শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ, হবিগঞ্জ- এর ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ১ম বর্ষের এমবিবিএস কোর্সের ক্লাস শুরু ১ আগস্ট
ঢাকা, ১০ শ্রাবণ (২৫ জুলাই) :
শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ, হবিগঞ্জ- এর ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তিকৃত ১ম বর্ষের ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্বোধনী ক্লাস ও পরিচিতি সভা আগামী ১ আগস্ট সকাল ১০ টায় অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত ক্লাস ও পরিচিতি সভায় ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত ১ম বর্ষ এমবিবিএস কোর্সের ছাত্র/ছাত্রীদেরকে একজন অভিভাবকসহ যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়েছে।
শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ, হবিগঞ্জ- এর অধ্যক্ষ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ফিজির সাথে সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচনের সম্ভাবনা
ক্যানবেরা, ২৫ জুলাই ২০২২ :
বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ সুফিউর রহমানের তিন দিনব্যাপী ফিজি সফরের দ্বিতীয় দিনে কৃষি সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক চূড়ান্ত হয়। ফিজির কৃষিমন্ত্রী ও বাণিজ্যমন্ত্রীর সাথে তিনি আলাদা দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন।
কৃষিমন্ত্রী ড. মাহেন্দ্র রেড্ডির সাথে বৈঠককালে বাংলাদেশ ও ফিজির মধ্যকার বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কৃষিক্ষেত্রে সহযোগিতার মাধ্যমে আরো নিবিড় করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ বিগত এক দশকে কৃষিক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। নিজস্ব চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বাংলাদেশ কৃষিপণ্য বিদেশে রপ্তানি করছে। লবণাক্ততাসহিষ্ণু ধান আবিষ্কারে বাংলাদেশের সাফল্য বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের নিকট হতে জলবায়ু ভঙ্গুর দেশ হিসেবে ফিজি অভিজ্ঞতা নিতে পারে বলে হাইকমিশনার উল্লেখ করেন। ফিজিতে অনেক আবাদযোগ্য কৃষিজমি রয়েছে এবং ফিজির আবহাওয়া কৃষির জন্য অত্যন্ত উপযোগী উল্লেখ করে তিনি বাংলাদেশ ও ফিজির যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে কৃষিক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয় উত্থাপন করেন।
ফিজির কৃষি মন্ত্রী ড. মাহেন্দ্র রেড্ডি বলেন, ফিজি কৃষিতে সাফল্য নিয়ে আসার জন্য বাণিজ্যিক কৃষির ওপর জোর দিচ্ছে। তিনি কৃষিক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করে বাংলাদেশের নিকট হতে কৃষি গবেষেণার ক্ষেত্রে সহযোগিতা কামনা করেন। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে কৃষিক্ষেত্রে সহযোগিতা জন্য একটি সমঝোতা স্মারকের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়, যা পরবর্তীতে দু’দেশের মধ্যে সরকারিভাবে স্বাক্ষরিত হবে।
একই দিনে ফিজির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী ফাইয়াজ খোয়া ও বাংলাদেশের হাইকমিশনার দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান ব্যবসা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির ওপর আলোচনা করেন। ফাইয়াজ খোয়া বলেন, বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীরা ফিজি সরকারের প্রদত্ত সুবিধা গ্রহণ করে বিনিয়োগ করতে পারে। হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ নতুন নতুন পণ্য রপ্তানি করছে। তিনি তৈরিপোশাকের পাশাপাশি, কৃষি ও কৃষিজাত পণ্য, ঔষধ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, আইটি ও আইটি এনাবেল্ড সার্ভিস রপ্তানিতে বাংলাদেশের সাফল্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ঔষধ ইউরোপ, আমেরিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। বাংলাদেশের ঔষধ আমদানি করে ফিজি সুলভে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করতে পারে।
হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে দক্ষ পেশাজীবী এবং বিনিয়োগকারীরা ফিজির উন্নয়নে অবদান রাখছে। মন্ত্রী বলেন, ফিজির উন্নয়নের জন্য দক্ষ কর্মী ও পেশাজীবী প্রয়োজন যেখানে বাংলাদেশি কর্মীরা কাজ করতে পারে। পেশাজীবীদের ফিজিতে কাজ করার জন্য ফিজি সরকারের গৃহীত উদ্যোগ তিনি তুলে ধরেন। হাইকমিশনার বলেন, ফিজি এবং বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীরা যৌথ উদ্যোগে বিনিয়োগ করে পুরো প্যাসিফিক অঞ্চলে তাদের পণ্যের বাজার সৃষ্টি করতে পারে। বৈঠকে উভয় পক্ষ ফিজি থেকে বাংলাদেশে একটি ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদল প্রেরণ করার ব্যাপারে একমত হয়।
এরপর বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে ফিজির রাজধানী সুভা’র হোটেল হলিডে ইন এ বাংলাদেশ ফিজি বন্ধুত্বের ৫০ বছর উদযাপনের জন্য একটি রিসেপশনের আয়োজন করা হয়। ফিজিতে অবস্থিত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, ফিজি সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর, ব্যবসা ও মিডিয়ার প্রতিনিধিবৃন্দ এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাদর্শন ও প্রাথমিক শিক্ষা একই সুতোয় গাঁথা : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১০ শ্রাবণ (২৫ জুলাই) :
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাদর্শন ও প্রাথমিক শিক্ষা একই সুতোয় গাঁথা । বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে ভাবনা শুরু করেন। সবার কাছে শিক্ষাকে সহজভাবে পৌছে দিতেই প্রাথমিক শিক্ষাকে এক ঘোষণায় সরকারিকরণ করেন। ১৯৭২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রেসনোটে বলা হয়, উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত বাংলা ভাষাই হবে শিক্ষার মাধ্যম। ফেব্রুয়ারির ১৯ তারিখ অন্য একটি প্রেসনোটের মাধ্যমে জানানো হয়, প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে বই পাবে এবং ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা পাবে বাজার মূল্যের চেয়ে ৪০ শতাংশ কম দামে। বঙ্গবন্ধুর সরকারের উদ্যোগে ৩৬ হাজার ১৬৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করা হয় এবং বাড়ানো হয় শিক্ষকদের বেতন। এছাড়া নারীর উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নের জন্য ১৯৭৩ সালে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত নারীদের অবৈতনিক শিক্ষা চালু করার যুগান্তকারী পদক্ষেপও নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো (বিএনএফই) প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতে চায়। শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করা, গবেষণা ও উদ্ভাবনের সুযোগ বৃদ্ধি ছাড়া কোনো দেশ উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি। তাই বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাদর্শন বাস্তবায়নের মাধ্যমেই আলোকিত মানুষ তৈরি ও উন্নত দেশে ধাবিত হওয়া সম্ভব।
এ সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান, বিএনএফই এর মহাপরিচালক আতাউর রহমান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহিবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধ-বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের প্রশ্নে আপস করা যাবে না : এনামুল হক শামীম
ঢাকা, ১০ শ্রাবণ (২৫ জুলাই) :
পানি সম্পদ উপ-মন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, গণমাধ্যমকে নিরপেক্ষ থাকার সুযোগ নেই। বাংলাদেশের গণমাধ্যম থাকবে মহান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে, দেশ ও জাতির পিতার পক্ষে। মহান স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুর প্রশ্নে কখনো আপস করা যাবে না। কারণ বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক এবং অভিন্ন।
আজ রাজধানীর গুলশান অল কমিউনিটি ক্লাবে বাংলাদেশ প্রতিদিন-সনি র্যাংগস লিমিটেড টি-২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট-২০২১ এবং বাংলাদেশ প্রতিদিন-রাসেল ইন্ডাস্ট্রিজ টি-২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট-২০২১ কুইজ রাফেল ড্র পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
উপ-মন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যম হচ্ছে সমাজের দর্পণ। সাংবাদিকরা দেশ ও জাতির কল্যাণে সর্বদা কাজ করে যাচ্ছেন। করোনাকালে সাংবাদিকরা ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন। এ কারণে তাদের উৎসাহিত করতে প্রণোদনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আপনারা (সাংবাদিকরা) নানা মতাদর্শের হতে পারেন, তবে বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে কখনো আপস করবেন না।
সংবাদ কর্মীদের উদ্দেশ্যে উপমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়ন দেশ ও জাতির সামনে তুলে ধরবেন এটাই প্রত্যাশা করি। “বাংলাদেশ প্রতিদিন” জন্মলগ্ন থেকেই মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের পক্ষে থেকে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে যাচ্ছে। এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে এটা আমাদের প্রত্যাশা।
বাংলাদেশ প্রতিদিন-সনি র্যাংগস কুইজের প্রথম পুরস্কার সনি ৪৩ ইঞ্চি টিভি পুরস্কার পেয়েছেন আরাফাত খান, দ্বিতীয় পুরস্কার র্যাংগস ৪০ ইঞ্চি টিভি পুরস্কার পেয়েছেন নুরুল আহাদ, তৃতীয় পুরস্কার র্যাংগস ৩২ ইঞ্চি টিভি পুরস্কার পেয়েছেন মোশাররফ হোসেন এবং চতুর্থ পুরস্কার র্যাংগস দেশীয় কারাওকে/র্যাংগস সাউন্ড বার পুরস্কার পেয়েছেন হাবিবুল্লাহ।
রাসেল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (লিফান) প্রথম পুরস্কার ১০০ সিসি মটরসাইকেল পেয়েছেন নুসরাত ও দ্বিতীয় পুরস্কার ৮০ সিসি মটরসাইকেল পেয়েছেন লামিয়া।
বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক আবু তাহের, রাসেল ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক শামসুল বাশার ও সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান এবং র্যাংগস ইলেক্ট্রনিক্সের ম্যানেজার মার্কেটিং মোহাইমিনুল ইসহাক।
পোর্টেবল সুইমিং পুলে শহরের শিশুদের সাঁতার প্রশিক্ষণে বাংলাদেশের প্রথম উদ্যোগ: মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১০ শ্রাবণ (২৫ জুলাই) :
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, বিশ্বে শিশু মৃত্যুর একটি অন্যতম প্রধান কারণ পানিতে ডুবে মৃত্যু। প্রতিবছর বিশ্বে দুই লাখের অধিক শিশু মারা যায় পানিতে ডুবে। বাংলাদেশেও বছরে প্রায় ১৪ হাজার শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। যা শিশুর সুরক্ষার ক্ষেত্রে বড় বাধা। বাংলাদেশে এই প্রথম সরকারিভাবে পোর্টেবল সুইমিং পুলে সাঁতার প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। যার ফলে শহরের শিশুরা সহজেই পোর্টেবল সুইমিং পুলে সাঁতার শিখতে পারবে। দিবসটির এবছরের প্রতিপাদ্য ‘পানিতে ডুবা প্রতিরোধে অন্তত একটি উদ্যোগ গ্রহণ করি’। আজকের পোর্টেবল সুইমিং পুল উদ্বোধন আমাদের সেই একটি উদ্যোগ।
আজ ঢাকায় বাংলাদেশ বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব পানিতে ডুবা প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ শিশু একাডেমি চত্বরে পোর্টেবল সুইমিং পুলে শিশুদের সাঁতার প্রশিক্ষণ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনামের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ হাসানুজ্জামান কল্লোল।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় শিশুর জীবন সুরক্ষায় সাঁতার প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে ৬ লাখ ৬০ হাজার শিশুকে সাঁতার প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে। ‘সমন্বিত শিশু যত্ন কেন্দ্রের মাধ্যমে শিশুদের প্রারম্ভিক বিকাশ ও সুরক্ষা, উন্নয়ন ও শিশুর সাঁতার প্রশিক্ষণ’ প্রকল্প থেকে ১৬টি জেলায় ৪৫টি উপজেলায় আরো ৩ লাখ ৬০ হাজার শিশুকে সাঁতার প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। প্রশিক্ষণ প্রদান, সচেতনতা বৃদ্ধি, সম্মিলিত উদ্যোগ ও সঠিক কর্মপরিকিল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর হার শুন্যের কোটায় নামিয়ে আনা সম্ভব হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশসহ পানিতে ডুবে মৃত্যুর বৈশ্বক পরিস্থিতি বিবেচনা করে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ বিগত ২৮ এপ্রিল সর্বসম্মতিক্রমে পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধ বিষয়ক ঐতিহাসিক একটি রেজুলেশন গ্রহণ করে। পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি এবং জাতীয় প্রতিরোধ কর্মকৌশল এবং কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ২৫ জুলাইকে বিশ্ব পানিতে ডুবা প্রতিরোধ দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন শিশু একাডেমির মহাপরিচালক মোঃ শরিফুল ইসলাম। বক্তৃতা করেন সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন এন্ড রিসার্চ এর উপনির্বাহী পরিচালক ড. আমিনুর রহমান। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব ড মহিউদ্দীন আহমেদ, অতিরক্ত সচিব মোঃ মুহিবুজ্জামানসহ মন্ত্রণালয় ও দপ্তর সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ। এসময় শিশু ও অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিল। উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে শিশুরা পুলে সাঁতার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে।
অর্থমন্ত্রীর সাথে জাইকা প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ১০ শ্রাবণ (২৫ জুলাই) :
আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সাথে জাইকা প্রেসিডেন্ট আকিহিকো তানাকা সাক্ষাৎ করেন। অর্থমন্ত্রী জাইকা প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকে স্বাগত জানান। পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশ জাপান সম্পর্কের ভিত্তি হিসেবে উল্লেখ করে ১৯৭৩ সালের অক্টোবরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাপান সফরের কথা স্মরণ করেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের স্বাধীনতার পরপরই ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া প্রথম দেশগুলোর মধ্যে জাপান অন্যতম। তারপর থেকেই জাপান আমাদের সবচেয়ে বিশ্বস্ত দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগী এবং সময়ের পরীক্ষিত বন্ধু।
বাংলাদেশকে অব্যাহত সমর্থন ও বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় দৃঢ় প্রতিশ্রুতির জন্য জাপান সরকার এবং বিশেষ করে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের মাধ্যমে সম্প্রতি জাপান-বাংলাদেশের সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের জাপান সফর এটিকে আরো বেগবান করেছে।
কোভিড-১৯ মহামারির শুরুতে জাপান বাংলাদেশকে যে বাজেট সহায়তা প্রদান করেছে তা, বাংলাদেশ ও জাপান উভয় দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাজেট সহায়তা হিসেবে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, এটি আমাদের কোভিড-১৯ মহামারির নেতিবাচক প্রভাব প্রশমিত করতে এবং রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট মোকবিলায়ও সাহায্য করেছে। দিনে দিনে জাপান বাংলাদেশের একক বৃহত্তম দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগী হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস, জাইকা ভবিষ্যতের বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা বিবেচনা করে, প্রয়োজনীয় বাজেট সহায়তাসহ আমাদের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য আরো অর্থায়ন বাড়াবে।
ড. আকিহিকো তানাকা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, জাইকার সহযোগিতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। বাংলাদেশ বিভিন্ন অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সূচকে বিভিন্ন প্রতিবেশী দেশ থেকে বর্তমানে অনেক এগিয়ে রয়েছে। সহযোগিতার সফল বাস্তবায়নের কারণে এ মুহূর্তে জাপানের সরকারি উন্নয়ন সহযোগিতার তালিকায় থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান অন্যতম। বিভিন্ন সামাজিক সূচকে অগ্রগতি অর্জনের মাধ্যমে উন্নয়নের একটি নতুন পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু সারা বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছে।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান, জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি এবং জাইকার আবাসিক প্রতিনিধি ইয়ো হায়াকাওয়াসহ জাইকা ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।
মনপুরা দ্বীপের জন্য তিন মেগাওয়াট সোলার-ব্যাটারি-ডিজেল সংবলিত হাইব্রিড বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের চুক্তি স্বাক্ষর
ঢাকা, ১০ শ্রাবণ (২৫ জুলাই) :
আজ বিদ্যুৎ ভবনে মনপুরা দ্বীপের জন্য তিন মেগাওয়াট (এসি) সোলার-ব্যাটারি-ডিজেল সংবলিত হাইব্রিড বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের চুক্তি হয়। ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো) ও ওয়েস্টার্ন মনপুরা সোলার পাওয়ার লিমিটেড (ডব্লিউএমএসপিএল)-এর সাথে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিটিতে Implementation Agreement (IA)-এ বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষে যুগ্মসচিব নিরোদ চন্দ্র মন্ডল ও Power Purchase Agreement (PPA)-এ ওজোপাডিকোর সচিব মোঃ আলমগীর কবির এবং ডব্লিউএমএসপিএল-এর পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বশির আহমেদ স্বাক্ষর করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুৎ সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান বলেছেন, আগামী দিনের জ্বালানি হলো নবায়নযোগ্য জ্বালানি। নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে সরকার নানাভাবে সহযোগিতা করছে। Transition to Green Energy-এর প্রতি সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নেও নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। মনপুরার এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি অনেক দিক থেকেই অন্যরকম। সোলারের সাথে ব্যাটারি এবং ডিজেল থাকবে। তবে কোনো অবস্থায় ডিজেল থেকে ১০ ভাগ বিদ্যুতের বেশি উৎপাদন করা যাবে না। বিদ্যুৎ সচিব আরো বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে আরো বিদ্যুৎ পেলে বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সহজ হতো। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র হতে উক্ত এলাকার জনগণ গ্রিডের মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ পাবে।
২০ বছর মেয়াদি এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র হতে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ হাজার কিলোওয়াট আওয়ার বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। মনপুরা দ্বীপের ২০ হাজার ৪৮৩ জন গ্রাহক সরকারি মূল্যে তথা BERC-এর রেটে বিদ্যুৎ সুবিধা পাবে। ফলে উক্ত দ্বীপে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিল্পায়ন, পর্যটন শিল্পের বিকাশসহ জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ঘটবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে পিডিবি’র চেয়ারম্যান মোঃ মাহবুবুর রহমান, ওজোপাডিকোর চেয়ারম্যান সেলিম আবেদ, স্রেডার সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, ওজোপাডিকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার আজহারুল ইসলাম ও প্রকল্প পরিচালক মোঃ মতিউর রহমান বক্তব্য রাখেন।
বন্যায় সারা দেশে ক্ষতি প্রায় ৮৬ হাজার ৮১২ কোটি টাকা : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১০ শ্রাবণ (২৫ জুলাই) :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ এনামুর রহমান বলেছেন, এ বছর মে মাসের ২য় সপ্তাহে দেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে অবিরামভাবে কয়েক দিন ভারি বৃষ্টিপাত হয়। এছাড়া ভারতের মেঘালয়, আসাম, ত্রিপুরায় কয়েকদিন ধরে অবিরাম ভারি বৃষ্টিপাত হয়। দেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের কয়েকদিনের অবিরাম ভারি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা বৃষ্টির পানিতে ১৩ মে থেকে পূর্বাঞ্চলের সিলেটের সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করে এবং সিলেট, সুনামগঞ্জ ও আশপাশের জেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পর্যায়ক্রমে এই বন্যা দেশের ১৮টি জেলায় বিস্তৃতি লাভ করে। তিনি বলেন, এ বছর বন্যায় সারা দেশে আনুমানিক ৮৬ হাজার ৮১১ কোটি ৬৫ লাখ ৫৯ হাজার ৮৭২ টাকার সমপরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত সাম্প্রতিক বন্যা, ক্ষয়ক্ষতি বিষয়ক পর্যালোচনা ও করণীয় নির্ধারণ সংক্রান্ত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ কামরুল হাসানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের (সম্পূর্ণ) আনুমানিক আর্থিক মূল্য ১ হাজার ২৫৮ কোটি ৫৩ লাখ ৯১ হাজার ১১২ টাকা এবং ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের (আংশিক) আনুমানিক আর্থিক মূল্য ৫৫ হাজার ৯৫৭ কোটি ২১ লাখ ২০ হাজার ৫০৮ টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি (সম্পূর্ণ) ৩৬৪ কোটি ৮৪ লাখ ৫০ হাজার ৪৩ টাকা এবং (আংশিক) ১ হাজার ৩৫৫ কোটি ৩ লাখ ১০ হাজার ৫৫৫ টাকা।
তিনি বলেন, এভাবে ব্রিজ/কালভার্ট পাকা সড়ক, ইট-নির্মিত সড়ক, কাঁচা সড়ক, প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা, কমিউনিটি স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির এবং বাঁধের সম্পূর্ণ ও আংশিক মিলিয়ে বন্যায় সারা দেশে ক্ষতি আনুমানিক ৮৬ হাজার ৮১১ কোটি ৬৫ লাখ ৫৯ হাজার ৮৭২ টাকা।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে মানবিক সহায়তা হিসেবে বিতরণের লক্ষ্যে ১ এপ্রিল থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত ৭ হাজার ২০ মেট্রিক টন চাল, ৯ কোটি ৪৪ লাখ নগদ টাকা, ১ লাখ ৪০ হাজার ১৩২ প্যাকেট/বস্তা শুকনো ও অন্যান্য খাবার, শিশু খাদ্য ক্রয়ের জন্য ৪০ লাখ টাকা, গো-খাদ্য ক্রয়ের জন্য ৪০ লাখ, গৃহ মঞ্জুরি বাবদ ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা এবং ৮ হাজার ৭০০ বান্ডিল ঢেউটিন বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।
জনসেবায় উদ্ভাবন ক্যাটাগরিতে আইসিটি বিভাগের ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক-২০২২’ অর্জন
ঢাকা, ১০ শ্রাবণ (২৫ জুলাই) :
জনসেবায় উদ্ভাবন ক্যাটাগরিতে উল্লেখযোগ্য ও প্রশংসনীয় অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ দলগতভাবে ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক-২০২২’ পেয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ‘সুরক্ষা’ প্ল্যাটফর্মের জন্য এই পদক প্রদান করা হয়।
এ উপলক্ষ্যে এক অবহিতকরণ সভা ঢাকায় তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিভাগ ও এর অধীন দপ্তর এবং সংস্থার প্রধান ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
সভায় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের দিকনির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে দেশে বিভিন্ন আইসিটি অবকাঠামো গড়ে তোলার কারণেই এ অর্জন সম্ভব হয়েছে। ভ্যাকসিন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ‘সুরক্ষা’ ডিজিটাল বাংলাদেশের গর্বের ও সক্ষমতার নিদর্শন উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রযুক্তি ব্যবহার করে কিভাবে জীবন সহজ করা যায় সুরক্ষা প্ল্যাটফর্ম তারই উৎকৃষ্ট প্রমাণ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা ও ডিজিটাল বাংলাদেশের সফলতা সুরক্ষার মাধ্যমে সহজেই দেশের মানুষ অনুধাবন করতে পেরেছে। এছাড়া দেশ বিশ্বের কাছে একটি আত্মনির্ভশীল, টেকসই ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে প্রকাশ পেয়েছে। তিনি নতুন নতুন উদ্ভাবনী প্ল্যাটফর্ম তৈরির জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ৪১ তথা উন্নত, টেকসই, সাশ্রয়ী, বুদ্ধিদীপ্ত, জ্ঞানভিত্তিক উদ্ভাবনী স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণ উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
পরে প্রতিমন্ত্রী ও বিভাগের সিনিয়র সচিব সুরক্ষা টিমের নিকট ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক ২০২২’ হস্তান্তর করেন।
উয়ারী-বটেশ্বরে নির্মিতব্য গঙ্গাঋদ্বি জাদুঘর ঐতিহ্যের অন্বেষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে : শিল্পমন্ত্রী
নরসিংদী, ১০ শ্রাবণ (২৫ জুলাই) :
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, নরসিংদীর বেলাব উপজেলায় উয়ারী-বটেশ্বরে নির্মিতব্য গঙ্গাঋদ্বি জাদুঘর ঐতিহ্যের অন্বেষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। উয়ারী-বটেশ্বর একটি সম্ভাবনাময় পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে উঠবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
গতকাল নরসিংদী জেলা পরিষদে উয়ারী-বটেশ্বরে গঙ্গাঋদ্বি জাদুঘর ভবন নির্মাণ প্রকল্পের অগ্রগতি বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। জেলা পরিষদের প্রশাসক আবদুল মতিন ভূঁইয়া এতে সভাপতিত্ব করেন।
ডিজিটাল যুগে বাংলাভাষা অন্য যে কোনো ভাষা থেকে পিছিয়ে নেই : ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ঢাকা, ১০ শ্রাবণ (২৫ জুলাই) :
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলা ভাষা পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম জনগোষ্ঠীর মাতৃভাষা। বাংলা হরফের বিস্তৃতি আরো বেশি। অসমীয়সহ বেশ কিছু ভাষায় বাংলা হরফ ব্যবহৃত হয়। অথচ এক সময় বাংলাভাষা ছিল উপেক্ষিত। বাংলাভাষা এখন পৃথিবীর সকল ডিজিটাল যন্ত্রে লেখা যায়। বাংলাভাষার প্রযুক্তিগত সক্ষমতা অর্জনে সরকার কাজ করছে। ডিজিটাল যুগে বাংলাভাষা অন্য কোনো ভাষা থেকে পিছিয়ে নেই। তিনি বাংলা ভাষাকে পৃথিবীর মধুরতম ভাষা হিসেবে উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী গতকাল ঢাকায় বিশ্ব সাংস্কৃতিক বিকাশ কেন্দ্রে কবি জীবন তাপস তন্ময় – এর জন্মদিন উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মাদ তৌফিক।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, কবিতা হচ্ছে ভাষা সাহিত্যের প্রাণ আর কবি হচ্ছেন অসুন্দরের বিরুদ্ধে সুন্দরের পূজারী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাজনীতির কবি বলা যায়। বঙ্গবন্ধুর শ্রেষ্ঠ মহাকাব্য বাংলাদেশ। কবি শামসুর রাহমান কিংবা হুমায়ুন আহমেদ আজ বাংলা সাহিত্যের পরিচিত নাম অথচ এমন এক সময় ছিল শরৎ কাহিনী ছাড়া বিকল্প কিছু পড়ার ছিল না আমাদের। তিনি বলেন, ১৯৮৭ সালে কম্পিউটারে বাংলা ভাষা উদ্ভাবনের পর থেকে বাংলা প্রকাশনার জগতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। একুশের বই মেলার স্টলগুলোতে বইসমূহে যখন আমার হাতে তৈরি বাংলা ফন্টের লেখাগুলো দেখি, আমার গর্ব হয়, আমি নিজেকে খুবই সৌভাগ্যবান মনে করি। বাংলা হরফের মতো বিজ্ঞানসম্মত হরফ অন্য ভাষায় নেই উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, দেবনাগরী কিংবা হিন্দীতেও সব শব্দ সঠিক উচ্চারণ করার সুযোগ নেই। বিদ্যাসাগর বাংলাকে সমৃদ্ধ করে গেছেন, নতুন প্রজন্মের কবি-সাহিত্যিকরা বাংলা ভাষার অবস্থান আরও শক্তিশালী করবেন বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।