স্বপ্ন পূরণে প্রত্যেককেই নিবেদিতভাবে কাজ করতে হবে : টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ঢাকা, ১৫ আষাঢ় (২৯ জুন) :
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং এর আওতাধীন প্রতিষ্ঠান, অধিদপ্তর ও সংস্থা প্রধানগণের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। বিভাগের অধীনস্থ দশটি দপ্তর ও সংস্থার পক্ষ থেকে স্ব স্ব সংস্থা প্রধান চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে সচিব মোঃ খলিলুর রহমান চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি অনন্য উদ্যোগ। প্রধানমন্ত্রী স্বপ্ন দেখেন, স্বপ্ন দেখান এবং স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেন। তিনি বলেন, এপিএ হচ্ছে পশ্চাৎপদতা থেকে আমাদের সামনে এগিযে যাওয়ার ভিত্তি। প্রধানমন্ত্রীর সৈনিক হিসেবে আমাদের উচিত তাঁর স্বপ্ন পূরণে নিবেদিত হয়ে কাজ করা। মন্ত্রী তার অধীনস্থ দপ্তর ও সংস্থা প্রধানদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা যে চুক্তি করেছেন তা বাস্তবায়নে আপনাদের মনোযোগী হতে হবে। চুক্তি স্বাক্ষর মানেই হচ্ছে প্রতিশ্রুতি পূরণের চেষ্টা করা। আর বাস্তবায়ন না করা মানে ব্যর্থ হওয়া। তিনি বলেন, আমাদের মনে রাখতে সাম্প্রতিক বন্যার ন্যায় এমন কিছু আকস্মিক বিষয় আছে যা গতবছর সম্পাদিত এপিএ চুক্তিতে ছিল না। আকস্মিক যে কোন পরিস্থিতি দক্ষতার সাথে মোকাবিলার সামর্থ্য অর্জন অপরিহার্য। সাম্প্রতিক বন্যায় দুর্গত এলাকায় ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক সচল রাখতে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি, টেলিটক ও বিটিসিএলসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহের ভূমিকার প্রশংসা করেন মন্ত্রী। আগামী দিনগুলোতেও এ সেক্টরের সাফল্য অব্যাহত থাকবে বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।। সেই সাথে সম্পাদিত চুক্তি যথাযথভাবে বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন তিনি।
আরএডিপি বাস্তবায়ন প্রায় শতভাগ
গত ২৬ জুন পর্যন্ত ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ২০২১-২২ আরএডিপি বাস্তবায়ন হার শতকরা ৯৬ দশমিক ১৫ ভাগ। আজ ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ২০২১-২০২২ অর্থবছরের আরএডিপি বাস্তবায়ন সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
২০২১-২২ অর্থবছরে বিটিআরসি, ডাক অধিদপ্তর, বিটিসিএল, টেলিটক, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড, টেলিফোন শিল্প সংস্থা, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড, বাংলাদেশ কেবল শিল্প লিমিটেডসহ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও এর আওতাধীন দপ্তর সংস্থার ১৪টি প্রকল্পের বিপরীতে স্ব-অর্থায়নসহ মোট ৮৪৫ দশমিক ৫১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। প্রাক্কলিত ব্যয়ের ৪৯৮ দশমিক ৬৯ কোটি টাকা জিওবি, প্রকল্প সাহায্য ৩০০ কোটি টাকা এবং স্ব-অর্থায়ন ৫৫ দশমিক ৮২ কোটি টাকা।
পরিবেশের উন্নয়ন দৃশ্যমান করতে কর্মকর্তাদের কঠোর নির্দেশ পরিবেশমন্ত্রীর
ঢাকা, ১৫ আষাঢ় (২৯ জুন) :
জাতীয় অঙ্গীকার বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে দেশের পরিবেশের উন্নয়ন দৃশ্যমান করতে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি কঠোর নির্দেশনা প্রদান করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন। তিনি বলেন, আগামী ১ মাসের মধ্যে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণের অগ্রগতি জনগণের কাছে দৃশ্যমান করতে হবে। এজন্য নিষিদ্ধ হাইড্রোলিক হর্ন বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণসহ প্রয়োজনীয় সকল উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে হবে। বায়ুদূষণ, পানিদূষণসহ সকল প্রকার পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। বনভূমি পুনরুদ্ধার এবং দেশের বৃক্ষাচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণ ২৪ শতাংশে উন্নীত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
আজ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন সাতটি দপ্তর-সংস্থার সাথে আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর ও শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মন্ত্রণালয়ের সচিব ডক্টর ফারহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুনসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং এর অধীন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি একটি কাঠামোবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা। সরকারি কর্মচারীদের নিজ নিজ দায়বদ্ধতা থেকে এ কাঠামোর বাইরে গিয়েও কাজ করতে হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্য পূরণে আন্তরিক হতে হবে। এজন্য সর্বোচ্চ গুরুত্বসহকারে এবং গুণগতমান নিশ্চিতপূর্বক প্রতিযোগিতার সাথে কাজ করতে হবে। দেশের প্রতি ভালোবাসা থেকে কাজ করলে সোনার বাংলা বিনির্মাণ সহজতর হবে।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের সচিব ডক্টর ফারহিনা আহমেদের সাথে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডক্টর আবদুল হামিদ, বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমীর হোসাইন চৌধুরী, বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডক্টর রফিকুল হায়দার, বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মোঃ শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ন্যাশনাল হারবেরিয়ামের পরিচালক সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোঃ রেজাউল হক এবং বাংলাদেশ রাবার বোর্ড চেয়ারম্যান সৈয়দা সারওয়ার জাহান নিজ নিজ সংস্থার পক্ষে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর করেন।
এপিএ চুক্তি স্বাক্ষরের পর মন্ত্রী ২০২১-২২ অর্থবছরে শুদ্ধাচার পুরস্কারের জন্য মনোনীত উপসচিব দেবময় দেওয়ান, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা রুহুল আমীন এবং অফিস সহায়ক হাসিনা আক্তারকে পুরস্কার হিসেবে একমাসের মূল বেতন, সনদপত্র ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন।
সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নেতৃত্ব দিতে নিজেদের প্রস্তুত করুণ : বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৫ আষাঢ় (২৯ জুন) :
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নেতৃত্ব দিতে নিজেদের প্রস্তুত করুণ। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ একটি জ্ঞানভিত্তিক, সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশে পরিণত হবে। এর নেপথ্যে যে বিপুল আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটবে তার মূলে থাকবে বিদ্যুৎ। শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছে, বিদ্যুৎ সেবা আরো বাড়াতে হবে। টিমওয়ার্ক করার জন্যই এই অর্জন দ্রুত হয়েছে। টিমওয়ার্ক করেই কর্মদক্ষতা বাড়াতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ বিদ্যুৎ ভবনে বিদ্যুৎ বিভাগের সাথে এর আওতাধীন দপ্তর, সংস্থা ও কোম্পানিসমূহের সাথে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সরকারি কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনের একটি জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থা। কখন কোন কাজ সম্পাদন করতে হবে তার টাইমলাইন থাকায় সাফল্য পেতে সহজ হয়। অতীতে ভালো করলেও বিগত দু’টি বছরে অর্জিত সম্মানজনক অবস্থান বিদ্যুৎ বিভাগ ধরে রাখতে পারেনি। আগামীতে প্রথম স্থান পেতে হবে। আমাদের যে অর্জন হয়েছে তা ধরে রাখা হবে। রক্ষণাবেক্ষণের জায়গাতে আরো সচেতন হতে হবে।
অনুষ্ঠানে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির আওতায় ২০২১-২২ অর্থবছরের শুদ্ধাচার পুরস্কার পান নর্দান ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিঢেছইডের এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ জাকিউল ইসলাম, বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মুঃ মোহসিন চৌধুরী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ আনিসুল হক এবং অফিস সহায়ক আফরোজা আক্তার।
বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মোঃ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরক্ত সচিব ও এপিএ টিম লিডার মুঃ মোহসিন চৌধুরী, পিডিবি’র চেয়ারম্যান মোঃ মাহবুবুর রহমান, পাওয়ার সেলের ডিজি মোহাম্মদ হোসাইনসহ সঞ্চালন, বিতরণ ও উৎপাদন খাতের কোম্পানিসমূহের দপ্তর প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
এপিএ’র শতভাগ বাস্তবায়ন দেখতে চাই : গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৫ আষাঢ় (২৯ জুন) :
গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেছেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ২০২২-২৩ এর শতভাগ বাস্তবায়ন দেখতে চাই।
আজ সচিবালয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয় এবং এর অধীনস্থ দপ্তর ও সংস্থাসমূহের মধ্যে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন। চুক্তিপত্রে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের পক্ষে মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকার এবং দপ্তর ও সংস্থাসমূহের পক্ষে দপ্তর সংস্থার প্রধানগণ স্বাক্ষর করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির শর্তসমূহ প্রত্যেকটি দপ্তর ও সংস্থা তাদের সক্ষমতা অনুযায়ী নিজেরাই সুপারিশ করেছেন। সুপারিশের প্রেক্ষিতেই চুক্তিপত্র প্রস্তুত করা হয়েছে। নতুন করে মন্ত্রণালয় কর্তৃক কোনো বাড়তি কাজ কোনো দপ্তর বা সংস্থার উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়নি। সুতরাং এই চুক্তি শতভাগ বাস্তবায়নের জন্য সকল দপ্তর ও সংস্থা সরকারের নিকট দায়বদ্ধ। এর বিন্দুমাত্র ব্যত্যয় সহ্য করা হবে না।
প্রতিমন্ত্রী তার বক্তব্যে আরো বলেন, নির্ধারিত সময়ে সকল প্রকল্পের কাজ যথাযথ গুণগত মান বজায় রেখে সমাপ্ত করতে হবে। এক্ষেত্রে বার্ষিক কর্ম সম্পাদনচুক্তি (এপিএ) একটি বড় মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। এছাড়া সকল মন্ত্রণালয় ও দপ্তর/সংস্থার এপিএ বাস্তবায়ন হারের ওপর জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতি নির্ভর করে। জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতি ত্বরান্বিত করা তথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি শতভাগ বাস্তবায়নের কোনো বিকল্প নেই।
২০২০-২১ অর্থবছরে গ্রেড- ১ হতে গ্রেড- ১০ ভুক্ত কর্মচারী ক্যাটেগরিতে মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (উন্নয়ন অনুবিভাগ-২) মোঃ শওকত আলী, দপ্তর ও সংস্থার প্রধান ক্যাটেগরিতে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোঃ দেলোয়ার হায়দার এবং গ্রেড- ১১ হতে গ্রেড- ২০ ভুক্ত কর্মচারী ক্যাটেগরিতে প্রশাসন অধিশাখা-৬ এর অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক হালিমাকে শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান করা হয়।
২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য মন্ত্রণালয়ের গ্রেড-১ হতে গ্রেড-০৯ ভুক্ত কর্মচারী ক্যাটেগরিতে প্রশাসন-২ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছিউদ্দিন, দপ্তর ও সংস্থার প্রধান হিসেবে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমদ এলডিএমসি, পিএসসি; মন্ত্রণালয়ের গ্রেড-১০ হতে গ্রেড-১৬ ভুক্ত কর্মচারী ক্যাটেগরিতে প্রশাসন অধিশাখা-৫ এর প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ হেদায়েতুল ইসলাম এবং গ্রেড- ১৭ হতে গ্রেড -২০ ভুক্ত কর্মচারী ক্যাটেগরিতে সচিবের দপ্তরের অফিস সহায়ক মোঃ ফরহাদ হোসেনকে শুদ্ধাচার পুরুস্কার প্রদান করা হয়।
কমনওয়েলথ ইয়ুথ মিনিস্টার্স টাস্কফোর্সের সদস্য নির্বাচিত হলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৫ আষাঢ় (২৯ জুন) :
কমনওয়েলথ ইয়ুথ মিনিস্টিরিয়াল টাস্ক ফোর্সের ৫ম সভা রুয়ান্ডার রাজধানী কিগালিতে গত ২২ জুন অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কমনওয়েলভুক্ত ৫৪টি দেশের যুব মন্ত্রী এবং তাদের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন। সভায় কমনওয়েলথের আওতাভুক্ত দেশসমূহের যুব কার্যক্রম পর্যালোচনা করা হয়। বিশেষ করে যুবদের ভবিষ্যৎ উন্নয়নে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদারকরণ, যুবদের দক্ষতা বৃদ্ধি, উদ্ভাবন, কর্মসংস্থান, যুব ক্ষমতায়ন, উদোক্তা সৃষ্টির মাধ্যমে স্মার্ট এবং রেজিলিয়েন্ট যুব উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
সভায় আগামী ৪ বছরের জন্য ১১ সদস্যবিশিষ্ট কমনওয়েলথ ইয়ুথ মিনিস্টার্স টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করা হয়। টাস্কফোর্স কমিটিতে বাংলাদেশের যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল সদস্য মনোনীত হন। কমিটির অন্যান্য সদস্যের মধ্যে রয়েছে ফিজি, সামোয়া, মালটা, উগান্ডা, ঘানা, কিংডম অভ্ এসওয়াতিনি, বাহামাস, জামাইকা, স্টেট লুসিয়া এবং ভারত।
কমিটির কার্যক্রম পরিধির মধ্যে রয়েছে কমনওয়েলথ চার্টার্ড অনুযায়ী যুব উন্নয়ন কার্যক্রমসমূহের অগ্রগতি জাতীয় এবং আঞ্চলিক পর্যায়ে মনিটর করা এবং কমনওয়েলথ হেড অভ্ গভর্নমেন্ট, কমনওয়েলথ ফোরাম এবং কমনওয়েলথ মিনিস্টারিয়াল মিটিংয়ের গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নে একসাথে কাজ করা।
টাস্কফোর্স কমিটির সদস্যগণ বছরে অন্তত একবার কমনওয়েলথের সদরদপ্তর লন্ডনে মিলিত হয়ে কার্যক্রমের অগ্রগতি মূল্যায়ন করবেন। এছাড়া, কমনওয়েলথ ইয়ুথ কাউন্সিলের এশীয় অঞ্চলের প্রতিনিধি নির্বাচনে বাংলাদেশ বিজয়ী হয়েছে।
চিনিশিল্পকে একটি লাভজনক শিল্পে পরিণত করতে হবে : শিল্প প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৫ আষাঢ় (২৯ জুন) :
শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেছেন, চিনিশিল্প একটি সম্ভাবনাময় শিল্প, তাই আখ চাষ ও চিনি উৎপাদনে আধুনিক প্রযুক্তি ও উপকরণ ব্যবহারের মাধ্যমে চিনিশিল্পকে একটি লাভজনক শিল্পে পরিণত করতে হবে।
আজ রাজধানীর মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকায় চিনিশিল্প ভবনে আয়োজিত বাংলাদেশ চিনিশিল্প কর্পোরেশন শ্রমিক-কর্মচারী ফেডারেশনের নবনির্বাচিত কার্যকরী সংসদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রই প্রতিষ্ঠা করেননি, তিনি একটি উন্নত-সমৃদ্ধ শিল্পোন্নত রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে দেশে বিভিন্ন ধরনের শিল্প-কলকারখানা স্থাপনের মাধ্যমে শিল্পায়নের বিকাশেও গূরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করেই একটি শিল্পসমৃদ্ধ উন্নত দেশ বিনির্মাণে শিল্প মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বেই উন্নয়নের মহাসড়কে অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। তিনি বলেন, সময়ের চাহিদায় উচ্চ ফলনশীল আখ চাষের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের মৌসুমী ও অর্থনৈতিক ফসল ফলাতে হবে। চিনিকলগুলো থেকে উৎপাদিত উপজাত পণ্যের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ চিনিশিল্প কর্পোরেশন শ্রমিক-কর্মচারী ফেডারেশনের নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সকল নেতৃবৃন্দকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জ্ঞাপন করে সবাইকে আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ চিনিশিল্প কর্পোরেশন শ্রমিক-কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রায়হানুল হকের সঞ্চালনায় এবং ফেডারেশনের সভাপতি মোঃ মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হাবিবুর রহমান সিরাজ এবং বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মোঃ আরিফুর রহমান অপু উপস্থিত ছিলেন।
পদ্মা সেতু নিয়ে মিথ্যাচারকারীদের আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
ঢাকা, ১৫ আষাঢ় (২৯ জুন) :
পদ্মা সেতু নিয়ে যারা মিথ্যাচার করে, তাদের আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
আজ রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত পদ্মা সেতু: সম্প্রীতির পথে সাফল্যের অগ্রযাত্রা শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের সক্ষমতার চ্যালেঞ্জের বিজয় পদ্মা সেতু। অনেক প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের বিস্ময় পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছেন। তিনি দেখিয়েছেন চাইলে আমরাও পারি। পদ্মা সেতু শেখ হাসিনার সততা, আত্মবিশ্বাস এবং সাহসিকতার বিজয়গাঁথা। বাংলাদেশের উন্নয়নকে যারা বাধাগ্রস্ত করতে চেয়েছিল, পদ্মা সেতু তাদের মুখে চপেটাঘাত। এ সেতু বাংলাদেশের নিজের সৃষ্টি ও সামর্থ্যের স্বাক্ষর বহন করবে অনন্তকাল।
মন্ত্রী আরো বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণে যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বাধা দিয়েছে অথবা অসত্য তথ্য যারা সরবরাহ করেছে তারা অপরাধী। তাদের বিচার করা ছাড়া বিকল্প নেই। অপরাধী কখনো পরিত্রাণ পেতে পারে না।
শ ম রেজাউল করিম আরো যোগ করেন, বাংলাদেশের যেখানে দৃষ্টি দেওয়া হবে, সেখানে শেখ হাসিনাকে অস্বীকার করার উপায় নেই। মেট্রোরেল, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল, আট লেনের রাস্তা, দারিদ্র্য বিমোচন, দেশের সর্বোচ্চ রপ্তানি, বৈদেশিক মুদ্রার সর্বোচ্চ রিজার্ভ, করোনা মোকাবিলায় সাফল্যের দিকে থেকে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দেশের তালিকায় সবখানেই শেখ হাসিনাকে খুঁজে পাওয়া যায়।
পদ্মা সেতুর কারণে দেশের সবার উন্নয়ন হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর কারণে রাষ্ট্র উপকৃত হবে। অর্থনীতির উন্নয়ন হবে, মানবিকতার উন্নয়ন হবে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের বেদনার্ত অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি হবে। এ অঞ্চলের মানুষ রাজধানী ঢাকার সাথে সংযুক্ত হবে। তাদের দীর্ঘ বঞ্চনার অবসান হবে। পদ্মা সেতুর মাধ্যমে যে যোগসূত্র তৈরি হলো তা শুধু অর্থনীতিতেই নয় আমাদের রাজনীতিতে, সামাজিকতায় ও আত্মিকতায় মেলবন্ধন সৃষ্টি করবে।
সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যয়ের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার (অব.), চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নাছিম আখতার, রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ রায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নিজামূল হক ভূঁইয়া এ সময় আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
নির্মল রঞ্জন গুহের মৃত্যুতে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দের শোক
ঢাকা, ১৫ আষাঢ় (২৯ জুন) :
বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহের মৃত্যুতে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীগণ গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
পৃথক পৃথক শোকবার্তায় তাঁরা প্রয়াত নির্মল রঞ্জন গুহের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের; কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক; স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান; তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ; আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক; অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল; স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম; শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি; পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন; পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান; শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন; বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী; স্বাস্হ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক; খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার; বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি; সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন; মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম; পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং; ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী; রেলপথ মন্ত্রী মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান; ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার; প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক আবুল হাসানাত আবদু্ল্লাহ।
এছাড়াও শোক প্রকাশ করেছেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার; যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ; সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু; শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান; নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী; প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন; পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহ্রিয়ার আলম; তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক; জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন; পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য; পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক; গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ; সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ; দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান; বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী; মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বেগম ফজিলাতুন নেছা, ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।
স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহের মৃত্যুতে তথ্যমন্ত্রীর শোক
ঢাকা, ১৫ আষাঢ় (২৯ জুন) :
বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দু:খপ্রকাশ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ।
আজ এক শোকবার্তায় মন্ত্রী প্রয়াতের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন ও তার স্ত্রী ও দুই ছেলেসহ শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
ড. হাছান বলেন, নিবেদিতপ্রাণ নির্মল রঞ্জন গুহের মোহমুক্ত রাজনৈতিক জীবন রাজনীতিকদের জন্য চির অনুপ্রেরণার। ২০১৯ সালে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার অনেক আগে থেকে ছাত্রলীগের হাত ধরে নির্মল রঞ্জন গুহের রাজনীতিতে পথচলা শুরু। ছাত্রাবস্থায় তিনি ঢাকার দোহার উপজেলায় নয়াবাড়ী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক থেকে শুরু করে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন। রাজনীতিকে তিনি দেশ ও মানুষের সেবার ব্রত হিসেবেই নিয়েছিলেন, বলেন মন্ত্রী।
নির্মল রঞ্জন গুহ ১৬ জুন থেকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ৫৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
নিজস্ব অর্থায়নে বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু নির্মাণ
জনগণের স্বপ্নপূরণে প্রধানমন্ত্রীকে সেতু মন্ত্রীর অভিনন্দন
ঢাকা, ১৫ আষাঢ় (২৯ জুন) :
নিজস্ব অর্থায়নে বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু নির্মাণ এবং এর উদ্বোধনের মাধ্যমে জনগণের স্বপ্নপূরণের জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মন্ত্রী আজ রাজধানীতে সেতু ভবনের সম্মেলন কক্ষে সেতু বিভাগ এবং বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের মধ্যে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানান।
বাংলাদেশ সেতু বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও ধন্যবাদ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু জাতির একটি সম্পদ। এ সম্পদ রক্ষা এবং নিরাপত্তার জন্য যাত্রীসাধারণসহ সবাইকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। এ সময় তিনি কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের কাজ দ্রুততার সাথে এগিয়ে নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিপত্রে সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন এবং বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের পরিচালক মোঃ রুপম আনোয়ার স্বাক্ষর করেন।
পরে মন্ত্রী ই-সার্ভিস ও ইনোভেশন কার্যক্রমের আওতায় সেতু বিভাগ ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে ট্যাব বিতরণ করেন।
বাণিজ্যমন্ত্রীর কোন ফেইসবুক একাউন্ট নেই
মন্ত্রীর নাম ব্যবহার করে প্রতারণা থেকে সতর্ক থাকার আহবান
ঢাকা, ১৫ আষাঢ় (২৯ জুন) :
সম্প্রতি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির নাম ও ছবি ব্যবহার করে ফেইসবুক একাউন্ট খুলে ম্যাসেঞ্জারে যোগাযোগ করে চাকুরি দেওয়ার নাম করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এতে বাণিজ্যমন্ত্রীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এছাড়া, তাঁর একান্ত সচিব এর নাম ব্যবহার করার অভিযোগও পাওয়া গেছে। এ ধরনের প্রতারণা থেকে সকলকে সতর্ক থাকার জন্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, বাণিজ্যমন্ত্রীর কোনো ফেইসবুক একাউন্ট নেই। এ বিষয়ে ঢাকার রমনা মডেল থানায় দুইটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করা হয়েছে। গত ৬ জুলাই, ২০২১ তারিখে জিডি নং ২৩৯ এবং গত ৬ ফেবু্রুয়ারি, ২০২২ তারিখের জিডি নম্বর ৩৫৪।
ইতোমধ্যে, এ বিষয়ে দেশের আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী পুলিশ, সিআইডি এবং র্যাবের আইটি বিষয়ক গোয়েন্দা শাখা প্রয়োজনীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে কয়েকজন প্রতারককে গ্রেফতার করেছে।
চলচ্চিত্রের প্রচলিত ব্যবস্থা ডিজিটাল মাধ্যমনির্ভর করে তুলুন : মোস্তাফা জব্বার
ঢাকা, ১৫ আষাঢ় (২৯ জুন) :
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, নতুন প্রজন্ম চলচ্চিত্র ও নাটকসহ বিভিন্ন বিনোদনের জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠেছে। তারা প্রেক্ষাগৃহে কিংবা নাট্যশালায় যায় না তারা সোস্যাল মিডিয়ায় সিনেমা দেখে, তাদের বাদ দিয়ে এই শিল্পে সফল হওয়া যাবে না। মন্ত্রী প্রেক্ষাগৃহনির্ভর চলচ্চিত্রের প্রচলিত ব্যবস্থা ডিজিটাল মাধ্যমনির্ভর ব্যবস্থায় রূপান্তরে শিল্পি, কলাকৌশলী ও নির্মাতাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানান।
মন্ত্রী গতরাতে ঢাকায় হোটেল সোনারগাঁয়ে এএমএবি আয়োজিত বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল ফেম এওয়ার্ড ২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান।
মন্ত্রী বলেন, সিনেমা বা চলচ্চিত্র সব সময়ই প্রযুক্তিনির্ভর শিল্প। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে নিত্যনতুন উদ্ভাবন। গণযোগাযোগের ধারায় বিকাশমান একটি শিল্প হলো ডিজিটাল চলচ্চিত্র। নয়া প্রযুক্তিকে ধারণ করেই এর অগ্রযাত্রা। এখানে আছে সম্ভাবনার এক নতুন দিগন্ত। শক্তিশালী বিনোদন মাধ্যম এবং শিক্ষার অন্যতম সেরা উপকরণ হিসেবে খ্যাতি রয়েছে চলচ্চিত্রের। ছায়াছবির সাথে ভিজ্যুয়াল বিশ্বের সমন্বয় থাকায় সাধারণ মানুষের সাথে সবচেয়ে ভাল যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে এটি। ডিজিটাল যুগের বাস্তবতায় আশির দশক কিংবা নব্বইয়ের দশকের বিনোদন মাধ্যমসমূহ নতুন প্রজন্মের কাছে ক্রমেই অচেনা হয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন মোস্তাফা জব্বার। তিনি নতুন প্রজন্মকে অত্যন্ত সৃজনশীল ও মেধাবী হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ১৯৮৭ সালে সীসার হরফের পরিবর্তে কম্পিউটারে বাংলা ফন্ট তৈরি করার জন্য এ দেশে আমি একজন প্রোগ্রামার খুঁজে পাইনি। দিল্লীতে ভিন্নভাষী দেবেন্দ্র যোশী নামে একজন প্রোগ্রামারের সহযোগিতায় আমি কম্পিউটারে বাংলা সফটওয়্যার তৈরি করি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিন বদলের কর্মসূচি ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় আজ বাংলাদেশ বিশ্বের ৮০টি দেশে সফটওয়্যার রপ্তানি করছে। আমরা সৌদিআরবে আইওটি ডিভাইস রপ্তানি করছি। দেশে উৎপাদিত মোবাইল আমাদের মোট চাহিদার শতকরা ৯৬ ভাগ মেটাতে পারছে।
এএমএবি’র কর্ণধার রাজু আলীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চলচ্চিত্র শিল্পাঙ্গনের নবীন ও প্রবীণ শিল্পী, কলাকুশলী, নির্মাতা, টিভি ব্যক্তিত্বগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী মনোনীত শিল্পিদের বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল ফেম এওয়ার্ড ২০২২ তুলে দেন। পদকপ্রাপ্তদের মধ্যে কণ্ঠশিল্পি মমতাজ বেগম, চলচ্চিত্র শিল্পী নতুন, রোজীনা, শাবনুর, নাঈম, দীঘি অন্যতম।