বঙ্গবন্ধু মানবিক দরদী মেধাবী এবং প্রতিবাদী নেতা ছিলেন : শ্রম প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৭ ভাদ্র (২২ আগস্ট) :
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, বঙ্গবন্ধু অত্যন্ত সাহসী নেতা ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই মানবিক, দরদী, মেধাবী এবং প্রতিবাদী মহান নেতা ছিলেন। শৈশব থেকেই এমন সবধরনের গুণের অধিকারী ব্যতিক্রমী নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধু।
প্রতিমন্ত্রী আজ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রম ভবনের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় শোক দিবস এবং জাতির পিতার ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ভৌগোলিক মুক্তি দিয়ে গেছেন। অর্থনৈতিক মুক্তি দিয়ে যেতে পারেননি। তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি এনে দিয়েছেন। সকলে মিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরবর্তী প্রজন্মের উন্নত সমৃদ্ধ দেশ নিশ্চিত করতে হবে।
অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু বারবার জেলে যাওয়ার কারণে মহিয়সী নারী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ছেলে মেয়ে নিয়ে অবর্ণনীয় কষ্ট করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর শক্তি, সাহস আর প্রেরণার প্রধান উৎস ছিলেন বঙ্গমাতা বলে প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ এহছানে এলাহীর সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রদূত ও পররাষ্ট্র সচিব ওয়ালিউর রহমান, শ্রম আপিল ট্টাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ ফারুক, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. সেলিনা আকতার, মাসুদ করিম, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মোঃ নাসির উদ্দীন আহমেদ, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী, কেন্দ্রীয় তহবিলের মহাপরিচালক ড. মোল্লা জালাল উদ্দীন , যুগ্মসচিবগণসহ মন্ত্রণালয়, শ্রম অধিদপ্তর এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন।
আলোচনা সভা শেষে ১৫ আগস্ট এবং ২১ আগস্ট শাহাদত বরণকারী জাতির পিতা এবং তাঁর পরিবারের সদস্যসহ সকল শহিদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
আপাতত বিদ্যালয়ের সময়সূচি পরিবর্তন হচ্ছে না : শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, ৭ ভাদ্র (২২ আগস্ট) :
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, সপ্তাহের ছয়দিনে পাঠদানের যে কাজ সম্পন্ন হতো তা পাঁচ দিনেই সম্পন্ন করতে হবে। এছাড়া আপাতত বিদ্যালয়ের সময়সূচি পরিবর্তন হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
সপ্তাহে দুইদিন ছুটির সরকারি সিদ্ধান্তের পর আজ রাজধানীর ডেফোডিল ইনস্টিটিউট অভ্ আইটি আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, এমনিতেই আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে সপ্তাহে দুইদিন ছুটি থাকবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দুইদিন করার পরিকল্পনা আমাদের ছিল। আমরা দুইদিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত দিয়েছি। সপ্তাহে দুইদিন শুক্র ও শনিবার বন্ধ থাকবে। কেউ কেউ বলেছিলেন বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বন্ধ রাখা যায় কি না। কিন্তু আজকাল অনেক বাবা-মা কর্মজীবী। তাদের ছুটির সঙ্গে সমন্বয় রেখে তাদের বিবেচনা করে শুক্র ও শনিবার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সকল চাকরিজীবীরা সপ্তাহে পাঁচদিন কাজ করে। শুধু শিক্ষকরা ছয়দিন কাজ করে। কাজেই সেই শিক্ষকরাও যদি পাঁচদিন কাজ করে তাহলে অনেক বেশি এনার্জি নিয়ে কাজ করতে পারবে।
চলমান বিদ্যুৎ সংকট এই ছুটি কাজে দেবে কি না প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, কিছুটা তো কাজে দেবেই। ঢাকা শহরে যে পরিমাণ যানবাহন চলে, তার একটা বিরাট সংখ্যক যানবাহন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো কেন্দ্র করে।
সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের সময়সূচি পরিবর্তন পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সময়সূচি পরিবর্তন সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, অনেক বাবা-মা বাচ্চাদের স্কুলে দিয়ে অফিসে যান। পরিবর্তন করতে পারলে ভালো হতো। খুব বেশি অসুবিধা হলে দেখবো, আপাতত সময় যেটা আছে তাই থাকবে।
ডেফোডিল ইনস্টিটিউট অভ্ আইটি আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হচ্ছে। সেসব পরিবর্তনে অনেক চ্যালেঞ্জ থাকবে সন্দেহ নেই। তবে চ্যলেঞ্জ মোকাবিলা করে আমাদের এগুতে হবে। কোনো কিছু সহজ নয়, কোনো কিছু সহজ ছিল না। বঙ্গবন্ধু এই বাংলাদেশটা দিতে গিয়ে অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। প্রত্যেকে সাহস নিয়ে এগিয়ে যাবেন। আমরা যেনো বঙ্গবন্ধুকে হৃদয়ে ধারণ করতে পারি।
মুজিব মানেই বাংলাদেশ: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৭ ভাদ্র (২২ আগস্ট) :
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, বঙ্গবন্ধু যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠন করে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, একদল বিপদ্গামী বাঙালি দেশি-বিদেশি চক্রান্তে জড়িত হয়ে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে। তিনি বলেন, ঘাতকেরা ভেবেছিল মুজিবকে হত্যা করলেই সব শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু ওরা বুঝতে পারেনি মুজিব মানেই বাংলাদেশ। একজন ব্যক্তি মুজিবকে হত্যা করা যায়, কিন্তু তার আদর্শ এবং স্বপ্নকে হত্যা করা যায় না।
প্রতিমন্ত্রী আজ সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির প্রাঙ্গণে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট আয়োজিত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর পরিবারের সদস্য সকল শহিদের আত্মার শান্তি কামনায় আলোচনা ও প্রার্থনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সকল সম্প্রদায়ের মানুষের ধর্মীয়, সামজিক ও মানবিক অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিপূর্ণ সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা। তিনি ১৯৪৭ সালে ধর্মের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রের অসারতা বুঝতে পেরেছিলেন। সেজন্য তিনি বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে সংবিধানের অন্যতম মূলনীতি হিসেবে ধর্ম নিরপেক্ষতাকে সংবিধানের অন্যতম মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের সংবিধানে ধর্ম নিরপেক্ষতার মূলনীতি যুক্ত করে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের ভিত্তি যে ভিত্তি স্থাপন করে গিয়েছেন, তারই সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবেশ সুদৃঢ় করতে আমরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশ বিরোধী একটি গোষ্ঠী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে দেশের সম্প্রীতির চমৎকার পরিবেশ বিনষ্ট করতে চায়। আমরা কোনভাবেই তাদের উদ্দেশ্য সফল হতে দেব না। জনগণকে সাথে নিয়ে আমরা তাদের প্রতিহত করবোই।
হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব ডা. দিলীপ কুমার ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা ও প্রার্থনা সভায় আরও বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক শ্রী সুজিত রায় নন্দী, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত পাল, প্রফেসর অসীম কুমার সরকার, জয়ন্ত কুমার দেব, বিশ্বনাথ সরকার দিপু ও অনিতা সরকার।
অনুষ্ঠান শেষে হিন্দু ধর্মীয় রীতি অনুসরণ করে ১৫ই আগস্টে ঘাতকের বুলেটের আঘাতে নির্মমভাবে শাহাদতবরণকারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যসহ সকলের আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।
বঙ্গবন্ধু হত্যার মতো হৃদয়বিদারক ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৭ ভাদ্র (২২ আগস্ট) :
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার মতো হৃদয়বিদারক ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। চিলিতে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট সালভাদর আলেন্দেকে হত্যাসহ পৃথিবীতে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড আরো ঘটেছে। কিন্তু শিশু ও নারীসহ ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের পরিবারের ১৭ জন সদস্যকে একসঙ্গে নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের নজির বিশ্ব ইতিহাসে খুঁজে পাওয়া যায় না। এমনকি কারবালার করুণ ও শোকাবহ ঘটনায়ও কোন নারী-শিশুকে স্পর্শ করা হয়নি।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস-২০২২ উপলক্ষ্যে ’১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর’ আয়োজিত ‘নজরুল ও বঙ্গবন্ধু: উক্তি ও উপলব্ধির অভিব্যক্তি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
গণহত্যা জাদুঘরের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি ও প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক জাতিসত্তার কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর এর ট্রাস্টি সম্পাদক ড. চৌধুরী শহীদ কাদের।
প্রধান অতিথি বলেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের গান ও কবিতা যেমন মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ তেমনি সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ ও উজ্জীবিত করে নয় মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে। বঙ্গবন্ধু ও নজরুল দু’জনের মধ্যে এক ও অভিন্ন আকাক্সক্ষা ছিল তা হচ্ছে স্বাধীনতা ও মুক্তি। কে এম খালিদ বলেন, বঙ্গবন্ধু নজরুলকে খুব ভালোবাসতেন ও অনুসরণ করতেন। সেজন্য দেশ স্বাধীন হবার পর ১৯৭২ সালে কলকাতা হতে ঢাকায় এনে নজরুলকে জাতীয় কবির স্বীকৃতি প্রদান করেন।
আগস্ট বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দেশ গড়ার শপথ নেয়ার মাস উল্লেখ করে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর বরগুনা ও ময়মনসিংহ বাদে দেশের আর কোথাও প্রতিবাদ-প্রতিরোধ মিছিল হয়নি, যা ছিল অত্যন্ত দুঃখজনক। সেজন্য শুধু মুখে ও বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা না বলে সেটিকে হৃদয়ে ধারণ করে বাস্তব জীবনে অনুসরণ করার জন্য প্রতিমন্ত্রী সকলকে আহ্বান জানান।
প্রতিমন্ত্রী পরে রাজধানীর আগারগাঁওস্থ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে দেশ-বিদেশের প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতাদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত ‘৬ষ্ঠ ঢাকা ডকল্যাব- ২০২২’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।
নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বাংলাদেশ : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
ঢাকা, ৭ ভাদ্র (২২ আগস্ট)
সার্বিক উন্নয়ন ঘটিয়ে নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে স্থানীয় প্রশাসন ও তৃণমূলে নারীর ক্ষমতায়ন অনেক প্রসার ঘটেছে বলেও জানান মন্ত্রী।
আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে ইউনাইটেড নেশন্স ভলান্টিয়ার বাংলাদেশ এবং একশন এইড বাংলাদেশসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থা আয়োজিত ‘ Inspiring Women Volunteers Award-2022’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, নারীদেরকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী এবং নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করার পাশাপাশি সর্বক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে নানা ধরনের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছে সরকার। নারীর ক্ষমতায়ন ও উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এ কারণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরপরই নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
মোঃ তাজুল ইসলাম জানান, দেশের নগর এবং গ্রাম অঞ্চলে অনেকেই স্বেচ্ছাসেবায় যুক্ত হয়েছেন। কিন্তু সেগুলো বিচ্ছিন্নভাবে চলছিল। স্বেচ্ছাসেবাকে একটি প্লাটফর্মে এবং মর্যাদার স্থানে নিয়ে আসার জন্য সরকার দেশে জাতীয় স্বেচ্ছাসেবা নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। যা ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দিয়েছেন। এই নীতিমালা কার্যকর হলে যারা বিনা পারিশ্রমিকে নানা সমাজসেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ করছেন তারা একটি মর্যাদার আসনে আসীন হবেন এবং প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি পাবেন। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই নীতিমালা স্বেচ্ছাসেবা চর্চার বিষয়টিকে আরো গতিশীল করবে। যা জাতীয় উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জন বিশেষত স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে একটি কৌশল হিসেবে কাজ করবে।
মন্ত্রী জানান, করোনার সময় ত্রাণ বিতরণ, আক্রান্ত পরিবারকে সহযোগিতা, অসুস্থদের বাসায় খাবারও ঔষধ পৌঁছে দেয়া, ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম পরিচালনাসহ জনগণকে সচেতন করতে অনেক স্বেচ্ছাসেবী নারী-পুরুষ কাজ করেছেন। স্বেচ্ছাসেবায় নতুন প্রজন্মকে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের যেকোন দুর্যোগে, বিপদে-আপদে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি আকস্মিক বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য স্বেচ্ছাসেবায় জনসাধারণের প্রবেশ ও স্বেচ্ছাসেবার চর্চা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোঃ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সেখ মোহাম্মদ মহসীন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেন রাষ্ট্রদূত অ্যালেক্স বার্গ ফন লিন্ড।
উল্লেখ্য, স্বেচ্ছাসেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য অনুষ্ঠানে ১৫ জন নারীকে পুরস্কৃত করা হয়।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২১ : আবেদন করা যাবে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত
ঢাকা, ৭ ভাদ্র (২২ আগস্ট)
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২১ এ অংশগ্রহণে ইচ্ছুক প্রযোজকদের নিকট থেকে ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টা পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হবে। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২১ প্রদানের লক্ষ্যে সরকার কর্তৃক গঠিত জুরি বোর্ডের ১ম সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
ঢাকার সার্কিট হাউজ রোডে বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ড কার্যালয়ে আজ এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জুরি বোর্ডের সভাপতি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম সভায় সভাপতিত্ব করেন।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২১ প্রদানের লক্ষ্যে দরখাস্ত আহ্বান করে জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়। সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তে আরো বলা হয়, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক প্রযোজকদেরকে নির্ধারিত ছকে আবেদন করতে হবে। আবেদনের ফরম/ছক বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ড কার্যালয় থেকে সংগ্রহ করা যাবে। আবেদনের ফরম সেন্সর বোর্ডের ওয়েবসাইট www.bfcb.gov.bd থেকে ডাউনলোড করেও ব্যবহার করা যাবে। প্রত্যেক আবেদনপত্রের সাথে সংশ্লিষ্ট চলচ্চিত্রের কপি ডিভিডি/পেনড্রাইভ-এ জমা দিতে হবে। পুরস্কারের জন্য প্রস্তাবিত শিল্পী/কলাকুশলী/ব্যক্তিদের ৩ কপি পিপি সাইজ ছবিসহ জীবন-বৃত্তান্ত (বাংলা), জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি/পাসপোর্টের সত্যায়িত ফটোকপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)/শিশু-শিল্পীদের ক্ষেত্রে জন্মনিবন্ধন সনদের সত্যায়িত ফটোকপি আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে।
সভায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মোঃ নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মোঃ নিজামূল কবীর, চলচ্চিত্র পরিচালক মোরশেদুল ইসলাম, অভিনেত্রী সুজাতা আজিম, অভিনেতা জাহিদ হাসান, সংগীত শিল্পী নকিব খান, সংগীত পরিচালক মকসুদ জামিল মিন্টু, দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, ফিল্ম এন্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রিফফাত ফেরদৌস, চিত্রগ্রাহক পংকজ পালিত এবং বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান মুহ. সাইফুল্লাহ অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ২৮টি ক্ষেত্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করা হবে। এগুলো হলো-আজীবন সম্মাননা, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা প্রধান চরিত্রে, শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী প্রধান চরিত্রে, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পার্শ্ব চরিত্রে, শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পার্শ্ব চরিত্রে, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা/অভিনেত্রী খল চরিত্রে, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা/অভিনেত্রী কৌতুক চরিত্রে, শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী, শিশু শিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার, শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক, শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক, শ্রেষ্ঠ গায়ক, শ্রেষ্ঠ গায়িকা, শ্রেষ্ঠ গীতিকার, শ্রেষ্ঠ সুরকার, শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার, শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার, শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা, শ্রেষ্ঠ সম্পাদক, শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক, শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক, শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক, শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজ-সজ্জা এবং শ্রেষ্ঠ মেক-আপম্যান।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার সংক্রান্ত নীতিমালায় বলা হয়েছে, কেবল বাংলাদেশি নাগরিকগণ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবেন; যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে, তবে যৌথ প্রযোজনা চলচ্চিত্রের বিদেশি শিল্পী এবং কলা-কুশলীগণ পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবেন না; জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের বিবেচনাযোগ্য চলচ্চিত্রকে অবশ্যই বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের সেন্সর সনদপত্রপ্রাপ্ত এবং বিবেচ্য বছরে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তিপ্রাপ্ত হতে হবে; স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির কোনো বাধ্যবাধকতা নেই, তবে সেগুলোকে বিবেচ্য বছরে সেন্সর সনদপত্রপ্রাপ্ত হতে হবে।
সার নিয়ে কারসাজি করলে লাইসেন্স বাতিলসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা : কৃষিমন্ত্রী
ঢাকা, ৭ ভাদ্র (২২ আগস্ট) :
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত চাহিদা অনুযায়ী সব রকম সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। কাজেই, সার নিয়ে কারসাজি করে কৃত্রিম সংকট তৈরি ও বেশি দামে বিক্রি করলে ডিলারদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। পাশাপাশি কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে।
আজ রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদ ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশন আয়োজিত আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের ভিত্তি হলো জনগণ। জনগণের সমর্থন নিয়েই বার বার ক্ষমতায় এসেছে, সরকার পরিচালনা করছে। কোনো বিদেশি শক্তি বা রাষ্ট্রের ওপর আওয়ামী লীগ কখনই নির্ভরশীল নয়, তাদের কাছে ধরনাও দেয় না। অন্যদিকে বিএনপি সবসময়ই জনগণ নয়, বরং অন্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে ক্ষমতায় এসেছে। এখনও ক্ষমতায় আসার জন্য তারা বিদেশি প্রভু ও রাষ্ট্রের কাছে ছোটাছুটি করছে, ধরনা দিয়ে বেড়াচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদ ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি এবং কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, বিশেষ অতিথি হিসাবে সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতি, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসান, কৃষিসচিব মোঃ সায়েদুল ইসলাম ও ইমেরিটাস অধ্যাপক সাত্তার মণ্ডল বক্তব্য রাখেন।
প্রধান আলোচক ছিলেন প্রখ্যাত কথাশিল্পী ও বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন। বঙ্গবন্ধুর ওপর স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোল। বাকৃবি অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আওলাদ হোসেনের সঞ্চালনায় সংগঠনের নির্বাহী সভাপতি মোঃ হামিদুর রহমান ও ছাত্রলীগ বাকৃবি শাখার সাবেক সভাপতি সারোয়ার মোর্শেদসহ বিশিষ্ট কৃষিবিদগণ বক্তব্য প্রদান করেন।
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপের মশাল প্রজ্বলন
টুঙ্গিপাড়া, ৭ ভাদ্র (২২ আগস্ট)
মুজিববর্ষ ও বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীকে উৎসর্গ করে ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার দেশ, তারুণ্যের বাংলাদেশ’ কে প্রতিপাদ্য হিসেবে ধারণ করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে সারা দেশের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মিলিত অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ’ এর ৩য় আসর।
এ চ্যাম্পিয়নশিপের পক্ষ থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং প্রতিযোগিতার মশাল প্রজ্বলন অনুষ্ঠিত হয়।
আজ শোকাবহ আগস্ট স্মরণে বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপের পক্ষ থেকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদ ও বিভিন্ন প্রথিতযশা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপের সাংগঠনিক কমিটির চেয়ারম্যান এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে দেশের ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যবৃন্দ, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, গোপালগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসক, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এবং বিকেএসপি এর প্রতিনিধিগণ, পৃষ্ঠপোষক, সংশ্লিষ্ট ফেডারেশন ও পরিচালনাকারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিগত বছরের আসরগুলোর সাফল্যের ধারাবাহিকতার প্রত্যাশা রেখে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় আসর উপলক্ষ্যে জাতির পিতার সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন ও প্রতিযোগিতার মশাল প্রজ্বলন করতে পেরে আমরা আবেগাপ্লুত, অভিভূত। আমরা জাতির পিতার স্মৃতিবিজড়িত বাঙালির তীর্থ ভূমি টুঙ্গিপাড়াকে বেছে নিয়েছি কারণ আমরা আমাদের তরুণ প্রজন্মের মন ও মননের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শনকে প্রোথিত করার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, টুঙ্গিপাড়া শুধু কোনো স্থান বিশেষ নয়, এটি বাঙালির আবেগ অনুভূতির নাম। এটি বাঙালির অস্তিত্বের সাথে মিশে আছে। এটি বাঙালির তীর্থভূমি। এখানেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন বাংলা ও বাঙালির সেই পরম আরাধ্য পুরুষ। যার মাধ্যমে বাঙালি পৃথিবীতে প্রথম তার রাষ্ট্র পেয়েছে, আত্মপরিচয় পেয়েছে।
আলোচনা সভা শেষে এই প্রতিযোগিতার ফিক্সচার ড্র ও মশাল প্রজ্বলন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও সম্মানিত অতিথিবৃন্দ সম্মিলিতভাবে এই মশাল প্রজ্বলনে অংশগ্রহণ করেন।
মন্ত্রিসভায় ‘সিলেট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কৃতজ্ঞতা
ঢাকা, ৭ ভাদ্র (২২ আগস্ট) :
আজ মন্ত্রিপরিষদ সভায় সিলেট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন লাভ করায় সিলেটবাসীর পক্ষ হতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কর্তৃক সিলেট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন- ২০২২ এর খসড়া উপস্থাপন করা হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বৈঠকে বলেন, আধ্যাত্মিক ও পর্যটন নগরী সিলেট সুন্দর একটি শহর। সিলেটে ইতোপূর্বে অনেক পুকুর ও জলাশয় ছিল। কিন্তু সম্প্রতি জলাশয়, পুকুর ভরাট করে অপরিকল্পিতভাবে যত্রতত্র
ঘর-বাড়ি ও বিল্ডিং তৈরির ফলে যানজট, জলাবদ্ধতা সৃষ্টিসহ সিলেটের প্রাকৃতিক পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
‘সিলেট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন- ২০২২’ পাস হলে সিলেটকে পরিবেশবান্ধব শহর হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠকে অবহিত করেন।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২১ এর জন্য আবেদনপত্র আহ্বান
ঢাকা, ৭ ভাদ্র (২২ আগস্ট) :
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২১ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক সংশ্লিষ্ট প্রযোজকদের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে। আজ বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মোট ২৮টি ক্যাটেগরিতে প্রদত্ত এ পুরস্কারের জন্য কেবল বাংলাদেশি নাগরিকগণ বিবেচিত হবেন। আজীবন সম্মাননা পুরস্কারের জন্য জীবিত ব্যক্তিদেরকে বিবেচনা করা হবে। যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে, তবে যৌথ প্রযোজনা চলচ্চিত্রের বিদেশি শিল্পী এবং কলা-কুশলীগণ পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবেন না। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য বিবেচনাযোগ্য চলচ্চিত্রকে অবশ্যই বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের সেন্সর সনদপত্র প্রাপ্ত এবং বিবেচ্য বছরে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তিপ্রাপ্ত হতে হবে। স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির কোনো বাধ্যবাধকতা থাকবে না, তবে তা ২০২১ সালে সেন্সর সনদপত্র প্রাপ্ত হতে হবে।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক প্রযোজকদেরকে নির্ধারিত ছকে আবেদন করতে হবে। আবেদনের ফরম/ছক বিনামূল্যে বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ড কার্যালয় থেকে সংগ্রহ করা যাবে। আবেদনের ফরম সেন্সর বোর্ডের ওয়েবসাইট www.bfcb.gov.bd থেকে ডাউনলোড করেও ব্যবহার করা যাবে।
অংশগ্রহণকারী প্রযোজকগণকে তাদের নিজ নিজ চলচ্চিত্রের একটি উন্নতমানের ডিভিডি/পেনড্রাইভ এবং নির্ধারিত ছকে প্রযোজক, পরিচালক এবং সংশ্লিষ্ট শিল্পী ও কলা-কুশলীদের নাম, প্রত্যেকের ৩ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি, ঠিকানা, টেলিফোন, মোবাইল নম্বর, ই-মেইলসহ জীবন-বৃত্তান্ত (বাংলায়), চলচ্চিত্রের কাহিনি সংক্ষেপ, শিল্পী ও কলাকুশলী তালিকা এবং গানের কথা সংবলিত ১৫ সেট ভাইস চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ড ও সদস্য-সচিব, জুরি বোর্ড, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২১, তথ্য ভবন (১৪ তলা), ১১২ সার্কিট হাউজ রোড, রমনা, ঢাকা-১০০০ ঠিকানায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পৌঁছাতে হবে।
২১ আগস্ট নিয়ে রিজভীর বক্তব্য আদালত অবমাননা ও ফৌজদারি অপরাধ : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ৭ ভাদ্র (২২ আগস্ট) :
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা নিয়ে বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্য সরাসরি আদালত অবমাননা, আদালতের প্রতি চ্যালেঞ্জ ও ফৌজদারি অপরাধ এবং আমি মনে করি এজন্য আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।’
আজ সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে ‘বিএনপি নেতা রিজভী ২১ আগস্টের ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতাদের ও বিদেশিদের দায়ী করছেন’ এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী যে বক্তব্য দিয়েছেন এটি সরাসরি আদালত অবমাননা, আদালতের প্রতি চ্যালেঞ্জ এবং ফৌজদারি অপরাধ। আমি মনে করি, তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা এবং ফৌজদারি অপরাধ এ দু’টি কারণে ব্যবস্থা নেওয়া, মামলা হওয়া প্রয়োজন। কারণ ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা নিয়ে মামলা হয়েছে, দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া অবলম্বন করে, মামলার সাক্ষ্য সম্পন্ন করে বিচার হয়েছে। বিচারে অনেকের ফাঁসি হয়েছে এবং তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। যেটি আদালতে মীমাংসিত এবং আদালতে শাস্তিপ্রাপ্ত সেটি নিয়ে এ ধরনের কথা বলা আদালতের প্রতি ধৃষ্টতা প্রদর্শন, আদালত অবমাননা এবং ফৌজদারি অপরাধ।’
সরকারি অফিস সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত করা বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে সেচের সুবিধার্থে, কৃষির সুবিধার্থে গ্রামে লোডশেডিং কমানোর জন্য সাময়িকভাবে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই মৌসুমের ধান সেচ ও সূর্যালোকের ওপর নির্ভর করে। এ সময় সেচের প্রয়োজন হতো না, কিন্তু এ বছর পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকরা ধান বুনতে এবং অন্যান্য কৃষিকাজ করতে পারছে না। এখন যদি তাদেরকে আমরা সেচের জন্য বিদ্যুৎ দেই সেটি খুব বেশি কাজে লাগবে। ১০-১৫ দিন পরে দেওয়া শুরু করলে ততো কাজে লাগবে না।
এসময় বিশ্বব্যাপী উদাহরণ দিয়ে ড. হাছান বলেন, উন্নত দেশগুলোসহ সমগ্র পৃথিবীতে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য এ ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইউরোপের দেশগুলোতে পানি গরম করার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। যুক্তরাজ্যে সপ্তাহে তিনদিন স্কুল করা হচ্ছে। জার্মানিসহ বিভিন্ন জায়গায় যেখানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কখনো বিদ্যুৎ যায়নি সেখানেও নানা ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিশ্বব্যাপী খরা চলছে। আমাদের দেশে যাতে সে কারণে ফসলহানি না হয়, সেজন্য এ ব্যবস্থা।
এর আগে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী কবি, সাংবাদিক, গীতিকার ও সফেন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ড. খান আসাদুজ্জামান রচিত ‘ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের মহাকাব্য’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, প্রকৃতপক্ষে ৭ই মার্চের ভাষণ বিশ্ব ইতিহাসে একটি কালজয়ী ভাষণ। যে ভাষণের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি নিরস্ত্র জাতিকে সশস্ত্র জাতিতে রূপান্তর করেছিলেন। হাজার বছরের ঘুমন্ত বাঙালিকে তিনি স্লোগান শিখিয়েছিলেন ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো’। বঙ্গবন্ধু যখন ঘোষণা করলেন ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ সেই সমাবেশ থেকে বাঙালিরা বেরিয়ে পড়লো, ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো’ স্লোগান দিয়ে। বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণকে বিশ্ব ঐতিহ্যের দলিল হিসেবে জাতিসংঘের ইউনেস্কো স্বীকৃতি দিয়েছে অর্থাৎ বিশ্ব ইতিহাসে এটি একটি অনন্য ভাষণ। এ বিষয়ে কাব্যগ্রন্থ রচনা করার জন্য ড. খান আসাদুজ্জামানকে ধন্যবাদ জানাই, প্রকাশকসহ এর সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমি ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই।
সোসাইটি ফর এনলাইটেনিং নেশন-সফেন ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক ডিআইজি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ গোলাম কিবরিয়া ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স ম গোলাম কিবরিয়া বিশেষ অতিথি, কথাশিল্পী বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবুর রহমান মজনু এবং এফবিসিসিআইয়ের কেন্দ্রীয় সদস্য রানা চৌধুরী সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বিএসইসি ভবন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উদ্বোধন করলেন শিল্পমন্ত্রী
ঢাকা, ৭ ভাদ্র (২২ আগস্ট) :
আজ শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশন (বিএসইসি) আয়োজিত “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ম্যুরাল” এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বিএসইসি ভবন প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। মুজিব শতবর্ষ উদ্যাপনের অংশ হিসেবে বিএসইসি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে।
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু মানুষের দুঃসময়ে পাশে থাকার রাজনীতি করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সবসময় গণমানুষের রাজনীতি করছেন। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের প্রতিটি দুঃসময় ও দুর্যোগে জনগণের পাশে থেকেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অনুসরণ করে দেশ পরিচালনায় এগিয়ে যাচ্ছেন। আওয়ামী লীগ দীর্ঘ সময় রাষ্ট্র পরিচালনায় আছে বলেই দেশ শিল্পসমৃদ্ধ হয়েছে এবং এই উন্নয়নের সুফল সবাই ভোগ করতে পারছে। বঙ্গবন্ধু আজীবন গণতান্ত্রিক ও উন্নয়নের রাজনীতি করেছেন বলেই দেশ আজ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশ পরিচালনায় পরিপূর্ণ জ্ঞান ছিল বলেই স্বাধীনতা পরবর্তী অতি অল্প সময়েই দেশ পুনর্গঠন করতে পেরেছিলেন।
বিএসইসি’র চেয়ারম্যান মোঃ শহীদুল হক ভূঞার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এতে অন্যান্যের মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় এবং বিএসইসি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সম্মিলিতভাবে সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবিলা করতে হবে : আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৭ ভাদ্র (২২ আগস্ট) :
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা একা কোনো দেশের পক্ষে সম্ভব নয়। তিনি বলেন, এজন্য আন্তঃদেশীয় যোগাযোগের মাধ্যমে সম্মিলিতভাবে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। দেশের সাইবার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আইসিটি বিভাগের বিজিডি ই-গভ সার্ট কাজ করছে, পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সাইবার হামালার সম্ভাব্য ঝুঁকি ও রক্ষার বিষয়ে অবহিত করছে।
আজ বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে আইসিটি বিভাগের ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি’র উদ্যোগে “বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে জাতীয় পর্যায়ে উদীয়মান (ইমার্জিং) সাইবার হুমকির” বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে সাইবার সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক সূচকে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু হ্যাকারদের সাম্প্রতিক কর্মকণ্ডে ব্যাংকিং ও সরকারি-বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বিদ্যুৎ সরবরাহ ও সঞ্চালন লাইনগুলো ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, সাইবার স্পেসকে নিরাপদ রাখতে মূলত ৪টি পূর্বশর্ত নিশ্চিত করতে হবে। ব্যক্তিগত পর্যায়ে সচেতনতা তৈরি, পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা প্রদান, প্রযুক্তিগত সক্ষমতা এবং আইনের কঠোর প্রয়োগ। তিনি আরো বলেন, ওপেনসোর্স ইন্টেলিজেন্স বা ওএসআইএনটির পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে সাম্প্রতিক সময়ে স্টেট স্পন্সর হ্যাকারদের তৎপরতা বেড়েছে। সে জন্য তিনি সবাইকে সতর্ক ও প্রযুক্তি দক্ষতা অর্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
পলক বলেন, গোপনেই দেশের মোবাইল অপারেটরগুলো সাইবার হামলার শিকার হচ্ছে। তিনি বলেন, আর্থিক ও পাওয়ার সেক্টর ছাড়াও এবার দেশের মোবাইল অপারেটরদের ওপর দৃষ্টি পড়েছে সংঘবদ্ধ হ্যাকারদের। ইতোমধ্যেই একাধিক মোবাইল অপারেটর ইনফেক্টেড। অপারেটরগুলোর ডেটাবেজ, সার্ভার ও পরিকাঠামো ইতোমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছে। এজন্য দ্রুত আইটি অডিট করার আহ্বান জানিয়ে ডিএসএ-তে একটি সফটওয়্যার টেস্টিং ল্যাব থেকে সংশ্লিষ্টদের নিরীক্ষা করিয়ে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র, ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক মোঃ খায়রুল আমিন এবং বিডিজিডি ই-গভ সার্ট পরিচালক তারেক মোসাদ্দেক বরকতউল্লাহ।
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির মৃত্যুতে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর শোক
ঢাকা, ৭ ভাদ্র (২২ আগস্ট) :
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলী সরকার, বীর বিক্রম-এর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
প্রতিমন্ত্রী আজ এক শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
বীরমুক্তিযোদ্ধা শওকত আলী বীর বিক্রমের মৃত্যুতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর শোক
ঢাকা, ৭ ভাদ্র (২২ আগস্ট):
চিলমারী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা শওকত আলী বীর বিক্রমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।
এক শোকবার্তায় তিনি মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, অকুতোভয় বীরসেনানী শওকত আলী মহান মুক্তিযুদ্ধে ১১ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেন এবং রণাঙ্গনে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তিনি বীর বিক্রম খেতাবে ভূষিত হন। তিনি আমৃত্যু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ লালন করেছেন। তিনি প্রান্তিক পর্যায়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁর মৃত্যুতে দেশ একজন দেশপ্রেমিককে ও আওয়ামী লীগ একজন দক্ষ সংগঠককে হারালো।
ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে খাদ্য মন্ত্রণালয় শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছে : খাদ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ৭ ভাদ্র (২২ আগস্ট) :
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, পর্যায়ক্রমে সকল উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে মোটর সাইকেল দেওয়া হবে। এতে সরকারের প্রকিউরমেন্ট, ওএমএস কার্যক্রম ও অবৈধ মজুতদারী মনিটরিং করা সহজ হবে।
আজ সকালে রাজধানীর খাদ্য ভবনের সভা কক্ষে মাঠ পর্যায়ের উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের অনুকূলে মোটর সাইকেল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ কথা বলেন ।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, করোনাকালে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাগণ নিজেদের সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছেন। এ সময় জনগণের খাদ্যাভাব হয়নি। ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে খাদ্য মন্ত্রণালয় শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছে। এ বড় অর্জনের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে যেন এমন কেউ অন্তর্ভূক্ত না হয় যার এ কর্মসূচিতে অন্তর্ভূক্ত হওয়ার প্রয়োজন নাই। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে বরাদ্দ বাড়িয়ে দ্বিগুণ করা হয়েছে। কেউ যেন সরকারি কর্মসূচিতে অনিয়ম, জালিয়াতি করতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকগণকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকা যাচাই বাছাই করার কাজে মনোযোগী হতে হবে।
খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক মো: সাখাওয়াত হোসেন এর সভাপতিত্বে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব
মো: ইসমাইল হোসেন, খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং পরিচালক (চলাচল ও সংরক্ষণ) মো. জামাল হোসেন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
পরে খাদ্যমন্ত্রী সরকারি মোটর সাইকেল বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
ডিজিটাল বিপ্লব দেশে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা করেছে : টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ঢাকা, ৭ ভাদ্র (২২ আগস্ট):
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল বিপ্লব প্রচলিত ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা করেছে। সামনের দিনে রোবট ল্যাপটপ কিংবা ডেস্কটপের জায়গা দখল করে নিবে। ইতোমধ্যেই পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে ইন্টারনেট কল বেড়ে যাওয়ায় ভয়েস কল শতকরা ৪০ ভাগ কমে গেছে। পরিবর্তনের এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এবং প্রতিনিয়ত উদ্ভাবিত ডিজিটাল প্রযুক্তির সাথে খাপ খাওয়াতে নীতিনির্ধারক, গবেষক, ট্রেডবডি ও ইন্ডাস্ট্রিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী গতকাল ঢাকায় এক হোটেলে বিসিএস ল্যাপটপ সমিতি- ইস্টার্ন প্লাস আয়োজিত সদস্যদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় এদেশের প্রচলিত ধারা পাল্টে গেছে। ১৯৬৪ সালে দেশে কম্পিউটারের যাত্রা শুরু হলেও কম্পিউটারের বিপ্লবের সূচনা হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। তিনি বলেন, কম্পিউটারকে সাধারণের জন্য সহজলভ্য করতে বিসিএস এর দাবির প্রেক্ষিতে ৯৮-৯৯ সালের বাজেটে ভ্যাট ট্যাক্স প্রত্যাহার করা হয়। এর ফলে দেশে কম্পিউটার প্রযুক্তি বিকাশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন শুরু হয়। বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) এবং বেসিস এর সাবেক সভাপতি মোস্তাফা জব্বার কম্পিউটার প্রযুক্তি বিকাশে সে সময়ে প্রযুক্তিখাতের একমাত্র সংগঠন বিসিএস’র ভূমিকা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, কম্পিউটার কী এবং এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করার জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে মেলাসহ কম্পিউটার ব্যবহারের বিষয়ে মানুষের মধ্যে আগ্রহ তৈরির কাজটি করেছে এই সংগঠন।
ল্যাপটপ কিংবা ডেস্কটপের পাশাপাশি মোবাইলসহ সকল প্রকার ডিজিটাল প্রযুক্তি একই ছাদের নিচে কেনাবেচার সময় এসে গেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মনে রাখতে হবে আমরা যে যুগে বাস করছি সে যুগ ডিজিটাল যুগ। ডিজিটাল যুগের গোড়াপত্তনের সময় বিসিএস যে ভূমিকা রেখেছে প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রত্যেককে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে সমিতির নেতৃবৃন্দের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
পরে মন্ত্রী বিসিসিএস ল্যাপটপ বাজার সমিতির সদস্যদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলী, বীর বিক্রমের মৃত্যুতে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর শোক
ঢাকা, ৭ ভাদ্র (২২ আগস্ট) :
কুড়িগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলী, বীর বিক্রমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
আজ এক শোকবার্তায় প্রতিমন্ত্রী জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলী চিলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় শওকত আলী একজন শিক্ষার্থী হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ নেন এবং ১১ নম্বর সেক্টরের অধীনে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তিনি বীর বিক্রম খেতাবে ভূষিত হন। শওকত আলী আমৃত্যু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ লালন করে প্রান্তিক পর্যায়ে কাজ করেছেন। তাঁর মৃত্যুতে দেশ একজন দেশপ্রেমিক মানুষকে হারালো।
প্রতিমন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।