আসামে ৩০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ রপ্তানি হবে : টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ঢাকা, ৮ ভাদ্র (২৩ আগস্ট):
ভারতের আসাম রাজ্যের রাজ্য সরকারের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান আসাম ইলেক্ট্রনিকস ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড বাংলাদেশ থেকে ৩০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ আমদানি করা নিশ্চিত করেছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ও ভারতের একটি প্রতিনিধিদলের মধ্যে আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রীর দপ্তরে এক বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে ব্যান্ডউইথ রপ্তানির বিষয়টি নীতিগতভাবে চূড়ান্ত হয়। বৈঠকে আগামী নভেম্বরের মধ্যে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর এই বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরসহ রপ্তানির বিষয়টি চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। এর আগে এ বিষয়ে ঢাকায় কোম্পানির প্রতিনিধির সাথে প্রাথমিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মেঘালয় রাজ্য সরকারের যুগ্মসচিব Kumbamut Lang Nongbri এ বৈঠকে প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। বৈঠকে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সাহাব উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী প্রতিনিধিদলকে আশ্বস্ত করে বলেন, আমাদের ব্যান্ডউইথ রপ্তানির বিষয়ে কোনো সমস্যা নেই, আমাদের নিজস্ব চাহিদা মেটানোর পরও হাতে যথেষ্ট পরিমাণ ব্যান্ডউইথ আছে ও থাকবে। তিনি বলেন, দেশে নেটওয়ার্কের বর্ধিত চাহিদা মিটিয়ে সৌদি আরব ও ভারতে ব্যান্ডউইথ রফতানি করা হচ্ছে। বাংলাদেশ তৃতীয় সাবমেরিন কেবল সংযোগের কাজ শুরু করেছে। তৃতীয় সাবমেরিন সংযোগ সম্পন্ন হলে অতিরিক্ত আরো প্রায় ১৩২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সংযুক্ত হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এছাড়া প্রথম সাবমেরিন কেবলে আরো ৩৮০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সংযুক্ত হচ্ছে অর্থাৎ বর্তমানে বিদ্যমান ক্যাপাসিটির চেয়ে প্রায় ৫ গুণ বেশি।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ইন্টারনেটকে ডিজিটাল বাংলাদেশের মহাসড়ক আখ্যায়িত করে দেশের মানুষের ডিজিটাল জীবনধারা নিশ্চিত করতে প্রতিটি অঞ্চলে নেটওয়ার্ক সুবিধা পৌঁছে দিতে সরকার গৃহীত কর্মসূচি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ২০০৮ সালে দেশে মাত্র সাড়ে সাত জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ব্যবহৃত হতো। ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৮ লাখ। ২০২০ সালে কোভিড শুরুর প্রাক্কালে দেশে ১ হাজার জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হতো। বর্তমানে তা বেড়ে ৩৮০০ জিবিপিএসে উন্নীত হয়েছে। ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১৩ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
প্রতিনিধিদলের অপর সদস্যরা হলেন আসাম ইলেক্ট্রনিকস ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেডের ম্যানেজার শ্যামল সরকার, আসাম ইলেক্ট্রনিকস ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেডের কনসালটেন্ট সিআর ডেকা, দীপংকর চৌধুরী। প্রসঙ্গত, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য বাংলাদেশ থেকে ২০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ আমদানি করে। ১০ জিবিপিএস দিয়ে আমদানি শুরু করলেও সম্প্রতি তা বেড়ে ২০ জিবিপিএসে উন্নীত হয়েছে।
মানুষের কষ্ট লাঘবে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে : কৃষিমন্ত্রী
ঢাকা, ৮ ভাদ্র (২৩ আগস্ট):
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সারের কোনো ঘাটতি নেই। আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত চাহিদার অতিরিক্ত সারের মজুত রয়েছে। সরকার এখন আগামী বোরো মৌসুমের জন্য সার সংগ্রহ করছে। তারপরও কিছু ডিলার ও অসাধু ব্যবসায়ী স্থানীয়ভাবে দাম বাড়িয়ে অস্থিরতা তৈরি করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আজ রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে ধান, গমসহ ২৮টি ফসলের ভবিষ্যৎ চাহিদা ও যোগান নিরূপণে পরিচালিত গবেষণার চূড়ান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন বিষয়ক কর্মশালায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষিসচিব মোঃ সায়েদুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মোঃ বখতিয়ার।
মন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক সংকটের কারণে দেশেও কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। সেটিকে কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মুনাফার জন্য দাম বাড়িয়েছে। কিছু ব্যবসায়ী আমনের উৎপাদন কমবে জেনে ইতিমধ্যে চাল মজুত করছে। সেজন্য বাজারে চালের সরবরাহ কমায় দাম বাড়ছে।
ভোগ্যপণ্যের দাম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমরা স্বীকার করছি, মানুষ কষ্টে রয়েছে। যাদের আয় কম তাদের সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে। তবে সরকার মানুষের কষ্ট লাঘবে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। কীভাবে দ্রুত সবকিছুর দাম কমানো যায় সে চেষ্টা সরকারের রয়েছে। তবে বিশ্ব পরিস্থিতি আরো খারাপ। সেজন্য বিশ্বজুড়েই এ অস্থিতিশীলতা।
মন্ত্রী বলেন, আমন চাল উৎপাদনের দ্বিতীয় বৃহত্তম মৌসুম। খরা আর অনাবৃষ্টির কারণে এবছর আমন রোপণ ব্যাহত হচ্ছে। অন্যদিকে জ্বালানি তেলের দাম বেশি। গ্রামগঞ্জে অনেক সময় বিদ্যুৎ থাকছে না। সেচ সংকট তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দেরিতে লাগানো আমনের ক্ষেত এখন সেচের অভাবে ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। সেজন্য আমন নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছি। তিনি বলেন, গতকাল কেবিনেটে এ পরিস্থিতি নিয়ে অলোচনা হয়েছে। আমি বলেছি, আগস্টের পরে ধান রোপণ করলে উৎপাদন কমে যাবে। আগামী ১৫ দিন আমনের সেচের কাজে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী সেটি বিবেচনায় নিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগকে রাতে সেচের জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আশা করছি, এ সিদ্ধান্ত তারা (বিদ্যুৎ বিভাগ) পালন করবে।
২৮টি ফসলের ভবিষ্যৎ চাহিদা ও যোগান নিয়ে স্টাডির প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এ ধরনের স্টাডি খুবই প্রয়োজন। সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে চাল, গমসহ বিভিন্ন ফসলের চাহিদা ও উৎপাদনের পরিসংখ্যান থাকলে সুষ্ঠু পরিকল্পনা প্রয়োজন করা সম্ভব হয়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগাম ব্যবস্থা গ্রহণ করাও সম্ভব হবে। এসময় স্টাডিকে আরো সঠিক করার নির্দেশনা প্রদান করেন মন্ত্রী ।
গরিব ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো বিত্তবানদের নৈতিক দায়িত্ব : শিল্প প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৮ ভাদ্র (২৩ আগস্ট) :
শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেছেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের ভয়াল থাবা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বিরূপ প্রভাবে সমগ্র বিশ্বেই অর্থনৈতিক মন্দা চলমান রয়েছে। আমাদের দেশে সরকারের পক্ষ থেকে জনকল্যাণে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে গরিব ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদেরকে সাধ্য মোতাবেক সাহায্য-সহযোগিতা করা বিত্তবানদের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য।
আজ রাজধানীর মিরপুরে মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠে জাতীয় শোক দিবস-২০২২ উপলক্ষ্যে গরিব ও অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, একাত্তরের পরাজিত শত্রু বাংলার প্রকৃত ইতিহাসকে বিকৃত করার জন্য, বঙ্গবন্ধুর নামকে মুছে ফেলার জন্য অতীতের ন্যায় এখনো নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। যারা বাস্তবকে অস্বীকার করে কল্পিত কাহিনী ও পরিস্থিতি বানিয়ে দেশের সরলপ্রাণ মানুষকে বিভ্রান্ত ও বিপথগামী করে দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও শান্তির ধারাকে ব্যাহত করতে চায়, একাত্তরের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ এক বাংলাদেশ, সেই স্বপ্নই বাস্তবায়ন করছেন তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় করোনাসহ সকল বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে ২০৪১ সালের মধ্যেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে উঠবে, ইনশাআল্লাহ।
অনুষ্ঠান শেষে প্রতিমন্ত্রী ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের চার শতাধিক গরিব ও অসহায় পরিবারের মাঝে নিজের পক্ষ থেকে ১০ কেজি চালসহ খাদ্যসামগ্রীর একটি করে প্যাকেট বিতরণ করেন।
১৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব শামসুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ ফরহাদ হোসেন, হাজী আলী হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলবেলী আফিফা রহমানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আমন সেচ নিশ্চিতকরণে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় কৃষিসচিব : রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে
ঢাকা, ৮ ভাদ্র (২৩ আগস্ট) :
চলমান আমন মৌসুমে প্রয়োজনীয় সেচ নিশ্চিতকরণের জন্য রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিসচিব মোঃ সায়েদুল ইসলাম। এছাড়া সেচের প্রয়োজনে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ প্রয়োজন হলে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা নিশ্চিত করবে বলে জানান সচিব।
আজ সচিবালয়ে ভার্চুয়ালি ‘আমন মৌসুমে প্রয়োজনীয় সেচ নিশ্চিতকরণে করণীয়’ বিষয়ক সভা শেষে কৃষিসচিব এ কথা বলেন।
সভায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিনিধি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বলাই কৃষ্ণ হাজরা, অতিরিক্ত সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, বিএডিসির চেয়ারম্যান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এবং মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা সংযুক্ত ছিলেন।
কৃষিসচিব বলেন, এবার আমনে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ৫৯ লাখ হেক্টর, যার মধ্যে ৪৭ লাখ হেক্টরে আবাদ হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার ৭০ শতাংশ ও সন্তোষজনক। বিশেষ করে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে লক্ষ্যমাত্রার ৯৮ শতাংশ অর্জিত হয়েছে। এ মাসের মধ্যে যাতে লক্ষ্যমাত্রার শতভাগ অর্জন করা যায় এবং রোপণের পর অন্তত ৩০ দিন যাতে সেচ নিশ্চিত করা যায়, সে লক্ষ্যেই আলোচনা হয়েছে। এ সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন করতে পারলে আমনের ক্ষতি পোষানো সম্ভব হবে। মন্ত্রণালয় কৃষকের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে যাতে খাদ্য নিরাপত্তা অক্ষুণ্ন রাখতে পারে।
আলোচনা সভায় চলমান আমন মৌসুমে প্রয়োজনীয় সেচ নিশ্চিতকরণের নিম্নরূপ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়:
রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে বিদ্যুৎ বিভাগ; সেচের প্রয়োজনে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ প্রয়োজন হলে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা নিশ্চিত করবে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডসহ অন্যরাও এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করবে; সেচের সুবিধার্থে পানি উন্নয়ন বোর্ড তাদের বৃহৎ সেচ প্রকল্পগুলো চালু করেছে। উপজেলা সেচ কমিটি দ্রুত মিটিং করে সেচের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে এবং সে অনুযায়ী সেচের ব্যবস্থা করা হবে। আমনে বাড়তি সেচের জন্য কৃষকদের অতিরিক্ত খরচের বিষয়ে নগদ সহায়তা প্রদানের বিষয়টি কৃষি মন্ত্রণালয় বিবেচনা করছে। বৃষ্টির অভাবে যারা ধানের চারা উৎপাদন করতে পারেনি তাদেরকে কৃষি মন্ত্রণালয় হতে বিনামূল্যে চারা প্রদান করা হবে।
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সাথে নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের সেক্রেটারি জেনারেলের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ৮ ভাদ্র (২৩ আগস্ট) :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ এনামুর রহমানের সাথে আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের সেক্রেটারি জেনারেল জান এজল্যান্ড (Jan Egeland) সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে রোহিঙ্গা নাগরিকদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন, এদেশে অবস্থানকালে তাদের জীবনমান উন্নয়নে প্রকল্প গ্রহণ, বিশেষ করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সেনিটেশনসহ তাদের ক্যাম্পে অবস্থানকালীন কাজের সুবিধা বৃদ্ধি ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী মিয়ানমারের বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত নাগরিক রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা নাগরিকদেরকে যত তাড়াতাড়ি তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করানো যায় সবার জন্য যতই মঙ্গল। তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনে মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশ্ব জনমত গঠনে এগিয়ে আসতে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান।
নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, বাংলাদেশ বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদেরকে আশ্রয় দিয়ে মানবিক বিপর্যয় থেকে এসকল নাগরিকদের রক্ষা করেছে।
কর্মকর্তাদের বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য নির্দেশ দিলেন পাবর্ত্য মন্ত্রী
ঢাকা, ৮ ভাদ্র (২৩ আগস্ট) :
পাবর্ত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর ঊশৈ সিং, সরকারের নিয়মের মধ্যে আবদ্ধ থেকে জনস্বার্থ বিবেচনায় দফতরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ব্যবহার সাশ্রয় করার জন্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।
আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী পাবর্ত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কতিপয় ব্যয় সাশ্রয়ের জন্য আয়োজিত পর্যালোচনা সভায় মন্ত্রী এ নির্দেশ দেন।
সাম্প্রতিক সময়ে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় মন্ত্রণালয়ের গাড়ির জ্বালানি ব্যয় ২০% থেকে ৫০% হ্রাস করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে এ ক্ষেত্রে গাড়ির অতিরিক্ত জ্বালানি তেলের প্রয়োজন হলে গাড়ি ব্যবহারকারীগণ তাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তা বহন করে গাড়ি চলমান রাখতে পারবেন।
পাবর্ত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগম এর সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত সচিব সতেন্দ্র কুমার সরকার, অতিরিক্ত সচিব মোঃ আমিনুল ইসলাম, যুগ্মসচিব আলেয়া আক্তারসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম পোর্ট এবং বে–টার্মিনাল অপারেশন এবং লজিস্টিকস সাপোর্টের বিষয়ে ইউএই’র ডিপি ওয়ার্ল্ডের আগ্রহ প্রকাশ
ঢাকা, ৮ ভাদ্র (২৩ আগস্ট) :
সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) ডিপি ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের চট্টগ্রাম পোর্ট এবং এর বে-টার্মিনাল অপারেশন এবং সমন্বিত লজিস্টিকস সাপোর্টের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তারা ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপো (আইসিডি) এবং মেরিটাইম সেক্টরেও বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করে।
আজ সচিবালয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সাথে ডিপি ওয়ার্ল্ডের সাবকন্টিনেন্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিজওয়ান সুমারের (RIZWAN SOOMAR) নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করতে এসে এ আগ্রহের কথা প্রকাশ করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো জোরদারের বিষয়ে আলোচনা হয়।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল, ডিপি (দুবাই পোর্ট) ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষের সাবকন্টিনেন্টের পরিচালক (বাণিজ্যিক ও বিজনেস ডেভেলপমেন্ট) কেভিন ডি’সুজা (KEVIN D’SOUZA), ডিপি ওয়ার্ল্ড এর বাংলাদেশস্থ কান্ট্রি ডিরেক্টর শামীমুল হক এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২১
আবেদন করা যাবে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত
ঢাকা, ৮ ভাদ্র (২৩ আগস্ট)
‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২১ প্রদানের লক্ষ্যে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক প্রযোজকদের নিকট থেকে ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টা পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হবে।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২১ প্রদানের লক্ষ্যে সরকার কর্তৃক গঠিত জুরি বোর্ডের ১ম সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।–বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ড।’
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২১ প্রদানের লক্ষ্যে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক প্রযোজকদের নিকট থেকে ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টা পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হবে। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২১ প্রদানের লক্ষ্যে সরকার কর্তৃক গঠিত জুরি বোর্ডের ১ম সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
ঢাকার সার্কিট হাউজ রোডে বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ড কার্যালয়ে গতকাল (২২ আগস্ট) এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জুরি বোর্ডের সভাপতি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম সভায় সভাপতিত্ব করেন।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২১ প্রদানের লক্ষ্যে দরখাস্ত আহ্বান করে জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়। সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তে আরো বলা হয়, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক প্রযোজকদেরকে নির্ধারিত ছকে আবেদন করতে হবে। আবেদনের ফরম/ছক বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ড কার্যালয় থেকে সংগ্রহ করা যাবে। আবেদনের ফরম সেন্সর বোর্ডের ওয়েবসাইট www.bfcb.gov.bd থেকে ডাউনলোড করেও ব্যবহার করা যাবে। প্রত্যেক আবেদনপত্রের সাথে সংশ্লিষ্ট চলচ্চিত্রের কপি ডিভিডি/পেনড্রাইভ-এ জমা দিতে হবে। পুরস্কারের জন্য প্রস্তাবিত শিল্পী/কলাকুশলী/ব্যক্তিদের ৩ কপি পিপি সাইজ ছবিসহ জীবন-বৃত্তান্ত (বাংলা), জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি/পাসপোর্টের সত্যায়িত ফটোকপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)/শিশু-শিল্পীদের ক্ষেত্রে জন্মনিবন্ধন সনদের সত্যায়িত ফটোকপি আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে।
সভায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মোঃ নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মোঃ নিজামূল কবীর, চলচ্চিত্র পরিচালক মোরশেদুল ইসলাম, অভিনেত্রী সুজাতা আজিম, অভিনেতা জাহিদ হাসান, সংগীত শিল্পী নকিব খান, সংগীত পরিচালক মকসুদ জামিল মিন্টু, দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, ফিল্ম এন্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রিফফাত ফেরদৌস, চিত্রগ্রাহক পংকজ পালিত এবং বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান মুহ. সাইফুল্লাহ অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ২৮টি ক্ষেত্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করা হবে। এগুলো হলো–আজীবন সম্মাননা, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা প্রধান চরিত্রে, শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী প্রধান চরিত্রে, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পার্শ্ব চরিত্রে, শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পার্শ্ব চরিত্রে, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা/অভিনেত্রী খল চরিত্রে, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা/অভিনেত্রী কৌতুক চরিত্রে, শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী, শিশু শিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার, শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক, শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক, শ্রেষ্ঠ গায়ক, শ্রেষ্ঠ গায়িকা, শ্রেষ্ঠ গীতিকার, শ্রেষ্ঠ সুরকার, শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার, শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার, শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা, শ্রেষ্ঠ সম্পাদক, শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক, শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক, শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক, শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজ–সজ্জা এবং শ্রেষ্ঠ মেক–আপম্যান।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার সংক্রান্ত নীতিমালায় বলা হয়েছে, কেবল বাংলাদেশি নাগরিকগণ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবেন; যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে, তবে যৌথ প্রযোজনা চলচ্চিত্রের বিদেশি শিল্পী এবং কলা-কুশলীগণ পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবেন না; জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের বিবেচনাযোগ্য চলচ্চিত্রকে অবশ্যই বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের সেন্সর সনদপত্রপ্রাপ্ত এবং বিবেচ্য বছরে (২০২১ সালে) প্রেক্ষাগৃহে মুক্তিপ্রাপ্ত হতে হবে; স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির কোনো বাধ্যবাধকতা নেই, তবে সেগুলোকে বিবেচ্য বছরে (২০২১ সালে) সেন্সর সনদপত্রপ্রাপ্ত হতে হবে।