শিক্ষার্থীদের আরো সক্ষম করে গড়ে তুলতে হবে : জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১২ ভাদ্র (২৭ আগস্ট) :
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশের প্রতিটি শিক্ষার্থীকে আরো দক্ষ ও সক্ষম করে গড়ে তুলতে হবে।
আজ মেহেরপুরে ইম্প্যাক্ট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে পানির আর্সেনিক এবং আয়রন মুক্তকরণ স্থাপনার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটি দেশের জনগণ যত শিক্ষিত, সেই দেশও ততটা উন্নত। এজন্য আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষিত জনগোষ্ঠী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । তাই দেশের শিক্ষার্থীদের পারদর্শী ও সক্ষম করে গড়ে তুলতে হবে।
মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লিংকন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার মোঃ রাফিউল আলম বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা নরপিশাচ : খাদ্যমন্ত্রী
নিয়ামতপুর (নওগাঁ), ১২ ভাদ্র (২৭ আগস্ট) :
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা নরপিশাচ। তারা শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ক্ষান্ত হয়নি, তারা শিশু ও অন্তঃসত্ত্বা নারীকেও হত্যা করেছিলো।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষ্যে আজ নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার ৩নং ভাবিচা ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত শোকসভায় একথা বলেন মন্ত্রী।
খুনি চক্র ভেবেছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে তাঁর আদর্শ, রাজনীতির দর্শন ধ্বংস করা যাবে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে তারা হত্যা করতে পারেনি। জীবিত বঙ্গবন্ধুর চেয়ে শহিদ বঙ্গবন্ধু আরো শক্তিশালীভাবে মানুষের মনে স্থান করে নিয়েছেন বলে মন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড। বিএনপি বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিভিন্নভাবে পুরস্কৃত করেছিল। শোকের মাসে খালেদা জিয়া ভুয়া জন্মদিন পালন করে শোকাহত মানুষের সাথে তামাশা করেছেন। বিএনপি হাওয়া ভবন করে দেশের সম্পদ লুটপাট করেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার পর দেশের অনেক উন্নয়ন করেছেন। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছেন।
শোককে শক্তিতে পরিণত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে কাজ করে চলেছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, কোনো ষড়যন্ত্র এদেশের উন্নয়ন ব্যাহত করতে চাইলে জনগণকে সাথে নিয়ে শক্তভাবে তা মোকাবিলা করা হবে।
ভাবিচা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ওবাইদুল হকের সভাপতিত্বে শোকসভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান বিপ্লব, উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদ আহম্মেদ, ভাইস চেয়ারম্যান আইউব হোসাইন মন্ডল ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাদিরা বেগম বক্তব্য রাখেন।
দেশীয় ও বিদেশি চক্র সুপরিকল্পিতভাবে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
ঢাকা, ১২ ভাদ্র (২৭ আগস্ট) :
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, দেশীয় ও বিদেশি চক্র একত্রিত হয়ে সুপরিকল্পিতভাবে বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ স্বাধীন করতে চেয়েছিলেন। এটাই ছিল প্রতিপক্ষের দৃষ্টিতে অন্যায়। যেদিন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয় সেদিন ও তার পরদিন দুটি রাষ্ট্র বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
আজ রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অভ্ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ-এর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি মিলনায়তনে শোকাবহ আগস্ট উপলক্ষ্যে বরিশাল বিভাগ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু: বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা ও শোকসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বাঙালিদের জাতীয়তাবোধে উদ্বুদ্ধ করে বাঙালি জাতীয়তাবাদ সৃষ্টির পদক্ষেপ নিয়ে সফল হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। বাঙালিত্বকে ঘিরেই বঙ্গবন্ধু বাঙালিদের স্বাধিকার ও স্বাধীনতার মূলমন্ত্রে দীক্ষিত করে ক্রমান্বয়ে এগিয়ে চলেছিলেন। একটি জাতিসত্তাকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করে তিনি একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ উপহার দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু যা দিয়েছেন তার প্রতিদান আমরা দিতে পারিনি কিন্তু বঙ্গবন্ধুর দেওয়া সবকিছু আমরা উপভোগ করছি।
শ ম রেজাউল করিম আরো বলেন, জাতির পিতার হত্যার বিচার পেতে জাতিকে ৩৪ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা থাকার কারণে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করা ও কিছু খুনির ফাঁসির রায় কার্যকর করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ষড়যন্ত্র, পরিকল্পনায় যারা জড়িত ছিল এবং যারা দায়িত্ব পালন করেনি তাদের বিচার হয়নি।
মন্ত্রী বলেন, সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের রক্ষা করে জিয়াউর রহমান। ১৯৭৯ সালে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করে সংবিধানের তফসিলভুক্ত করেছে জিয়াউর রহমান। তার সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায় বঙ্গবন্ধুর খুনিরা দেশে ও দেশের বাইরে পুনর্বাসিত হয়। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি বিশ্বাস, একটি দর্শন। বঙ্গবন্ধু একটি সত্তা। বঙ্গবন্ধু একটি অজেয় পাথেয়। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ ধরে শুধু বাঙালিরা নয় বিশ্বের নির্যাতিত সব মানুষ তার মুক্তির পথ খুঁজে পেতে পারে।
বরিশাল বিভাগ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সিনিয়র সচিব (পিআরএল) লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব উদ্দিন আহমদ বীর বিক্রম ও বরিশাল বিভাগ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ড. মোঃ মতিউর রহমান।
স্বাধীনতা বিরোধীরা শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ ধ্বংসের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে : শিল্প প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১২ ভাদ্র (২৭ আগস্ট) :
শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেছেন, মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ অত্যন্ত মনোরম ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে যথাযথ নিয়মকানুন মেনে সঠিকভাবেই পরিচালিত হচ্ছে বলেই এসএসসি ও এইচএসসিসহ অন্যান্য পাবলিক পরীক্ষায় নিয়মিত গৌরবোজ্জ্বল ফলাফল অর্জনের পাশাপশি সার্বিক বিবেচনায় দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে। স্বাধীনতা বিরোধী একটি কুচক্রী মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নানান অপপ্রচারসহ শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ ধ্বংস করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। স্বাধীনতা বিরোধীদের সকল ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা করে অতীতের ন্যায় ভবিষ্যতেও প্রতিষ্ঠানটি তার শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখবে, এটাই সবার প্রত্যাশা।
আজ রাজধানীর মিরপুর এলাকায় মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ প্রাঙ্গনে জাতীয় শোক দিবস-২০২২ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভা, বিশেষ দোয়া ও তবারক বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য সময়ের চাহিদা মোতাবেক বিষয়ভিত্তিক সাইন্স ল্যাব, আইটি সেন্টার, মেডিকেল সেন্টার, এমবিবিএস ডাক্তার, নার্স, সাধারণ গ্রন্থাগার, মুক্তিযুদ্ধ গ্রন্থাগার, ক্যান্টিন, সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা, বিদ্যুৎ নিশ্চিত করার জন্য জেনারেটর ইত্যাদি সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অদ্যাবধি প্রচলিত আইনকানুন ও বিধিমালা যথাযথভাবে অনুসরণ করেই পরিচালিত হয়ে আসছে। এর সকল আয় দৈনন্দিন কার্যদিবসে ব্যাংকে জমা হয়। বিধি মোতাবেক শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য ব্যয় নির্বাহ হয় এবং যাবতীয় আয়-ব্যয়ের যথাযথ অডিট সম্পন্ন হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি বলেন, দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী করে শিক্ষার্থীদেরকে গড়ে তুলতে হবে। দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে বঙ্গবন্ধুর নীতি, আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে বেড়ে ওঠতে পারে সে লক্ষ্যে সকলকে উদ্যোগী হতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে স্বাধীনতা বিরোধীদের সকল ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা করতে হবে এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তাঁর স্বপ্নের সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হবে।
মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের এডহক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অধ্যাপক রাশেদা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মোঃ ফরহাদ হোসেন এবং অভিভাবক প্রতিনিধি নুরুন্নাহার বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ব্রাঞ্চের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার উত্তর কাফরুল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রধান অতিথি হিসেবে জাতীয় শোক দিবস-২০২২ উপলক্ষ্যে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের চার শতাধিক গরীব ও অসহায় পরিবারের মাঝে নিজের পক্ষ থেকে ১০ কেজি চাউলসহ খাদ্যসামগ্রীর একটি করে প্যাকেট বিতরণ করেন। এসময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
৮মাসে প্রায় ৩ লাখ নাগরিক ১৬১২২ নম্বরে ফোনযোগে ভূমিসেবা গ্রহণ করে এবং ভূমি জরিপের খসড়ার ওপর আপত্তি গ্রহণের ব্যবস্থা শীগগিরই
ঢাকা, ১২ ভাদ্র (২৭ আগস্ট) :
চলতি বছরের প্রথম ৮ মাসে প্রায় ৩ লাখ মানুষ ১৬১২২ নম্বরে ফোন করে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম www.facebook.com/land.gov.bd-এ কমেন্ট কিংবা মেসেজ করে ভূমি বিষয়ক সেবা গ্রহণ করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়।
এছাড়া ‘নাগরিক ভূমিসেবা ২৪/৭’-এর হেল্পলাইন ১৬১২২ থেকে গত ৮ মাসে মোট ৭ লাখ ৫০ হাজার বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ কল নিষ্পত্তি করা হয়েছে। বিদেশ থেকে এর লং-কোড ৮৮০ ৯৬১২-৩১৬১২২ এ প্রাপ্ত কল নিষ্পত্তি সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার ৪০০। সেবা প্রার্থীদের পুনরায় ফোন করে ফলোআপ করা হয়েছে প্রায় ১০ হাজার কলের মাধ্যমে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘ভূমিসেবা Land Service’ (www.facebook.com/land.gov.bd) পেজ থেকে প্রায় ১২ হাজার মেসেজ এবং কমেন্টের জবাব দেওয়া হয়েছে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের এক পর্যালোচনায় উপর্যুক্ত তথ্যাদি উঠে আসে।
ভূমিসেবা হেল্পলাইন ১৬১২২ সহ অন্যান্য ডিজিটাল সেবার কারণে ভূমি অফিসে না গিয়েই ভূমি সেবা গ্রহণ করতে পারছেন দেশের নাগরিক। এতে মানুষের অর্থ খরচ ও ভোগান্তি অনেকাংশে লাঘব পেয়েছে। অসাধু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্তৃক ক্ষমতার অপব্যবহার এবং দুর্নীতির সুযোগ হ্রাস পেয়েছে বহুলাংশে। ‘ভূমি অফিসে না এসেই নাগরিক যেন ভূমি সেবা পান এবং একান্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যেন কাউকে ভূমি অফিসে আসতে না হয়’ – বর্তমান সরকারের ভূমি ব্যবস্থাপনা ডিজিটালাইজেশনের অন্যতম এই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর নেতৃত্বে ভূমি মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে।
‘নাগরিক ভূমিসেবা ২৪/৭’ কলসেন্টারটি ভূমি মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে পরিচালিত হচ্ছে। ভূমি মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাভুক্ত দপ্তর/সংস্থায় কর্মরত ভূমি আইন, ব্যবস্থাপনা, ও জরিপ বিষয়ে দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তাগণ ফোন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রাপ্ত অনুসন্ধানের উত্তর, পরামর্শ, সম্ভাব্য সমাধান প্রস্তুত ও সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছেন। কলসেন্টারটির অপারেটর ও কারিগরি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে আন্তর্জাতিক কলসেন্টার পরিচালনায় অভিজ্ঞ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।
ভূমি মালিকদের কাছে ‘নাগরিক ভূমিসেবা ২৪/৭’র জনপ্রিয় সেবাসমূহের মধ্যে রয়েছে: ঘরে বসেই ডাকযোগে খতিয়ান ও জমির ম্যাপ প্রাপ্তি, যেকোনো স্থান থেকে খতিয়ান ও নামজারি ফি এবং ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ, নামজারি আবেদন করা, ভূমি আইন ও বিধিবিধান সংক্রান্ত জিজ্ঞাস্যের জবাব এবং বিবিধ অভিযোগ গ্রহণ।
শাহজালাল বিমানবন্দরে আকস্মিক পরিদর্শনে বেসামরিক বিমান পরিবহন প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১২ ভাদ্র (২৭ আগস্ট) :
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী আকস্মিকভাবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
প্রতিমন্ত্রী আজ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের লাগেজ বেল্ট এরিয়া, গ্রাউন্ড সার্ভিস ইকুইপমেন্ট ডিভিশন, ফ্লাইটের জন্য প্রস্তুত বিমানের উড়োজাহাজ, হ্যাঙ্গার এরিয়া, বিমান ফ্লাইট ক্যাটারিং সেন্টার, ইমিগ্রেশনের বিভিন্ন কার্যক্রম সরজমিনে পরিদর্শন করেন।
যাত্রার জন্য প্রস্তুত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রী যাত্রীদের ইনফ্লাইট বিনোদন নিশ্চিত করার জন্য বিমানের ইন ফ্লাইট এন্টারটেইনমেন্ট সিস্টেমের কন্টেন্ট আরো সমৃদ্ধ করতে নির্দেশনা প্রদান করেন। এছাড়াও যেকোনো উড়োজাহাজ ফ্লাইট থেকে ফেরার পর যথাযথ প্রক্রিয়ায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি যাত্রীদের আরামদায়ক ও স্বস্তিদায়ক ভ্রমণ নিশ্চিত করার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে আরো বেশি আন্তরিক হওয়ার জন্য বলেন প্রতিমন্ত্রী।
লাগেজ বেল্ট এরিয়া ও গ্রাউন্ড সার্ভিস ডিভিশন পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রী এ দুটি খাতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তদারকি বাড়ানোর পরামর্শ দেন। গ্রাউন্ড সার্ভিসে দক্ষ জনবল প্রয়োজন থাকায় এ বিভাগের জন্য বিমানের নিয়োগ কার্যক্রম স্বচ্ছতা ও দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করার জন্য এ সময় তিনি নির্দেশনা প্রদান করেন। একই সাথে গ্রাউন্ড সার্ভিস ডিভিশনের জন্য অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ক্রয়ের প্রক্রিয়া দ্রুততা ও স্বচ্ছতার সাথে সম্পন্ন করার জন্য বিমান কর্তৃপক্ষকে তিনি পরামর্শ দেন।
ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম পরিদর্শনের সময় অধিকতর যাত্রীবান্ধব আচরণ করার জন্য ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করেন। যাত্রীরা যাতে কোনো প্রকার হয়রানি ও অস্বস্তির মধ্যে না পড়েন সে ব্যাপারে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের আন্তরিক হওয়ার জন্য বলেন।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোঃ মফিদুর রহমান, বেবিচকের সদস্য এয়ার কমোডর সাদিকুর রহমান চৌধুরী, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব নজরুল ইসলাম সরকার, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক সিদ্দিকুর রহমান।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেন নিয়মের ব্যত্যয় না ঘটে : শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, ১২ ভাদ্র (২৭ আগস্ট) :
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনো রকম নিয়মের ব্যত্যয় না ঘটাতে সরকারি, বেসরকারি ও সংস্থা পরিচালিত সব প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি আজ রাজধানীর মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন।
মন্ত্রী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমার শুধু এইটুকু অনুরোধ ও আহ্বান থাকবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি হোক, বেসরকারি কিংবা সংস্থা পরিচালিত হোক সেই প্রতিষ্ঠানকে আইন-কানুনের মধ্যে পরিচালিত হতে হবে। প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা থাকতে হবে। সেখানে যেনও নিয়মের ব্যত্যয় না ঘটে। তাহলে শিক্ষার যে উদ্দেশ্যে সেটিও সহজভাবে অর্জিত হবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা শিক্ষায় আমূল পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছি। আমাদের যে কারিকুলাম, সেই কারিকুলামে যদিও ২০১২ সাল থেকে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পাঠদান করা হচ্ছে, তারপরও আমাদের শিক্ষা আন্দময় ছিল না। আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর পড়াশোনায় ভীষণ চাপ ছিল। তাছাড়া যেভাবে পড়ানো হয় এবং আমাদের যে ক্লাস সাইজ, যত শিক্ষার্থী একটি ক্লাসে থাকে, তাতে কোনো শিক্ষকের পক্ষেই সব শিক্ষার্থীর প্রতি ক্লাসে সমান মনোযোগ দেওয়া সম্ভব নয়। এরকম নানান সমস্যা, সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যে অভিষ্ঠ লক্ষ্য ঠিক করেছি, ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত সমৃদ্ধ শান্তিময় বাংলাদেশ গড়ে তুলব,২০৩০ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক যে অঙ্গীকার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যগুলো অর্জন করব, ২০৩১ সালের মধ্যে আমাদের ডেমোগ্রাফিক ডিবিডেন্ট অর্জন করার সময়সীমা রয়েছে, এ সময়ের মধ্যেই ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট অর্জন করতে হবে এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যলেঞ্জ মোকাবিলায় উপযুক্ত করে আমাদের শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে হবে, এসব লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমাদের শিক্ষাক্রমে ব্যাপকভাবে পরিবর্তন নিয়ে এসেছি। আমাদের শিক্ষার্থীরা মুখস্ত করবে না, পরীক্ষার চাপে জর্জরিত হবে না, শিক্ষা হবে আনন্দময়, সক্রিয় শেখা ও অভিজ্ঞতাভিত্তিক শেখা।’
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আমাদেরকে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর শিক্ষা দেয় : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
যশোর, ১২ ভাদ্র (২৭ আগস্ট) :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ এনামুর রহমান বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারা জীবন গরিব দুঃখী মানুষের জন্য কাজ করেছেন, বাংলার মানুষের সুখে দুঃখে পাশে থেকেছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আমাদেরকে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর শিক্ষা দেয় । এই মহান নেতার শাহাদতবার্ষিকীতে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ‘ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প এবং খাদ্য সহায়তা’ প্রদানের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। এরফলে বঙ্গবন্ধুকে প্রকৃত অর্থে শ্রদ্ধা জানানো হবে বলে আমি মনে করি।
আজ যশোরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত ‘ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প এবং খাদ্য সহায়তা’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সর্বদা সচেষ্ট ও তৎপর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে সরকার কোভিড-১৯ মহামারি সফলভাবে মোকাবিলা করেছে যা সারাবিশ্বে প্রশংসিত। সাধারণ মানুষের কাছে বিনামূল্য কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন পৌঁছে দিয়ে সারাবিশ্বের কাছে মহামারি ব্যবস্থাপনার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে সরকার।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর মোঃ আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সিনিয়র কনসালটেন্ট প্রফেসর ডাক্তার এম এ রশিদ ।
পরে প্রতিমন্ত্রী অসহায় ও দরিদ্র মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।
অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় মৌলবাদ বড় হুমকি : ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ঢাকা, ১২ ভাদ্র (২৭ আগস্ট) :
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টিসহ দেশের শান্তি , অগ্রগতি ও স্থিতিশীলতা নষ্টের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। স্বাধীনতাবিরোধী উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী শুধু ফেসবুক ব্যবহার করছে না, ওরা ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, লিংকেডিনসহ আরো অনেক মাধ্যম ব্যবহার করছে, ফলে আমাদের শুধু ফেসবুকের দিকে খেয়াল রাখলে চলবেনা। অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর দিকেও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। এ বিষয়ে মন্ত্রী একটি কমন ডেটাবেজ তৈরির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। মন্ত্রী সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে অশুভ শক্তির বাংলাদেশ বিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
আজ ঢাকায় তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ডিজিটাল প্লাটফর্মে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে একাত্তরের ঘাতক দালান নির্মূল কমিটি, অস্ট্রেলিয়া শাখা আয়োজিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মৌলবাদ প্রতিরোধ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সংগঠনের অস্ট্রেলিয়া শাখার সভাপতি ডাঃ একরাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল, অস্ট্রেলিয়া শাখা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান রিতু, অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা এনায়েতুর রহমান বেলাল, অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী চট্টগ্রাম ইসলামিয়া কলেজের সাবেক ভিপি ইফতেখার ইফতু, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ অস্ট্রেলিয়া শাখার সাবেক সভাপতি মুহিতুল ইসলাম সুজন এবং অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র নেতা শফিকুল আলম বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রী বাংলাদেশ বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত উল্লেখ করে বলেন, মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক অপশক্তি বাংলাদেশে যেভাবে শেকড় গেঁড়েছে তা উপড়ে ফেলা একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি দীর্ঘদিন যাবত সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে কাজ করছে উল্লেখ করে মন্ত্রী তাদেরকে সাধুবাদ জানান।
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘বিটিআরসি’র মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালের আপত্তিকর পোস্ট ও কমেন্ট মুছে ফেলার জন্য একটি অ্যাপস তৈরির পরিকল্পনা করছি। ফেসবুকের বিভিন্ন পোস্ট রিপোর্ট করে তা মুছে ফেলার ক্ষেত্রে আগে আমাদের সফলতার হার ছিল ৫ ভাগ, এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ ভাগে। মৌলবাদী সন্ত্রাস নির্মূলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে ।
বঙ্গবন্ধু হত্যার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
ঢাকা, ১২ ভাদ্র (২৭ আগস্ট) :
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। সেটা কমিশন আকারেই হোক অথবা ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী হোক। বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত সবার স্বরূপ উন্মোচন করা না হলে নতুন প্রজন্মের কাছে ইতিহাসের কাঠগড়ায় অপরাধী হয়ে থাকতে হবে। ইতিহাসের এ অধ্যায় বিস্মৃত হয়ে জোড়াতালি দিয়ে চললে রাজনীতি অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।
আজ সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির শহিদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস ২০২২ উপলক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ আগস্টের সকল শহিদ স্মরণে পিরোজপুর জেলা সমিতি, ঢাকা আয়োজিত আলোচন সভা ও দোয়া মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু হত্যার খন্ডিত বিচার হয়েছে উল্লেখ করে শ ম রেজাউল করিম এ সময় আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িতদের নাম মামলার চার্জশিটে আসেনি। বঙ্গবন্ধুর নিরাপত্তার দায়িত্বে যারা ব্যর্থ ছিল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বঙ্গবন্ধু হত্যার সুবিধাভোগীদেরও বিচার করা হয়নি। ‘৭৫ এর ১৫ আগস্টের প্রেক্ষাপটে যারা সঠিক দায়িত্ব পালন করেনি তারা এখনো মুখোশ পরে বিচরণ করছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার লক্ষ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ ধ্বংস করা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা পরিকল্পনার অন্যতম কারণ ছিল একাত্তর সালের পরাজয়ের প্রতিশোধ নেয়া। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার অন্যতম কারণ ছিল বাংলাদেশকে একটি বিপন্ন জনপদ হিসেবে রাখা যাতে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে। যার চূড়ান্ত লক্ষ্য ছিল একাত্তরের পরাজিতদের ক্ষমতায় নিয়ে আসা।
বঙ্গবন্ধু হত্যার ধারাবাহিক ষড়যন্ত্র তুলে ধরে মন্ত্রী এ সময় জানান, জিয়াউর রহমান ‘গো অ্যাহেড’ বলে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। তিনি বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের রাজনীতি ও মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ককে হত্যার সব কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। তার নেতৃত্বে বিদেশি মিশনে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের চাকরি দেয়া হয়েছিল, খুনিদের সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে পুনর্বাসন করা হয়েছিল। পরবর্তীতে এরশাদ খুনিদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছে। খালেদা জিয়া তাদের সংসদে নিয়ে এসেছে। এভাবে জিয়াউর রহমান, এরশাদ ও খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনিদের লালন করেছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের জীবনের এক বিস্ময়কর অধ্যায়। ব্যক্তি বঙ্গবন্ধু পরিণত হয়েছিলেন একটি আদর্শে, একটি বিশ্বাসে, একটি দর্শনে। বাঙালি জাতিসহ বিশ্বের নির্যাতিত, নিষ্পেষিত ও নিপীড়িত মানুষের পথ চলার পাথেয় হিসেবে বঙ্গবন্ধু একটা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছিলেন। সে কারণে বঙ্গবন্ধুর শারীরিক প্রস্থান মানে সবকিছু শেষ নয়। বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া ইতিহাস, ঐতিহ্য ও কর্মময় জীবন এখন আমাদের পথ চলার পাথেয়।
পিরোজপুর জেলা সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম শামসুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু। আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এমপি এবং রুস্তম আলী ফরাজী এমপি।
পরে মন্ত্রী জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে ভার্চুয়ালি যোগদান করে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন।
২৭ আগস্ট কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ১২ ভাদ্র (২৭ আগস্ট) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৫৬ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৪ দশমিক ২৬ শতাংশ। এ সময় ৩ হাজার ৬৬৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৩২৩ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৫৫ হাজার ২৬৪ জন।
বঙ্গবন্ধুর শান্তি ও প্রগতির মতাদর্শই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির মূল শক্তি : বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১২ ভাদ্র (২৭ আগস্ট) :
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর শান্তি ও প্রগতির মতাদর্শই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির মূল শক্তি। তিনি মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনানির্ভর একটি সময়োপোযোগী আধুনিক রাষ্ট্র গঠনের জন্য উন্নয়নের শক্তভিত নির্মাণ করেছিলেন। একটি রাষ্ট্রের জন্য প্রয়োজনীয় এমন কোনো বিষয় নেই যা তিনি স্পর্শহীন রেখেছেন। রাজনীতিবিদ এবং ব্যক্তি হিসেবে বঙ্গবন্ধুর মহানুভবতা, আদর্শিক সংগ্রাম, কষ্ট স্বীকার ও আত্মত্যাগ বিশ্ব ইতিহাসে বিরল।
প্রতিমন্ত্রী আজ অনলাইনে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড আয়োজি বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ ও শোকাবহ ১৫ আগস্ট র্শীষক আলোচনা সভায় সংযুক্ত থেকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জ্বালানি ও বিদ্যুৎকে অর্থনৈতিক মুক্তির অন্যতম খাত বিবেচনা করেছিলেন। গ্রাম-গঞ্জের প্রতিটি মানুষ যাতে বিদ্যুৎ পায়, সেজন্য তিনি বিদ্যুৎকে সংবিধানের অংশ করেছিলেন, যা বিশ্বের ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা। বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শিতা বোঝা যায় তাঁর আরেকটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্তে। মৃত্যুর মাত্র ৫ দিন আগেও তিনি শেল ওয়েল কোম্পানির কাছ থেকে পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্র কিনে নেন, যেখান থেকে আমরা এখনো দেশের প্রায় ৪০ ভাগ গ্যাস পাচ্ছি।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালের পূর্বে সারাদেশে দিনে ১৬-১৮ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকতো না। সেই কঠিন অবস্থা থেকে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দিয়ে শতভাগ বিদ্যুতায়নের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেছেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক অবস্থা নাজুক, জ্বালানির বাজারকে করেছে চরমভাবে অস্থিতিশীল। গত মাসের তুলনায় এ মাসের বিদ্যুতের অবস্থা ভালো, আরো ভালো অবস্থায় যাবে। জ্বালানির ক্ষেত্রেও ভালো অবস্থা হবে। এসময় তিনি সকলকে ধৈর্য্য ধরার অনুরোধ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রাখুন, নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই বাংলাদেশ সুখী-সমৃদ্ধ, সোনার বাংলায় পরিণত হবে।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড-এর চেয়ারম্যান মোঃ মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন সাবেক মুখ্য সচিব ডঃ কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী। অন্যান্যের মাঝে সংযুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন বিদ্যুৎ সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান।
বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দেশে রিপোর্ট করুন : জেনেভায় তথ্যমন্ত্রী
জেনেভা, (২৭ আগস্ট) :
বিদেশের মাটিতে বসে যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায়, বিদ্বেষ ছড়ায়, তাদের চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট দেশের কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট করার জন্য প্রবাসী জনগোষ্ঠী ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন জেনেভা সফররত তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
জেনেভায় গতকাল স্থানীয় রেস্তোরাঁয় বাংলাদেশ কমিউনিটির সাথে মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এ আহবান জানান। সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি নজরুল জমাদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল খানের সঞ্চালনায় আওয়ামী লীগ সহসভাপতি মশিউর রহমান, কমিউনিটি প্রতিনিধি মোজাম্মেল হক, পলাশ বড়ুয়া প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।
ড. হাছান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ বদলে গেছে। কয়েক বছর পর বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে নিজের এলাকা আর সহজে চেনা যায় না। গ্রাম ও শহরের পার্থক্য প্রায় ঘুচে গেছে। কুঁড়েঘর, মেঠোপথ বা খালি পায়ে মানুষ দেখা যায় না। দেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। কিন্তু এ উন্নয়ন যাদের সহ্য হয় না, তাদের অনেকে বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও বিদ্বেষ ছড়ায়, নানা ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত করে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও দেশপ্রেমিক প্রবাসীদের বলবো, এদেরকে চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট দেশের কর্তৃপক্ষকে জানান।’
প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে এবং জিয়া-এরশাদ-খালেদা জিয়ার আমলে যে চরম মানবাধিকার লংঘিত হয়েছে, হাজার হাজার সেনাসদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী হত্যা ও নির্যাতন করা হয়েছে, সেই সত্য জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো ও বিদেশী রাষ্ট্রগুলোর কাছে তুলে ধরতে হবে। ২০১৩-১৫ সময়ে বিএনপি-জামাতের হরতাল-অবরোধের নামে যেভাবে পেট্রোলবোমা ছুঁড়ে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়, সে চিত্র তাদের জানাতে হবে।’
সায়মা ওয়াজেদের ভূমিকায় প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিকরা আর বোঝা নন, দেশ ও দশের জন্য সম্মানবাহী।
এর আগে জাতিসংঘের ‘কনভেনশন অন দ্য রাইটস অভ পারসনস উইথ ডিজ্যাবিলিটিস’ বিষয়ক কমিটির ২৭তম অধিবেশনের দ্বিতীয় ও শেষ দিন বাংলাদেশ পর্যালোচনায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দেশে প্রতিবন্ধী মানুষের উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি প্ল্যান অভ একশন (২০১৮-২০২৫) বাস্তবায়ন করছে।
হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘আশা ও আনন্দের বিষয়, প্রধানমন্ত্রী তনয়া ও বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্রী সায়মা ওয়াজেদের প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিকদের চিকিৎসা, সেবা, শিক্ষা ও তাদের জীবন উন্নয়ন গবেষণায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভূমিকার ফলে তারা আজ আর সমজের বোঝা নন, বরং তাদের পরিবার, সমাজ ও দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনছেন। অলিম্পিক গেমসসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে ও দেশের বিভিন্ন অঙ্গনে তারা বহু পুরস্কার অর্জন করে দেশ ও দশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন।’
প্রতিবন্ধীদের মৌলিক চাহিদাপূরণ, কর্মসংস্থান, বিচারিক সুবিধা ও নির্যাতন থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করার মাধ্যমে সরকার তাদের মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করছে, জানান সম্প্রচারমন্ত্রী। তিনি বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাতেও তাদেরকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে প্রতিবন্ধীবান্ধব আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে, ডিজ্যাবিলিটিস ডেটাবেজের মাধ্যমে তাদেরকে ত্রাণ ও অন্যান্য সাহায্য দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ‘বৈষম্য প্রতিরোধ আইন ২০২২’ এর একটি খসড়া জাতীয় সংসদের বিবেচনাধীন রয়েছে বলেও অধিবেশনে উল্লেখ করেন ড. হাছান।
জেনেভায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান, সমাজকল্যাণ সচিব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, জাতিসংঘে দেশের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি সঞ্চিতা হক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মন্ত্রীর সাথে অধিবেশনে যোগ দেন।
৬ষ্ঠ এডিনবার্গ আন্তর্জাতিক কালচারাল সামিটে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর যোগদান
ঢাকা, ১২ ভাদ্র (২৭ আগস্ট) :
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ গতকাল স্কটল্যান্ডের রাজধানী এডিনবার্গে অনুষ্ঠিত “Culture and a Sustainable Future” শীর্ষক তিন দিনব্যাপী ৬ষ্ঠ এডিনবার্গ আন্তর্জাতিক কালচারাল সামিটের উদ্বোধনী প্লেনারি সেশনে অংশগ্রহণ করেন। উদ্বোধন সেশনে প্রতিমন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম।
প্রতিমন্ত্রী এসময় স্কটিশ পার্লামেন্ট এর স্পিকার Alison Johnstone, স্কটল্যান্ডের কনস্টিটিউশন, এক্সটারনাল এ্যাফেয়ারস এন্ড কালচার এর কেবিনেট সেক্রেটারি Angus Robertson, আয়ারল্যান্ডের কালচারাল ডেলিগেটস্ এর প্রধান এবং বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত স্কটিশ পার্লামেন্ট মেম্বার ফয়সল চৌধুরীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
২৬ আগস্ট শুরু হওয়া কালচারাল সামিট শেষ হবে ২৮ আগস্ট ২০২২।
জাতীয় কবির ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের শ্রদ্ধা নিবেদন
ঢাকা, ১২ ভাদ্র (২৭ আগস্ট) :
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবুল মনসুরের নেতৃত্বে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদ সংলগ্ন কবির সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মনিরুল আলম ও অসীম কুমার দে, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর মহাপরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রতন চন্দ্র পণ্ডিত, কবি নজরুল ইনস্টিটিউট এর নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ জাকীর হোসেন, রেজিস্ট্রার অব কপিরাইটস মো: দাউদ মিয়া, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক কবি মিনার মনসুর, কবি নজরুল ইনস্টিটিউট ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি খায়রুল আনাম শাকিলসহ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থার প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ কৃষক লীগের প্রাক্তন সভাপতি আব্দুল জব্বারের মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১২ ভাদ্র (২৭ আগস্ট) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ২৮ আগস্ট বাংলাদেশ কৃষক লীগের প্রাক্তন সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল জব্বারের ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্নেহধন্য, প্রাক্তন সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) বাংলাদেশ কৃষক লীগ, সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম আব্দুল জব্বারের ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বার ছিলেন একজন অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান ও অনন্য ব্যক্তিত্বের অধিকারী। আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন, ’৬২-র শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলন, ’৬৬-র ছয় দফা, ’৬৮-র আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ’৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭০-এর নির্বাচন, ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ৯০’র স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন। এছাড়া তিনি বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সঙ্গেও তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরিবারের ১৮ জন সদস্যসহ নির্মমভাবে হত্যার পর আব্দুল জব্বার ১৭ আগস্ট কুলাউড়া শহরে প্রতিবাদ সভা, বিক্ষোভ মিছিল ও গায়েবানা জানাজার আয়োজন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে গ্রেফতার হতে হয় এবং বঙ্গবন্ধুর অন্যতম খুনি মেজর নূর রাতভর অমানুষিক নির্যাতন করে, ভোর রাতে হত্যার জন্য ব্রাশফায়ার করতে গেলে তৎকালীন সেনা অফিসার আমিন আহমেদ চৌধুরী তাঁকে উদ্ধার করেন এবং তিনি প্রাণে বেঁচে যান। জেল থেকে মুক্তি পেয়ে পুনরায় তিনি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করলে আবারো গ্রেফতার হন এবং কারাবরণ ও নির্যাতনের শিকার হন।
একুশে পদক- এ ভূষিত আব্দুল জব্বার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, আইনের শাসন, মানবাধিকার সমুন্নত রাখা, রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে জীবন বাজি রেখে প্রতিবাদে সোচ্চার থেকেছেন সব সময়। মাটি ও মানুষের সঙ্গে ছিল তাঁর নিবিড় সম্পর্ক। মরহুম আব্দুল জব্বারের ব্যক্তিত্ব, প্রজ্ঞা, সততা ও দেশপ্রেম সকলকে অনুপ্রাণিত করে। তাঁর সততা ও জীবনাদর্শ তরুণ রাজনীতিবিদদের জন্য অনুসরণীয় হয়ে থাকবে।
আমি মহান আল্লাহর দরবারে মরহুম আব্দুল জব্বারের পবিত্র রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
Read us@googlenews