সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বিপ্লব সূচিত হয়েছে : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী
ঢাকা, ১৪ আষাঢ় (২৮ জুন) :
সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বিপ্লব সূচিত হয়েছে।
মন্ত্রী আজ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থার মধ্যে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু।
মন্ত্রী বলেন, আমরা কোভিড অতিমারি চলাকালীন সকল ভাতাভোগীর ডাটাবেইজ তৈরি করে জিটুপি পদ্ধতিতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ভাতা প্রদান নিশ্চিত করেছি।
বর্তমানে এক কোটিরও অধিক ভাতাভোগী এ পদ্ধতিতে ভাতা পাচ্ছেন। মন্ত্রী বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনাদানকালে বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বাস্তবায়িত কর্মসূচির উপকারভোগীগণ যাতে নির্বিঘ্নে সেবা পান সেদিকে সকলকে মনোযোগী হতে হবে। এ খাতের অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে হবে।
সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ মন্ত্রণালয়ের কাজ অসহায় ও পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন। এ বিষয় মাথায় রেখে কাজ করতে হবে।
কোভিড-১৯ প্রতিরোধকল্পে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সুপারিশ
ঢাকা, ১৪ আষাঢ় (২৮ জুন) :
সাম্প্রতিককালে সারা দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্তের হার দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাওয়ায় ও জনগণের মধ্যে মাস্ক পরিধান এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে যথেষ্ট শৈথিল্য পরিলক্ষিত হওয়ায় কোভিড-১৯ প্রতিরোধকল্পে নিম্নোক্ত নির্দেশনাসমূহ বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ করছে কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
নির্দেশনাসমূহ হলো:-
বিএনপি তাদের ডুবন্ত রাজনীতি পদ্মা নদীর মাঝ থেকে উদ্ধার করতে পারুক-তথ্যমন্ত্রীর আশা
ঢাকা, ১৪ আষাঢ় (২৮ জুন) :
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর বিএনপির রাজনীতি পদ্মা নদীর মাঝখানে ডুবে গেছে। তাই প্রথমে তারা আবোল-তাবোল বলেছিল এখন বাকরুদ্ধ হয়ে গেছে, কী বলবে বুঝতে পারছে না। আমি আশা করবো, তারা তাদের রাজনীতি পদ্মা নদীর মাঝখান থেকে উদ্ধার করতে পারবে এবং অতীতের অপকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়ে জনগণের কাছে যাবে।’
আজ রাজধানী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সবুজবাগ থানার অন্তর্গত ৭৪ নং ওয়ার্ডের আওতাধীন ইউনিটসমূহের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সম্মেলনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবু আহমদ মন্নাফী উদ্বোধক ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ হুমায়ুন কবীর প্রধান বক্তা হিসেবে এবং সহ-সভাপতি শহীদ সেরনিয়াবাত, সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার হোসেন বক্তব্য রাখেন। আরো বক্তব্য রাখেন সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি আশরাফুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক চিত্তরঞ্জন দাস প্রমুখ।
আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আর দেড় বছর পরে নির্বাচন। এখন বিএনপিকে দেখা যায় না, মাঝেমধ্যে গর্ত থেকে উঁকি দিয়ে চায় আর চোরাগোপ্তা মিছিল করে। আইনগতভাবেই বেগম জিয়া এবং তারেক রহমানের নির্বাচন করার কোনো সুযোগ নেই সেজন্য তারা নির্বাচনে যাবে কি না, সে নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকে। তবে যতো কথাই বলুক, আগামী নির্বাচনে তারা অংশ নেবে এবং নির্বাচনের আগে গর্তের ভেতর থেকে বেরিয়ে নানা ধরনের বিভ্রান্তি ছড়াবে।’
‘আর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সারা দেশ ঘুরে আমাদের নেতাকর্মীদের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনা দেখেছি, আগামী নির্বাচনেও ইনশাআল্লাহ আমাদের ধস নামানো বিজয়ের মধ্য দিয়ে তারা ভেসে যাবে’ উল্লেখ করে সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘সেই বিজয় নিশ্চিত করতে দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে হবে। ২১ বছর ধরে যারা বুকে পাথর বেঁধে দল করেছে, সমস্ত রক্তচক্ষু, ষড়যন্ত্রের মধ্যেও দলকে এগিয়ে নিয়ে গেছে, তাদেরকেই নেতৃত্বে দরকার। যারা গত সাড়ে ১৩ বছরে নতুন আওয়ামী লীগ হয়েছে তারা বিরোধী দল দেখে নাই, শুধু ক্ষমতা দেখেছে, সুতরাং তাদেরকে নেতৃত্বে আনার কোনো প্রয়োজন নেই। এবং ক্ষমতায় থাকলে বিনয়ী হতে হবে। কোনো নেতাকর্মীর উদ্ধত আচরণের জন্য আমরা দলের মর্যাদা বিসর্জন দিতে পারি না। আর মাদক, দখল-চাঁদাবাজির সাথে যুক্তদেরকে বর্জন করুন। আমাদের দলে তাদের দরকার নেই।’
ড. হাছান বলেন, ‘সংসদে বিএনপি নেতারা বলেছেন, শক্তিশালী বিরোধী দল দরকার। আমরাও চাই আপনারা শক্তিশালী হোন। কিন্তু তারা একে একে যেসব আত্মহননের সিদ্ধান্ত নেয়, সে কারণে তারা শক্তিশালী হতে পারে না। আশা করবো তারা আত্মহননের সিদ্ধান্ত পরিহার করে নিজেরা শক্তিশালী হবে, দেশের গণতন্ত্রকেও শক্তিশালী করবে।’
শুদ্ধাচার পুরস্কার পেলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের চার কর্মচারী; এপিএ স্বাক্ষরিত
ঢাকা, ১৪ আষাঢ় (২৮ জুন) :
কর্মক্ষেত্রে শুদ্ধাচার চর্চার স্বীকৃতিস্বরূপ স্থানীয় সরকার বিভাগ ও আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থা হতে পাঁচজন
কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জাতীয় শুদ্ধাচার- ২০২১-২২ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
আজ মন্ত্রণালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর ও শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০২১-২২ প্রদান অনুষ্ঠানে শুদ্ধাচার পুরস্কারের সন্মাননা ও সনদ তুলে দেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।
শুদ্ধাচার পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন-স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানদের মধ্যে জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) সালেহ আহমদ মোজাফফর, ২য়-৯ম গ্রেডে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব জেসমিন পারভীন, ১০ম-১৬তম গ্রেডে প্রশাসনিক কর্মকর্তা শেখ ইমরান হোসেন এবং ১৭-২০ তম গ্রেডের অফিস সহায়ক সেতু চাকমা।
২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) বাস্তবায়নে ভালো ফলাফল করায় প্রথম পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে প্রণোদনা প্রদান করা হয়। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) বাস্তবায়নে প্রথম স্থান অর্জন করে ঢাকা ওয়াসা, দ্বিতীয় স্থানে সিলেট সিটি কর্পোরেশন, স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তর তৃতীয়, চট্টগ্রাম ওয়াসা চতুর্থ এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।
এছাড়া, স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন ৮টি দপ্তর ও সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তা ও ১২ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবের মধ্যে আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
মন্ত্রী বলেন, ভালো কাজের জন্য পুরস্কার এবং মন্দ কাজের জন্য তিরস্কার এটি সর্বক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। ভালো কাজের স্বীকৃতি দিলে কর্মস্পৃহা ও উৎসাহ বাড়িয়ে দেয়। তেমনি মন্দ কাজের জন্য শাস্তি দিলে সতর্ক হওয়া এবং নিজেকে সুধরে নেয়ার সুযোগ পাবে।
কর্মক্ষেত্রে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন পূরণের জন্য জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, কৃষক-শ্রমিকসহ সকল শ্রেণিপেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে সর্বদা অটুট থাকতে হবে। অন্যায়ের কাছে কখনো মাথা নত করা যাবে না। দায়িত্ব পালনে সকলকে অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মাদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
পদ্মা সেতুর কারণে দক্ষিণের ২১ জেলায় নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে : বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী
ঢাকা, ১৪ আষাঢ় (২৮ জুন) :
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক বলেছেন, পদ্মা সেতু বাঙালির অহংকার, আত্মপ্রত্যয়, সক্ষমতা ও আত্মমর্যাদার প্রতীক। পদ্মা সেতুর সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করেছেন। পদ্মা সেতু বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সড়ক নেটওয়ার্কসহ দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে অবস্থিত দেশগুলোর মধ্যে যাতায়াত ব্যবস্থা বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে। এই সেতু অর্থনীতিতে নতুন বিনিয়োগ বাড়াবে পাশাপাশি বাড়াবে দেশের প্রবৃদ্ধির হার। পদ্মা সেতুকে সামনে রেখে শিল্পায়নের মাধ্যমে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলায় নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।
আজ জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশগ্রহণ করে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও স্বাধীনচেতা দৃঢ় নেতৃত্বে দেশীয় অর্থায়নে ৬ দশমিক ১৫ কিমি দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে। ইতোমধ্যে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। এই অর্জন ও কৃতিত্বের দাবিদার একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, শত প্রতিকূলতা, বাধা-বিপত্তি, বিশ্বব্যাংকের ভিত্তিহীন অভিযোগ ও ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে পদ্ম সেতু নির্মাণে শেখ হাসিনা তাঁর পিতার মতো আপোষহীন, অটল ও অবিচল ছিলেন। কোনো চাপের কাছে শেখ হাসিনা মাথা নত করেননি। ২০১২ সালের ৮ জুলাই এই মহান সংসদে দাঁড়িয়ে তিনি দৃঢ়তার সাথে ঘোষণা করেন পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে হবে। বাংলাদেশের জনগণের নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে।
জাতিকে পদ্মা সেতু উপহার দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে পাট মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তাঁর সাহসী ও দৃঢ়চেতা নেতৃত্ব, মানুষের প্রতি অপার ভালোবাসা পেয়েছেন। বন্দর নগরী চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ঢাকা মহানগরীর অভ্যন্তরীণ সড়ক নেটওয়ার্ক উন্নয়ন, প্রবেশ ও নির্গমন, মহাসড়কের যানজট নিরসন এবং ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য পরিকল্পিত ও সমন্বিত আধুনিক গণপরিবহণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশে প্রথম মেট্রোরেল (উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত) বাস্তবায়নের কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া পূর্বাচল থেকে ঢাকা শহরের সঙ্গে সংযোগের মেট্রোরেলের আর একটি প্রকল্পের কাজ চলছে। পাশাপাশি হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত গণপরিবহণ ব্যবস্থা বাস র্যাাপিড ট্রানজিট বা বিআরটি বাস্তবায়নের কাজ চলছে। এসব প্রকল্প সম্পূর্ণ হলে ঢাকা শহরের যানজট নিরসন হবে।
বস্ত্র খাতের সফলতা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, এক সময় এদেশের তৈরি ঢাকাই মসলিনের সারা বিশ্বে কদর ছিল। বিভিন্ন কারণে প্রায় ১৭০ বছর পূর্বে এই গৌরবময় ঢাকাই মসলিন হারিয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ঢাকাই মসলিন পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে ২০১৮ সালে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে নিয়ে মসলিন সূতা তৈরির তুলার জাত উদঘাটন এবং তুলা দিয়ে ৭০০-১০০০ কাউন্টের সুতা তৈরিসহ মসলিন শাড়ি তৈরির প্রযুক্তি তাঁত বোর্ড উন্মোচন করেছে। দেশের সাধারণ তাঁতীদের মাঝে এই প্রযুক্তি ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে রূপগঞ্জের তারাবো পৌরসভায় ‘ঢাকাই মসলিন হাউজ’ স্থাপন করা হয়েছে।
বীর প্রতীক গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, একটি মসলিন শাড়ি তৈরি করতে প্রথমে সুতা তৈরি করতে হয় এবং পরে বুনন কাজ চলে। একটি মাঝারি মানের মসলিন শাড়ি তৈরি করতে ৫-৬ মাস সময় লেগে যায়। ফলে শাড়ির দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যায়। আমরা চেষ্টা করছি, বাণিজ্যিক উৎপাদনের মাধ্যমে মসলিনের স্বকীয়তা ঠিক রেখে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসতে।
মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায় ১২০ একর জমির ওপর ‘শেখ হাসিনা তাঁত পল্লি’ স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষদের তাঁতশিল্পের প্রতি আগ্রহী করতে এ প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটির আওতায় তাঁতিদের কাপড় বোনা থেকে শুরু করে সব ধরনের সুবিধা দেওয়া হবে। তাঁতিদের জন্য থাকবে আবাসিক ভবন, তাঁত শেড, ডরমেটরি, রেস্ট হাউস, সাইবার ক্যাফে ও বিদ্যুতের উপকেন্দ্র। তাঁতপল্লিতেই সপ্তাহে দুই দিন তাঁতপণ্যের হাট বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। সে হাটে সুতাসহ সবধরনের কাঁচামাল বিক্রয় ও প্রদর্শন করা হবে। তাঁতের কাপড় বোনা থেকে শুরু করে পোশাক তৈরি ও বিক্রির ব্যবস্থা করা হবে।
পাট মন্ত্রী আরো বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত ঢাকা শহরের ছিন্নমূল মানুষের বসবাসের জন্য রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চনপাড়া এলাকায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ওয়াসার অধিকৃত জায়গায় একটি পুর্নবাসন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রে বর্তমানে প্রায় ৮০ হাজার মানুষের বসবাস। এখানে ভোটার সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভক্ত এ চনপাড়াবাসী। যে কোনো প্রতিকূলতার মধ্যেও চনপাড়ার মানুষ নৌকায় ভোট দেয়। এখানকার মানুষ একসময় ভূমির অধিকার না থাকার কারণে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি, নাগরিক সুবিধা জাতীয় পরিচয়পত্র, ন্যায্যমূল্যে চাল, বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতাসহ সকল সুবিধা থেকে তারা ছিল বঞ্চিত। ২০০৮ সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসলে এরা ভোটের অধিকার ফিরে পায়। কিন্তু এখনও তারা দখলদারিত্বের ভিত্তিতে ভূমির অধিকার পায়নি। তিনি চনপাড়া হতদারিদ্র্য মানুষের দখলদারিত্বের ভিত্তিতে ভূমির অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানান।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ঢাকা ম্যাস র্যাাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন-১)’ প্রকল্পের আওতায় মোট ৩১ দশমিক ২৪১ কিলোমিটার মেট্রোরেল নির্মাণ করা হবে। রূপগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নে পূর্বাচলের পাশে পিতলগঞ্জ মৌজায় মেট্টোরেল প্রকল্পের ডিপো র্নিমাণের কাজ চলমান আছে। ঢাকার পাশ্ববর্তী জেলার মানুষ যাতে সহজে ঢাকায় এসে অফিস করে আবার বাড়ি যেতে পারে সে জন্য এই মেট্রোরেল প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর এবং শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান
ঢাকা, ১৪ আষাঢ় (২৮ জুন) :
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং মন্ত্রণালয়াধীন সংস্থা প্রধানগণের মধ্যে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর এবং শুদ্ধাচার পুরস্কার অনুষ্ঠান আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি অনন্য উদ্যোগ। এর মাধ্যমে সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের বার্ষিক কর্মসম্পাদন কার্যক্রম গতিশীল হয়েছে। কর্মসম্পাদনের হার বেড়েছে এবং কাজকর্মে স্বচ্ছতা বেড়েছে। তিনি আরো বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বার্ষিক কর্মসম্পাদনে সবসময়ই এগিয়ে ছিল। আগামী অর্থবছরেও সে সাফল্য অব্যাহত থাকবে। সেই সাথে সম্পাদিত চুক্তি যথাযথভাবে বাস্তবায়নের অনুরোধ জানান এবং করোনাকালীন সময়ে সকলের নিরাপত্তা বজায় রেখে দাপ্তরিক কার্যক্রম সঠিকভাবে সম্পাদনের নির্দেশনা প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ৯টি সংস্থা প্রধানদের উপস্থিতিতে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সংস্থার পক্ষ থেকে স্ব স্ব সংস্থা প্রধান চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে সিনিয়র সচিব জিয়াউল হাসান চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
উল্লেখ্য, ২০২১-২২ অর্থবছরের শুদ্ধাচার কৌশল কর্ম-পরিকল্পনা সংস্থার মধ্য হতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারের মহাপরিচালক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ তৌহিদ হাসানাত খান, অতিরিক্ত সচিব নিরঞ্জন দেবনাথ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা এ কে এ মমদেল হোসেন ও অফিস সহায়ক মোঃ মঞ্জুর হাসানকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেককে এক মাসের মূল বেতন, সম্মাননা স্মারক ও সনদ প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রণালয়াধীন সংস্থার কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
পর্যটনের উন্নয়নে ওআইসিভুক্ত দেশসমূহের একত্রে কাজ করার আরো বেশি সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে : পর্যটন প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৪ আষাঢ় (২৮ জুন) :
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী বলেছেন, পর্যটনের উন্নয়নে ওআইসি সদস্যভুক্ত দেশসমূহের একত্রে কাজ করার আরো বেশি সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে।
আজ আজারবাইজানের রাজধানী বাকু-তে ‘ইসলামিক কনফারেন্স অভ্ ট্যুরিজম মিনিস্টার্স’-এর ১১তম অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পর্যটন হল সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল শিল্প যা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সমুন্নত রেখে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা করে। এ লক্ষ্যে ওআইসি কর্তৃক নিয়মিত এই সম্মেলন আয়োজনের ফলে সদস্য রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে ভবিষ্যতে সহযোগিতা ও সমন্বয় আরো জোরদার হবে। অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কাছাকাছি আসা এবং দঢ় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য এটি নতুন সুযোগ ও দিগন্ত উন্মোচন করবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে ওআইসি সদস্যভুক্ত রাষ্ট্রসমূহের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে একত্রে কাজ করতে হবে। পর্যটন খাতের পরিপূর্ণ বিকাশে ওআইসির সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সরকারি এবং বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই আরো বেশি সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব প্রয়োজন।
মাহবুব আলী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব ও নির্দেশনায় বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প ধারাবাহিক উন্নয়নের মাধ্যমে বিকশিত হচ্ছে। বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ, উন্নয়নবান্ধব কার্যক্রম ও নীতিমালা প্রণয়ন এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে বেসরকারি খাত উল্লেখযোগ্য ভাবে উন্নতি লাভ করেছে। বন্ধুবৎসল জনগণ, উষ্ণ আতিথিয়তা, অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য এবং নান্দনিক সব পুরাকীর্তি নিয়ে ওআইসিভুক্ত দেশসমূহের নাগরিকদের জন্য বাংলাদেশ হতে পারে জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য।
উল্লেখ্য, গত ২৭ জুন শুরু হওয়া ‘ইসলামিক কনফারেন্স অভ্ ট্যুরিজম মিনিস্টার্স’ এর ১১তম অধিবেশন আগামী ২৯ জুন পর্যন্ত চলবে। এতে বাংলাদেশের পক্ষে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলীর নেতৃত্বে আরো অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহির মুহাম্মদ জাবের। এই অধিবেশনে বর্তমান সভাপতি পরবর্তী দুই বছরের জন্য আজারবাইজানের কাছে সভাপতিত্ব হস্তান্তর করবে। ইসলামিক কনফারেন্স অভ্ ট্যুরিজম মিনিস্টার্স’র সর্বশেষ সম্মেলনটি ২০১৯ সালে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের দায়িত্বও রাষ্ট্রকেই নিতে হবে : ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ঢাকা, ১৪ আষাঢ় (২৮ জুন) :
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, শিক্ষা মৌলিক অধিকার এবং এটি প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। ডিজিটাল যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের দায়িত্বও রাষ্ট্রকেই নিতে হবে। শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরে ডিজিটাল সংযোগ ও মানসম্মত কনটেন্ট অপরিহার্য। ডিজিটাল কনটেন্ট মানে পাঠ্যসূচির পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করা নয়, কনটেন্ট অবশ্যই মানসম্মত হতে হবে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় হোটেল সোনারগাঁওয়ে বিটিআরসি, এটুআই এবং এলায়েন্স ফর এফোর্ডেবল ইন্টারনেটের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘কানেক্টিভিটি ফর এডুকেশনাল ইনস্টিটিউশন্স ফর ব্লেন্ডেড এডুকেশন বাংলাদেশ ব্রডব্যান্ড পলিসি ২০২০’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী তৃণমূল থেকে শুরু করে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দ্রুতগতির ইন্টারনেটের আওতায় আনার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ডিজিটাল শিক্ষার জন্য শিক্ষকদেরও ডিজিটাল উপযোগী দক্ষতা প্রদান করতে হবে। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে ডিজিটাল শিক্ষা প্রদানের উপযোগী করতে না পারলে শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। তিনি বলেন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ডিজিটাল সংযুক্তির মহাসড়ক তৈরি করবে। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে তার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নিতে হবে, কারিগরি দিকটি দেখবে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়।
বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ আবু বকর সিদ্দিক, এটুআই’র সিনিয়র পলিসি এডভাইজার আনীর চৌধুরী এবং এলায়েন্স ফর এফোর্ডেবল ইন্টারনেটের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান অঞ্জু মঙ্গল বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিটিআরসি’র মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ। এলায়েন্স ফর এফোর্ডেবল ইন্টারনেটের ন্যাশনাল কোঅর্ডিনেটর শহিদ উদ্দিন আকবর অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ স্থাপনা পদ্মা সেতু : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৪ আষাঢ় (২৮ জুন) :
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চ্যালেঞ্জ জয় করা হয়েছে। তিনি ২৫ জুন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ স্থাপনা ‘পদ্মা সেতু’ উদ্বোধন করেছেন, পদ্মা সেতু করতে অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় ও সাহসী নেতৃত্বের কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। পদ্মা সেতু নির্মাণ করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
প্রতিমন্ত্রী আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাথে এর অধিনস্থ ১১টি দপ্তর ও সংস্থার ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিপত্র (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল মন্ত্রণালয়ের পক্ষে এবং দপ্তর/সংস্থা প্রধানগণ নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন।
১১টি দপ্তর/সংস্থা হলো- বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ), বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি), নৌপরিবহন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ (বাস্থবক), চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক), মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ (মোবক), পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ (পাবক), বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি), বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনসটিটিউট (এনএমআই) ও নাবিক ও প্রবাসী শ্রমিক কল্যাণ পরিদপ্তর।
প্রতিমন্ত্রী পরে চারজনের মাঝে ২০২১-২২ সালের শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান করেন।
একনেকে প্রায় ২ হাজার ২১৭ কোটি টাকার ১০ প্রকল্প অনুমোদন
ঢাকা, ১৪ আষাঢ় (২৮ জুন) :
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) প্রায় ২ হাজার ২১৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত ১০টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১ হাজার ৮৭৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ও বৈদেশিক অর্থায়ন ৩৪১ কোটি ১৮ লাখ টাকা।
প্রধানমন্ত্রী এবং একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
অনুমোদিত প্রকল্পসমূহ হলো: কৃষি মন্ত্রণালয়ের ২টি প্রকল্প যথাক্রমে ‘যশোর অঞ্চলে টেকসই কৃষি সম্প্রসারণ’ প্রকল্প এবং ‘মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ’ প্রকল্প; সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ৫টি প্রকল্প যথাক্রমে ‘কুষ্টিয়া (ত্রিমোহনী)-মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ (আর-৭৪৫) আঞ্চলিক মহাসড়কের ৮১তম কি.মি.- এর রেলবাজার রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণ’ প্রকল্প; ‘চরখালী, তুষখালী-মঠবাড়ীয়া-পাথরঘাটা মহাসড়কের (জেড-৮৭০১) পিরোজপুর অংশের জরাজীর্ণ, অপ্রশস্ত বেইলি সেতুর স্থলে পিসি গার্ডার সেতু ও আরসিসি বক্স কালভার্ট নির্মাণ’ প্রকল্প; ‘কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ (১.৬০ কি.মি. পর্যন্ত) সড়ক প্রশস্তকরণ’ প্রকল্প; ‘জামালপুর শহরের গেইটপাড় এলাকায় রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প এবং ‘কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক (এন-১) উন্নয়ন (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্প; আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘বাংলাদেশের ৬৪টি জেলা সদরে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন নির্মাণ (১ম পর্যায়) (৩য় সংশোধিত)’ প্রকল্প; প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘ঢাকা সেনানিবাসে এমইএস (মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ার সার্ভিসেস) এর ভৌত অবকাঠামো সুবিধাদি সম্প্রসারণ’ প্রকল্প এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন কার্যক্রমে জরুরি সহায়তা (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প।
পরিকল্পনা কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান; তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী মোহাম্মদ হাছান মাহ্মুদ; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম; শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন; স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক; মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন; ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীগণ সভার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।
সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব, এসডিজি’র মুখ্য সমন্বয়ক, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যবৃন্দ, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহের সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।