উন্নয়ন সহযোগীদের ঋণ যাচাই-বাছাই করে নেওয়া হবে : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
ঢাকা, ১০ ভাদ্র (২৫ আগস্ট) :
উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও সংস্থার যেসব বিনিয়োগ দেশের জন্য লাভজনক হবে অর্থাৎ ইনকাম জেনারেটিং হবে সেগুলো যাচাই-বাছাই করে গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।
অবকাঠামো উন্নয়নসহ দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও দেশ প্রায় এগারো বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলেও জানান মন্ত্রী।
আজ রাজধানীর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে স্থানীয় সরকার বিভাগ আয়োজিত ‘জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর কর্ম ও জীবনীভিত্তিক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, আমরা যদি উন্নয়ন সহযোগীদের দেয়া এসব অর্থ বিভিন্ন উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ করি তাহলে লোন পরিশোধ করার পরও দেশ লাভজনক অবস্থানে থাকবে। ঋণ সকল দেশ নিয়ে থাকে সে দেশের উন্নয়ন, মানুষের কল্যাণ ও জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধির জন্য। সকল দেশের লোন জনগণই শোধ করে থাকে। কারণ সরকার যে টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করে তা মূলত জনগণেরই টাকা।
তাজুল ইসলাম জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে তা বললে কিছু মানুষের সহ্য হয় না। ৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশের উন্নয়ন থমকে যায়। দেশ দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর হয়। দেশ পরিচিতি পায় ভিক্ষুক আর মিসকিনের জাতি হিসেবে। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা, কৃষি, শিল্প-কারখানা, জিডিপির গ্রোথ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং আর্থ-সামাজিকসহ সকল ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। এখন এসব উন্নয়ন কাউকে বলা যাবে না। কারণ দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার কথা বলতে গেলে একটি গোষ্ঠীর ভালো লাগে না।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্যারিশমেটিক লিডারশিপের কারণে সারা বিশ্বেই তাঁর একটি গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়েছিলো। পৃথিবীর অনেক বিখ্যাত বিখ্যাত ব্যক্তি বঙ্গবন্ধু ও তাঁর আদর্শের কথা বলেছেন। তিনি অন্যায়ের সাথে কখনো আপোষ করেননি। মানুষের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসা, বৈষম্য নিরসনে দূরদর্শিতা এবং লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের সাহস পদক্ষেপ ও কৌশল সত্যিই অনুসরণীয় এবং অনুকরণীয় বলেও উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে আসার পর তাঁর কোনো ভবিষ্যৎ নিশ্চয়তা ছিল না। বঙ্গবন্ধু কন্যার থাকা খাওয়ার জায়গা ছিল না। এমন অনিশ্চয়তার জায়গা থেকেই জনগণের ভালোবাসায় দেশের উন্নয়ন ও মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই-সংগ্রাম করে আজকের জায়গায় এসেছেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ সাইফুর রহমান, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী সেখ মোহাম্মদ মহসীন, জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক সালেহ আহমদ মোজাফফর এবং ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান বক্তব্য রাখেন। এছাড়া স্থানীয় সরকার বিভাগ ও এর আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ডিজিটাল উদ্ভাবন হবে আগামী দিনের উন্নয়নের মূল শক্তি : মোস্তাফা জব্বার
ঢাকা, ১০ ভাদ্র (২৫ আগস্ট) :
ডাক ও টেলিযোাগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল উদ্ভাবন হবে আগামী দিনের উন্নয়নের মূল শক্তি। ডিজিটাল প্রযুক্তিকে উন্নয়নের হাতিয়ার হিসেবে কাজে লাগাতে আমরা হোম নেটওয়ার্ক উৎসাহিত করতে উদ্যোগ নিয়েছি। আইওটি প্রযুক্তিকে কৃষি ও মৎস্য চাষে কাজে লাগাতে হবে। প্রযুক্তিবিদ ও ডিজিটাল প্রযুক্তি শিল্পসহ সংশ্লিষ্টদের এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর দপ্তরে ‘নকিয়া ফাইভ-জি ক্যাপাবিলিটি এন্ড টেকনিক্যাল কোলাবরেশন ‘ বিষয়ে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান নকিয়া বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সাথে বৈঠককালে এসব কথা বলেন। নকিয়ার দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল জ্যাগার বৈঠকে দুই সদস্যের নকিয়া প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিশেষ করে টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তিখাতে উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হয়।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী দেশে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে ফাইভ-জি মোবাইল প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, ফোর-জি প্রযুক্তি সকলের জন্য কিন্তু ফাইভ-জি প্রযুক্তি একটি শিল্প পণ্য। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, মৎস্য এবং শিল্পখাতের জন্য এই প্রযুক্তি। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ২০০৮ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত দূরদৃষ্টি সম্পন্ন কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ফাইভ-জি যুগে প্রবেশ করে। ডিজিটিাল প্রযুক্তি বিকাশের এই অগ্রদূত বলেন, ‘আমাদের জন্য অহংকারের বিষয় হচ্ছে বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ যেখানে ফাইভ-জি যুগে যেতে পারেনি, অতীতের তিনটি শিল্প বিপ্লব মিস করা এক সময়ের কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির বাংলাদেশ প্রযুক্তিতে ৩২৪ বছরের পশ্চাদপদতা অতিক্রম করে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে উন্নত বিশ্বের সমান্তরালে হাঁটছে। অপারেটরদেরকে লাইসেন্স প্রদানের মাধ্যমে মোবাইল ফোন সাধারণের নাগালে পৌঁছে দেওয়া এবং কম্পিউটারের ওপর থেকে ভ্যাট-ট্যাক্স প্রত্যাহার করে কম্পিউটারে সাধারণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসা সর্বোপরি ২০০৯ সাল থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতারই ফসল।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বিশ্বে বর্তমানে ৮৭টি দেশে বাণিজ্িযকভাবে ফাইভ-জি চালু হয়েছে। জিএসএস তথ্যমতে ২০২২ সালের জুনের শেষ নাগাদ বিশ্বের ১৫০টি দেশে ৪৯৬টি অপারেটর পরীক্ষামূলকভাবে ফাইভ-জি নেটওয়ার্কে বিনিয়োগ করছে। তথ্যমতে ২০২২ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে এক বিলিয়ন ফাইভ-জি সংযোগ স্থাপিত হবে এবং ফোরজি সংযোগ কমতে শুরু করবে। এই সময়ের মধ্যে থ্রিজি সংযোগ গ্রহণের হার শতকরা ২০ ভাগের নীচে চলে আসবে। এই সময়ের মধ্যে বিশ্বব্যাপী মোবাইল ব্রডব্যান্ড সংযোগ ৮ বিলিয়নে উপনীত হবে এবং ফাইভ-জি সংযোগ শতকরা ২০ ভাগে পৌঁছবে। বিশ্বে ২০২২-২৩ সালে মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহক হবে ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন এবং মোবাইল গ্রাহক হবে ৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন। ২০২৪ থেকে ২৫ সালের মধ্যে বিশ্বে ফাইভ-জি সংযোগ স্থাপিত হবে ২ বিলিয়ন। এ সময়ের মধ্যে মোবাইল ব্রডব্যান্ড গ্রহণের হার হবে শতকরা ৯৫ ভাগ। ২০২১ সালে বিশ্বে জিডিপিতে মোবাইল ইন্ডাস্ট্রিজের অবদান ছিলো ৪ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার যা ২০২৫ সালে ৪ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। ২০২৪-২৫ সালে বিশ্বে মোবাইল ইকোসিস্টেম সহায়ক হিসেবে সরাসরি ১২ মিলিয়ন এবং পরোক্ষভাবে আরো ১৪ মিলিয়ন লোকের কর্মসংস্থান হবে।
থাই ভাষায় বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
ব্যাংকক (থাইল্যান্ড), ২৫ আগস্ট :
থাইল্যান্ডের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ থাই ভাষায় অনুদিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনের অংশ হিসেবে চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়া স্টাডি সেন্টার ও ব্যাংককে বাংলাদেশ দূতাবাসের যৌথ এ আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের সেন্টার ফর রিসার্চ এন্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)-এর ট্রাস্টি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক। এছাড়া অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক Narin Hiransuthikul এবং থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ আব্দুল হাই।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক তাঁর বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর পুরো জীবন দেশের মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে না জানলে বাংলাদেশকে জানা সম্ভব নয়। এ গ্রন্থটি যুব সমাজের কাছে বাংলাদেশের ইতিহাস এবং তাঁর স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রধান নেতার জীবন সম্পর্কে জানার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এ অনুবাদ থাইভাষী পাঠকদের বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে জানতে বিশেষভাবে সহায়তা করবে।
চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট তাঁর বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ একটি অনন্য সাধারণ দলিল যা শুধু একটি রাষ্ট্রের জন্ম ইতিহাসকে তুলে ধরেনি, গ্রন্থটি এমন একজন ব্যক্তি কর্তৃক রচিত যিনি নিজেই ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন এবং দেশবাসীকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেনের একটি ভিডিও বার্তা প্রদর্শিত হয়। ভিডিও বার্তায় মন্ত্রী এ আয়োজনকে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনের উল্লেখযোগ্য অংশ বলে উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রদূত মোঃ আব্দুল হাই বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শ, তাঁর জীবন দর্শন থাইভাষী জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছে দিতে ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থটির অনুবাদ বিশেষ অবদান রাখবে। তিনি বইটি অনুমোদন, অনুবাদ ও প্রকাশনার সাথে সংশ্লিষ্ট বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ও চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়া স্টাডি সেন্টারের সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
অনুষ্ঠানে থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিগণ, স্থানীয় অন্যান্য দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ, চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কাসেটসার্ট বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রিত শিক্ষক-শিক্ষার্থী, থাইল্যান্ডের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সম্ভাব্য খাদ্যসংকট মোকাবিলায় চাষের জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে : পরিবেশমন্ত্রী
বড়লেখা (মৌলভীবাজার), ১০ ভাদ্র (২৫ আগস্ট) :
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, ইউরোপে চলমান যুদ্ধের কারণে আগামী বছর বিশ্বব্যাপী খাদ্যসংকট হতে পারে। এজন্য আমাদের এখন হতেই প্রস্তুত হতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মতো চাষযোগ্য এক ইঞ্চি জায়গাও খালি রাখা যাবে না। ধান, ফসল, শাকসবজিসহ যখন যে ফসল জন্মে তাই ফলাতে হবে। এখন থেকেই সতর্ক হলে সম্ভাব্য এ সংকট আমরা মোকাবিলা করতে পারবো।
আজ মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে উৎপাদিত রোপা আমন ধানের হালি চারা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে দাসেরবাজার উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, দেশকে কিভাবে উন্নত করা যায়, মানুষের জীবনমান উন্নয়ন করা যায় তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় ভাবেন। চাষিদের জন্য বিনামূল্যে চারা বিতরণের ব্যবস্থা করায় এসময় কৃষি বিভাগের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা সকলে দেশকে ভালোবাসলে, দেশের মাটিকে ভালোবাসলে, দেশের জন্য দায়িত্বশীল হয়ে কাজ করলে সকল সংকট কাটিয়ে দেশকে উন্নত দেশে পরিণত করতে পারবো।
বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খন্দকার মোদাচ্ছির বিল আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বড়লেখা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোয়েব আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ তাজ উদ্দিন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সুন্দর এবং উপজেলা কৃষি অফিসার দেবল সরকার প্রমুখ।
এর পূর্বে মন্ত্রী বড়লেখা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনগ্রসর জনগোষ্ঠী ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাঝে বিজ্ঞানসামগ্রী বিতরণ করেন এবং উপজেলা প্রশাসনিক ভবনে নির্মিত মুজিব কর্নারের উদ্বোধন করেন।
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সাথে জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূতের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ১০ ভাদ্র (২৫ আগস্ট) :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ এনামুর রহমানের সাথে আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর অফিসকক্ষে জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত নোয়েলিন হেজার (Noeleen Heyzer) সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের বিষয়ে আলোচনা করেন। তাঁরা বাস্তুচ্যুত এসকল মিয়ানমারের নাগরিকদের সহায়তা দানে বাংলাদেশ সরকার বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। এ সময় কক্সবাজারের ক্যাম্পসমূহে এ সকল নাগরিকদের আহার, সুপেয় পানি, চিকিৎসা, শিক্ষা, পয়ঃনিষ্কাশন ইত্যাদি বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়।
প্রতিমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনের পর যাতে হাতে-কলমে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে সে লক্ষ্যে তাদেরকে কারিগরি ও অন্যান্য বিষয়ে লেখাপড়ার ওপর গুরুত্ব দিয়ে সরকার কাজ করছে। তিনি বলেন, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রতিবছর হাজার হাজার নতুন শিশু জন্ম নিচ্ছে, এতে প্রতিবছরই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মিয়ানমার যেহেতু এ সমস্যা সৃষ্টি করেছে তাই তাদেরকেই এ সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশ্ব জনমত গঠনে এগিয়ে আসতে প্রতিমন্ত্রী বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান।
জাতিসংঘের বিশেষ দূত বলেন, বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকরা যেন মর্যাদাপূর্ণ ও নিরাপদে নাগরিক অধিকারসহ তাদের নিজ দেশে ফেরত যেতে পারেন সে লক্ষ্যে আসিয়ানসহ তাঁরা কাজ করে যাচ্ছেন। মিয়ানমার বিষয়ক দূত জানান, বাংলাদেশে আসার পূর্বে তিনি মিয়ানমার ভ্রমণ করেছেন এবং এসকল নাগরিকদের ফেরত নেওয়ার জন্য মিয়ানমার সরকারের সাথে আলোচনা করেছেন। তিনি আরো উল্লেখ করেন, বাস্তুচ্যুত এসকল মিয়ানমার নাগরিকরা যেন যথাযথ যাচাইকরণের মাধ্যমে তাদের নিজ দেশে ফেরত যেতে পারেন সে লক্ষ্যে অবশ্যই সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এ সফরের মাধ্যমে বিশ্ব সম্প্রদায়কে সঠিক তথ্য প্রদান এবং দৃষ্টি আকর্ষণের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন মর্মে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ কামরুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর সাথে মালয়েশিয়ার হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ১০ ভাদ্র (২৫ আগস্ট) :
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সাথে আজ তাঁর বাংলাদেশ সচিবালয়স্থ দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনা মোঃ হাসিম (Hazna Md Hasim) সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় বিশেষ করে টেলিযোগাযোগ খাত সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে মতবিনিময় করেন।
মন্ত্রী এসময় বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যকার বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, মালয়েশিয়া বাংলাদেশের এক অকৃত্রিম বন্ধু। তিনি গত সাড়ে তের বছরে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় দেশের প্রতিটি খাতে বিস্ময়কর অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। বাংলাদেশের ডিজিটাল কর্মসূচি বিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হিসেবে কাজ করছে। মন্ত্রী বাংলাদেশকে বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত লাভজনক জায়গা হিসেবে উল্লেখ করে সরকারের বিনিয়োগবান্ধব নীতির সুযোগ কাজে লাগাতে মালয়েশিয়া ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
হাইকমিশনার তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতের অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি মন্ত্রীকে মাল্টিমিডিয়া ইউনিভার্সিটি ও আজিয়াটার সহযোগিতায় মালয়েশিয়া সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আগামী ৩ থেকে ৭ অক্টোবর কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠেয় ‘ডিজিটাল ইকোনমি প্রোগ্রাম ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানান।
পঁচাত্তর ও ২১ আগস্টের ঘাতকরা স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত শক্তির দোসর : শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, ১০ ভাদ্র (২৫ আগস্ট) :
শিক্ষামন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা.দীপু মনি বলেছেন, পঁচাত্তর ও ২১ আগস্টের ঘাতকরা স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত শক্তির দোসর। বেগম আইভি রহমান এই দোসরদের নির্মম হত্যার শিকার। তাঁকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় আহত আইভি রহমানকে বিদেশে চিকিৎসার সমস্ত ব্যবস্থা করেছিল তাঁর পরিবার। কিন্ত তাঁকে বিদেশে নিতে দেয়া হয়নি। তাঁর সন্তানদের হাসপাতালে একটি রুমে তালা দিয়ে রাখা হয়েছিল। এমনকি বেগম আইভি রহমান মৃত্যুবরণ করার পর প্রথমে তাঁর লাশ পরিবারের কাছে দিতে চায়নি দোসররা।
মন্ত্রী আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে বেগম আইভি রহমান পরিষদ, কেন্দ্রীয় কমিটির আয়োজনে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি আলহাজ মোঃ জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী বেগম আইভি রহমানের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বেগম আইভি রহমান ছিলেন একজন জনপ্রিয় নারী নেত্রী ও কর্মীবান্ধব ভালো সংগঠক। কর্মীদের জন্য তিনি ছিলেন নিবেদিত প্রাণ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম, শেখ জাহাঙ্গীর, সুপ্রীম কোর্টের এডভোকেট এ.বি.এম বায়জিদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি মানিক লাল ঘোষ ও ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি এ এইচ এম মেহেদী হাসান।
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন আহমদের মৃত্যুতে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রীর শোক
ঢাকা, ১০ ভাদ্র (২৫ আগস্ট) :
জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, জৈন্তিয়া ১৭ পরগনা সালিশ সমন¦য় কমিটির সাবেক সভাপতি, বিশিষ্ট সমাজসেবক সিরাজ উদ্দিন আহমদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী আজ এক শোকবার্তায় বলেন, মরহুম সিরাজ উদ্দিন আহমদ বৃহত্তর জৈন্তার একজন সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি মানুষের ভাগ্যবদলের জন্য গড়ে তুলেছিলেন ‘পল্লী মঙ্গল’ নামের প্রতিষ্ঠান। ঘুষ-দুর্নীতি-অনিয়ম আর অসামাজিক কাজের বিরুদ্ধে তিনি সদা সোচ্চার ছিলেন। তিনি জৈন্তাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে সর্বদা ন্যায়, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি এলাকার স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিটি আন্দোলনে সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁর মৃত্যুতে জৈন্তাবাসী একজন কৃতি সমাজসেবককে হারালো। সমাজসেবা ও মানব কল্যাণে অনন্য অবদানের কারণে তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
মন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
উল্লেখ্য, সিরাজ উদ্দিন আহমদ গতকাল রাতে যুক্তরাষ্ট্রে নিজ বাসায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
ক্ষুদ্র তাঁতীদের তাঁতজাত পণ্যের গুণগত মানোন্নয়নে কাজ করছে সরকার : বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী
নরসিংদী, ১০ ভাদ্র (২৫ আগস্ট) :
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক বলেছেন, দেশের ক্ষুদ্র তাঁতীদের তাঁতজাত পণ্যের গুণগত মানোন্নয়নে কাজ করছে সরকার। এজন্য দেশের তাঁতসমৃদ্ধ অঞ্চলসমূহে ক্লথ প্রসেসিং সেন্টার (সিবিসি) স্থাপন করা হচ্ছে। এতে ক্ষুদ্র তাঁতীরা কম খরচে তাদের পণ্যের মান বাড়াতে সক্ষম হবে।
আজ নরসিংদীর মাধবদীতে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের ক্লথ প্রসেসিং সেন্টার পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের একথা জানান মন্ত্রী। এ সময় সংসদ সদস্য তামান্না নুসরাত (বুবলী), বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ রেজাউল করিমসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশে ও বিদেশে তাঁতজাত পণ্যের প্রসারে নতুন নতুন ডিজাইন উদ্ভাবনের জন্য ফ্যাশন ডিজাইন ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হচ্ছে। তাঁত শিল্পের উন্নয়ন ও তাঁতীদের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নের জন্য ঋণ বিতরণ কার্যক্রম চলমান রেখেছে সরকার।
গোলাম দস্তগীর গাজী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ‘রূপকল্প-২০৪১’ কে সমানে রেখে সরকার তাঁত ও বস্ত্রখাতে নতুন নতুন উদ্ভাবনকে কাজে লাগিয়ে এখাতকে আধুনিকায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করছে। দেশে বিনিয়োগের সুযোগ সম্প্রসারণ, দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং রপ্তানি বৃদ্ধিতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
রাজধানীতে শিশুদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু : সরকার সকল শিশুর টিকা প্রাপ্তি নিশ্চিত করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১০ ভাদ্র (২৫ আগস্ট):
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন, করোনা প্রতিরোধের মাধ্যমে শিশুর সুরক্ষা নিশ্চিত করে নিরাপদে শিক্ষা প্রদানের জন্য সরকার ৫-১১ বছর বয়সী সকল শিশুকে টিকা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। স্কুলেই টিকা পাবে শিশুরা। প্রতিমন্ত্রী শিশুদের জন্ম নিবন্ধন করে টিকাদানের জন্য অভিভাবকদের অনুরোধ করেন।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর নীলক্ষেত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন। এ সময় তার সাথে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, করোনা প্রতিরোধে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের জন্য ১৫ লাখ ২ হাজার ৪০০ ডোজ ফাইজারের বিশেষ টিকা গত ৩০ জুলাই দেশে এসেছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শিশুদের তালিকা করা হয়েছে। দেশে এই বয়সী শিশুদের আনুমানিক সংখ্যা ২ কোটি ২০ লাখ।
আজ থেকে দেশের ১২টি সিটি কর্পোরেশনের ১৮৬টি এবং রাজধানীর ১৫টি বিদ্যালয়ে শুরু হওয়া এ টিকাদান কর্মসূচি হয়েছে। পর্যায়ক্রমে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষার্থীদেরও টিকা দেয়া হবে।
পার্বতীপুর থেকে কাউনিয়া পর্যন্ত মিটার গেজ রেললাইনকে ডুয়েলগেজে এবং খুলনা দর্শনা সেকশনে ব্রডগেজ রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ১০ ভাদ্র (২৫ আগস্ট):
আজ রেলভবনে বাংলাদেশ রেলওয়ের পার্বতীপুর থেকে কাউনিয়া পর্যন্ত মিটার গেজ রেললাইনকে ডুয়েলগেজে রূপান্তর এবং খুলনা-দর্শনা সেকশনে নতুন ব্রডগেজ রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের কনসালটেন্সি সার্ভিসের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রী মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন তার বক্তব্যে বলেন, দেশের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে, একটি ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী তাঁর দূরদর্শী সিদ্ধান্তে ২০১১ সালে আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন করেন। দেশের প্রতিটি জেলায় রেল সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। রেলের উন্নয়নে অনেক প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে অনেকগুলোর কাজ চলমান আছে।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের রেল ব্যবস্থা ব্রডগেজ এবং মিটারগেজ দ্বারা দুই অঞ্চলে বিভক্ত। আমরা পর্যায়ক্রমে সকল রেল ব্যবস্থাকে ব্রডগেজে রূপান্তর করছি । ভারতের সকল রেললাইন ব্রডগেজে। আমরাও দেশের গেজ ব্যবস্থাকে ব্রডগেজে রূপান্তর করছি। এছাড়া রেললাইন সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে যে প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে সবগুলোকেই আমরা ব্রডগেজ আকারে করছি।
মন্ত্রী আরো বলেন, যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু নির্মিত হচ্ছে। এর মাধ্যমে পূর্বাঞ্চল এবং পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগ সহজ হবে। এছাড়া ঈশ্বরদী থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত ডাবল লাইনের প্রকল্প আমরা হাতে নিয়েছি। ১৯৬৫ সালে ভারত পাকিস্তান যুদ্ধের সময় বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে যে ৮টি ইন্টার সেকশন বন্ধ হয়েছিল ইতোমধ্যে ৫টি চালু হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে চালু হবে। মন্ত্রী বলেন ভারতীয় অর্থায়নে এ প্রকল্প দুটি নির্মিত হবে । ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিক উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন এ সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেকশন দুটি নির্মাণের গুরুত্ব তুলে ধরে রেলপথ মন্ত্রী বলেন পার্বতীপুর কাউনিয়া ডুয়েল গেজ নির্মিত হলে ভবিষ্যতে আমরা ভারত ছাড়াও নেপাল, ভুটানের সাথে কানেক্টিভ বাড়াতে সক্ষম হবো এবং এর ফলে আমাদের যাত্রীসহ মালামাল পরিবহনের সুযোগ বাড়বে।
খুলনা-দর্শনা সেকশনে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন প্রকল্প পরিচালক মনিরুল ইসলাম ফিরোজী এবং কনসালটেন্ট সার্ভিস ভারতীয় স্টুপ কনসালটেন্ট ও আরভি এসোসিয়েটস জয়েন্টভেঞ্চার এর পক্ষে
মোঃ আসাদ। এ প্রকল্পের আওতায় খুলনা দর্শনার মধ্যে পুরনো লাইনের পাশাপাশি নতুন ১২৬ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেললাইন নির্মিত হবে। কনসালটেন্সি সার্ভিসের চুক্তিমূল্য ৮৭ কোটি ৩৭ লাখ ৩ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকা।
অন্য একটি প্রকল্প পার্বতীপুর থেকে কাউনিয়া পর্যন্ত মিটারগেজ লাইনকে ডুয়েল গেজে রূপান্তর প্রকল্পের চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন প্রকল্প পরিচালক লিয়াকত শরীফ খান এবং ভারতীয় কনসালটেন্সি সার্ভিস আরভি এসোসিয়েট এবং স্টুপ কনসালট্যান্টস লিমিটেড জয়েন্টভেঞ্চার এর পক্ষে অভিক ভট্টাচার্য। কনসালটেন্সি সার্ভিস এর চুক্তিমূল্য ৭৫ কোটি ৮৪ লাখ ৬৬ হাজার ২৯০ টাকা। এই প্রকল্পে ৫৭ কিলোমিটার মিটারগেজ লাইনকে ডুয়েলগেজে রূপান্তর করা হবে। উভয় প্রকল্পই ভারতীয় এলওসি এর অর্থায়নে হবে।
এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ডঃ মোঃ হুমায়ুন কবীর, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার, ভারতীয় হাইকমিশনের প্রথম সচিব সালোনি সাহাই সহ মন্ত্রণালয়,
রেলওয়ে, ভারতীয় এক্সিম ব্যাংক প্রতিনিধি এবং কনসালট্যান্ট সার্ভিসের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
কো– অপারেটিভ জুটমিল বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদনে ব্যবহার করা হবে : বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী
ঢাকা, ১০ ভাদ্র (২৫ আগস্ট):
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক বলেছেন, বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদনে ভাড়াভিত্তিক বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় উদ্যোক্তাদের নরসিংদীর কো-অপারেটিভ জুটমিল ব্যবহারের সুযোগ করে দেয়া হবে।
মন্ত্রী আজ নরসিংদীর কো-অপারেটিভ জুটমিল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের একথা জানান।
পরিদর্শনকালে সংসদ সদস্য তামান্না নুসরাত (বুবলী), বস্ত্র ও পাট সচিব মো: আব্দুর রউফ, বিজেএমসি’র চেয়ারম্যান সালেহ আহম্মেদ ও নরসিংদীর জেলা প্রশাসক আবু নইম মোহাম্মদ মারুফ খান উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি’র) ভাড়াভিত্তিক মিলে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় উৎপাদন ও উৎপাদিত পাটপণ্য রপ্তানি কার্যক্রম শুরু করেছে। এসব মিলে নতুন করে অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ জুট মিলস্ লি:, নরসিংদী এবং কেএফডি জুট মিলস্ লি: চট্টগ্রাম ও জাতীয় জুটমিল সিরাজগঞ্জ ভাড়াভিত্তিক ইজারা প্রদান করা সম্ভব হয়েছে। আরো তিনটি জুট মিলের লিজ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ভাড়াভিত্তিক লিজ প্রদানকৃত মিলসমূহে নতুন করে অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে এবং এক্ষেত্রে অবসানকৃত শ্রমিকগণ অগ্রাধিকার পাচ্ছেন।
সরকারি সিদ্ধান্তে পাটকলসমূহের বিরাজমান পরিস্থিতির স্থায়ী সমাধান ও পাটখাত পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে বিজেএমসি’র নিয়ন্ত্রণাধীন রাষ্ট্রায়ত্ত ২৫টি জুট মিলের উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ২৫টি জুট মিলের সকল স্থায়ী শ্রমিকের গ্রাচ্যুইটি, পিএফ, ছুটি নগদায়নসহ সমুদয় পাওনা গোল্ডেন হ্যান্ডশেক সুবিধার মাধ্যমে প্রায় ৩ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এছাড়াও, যাচাইকৃত বদলি শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি, মামলা নিষ্পত্তি ও প্রত্যাহারজনিত স্থায়ী শ্রমিকদের পাওনা, মিল চলাকালীন ৬৪ সপ্তাহের বকেয়া মজুরি, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের গ্রাচ্যুইটিসহ সকল দায় এবং কাঁচা পাট ব্যবসায়ীদের বকেয়া পাওনা পরিশোধের লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয় জোর তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।
ডিজিটাল কনটেন্টে পাঠ গ্রহণের সুবিধা চায় ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা : টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ঢাকা, ১০ ভাদ্র (২৫ আগস্ট):
ডিজিটাল শ্রেণিকক্ষে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষের বাইরেও বাড়িতে বসে ডিজিটাল কনটেন্টে পাঠ গ্রহণের সুবিধা চায়। এজন্য তাদেরকে ল্যাপটপ দিতে হবে। শিক্ষার্থীরা দাবি করছে তারা শ্রেণিকক্ষে টেলিভিশন দিয়ে পড়ার পাশাপাশি যাতে ঘরে বসে ডিজিটাল কনটেন্টে পড়তে পারে সেজন্য তাদের হাতে যেন ডিজিটাল যন্ত্র দেওয়া হয়।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার গতকাল মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার বাঘাইকালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল ক্লাশরুম পরিদর্শন করতে গেলে শিক্ষার্থীরা এ দাবি জানায়।
সুবিধাবঞ্চিত প্রত্যন্ত ও দুর্গম অঞ্চলের ৬’শ ৫০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরে বিটিআরসি‘র এসওএফ তহবিলের অর্থায়নে টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এই প্রকল্পের আওতায় মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় বাঘাইকান্দি এবং জাজিরা কৃষ্ণনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল কনটেন্টে পাঠ দান শুরু হয়েছে। এরই মাঝে ৮২টি স্কুলে ট্যাবও দেওয়া হচ্ছে। এতে তারা প্রোগ্রামিংও শিখতে পারবে।
ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি আমাদের এগিয়ে যাওয়ার চালিকা শক্তি। শিশুরা খেলার ছলে আনন্দের সাথে তাদের এক বছরের সিলেবাস ২ মাসের মধ্যে শেষ করতে সক্ষম । শিশুদেরকে ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করতেই হবে। শিশুদেরকে প্রোগ্রামার বানানোর পরিকল্পনা কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা প্রথমবারের মতো স্কুলে শিশুদেরকে প্রোগ্রামিং শেখানোর জন্য একটি সফটওয়্যারও দিচ্ছি। এটা সহজেই তাদের পক্ষে আয়ত্ত করা সম্ভব।
পরে জেলার সিরাজদি খান উপজেলা ডাকঘর ও বিকারীবাজার সাব পোস্ট অফিস ভবনের পুননির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন।