশ বক্স ভাঙচুর করে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে টিয়ার গ্যাস ছুঁড়েছে এবং লাঠিচার্জ করেছে। সেখানে যিনি মারা গেছেন তিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ঐ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ভাতিজা। তার পূর্ণ পরিচয় তদন্তাধীন।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, বিএনপি মানুষ মারার রাজনীতি করে। ২০১৩-১৪-১৫ সালে বিএনপি কি করেছে? মানুষ মারার রাজনীতি করেছে, মানুষকে পুড়িয়ে মারার রাজনীতি করেছে। পৃথিবীর অনেক জায়গায় নানা ধরনের গণ্ডগোল, জাতিগত সংঘাত, সহিংসতা হচ্ছে বা হয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক অভিলাষ চরিতার্থ করার জন্য একটি রাজনৈতিক দল সাধারণ মানুষের ওপর পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে পুড়িয়ে মারার ঘটনা গত তিন-চার দশকে পৃথিবীর কোথাও ঘটেনি যেটি বিএনপি বাংলাদেশে করেছে। তারা এ ধরনের গণ্ডগোল করে সারাদেশে আরো লাশ সৃষ্টি করতে চায়।’
‘পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটানোর কথা যেটি বিএনপি বলেছে সেটি বিএনপির বেলায় প্রযোজ্য, তারা পরিকল্পিতভাবে দেশে অস্থিরতা তৈরি করার অপচেষ্টা হিসেবে এই ঘটনাগুলো ঘটাচ্ছে’ বলেন ড. হাছান।
এর আগে জ্বালানি তেলের মূল্য নিয়ে সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহ্মুদ বলেন, বিশ্ববাজারে তেলের আগে যা দাম ছিলো এখন তার চেয়ে বেড়েছে। এ সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী জনগণের কথা চিন্তা করে বিভিন্ন ধরনের তেলের দাম প্রতি লিটারে ৫ টাকা কমিয়েছেন। তার প্রেক্ষিতে বাস ভাড়াও কিছুটা কমেছে। কিন্তু এ নিয়েও গতকাল বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সমালোচনা করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দাম বাড়ালেও দোষ, কমালেও দোষ’ তাহলে কি করলে উনারা প্রশংসা করতে পারবেন আমি জানি না। সরকার জনগণের কথা চিন্তা করে দাম কিছুটা কমিয়েছে, এতেও আবার বিএনপি সমালোচনা করছে। আসলে সবকিছুতেই সমালোচনা করার যে বাতিক, সেখান থেকে এই সমালোচনা।’
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর সাথে কানাডার উইমেন, পিস ও সিকিউরিটি অ্যাম্বাসেডরের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ১৭ ভাদ্র (১ সেপ্টেম্বর) :
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার সাথে কানাডার উইমেন, পিস ও সিকিউরিটি অ্যাম্বাসেডর জ্যাকুলিন ও’নিল (Jacqueline OÕNeil) সাক্ষাৎ করেছেন।
আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাক্ষাৎকালে তারা মহামারি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জলবায়ু পরিবর্তন, সংঘাত ও যুদ্ধ পরিস্থিতিতে নারী এবং শিশুর প্রতি নির্যাতন ও সহিংসতা প্রতিরোধ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধ ও সংঘাতময় সময়ে নারীর নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় ২০০০ সালের ইউএন রেজুলেশন ১৩২৫ প্রণয়নে বাংলাদেশ সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে। যার উদ্দেশ্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সকল নীতিমালা তৈরি, বিশ্লেষণ ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় নারীদের সম্পৃক্তকরণ, সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীদের সমঅংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। এরই আলোকে বাংলাদেশ নারীর শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১৯-২০২২ প্রণয়ন করেছে। যা ১১টি মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করছে। বাংলাদেশের দুই হাজার তিনশত বাইশ জন নারী বিশ্বের বিভিন্ন সংঘাতময় স্থানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় দায়িত্ব পালন করেছে এবং বর্তমানে পাঁচশত বিশ জন দায়িত্ব পালন করছে। তারা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন ও নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে কাজ করছে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে প্রায় ১২ লাখ মিয়ানমারের নাগরিক আশ্রয় গ্রহণ করেছে। এদের উল্লেখযোগ্য অংশ নারী ও শিশু। এ সময় প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের নিজ দেশ মিয়ানমারে নিরাপদে ফেরত পাঠাতে সহযোগিতার জন্য কানাডা সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
কানাডার উইমেন, পিস ও সিকিউরিটি অ্যাম্বাসেডর জ্যাকুলিন ও’নিল বলেন, বাংলাদেশ নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এ সময় তিনি আগামীতে নারীর উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন এবং সুরক্ষায় বাংলাদেশের সাথে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনার লিলি নিকোলস (Lilly Nicholls), মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ হাসানুজ্জামান কল্লোল, অতিরিক্ত সচিব মোঃ মুহিবুজ্জামান, অ্যাম্বাসেডরের অ্যাডভাইজর কেট ফিয়ানডার (Kate Fiander) ও কানাডা হাইকমিশনের কাউন্সেলর ব্রাডলি কোটস (Bradley Coates) উপস্থিত ছিলেন।
বোরোতে ডিজেলে ভরতুকি দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে : কৃষিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ ভাদ্র (১ সেপ্টেম্বর) :
বোরো মৌসুমে ডিজেলে কৃষকদের ভরতুকি দেওয়ার বিষয়টি সরকার গভীরভাবে বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ না হলে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে ডিজেলের দাম না কমলে ডিজেলেও আমাদের কিছু একটা করতে হবে, যাতে কৃষকের উৎপাদন খরচ কমে। বর্তমানে ডিজেলের দাম অনেক বেশি। এতে বোরো মৌসুমে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে। সারের মতো বোরোতে প্রয়োজনে ডিজেলেও ভরতুকি দেয়া হবে। সরকার গভীরভাবে এ বিষয়টি বিবেচনা করছে।
আজ রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক সেন্টার সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ‘খাদ্য নিরাপত্তায় ভূ-গর্ভস্থ পানির টেকসই ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক গবেষণা প্রকল্পের ওপর কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও অস্ট্রেলিয়ার কমনওয়েলথ সায়েন্টিফিক এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ অর্গানাইজেশন এর সহযোগিতায় ইনস্টিটিউট অভ্ ওয়াটার মডেলিং এ কর্মশালার আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, অনাবৃষ্টির জন্য আমন রোপণ ব্যাহত হচ্ছে। এখন বৃষ্টির মৌসুম, সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী বৃষ্টি হওয়ার কথা কিন্তু হচ্ছে না; এটাই আমাদের জন্যে কনসার্ন। বৃষ্টি না হলে হয়তো আমনের উৎপাদন কম হবে। অন্যদিকে আমনের টাকা দিয়ে কৃষকেরা অনেক সময় বোরোতে বিনিয়োগ করে। সার, ডিজেল ও সেচ খরচসহ অন্যান্য খরচ মেটায়। কাজেই, বৃষ্টি না হওয়ার জন্য আমন উৎপাদন ব্যাহত হলে কৃষকের ওপর এর প্রভাব পড়বে।
মন্ত্রী আরো বলেন, খাদ্যের জন্য সরকার কারো ওপর নির্ভরশীল হতে চায় না। কারণ, আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যের দাম বাড়লে বা বাজার অস্থিতিশীল থাকলে টাকা বা ডলার থাকা সত্ত্বেও খাদ্য পাওয়ার নিশ্চয়তা থাকবে না। সেজন্য, সরকার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকতে চায়। সে লক্ষ্যেই বর্তমান সরকার কাজ করছে।
খাদ্য নিরাপত্তায় ‘টেকসই সেচ ব্যবস্থাপনা’ গড়ে তুলতে গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সরকার ভূ-গর্ভস্থ ও ভূ-উপরিস্থ পানির টেকসই ব্যবস্থাপনায় কাজ করে যাচ্ছে। একদিকে সেচ কাজে ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার বৃদ্ধিতে কাজ চলছে, অন্যদিকে বারিড পাইপ (ভূ-গর্ভস্থ পাইপ) ব্যবহার করে সেচ দক্ষতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়া হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার নাদরিয়া সিম্পসন। গবেষণার সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন সিএসআইআরও বিশেষজ্ঞ ড. মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন। সভাপতিত্ব করেন আইডব্লিউএমের নির্বাহী পরিচালক আবু সালেহ খান। এ সময় ইমেরিটাস অধ্যাপক সাত্তার মণ্ডল, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকার, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্পের নির্বাহী পরিচালক মোঃ আব্দুর রশিদসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অন্যান্য বিশেষজ্ঞগণ বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
নৌযানের যাত্রীভাড়া হ্রাস : প্রতি কিলোমিটারে ০.১৫ টাকা কমেছে, সর্বনিম্ন ভাড়া ৩০ টাকা
ঢাকা, ১৭ ভাদ্র (১ সেপ্টেম্বর) :
নৌযানের যাত্রীভাড়া হ্রাস করে পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজ রাত ১২ টার পর থেকে কার্যকর হবে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আজ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে ।
নৌযানের যাত্রীভাড়া হ্রাস করার ফলে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বের জন্য জনপ্রতি যাত্রীভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ৩ টাকা হতে ০.১৫ টাকা হ্রাস করে ২ দশমিক ৮৫ টাকা এবং প্রথম ১০০ কিলোমিটারের অধিক দূরত্বের জন্য প্রতি কিলোমিটারে জনপ্রতি যাত্রীভাড়া ২ দশমিক ৬০ টাকা থেকে ০.১৫ টাকা হ্রাস করে ২ দশমিক ৪৫ টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে । জনপ্রতি যাত্রীভাড়া সর্বনিম্ন ৩৩ টাকা থেকে ৩ টাকা হ্রাস করে ৩০ টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।
বর্তমানে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বের জন্য নৌযানে জনপ্রতি যাত্রীভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ৩ টাকা। ১০০ কিলোমিটারের অধিক দূরত্বের জন্য প্রতি কিলোমিটারের যাত্রীভাড়া ২ দশমিক ৬০ টাকা। জনপ্রতি যাত্রীভাড়া রয়েছে সর্বনিম্ন ৩৩ টাকা।
এর আগে ২০২১, ২০১৩ ও ২০১২ সালে নৌযানের যাত্রীভাড়া পুনর্নির্ধারণ করা হয়।
ওএমএস কর্মসূচি চালু হওয়ায় বাজারে চালের দাম কমবে : খাদ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ ভাদ্র (১ সেপ্টেম্বর) :
খোলা বাজারে বিক্রি (ওএমএস) ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু হওয়ায় বাজারে চালের দাম কমবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
আজ ঢাকার আজিমপুরে ছাপড়া মসজিদ প্রাঙ্গণে সারাদেশে শুরু হওয়া খাদ্যবান্ধব ও ওএমএস কর্মসূচির চাল-আটা উপকারভোগীদের মাঝে বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে প্রতি মাসে তিন লাখ মেট্রিক টন চাল দেওয়া হবে। বর্তমানে দেশে প্রায় বিশ লাখ টন খাদ্যশস্য মজুত আছে। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় আরো গম এবং চাল আমদানি করা হবে বলে জানান তিনি।
মিলে কি দরে চাল বিক্রি হচ্ছে, সেখান থেকে আড়তে তারা কি দরে বিক্রি করছে এবং আড়ত থেকে কিনে খুচরা বিক্রেতারা কত লাভে বিক্রি করছে এটা মনিটর করার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি মন্ত্রী অনুরোধ জানান। দেশের চালের কোনো সংকট নেই, প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দিকে তাকালেই দেখা যায় প্রচুর পরিমাণ চাল রয়েছে। চালে কেউ অস্বাভাবিক মুনাফা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে মনিটরিং করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বাজারে বিভিন্ন পর্যায়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে সিন্ডিকেট রয়েছে, এই সিন্ডিকেট ভাঙা সম্ভব কিনা জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সিন্ডিকেট ভাঙা সম্ভব না। এ ব্যাপারে তিনি সাংবাদিকদের সহযোগিতা চান। দেশের পর্যাপ্ত চাল মজুত থাকার পরও কেন বিদেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী জানান, প্রতিবছর আবাদি জমির পরিমাণ কমছে। চাষিরা আম আনারসসহ বিভিন্ন ফসলের দিকে ঝুঁকছে। এই কারণে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় চাল এবং গম আমদানি করা হচ্ছে। খাদ্যমন্ত্রী আরো জানান, সরু চাল যাতে অবাধ আমদানি হয় সেজন্য সরকার ট্যাক্স কমিয়েছে। আশা করা যাচ্ছে অচিরেই বিপুল পরিমাণ চাল আমদানি হবে।
ওএমএসের মাধ্যমে জনপ্রতি ৫ কেজি চাল ও ২ কেজি আটা বিক্রি করা হচ্ছে। দেশের ৫০ লাখ হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীকে ১৫ টাকা কেজি দরে প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল দেওয়া হবে। আর টিসিবি এর মাধ্যমে ভোজ্যতেল, চিনি ও মসুর ডাল দেওয়ার পাশাপাশি ৩০ টাকা কেজি দরে ১০ কেজি করে কার্ডধারী সাশ্রয়ী মূল্যে চাল কিনতে পারবেন। আগামী সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর এই তিন মাস খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে চাল বিতরণ করা হবে।
এসময় খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: সাখাওয়াত হোসেন,খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: মজিবুর রহমান, খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কমিশনার হাসিবুর রহমান মানিক উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে খাদ্যমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ও চাষাড়া মোড়ে ওএমএস কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
বাংলাদেশ ডিজিটাল হয়েছে, ডাকঘরকেও ডিজিটাল করতেই হবে : ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
গাজীপুর, ১৭ ভাদ্র (১ সেপ্টেম্বর) :
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলাদেশ ডিজিটাল হয়েছে, ডাকঘরকেও ডিজিটাল করতেই হবে। ডাকের দিন শেষ হয়নি, আরো বাড়ছে। তিনি বলেন, ডিজিটাল কমার্সের জন্য ডাকঘর এখন একটা নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। ডিজিটাল যুগের উপযোগী ডাক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় ডাকঘর ডিজিটাইজেশনের পথ নকশা তৈরি সম্পন্ন হচ্ছে।
মন্ত্রী আজ গাজীপুর জেলা সদরে নির্মাণাধীন জেলার প্রধান ডাকঘরের নির্মাণ কাজ পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন। এ সময় পোস্টমাস্টার জেনারেল ফরিদ আহমেদ, গাজীপুরের এডিসি জেনারেল নাসরিন পারভিন এবং ডাক অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। সাড়ে সাত কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক সুবিধা সম্বলিত প্রধান এ ডাকভবনটি নির্মিত হচ্ছে।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডাক ব্যবস্থাকে ডিজিটাইজ করার পাশাপাশি কর্মরত ৪৫ হাজার কর্মকর্তা কর্মচারীকেও ডিজিটাল দক্ষতা প্রদানের মাধ্যমে ডাকঘর ডিজিটাল করার কাজ আমরা শুরু করেছি। এর ফলে উৎপাদনমুখী কর্মকাণ্ডের ডিজিটালাইজেশনের ভিত তৈরি হয়েছে। ডাক বিভাগের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে তৈরি করা এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সহসাই ডাকসেবা কাঙ্ক্ষিতমানে উন্নীত হবে।
মন্ত্রী বলেন, হিমায়িত খাবার থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য প্রত্যন্ত ও দুর্গম এলাকায় ক্রেতার হাতে পৌঁছে দিতে ডাকঘরের বিকল্প নেই। করোনাকালে কৃষকের ফল, সবজী পরিবহন থেকে শুরু করে চিকিৎসা সরঞ্জাম পৌঁছে দিতে ডাক সেবার অবদান তুলে ধরে তিনি বলেন, জরুরি সেবার আওতায় ডাকঘর একদিনের জন্যও বন্ধ রাখা হয়নি।
মন্ত্রী ডাক ব্যবস্থার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে বলেন, ডাকঘরকে ডিজিটাল যুগের উপযোগী করে গড়ে তুলতে প্রণীত ডিজিটাল সার্ভিস ডিজাইন ল্যাবের (ডিএসডিএল) কার্যক্রম আমরা শুরু করেছি। বর্তমানে দেশের মানুষ এসএমএস, মেইল, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমোতে দেশে বিদেশে থাকা প্রিয়জনের সঙ্গে কথা বলে। এগুলো আমাদের জন্য প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ ছিল। আমরা প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা অর্জন করেছি।
সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে বাংলাদেশ : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নিউইয়র্ক, ১ সেপ্টেম্বর :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে বাংলাদেশ। গতকাল জাতিসংঘ সদর দপ্তরে গাম্বিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সেইয়াকা সনকো এবং জাতিসংঘের সন্ত্রাস দমন বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ভ্লাদিমির ভরনকভ এর সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে একথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
তৃতীয় জাতিসংঘ পুলিশ সামিটের সাইডলাইনে আয়োজিত এ বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ, বাংলাদেশ পুলিশ সদর দপ্তর ও জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তাগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
গাম্বিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দুই মন্ত্রী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন, সন্ত্রাস দমন, দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি ক্ষেত্রে দু’দেশের মধ্যে চলমান ও ভবিষ্যৎ সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের সাফল্য ও অনুকরণীয় ভূমিকা ও অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন গাম্বিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি গাম্বিয়ার শান্তিরক্ষী বিশেষ করে পুলিশ বাহিনীর প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন। শান্তিরক্ষী মোতায়েন পূর্ববর্তী প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যাতে গাম্বিয়াকে সহযোগিতা প্রদান করে সে অনুরোধ জানান তিনি। গাম্বিয়ার শান্তিরক্ষীদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে মর্মে আশ্বাস প্রদান করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশেষ করে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা দায়েরের জন্য গাম্বিয়াকে ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, মানবিক কারণে বাংলাদেশ সাময়িকভাবে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে, এ আশ্রয় আরো দীর্ঘায়িত করা অসম্ভব। তিনি আরো বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন অত্যন্ত জরুরি। বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মানবিক আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের প্রশংসা করেন গাম্বিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত করতে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে ফলপ্রসু আলোচনা করেন মন্ত্রীদ্বয়।
গাম্বিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশ ও গাম্বিয়ার মধ্যে সহযোগিতার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ পুনর্ব্যক্ত করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান বাংলাদেশ এ বিষয়ে গাম্বিয়াকে যেকোনো সহায়তা দিতে প্রস্তুত।
জাতিসংঘের সন্ত্রাস দমন বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল (ইউএসজি) এর সাথে বৈঠকের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার গৃহীত সন্ত্রাস দমন বিষয়ক বিভিন্ন উদ্যোগ ও নীতিসমূহ তুলে ধরেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
ইউএসজি ২০২৩ সালের জুনে অনুষ্ঠিতব্য সন্ত্রাস-বিরোধী সংস্থাসমূহের প্রধানদের আসন্ন উচ্চ-পর্যায়ের সম্মেলনে বাংলাদেশকে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানান এবং সেখানে বাংলাদেশের এ সংক্রান্ত উত্তম অনুশীলন ও সাফল্যগাঁথা তুলে ধরার অনুরোধ জানান। বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে জাতিসংঘের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল সন্ত্রাসে অর্থায়ন, পারমাণবিক সন্ত্রাসবাদ, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং কারিগরি সহায়তাসহ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রসারিত করতে জাতিসংঘ প্রস্তুত রয়েছে মর্মে উল্লেখ করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জাতিসংঘ উদ্যানে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু বেঞ্চ ও রোপণকৃত বৃক্ষ পরিদর্শন করেন। এসময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত এবং বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ।
নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল পরিদর্শন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
নিউইয়র্ক, ১ সেপ্টেম্বর :
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান গতকাল নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল পরিদর্শন করেন। এসময় বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ ও নিউইয়র্কে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনেরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম তাদেরকে স্বাগত জানান।
কনস্যুলেটের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময়কালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতির অদম্য অগ্রযাত্রায় একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে সরকারের প্রবাসীবান্ধব নীতি ও পদক্ষেপসমূহের বর্ণনা করেন। প্রবাসীরা দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি সাধনের পাশাপাশি বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন জানিয়ে মন্ত্রী তাদের প্রতি সেবার মান উত্তরোত্তর বৃদ্ধির ব্যাপারে কনস্যুলেটকে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। বাংলাদেশের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধিতে প্রবাসীদের বিনিয়োগের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে তিনি প্রবাসীদেরকে বাংলাদেশের উন্নয়নে, বিশেষ করে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সাথে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে কনস্যুলেটকে আরো অগ্রণী ভূমিকা রাখার পরামর্শ দেন।
কনসাল জেনারেল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিনিধিদলকে কনস্যুলেট এর বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে অবহিত করেন । কনসাল জেনারেল কনস্যুলার ও কল্যাণ সেবাসমূহ ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি আরো উন্নত করার দৃঢ় প্রত্যয় ও প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।