স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সিভিল সার্ভিস ২০৪১-এর যাত্রা শুরু
ঢাকা, ১৮ আষাঢ় (২ জুলাই):
২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে জনসেবা প্রদান ও দেশের জনগণের সমস্যা মোকাবিলায় গভপ্রেনিউরশীপের মাধ্যমে নতুন পদ্ধতি ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে সদা তৎপর, উদ্যমী ও যোগ্যতাসম্পন্ন জনপ্রশাসন গড়ে তুলতে হবে। এলক্ষ্যে আজ রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তত্ত্বাবধানে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ বিনির্মাণে সিভিল সার্ভিসের ভূমিকা’-শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করে এটুআই। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজমের সভাপতিত্বে সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মোঃ সামসুল আরেফিন এবং সিভিল সার্ভিস ২০৪১: ডিজিটাল লিডারশিপ জার্নি বিষয়ে বিস্তারিত উপস্থাপনা প্রদান করেন এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর এবং এটুআই-এর পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী। সিভিল সার্ভিস ২০৪১-এর কার্যক্রম শুরু করায় জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল (অর্থনৈতিক ও সামাজিক সম্পর্কিত) লিউ ঝেন মিন একটি লিখিত শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমলাতন্ত্রের কাজ হলো জনগণের চাহিদা অনুযায়ী দেশের সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে জনকল্যাণ নিশ্চিত করা। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রক্রিয়ায় সকল বাধা ডিঙিয়ে আমরা সফল হয়েছি। আমাদেরকে পরবর্তী প্রজন্মের গভর্নেন্সের জন্য প্রস্তুত হতে হবে। যেখানে মূল চ্যালেঞ্জ হবে অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ম্যানেজমেন্ট ও গভর্নেন্স এর সকল শাখায় উন্নয়ন ঘটানো। বৈশ্বিক ও জাতীয় প্রেক্ষাপটের কথা মাথায় রেখে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে। প্রাথমিকভাবে ছোট ছোট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে তা অর্জনে পরিকল্পনা মাফিক কাজ করতে হবে। যার ধারাবাহিকতায় ২০৩০ সালকে আমরা মধ্যবর্তী পরিকল্পনা বাস্তবায়নেও কাজ করছি। তাছাড়া এসডিজি গ্রাজুয়েশনের পর বাংলাদেশ যেসকল সুবিধা হারাবে সে পরিস্থিতি মোকাবিলায় কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে তাও মাথায় রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সিনিয়র সচিব, সচিবগণ, উপাচার্যগণ, যুগ্মসচিববৃন্দ, বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ, মাঠপর্যায় থেকে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনারবৃন্দ, জেলা প্রশাসকবৃন্দ, সিভিল সার্ভিসের সদস্যবৃন্দ এবং বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রধানরা। এছাড়াও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, আইসিটি বিভাগ, এটুআই এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ অংশ নেন।
সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে তরুণ সমাজকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে : গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী
ময়মনসিংহ, ১৮ আষাঢ় (২ জুলাই):
গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেছেন, শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে তরুণ সমাজকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
আজ ময়মনসিংহের অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সৈয়দ নজরুল ইসলাম ডিগ্রী কলেজের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে দেশ স্বল্পোন্নত হতে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়ে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। অর্থনৈতিক, সামাজিক সকল সেক্টরে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ও অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। উন্নয়নের এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর একটি আধুনিক, উন্নত ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে হলে তরুণ সমাজকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। তাদেরকে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দক্ষ জনবল হিসেবে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মোঃ এনামুল হকের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু এবং জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
মুকুল বোসের মৃত্যুতে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দের শোক
ঢাকা, ১৮ আষাঢ় (২ জুলাই):
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মুকুল বোসের মৃত্যুতে মন্ত্রীবর্গ গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
আজ পৃথক শোকবার্তায় তাঁরা প্রয়াত মুকুল বোসের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মুকুল বোসের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন; খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার; বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণ
ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ), ১৮ আষাঢ় (২ জুলাই):
যতদিন প্রয়োজন ততদিন ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। বন্যা পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের পুনর্বাসনে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের মাধ্যমে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে অতিদ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্যগণ বন্যা কবলিত সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও বন্যা দুর্গতদের পুনর্বাসন বিষয়ক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।
কমিটির সভাপতি এ বি তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে কমিটির সদস্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ এনামুর রহমান ও মজিবুর রহমান চৌধুরী পরিদর্শন এবং ত্রাণ বিতরণে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া কমিটির বিশেষ আমন্ত্রণে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও মুহিবুর রহমান মানিক পরিদর্শন এবং ত্রাণ বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বন্যায় অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফসল, রাস্তাঘাট, স্কুল ও ঘরবাড়ি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কমপক্ষে আরো ২ সপ্তাহ প্রয়োজন হলে এরপরও ত্রাণ প্রদান কার্যক্রম চলবে। এ সময় নগদ অর্থ, চাল ও শুকনো খাবার চাহিদা অনুযায়ী প্রদান করা হবে। এছাড়া বন্যাপ্লাবিত বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরবর্তী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় নিরাপদ পানি নিশ্চিতকল্পে প্রয়োজনীয় সংখ্যক টিউবওয়েল, ঘরবাড়ি মেরামতের টিন, স্কুল ঘর মেরামত, পানিবাহিত রোগ-বালাই রোধে ওষুধ প্রদান করা হবে।
মতবিনিময় সভা শেষে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যগণ, স্থানীয় সংসদ সদস্য, সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও মহাপরিচালক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন।
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর উন্নয়নে সরকার কাজ করছে : খাদ্যমন্ত্রী
পোরশা (নওগাঁ) ১৮ আষাঢ় (২ জুলাই) :
সরকার দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার
আজ নওগাঁর পোরশা উপজেলার সরাইগাছী মাঠে কারিতাস এর সুবর্ণ জয়ন্তী ও সিধু কানু দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি জাতি গোষ্ঠীর ঐতিহ্য রক্ষায় সরকার বদ্ধপরিকর। তাদের জীবনমানের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, অনেক সংগঠন আছে যারা নৃ-গোষ্ঠীদের নিয়ে বিভিন্ন মিছিল, মিটিং ও সমাবেশে তাদেরকে জমায়েত করে এসব ভিডিও করে বিদেশে পাঠিয়ে অর্থ আনে। তারা নিজেরা ফায়দা লোটে কিন্ত নৃ-গোষ্ঠীর অবস্থার পরিবর্তন হয় না । অপরদিকে কারিতাস ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীসহ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রেখে চলেছে। এসময় মন্ত্রী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সমস্যাসমূহের কার্যকর সমাধানে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
পোরশা উপজেলা নিবার্হী অফিসার সালমা আক্তার, কারিতাসের বিশপ জেভার্স রোজারিও, কারিতাস রাজশাহী অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক সুক্লেশ জর্জ কস্তারসহ প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
বর্তমান সরকারের আমলে পার্বত্য এলাকায় দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে : পার্বত্যমন্ত্রী
লামা (বান্দরবান,) ১৮ আষাঢ় (২ জুলাই) :
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেছেন, পার্বত্য এলাকার উন্নয়নে বর্তমান সরকার অত্যন্ত আন্তরিক, আর এই সরকারের আমলে পার্বত্য এলাকার উন্নয়নে ব্রীজ, কালভার্ট ও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। অতীতের সরকারগুলো পার্বত্য চট্টগ্রামকে নিয়ে অপরাজনীতি করেছে, বর্তমান সরকারের আমলে পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন দৃশ্যমান হয়েছে।
আজ পার্বত্য বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায় বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় মন্ত্রী স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে লামা উপজেলার মাতামুহুরী নদীর উপর রুপসীপাড়া-শিলেরতোয়া সড়কে ১৮৪ মিটার আরসিসি গার্ডার ব্রিজ উদ্বোধন করেন। গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বাস্তবায়নে প্রায় ১৫ কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ।
এছাড়াও গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বাসিন্দাদের মাঝে ৬২৫টি সোলার হোম সিস্টেম, ২০ বান ঢেউটিন, ৭০ জনকে কৃষি প্রণোদনা এবং ২০টি সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন ক্রীড়াসামগ্রী প্রদান করেন পার্বত্যমন্ত্রী।
এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য মোঃ হারুন অর রশিদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল, লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তফা জামাল, পৌর মেয়র মোঃ জহিরুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী জিল্লুর রহমান, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন মোঃ ইয়াছিন আরাফাত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সাহিত্যের নানা উপকরণে সমৃদ্ধ একটি জনপদ গোপালগঞ্জ : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
গোপালগঞ্জ, ১৮ আষাঢ় (২ জুলাই):
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, রাজনীতির তীর্থস্থান ও পুণ্যভূমি খ্যাত গোপালগঞ্জ সাহিত্যের নানা উপকরণে সমৃদ্ধ একটি জনপদ। স্বাধীনতার মহান স্থপতি, অসাম্প্রদায়িক বাংলা গড়ার কারিগর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পবিত্র জন্মভূমি এ জনপদ। পবিত্রস্থানে গেলে আমরা যেমন আত্মিক শান্তি লাভ করি, তেমনি গোপালগঞ্জে এলেও আমি সেরকম শান্তির সুবাতাস লাভ করি। সেই ঐতিহ্যবাহী গোপালগঞ্জ জেলা থেকে বাংলা একাডেমি আয়োজিত ‘জেলা সাহিত্যমেলা ২০২২’ এর উদ্বোধন করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ গোপালগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমির শেখ ফজলুল হক মণি স্মৃতি মিলনায়তনে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় বাংলা একাডেমি আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ‘জেলা সাহিত্যমেলা ২০২২’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উদ্বোধকের বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী অমর একুশে বইমেলার পূর্বে দেশের ৬৪টি জেলায় জেলা সাহিত্যমেলার আয়োজন শেষ করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় জেলা পর্যায়ের সাহিত্যিকদের সৃষ্টিকর্ম জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরার লক্ষ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। ক্ষুদে সাহিত্যিক ও শিক্ষার্থীদের সাহিত্যমেলায় সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তাদের মধ্য থেকে আগামীদিনের প্রখ্যাত লেখক, কবি-সাহিত্যিক বের হয়ে আসবে। তিনি বলেন, ক্ষুদে লেখক, সাহিত্যিকদের সাহিত্যচর্চায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য সাহিত্যমেলায় আলাদা সেশন বা স্লট বরাদ্দ রাখতে হবে এবং তাদের মধ্য থেকে সেরাদের পুরস্কৃত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
কে এম খালিদ বলেন, লেখালেখি করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে এমন লেখকের সংখ্যা হাতেগোনা। প্রাণের খোরাক জোগাতেই বেশিরভাগ মানুষ লিখে থাকেন। তিনি বলেন, দরিদ্রের পর্ণকুটিরে যেমন তার স্থান, তেমনি ধনীদের বিলাসবহুল প্রাসাদেও তার অবাধ গতি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, একসময় কলকাতা ছিলো বাংলা সাহিত্যচর্চার কেন্দ্রবিন্দু। ১৯৪৭ সালের দেশভাগ ও পরবর্তীতে ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীন বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা বাংলা ভাষা ও সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠেছে।
গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তৃতা করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক জাতিসত্তার কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ লুৎফর রহমান বাচ্চু। অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির সচিব এ এইচ এম লোকমান। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাংলা একাডেমির পরিচালক নূরুন্নাহার খানম।
মুকুল বোসের মৃত্যুতে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দের শোক
ঢাকা, ১৮ আষাঢ় (২ জুলাই):
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেস্টামন্ডলীর সদস্য মুকুল বোসের মৃত্যুতে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীগণ গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
পৃথক পৃথক শোকবার্তায় তাঁরা প্রয়াত মুকুল বোসের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেস্টামন্ডলীর সদস্য মুকুল বোসের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক; সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের; কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক; স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান; তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ; আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক; অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল; স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম; শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি; পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন; পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান; শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন; বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক; স্বাস্হ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক; খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার; বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি; সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন; মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম; পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং; ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী; রেলপথ মন্ত্রী মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান; ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার; প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক আবুল হাসানাত আবদু্ল্লাহ।
এছাড়াও শোক প্রকাশ করেছেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার; যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ; সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু; শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান; নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী; প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন; পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহ্রিয়ার আলম; তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক; জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন; পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য; পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক; গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ; সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ; দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান; বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী; মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বেগম ফজিলাতুন নেছা, ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম এবং পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম।
বিজেসি এওয়ার্ড গনমাধ্যমকর্মীদের জনস্বার্থমূলক কাজে অনুপ্রাণিত করবে : স্পিকার
ঢাকা, ১৮ আষাঢ় (২ জুলাই):
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ২০১৯ সাল থেকে যাত্রা শুরু করে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার বিজেসি সাংবাদিকদের পেশাগত মানোন্নয়ন, সুরক্ষা ও কর্মপরিবেশের উন্নয়নে কাজ করে তাদের সুন্দর অবস্থান নিশ্চিত করতে পেরেছে। ‘জনস্বার্থে সাংবাদিকতা-সংবাদকর্মীর সুরক্ষা’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজকের এ আয়োজন প্রশংসনীয়। এটি এমন একটি প্লাটফর্ম যা সদস্যদের কল্যাণ সাধন, দক্ষতা বৃদ্ধি, ঝুঁকি মোকাবিলা, কর্মক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি, গবেষণামূলক কাজে সাংবাদিকদের উৎসাহিত করাসহ নানামুখী কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। এক্ষেত্রে, পাঁচ ক্যাটাগরিতে বিজেসি এওয়ার্ড প্রদান গনমাধ্যমকর্মীদের জনস্বার্থমূলক কাজে অনুপ্রাণিত করবে।
স্পিকার আজ ঢাকায় বাংলা একাডেমি আয়োজিত বিজেসি’র তৃতীয় সম্প্রচার সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি এসব কথা বলেন। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
স্পিকার বলেন, তথ্য প্রবাহের অবাধ ও সুবর্ণ সময় বাংলাদেশ অতিক্রম করছে। দেশে গণমাধ্যমের কার্যপরিধি এখন অনেক বিস্তৃত। দৈনন্দিন জীবনের সাথে গণমাধ্যম অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। ডিজিটাল সুবিধা ও ইন্টারনেটের অবাধ প্রসারের কারণে সংবাদ জগতের সাথে সার্বক্ষণিক যুক্ত থাকতে হয়। ব্রডকাস্ট তথা সম্প্রচারের মাধ্যমে বিশ্বের ঘটনাপ্রবাহ সকলে ঘরে বসে দেখতে পাচ্ছেন। বিশাল কর্মযজ্ঞকে সামনে রেখে জার্নালিস্ট সেন্টার ট্রাস্টি বোর্ডও গঠিত হয়েছে, যা গনমাধ্যমের অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সাংবাদিকবান্ধব নীতি, ওয়েজবোর্ড গঠনসহ নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। গণমাধ্যমকর্মীদের কর্মক্ষেত্রে সুন্দর কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। গণতন্ত্র চর্চা ও বিকাশের সাথে সংবাদ পরিবেশন ও মিডিয়ার নিবিড় সম্পর্ক বিদ্যমান। তাই বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বিজেসি’র সভাপতি রেজোয়ানুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংগঠনের সদস্য সচিব শাকিল আহমেদ বক্তব্য রাখেন।
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের সাথে শীর্ষ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্টের বৈঠক
ঢাকা, ২ জুলাই:
নেদারল্যান্ডসে ৬ মাস ব্যাপি “ফ্লোরিয়াডে এক্সপো ২০২২”-এ যোগ দিতে এসে কৃষি মন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক গতকাল বাংলাদেশ ভবনে Wageningen University & Research-এর প্রেসিডেন্ট
Dr. Sjoukje Heimovaara-এর সাথে বাংলাদেশের কৃষি transformation বিষয়ে আলোচনা করেন।
ওয়াগেনিংগেন বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ কৃষি গবেষনা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃত। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ কৃষি পণ্যের জাত উন্নয়ন ও উন্নততর কৃষিপ্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য ওয়াগেনিংগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে নিয়মিতভাবে প্রায়োগিক গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে।
কৃষিমন্ত্রী ড. সুকেকে ওয়াগেনিংগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অভিনন্দন জানান। মন্ত্রী বাংলাদেশের কৃষি ক্ষেত্রে উন্নত প্রযুক্তি ও গবাষণালব্ধ ফলাফল প্রয়োগের মাধ্যমে বিভিন্ন শস্য ও পন্যের উৎপাদন বৃদ্ধি, বহুমুখীকরণ, কৃষিজাত পণ্য সংরক্ষণ ও আধুনিক উপায়ে বাজারজাতকরণ ও জলবায়ু পরিবর্তন জনিত অভিযোজন সংক্রান্ত প্রয়োগিক গবেষণার বিষয়ে আলোচনা করেন। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ গত এক দশকে কৃষি ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতা ও উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে এবং বিভিন্ন শস্য ও শাক-সবজি উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষ ১০ টি দেশের তালিকায় চলে এসেছে।
বৈঠকে নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মু. রিয়াজ হামিদুল্লাহ বাংলাদেশের কৃষি গবেষণামূলক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে ওয়াগেনিংগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ গবেষণামূলক প্রকল্প চালুকরনের বিষয়টি উত্থাপন করেন। ওয়াগেনিংগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট প্রস্তাবকে স্বাগত জানান। কৃষিমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশের ডেল্টা প্লানের কৃষি ক্ষেত্রকে বৃহত্তর অবস্থানে তুলে ধরার বিষয়ে আলোচনা করেন এবং বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
পদ্মা সেতু মানেই চ্যালেঞ্জ শেষ নয় : নৌপ্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৮ আষাঢ় (২ জুলাই)
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘৭৫ পরবর্তী সময়ে ‘দৈনিক সংবাদ’ পত্রিকা বঙ্গবন্ধুর নাম লিখলেও অনেকেই ভয়ে লেখেনি। এখন অনেকেই বঙ্গবন্ধুর নাম বলে চোখের পানি ফেলে। মনে রাখতে হবে, পদ্মা সেতু হওয়া মানেই চ্যালেঞ্জ শেষ নয়।
প্রতিমন্ত্রী গতকাল রাজধানীর তোপখানা রোডে ‘বার্তা প্রবাহ’ এর ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
তিনি বলেন, একসময় সাংবাদিকরা সামরিক জান্তার বুলেটের মুখে ছিলেন। এরই মধ্যে তাদের সাহসী ভূমিকা একটি জাতিকে বদলিয়ে দেয়।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গণমাধ্যমের স্বচ্ছতা এবং সঠিকভাবে গণমাধ্যম এগিয়ে নেয়ার জন্য বহু উদ্যোগ নিয়েছিলেন। প্রেস ইন্সটিটিউট জাতির পিতার হাতেই গড়া। ৩ মেয়াদে দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে গণমাধ্যম অনেক ইতিবাচক-নেতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার কোনো গণমাধ্যমের পথ আগলে দেয়নি, বা কোনো গণমাধ্যম বন্ধ করেনি। কিন্তু দেশমাতৃকার পক্ষে কথা বলা এবং দেশকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে গঠনমূলক ভূমিকা রাখা গণমাধ্যমেরও দায়িত্ব।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের জন্য যা করেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে সাংবাদিকদের জন্য এত কিছু কেউ করেনি। কোভিডকালীন সময়ে সাংবাদিকদের পাশে তিনি দাঁড়িয়েছেন এবং তাদের জন্য একটি ফাণ্ড গঠন করেছেন, যা অতীতে কোনো সরকার করেনি।
মুকুল বোসের মৃত্যুতে ওবায়দুল কাদেরের শোক
ঢাকা, ১৮ আষাঢ় (২ জুলাই)
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য মুকুল বোসের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আজ এক শোকবার্তায় মন্ত্রী প্রয়াত মুকুল বোসের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।