কলম্বোস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে চট্টগ্রাম ও কলম্বো বন্দরের মধ্যে নৌ যোগাযোগ বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি আলোচনা অনুষ্ঠিত
কলম্বো, (৩০ জুন) :
প্রথম অর্থনৈতিক কূটনৈতিক সপ্তাহ উপলক্ষ্যে ২৯ জুন ২০২২ তারিখে কলম্বোস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস, চট্টগ্রাম ও কলম্বো বন্দরের মধ্যে নৌ যোগাযোগ বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি কন্সালটেশন ফোরাম এর আয়োজন করে। ফোরামের উদ্দেশ্য ছিল দুই সমুদ্র বন্দরের মধ্যে নৌ চলাচল সংক্রান্ত সার্বিক বিষয়ের উপর আলোকপাত করে এই সংক্রান্ত সমঝোতা বৃদ্ধি এবং দুই বন্দরের মধ্যকার অংশীদারিত্ব আরো সুসংহত করা। বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার বন্দর কর্তৃপক্ষ, টার্মিনাল অপারেটর, মেইন লাইন অপারেটর, ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার্স এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এবং বন্দর ব্যবহারকারী যেমন তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উক্ত ফোরামে তাঁদের স্ব স্ব বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
শ্রীলংকায় নিযুক্ত বালাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক মোঃ আরিফুল ইসলাম তার স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশের অর্থনীতির উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন এবং কলম্বো বন্দরের জন্য তা যে তৈরি করেছে তা ব্যাখ্যা করেন। তিনি আরো উল্লেখ করেন যে, করোনা মহামারি ও বর্তমানে যুদ্ধের প্রেক্ষিতে বৈশ্বিক সামগ্রিক পণ্য বণ্টন ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতার কারণে নৌ পরিবহন ব্যবস্থাপনায় নতুন ধারার সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি সেই বাস্তবতায় কলম্বো বন্দরের পক্ষ থেকে আরো প্রণোদনার ব্যবস্থা করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
শ্রীলংকা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ড. প্রশান্থা জায়ামান্না কলম্বো বন্দরের বিদ্যমান সুযোগ সুবিধা ও চলমান উন্নয়ন এবং ভবিষৎ পরিকল্পনা ব্যাখ্যা করেন, যা ২০২৫-২৬ সালের মধ্যে সম্পন্ন হলে কলম্বো সমুদ্র বন্দরটি বছরে প্রায় ১৫ মিলিয়ন TEUs container handling এর সক্ষমতা অর্জন করবে। তিনি আরো উল্লেখ করেন যে, শ্রীলংকা সরকারের মালিকানাধীন Jaya Container টার্মিনালে বাংলাদেশি ফিডার ভেসেলের জন্য অগ্রাধিকারমূলক নোঙর এর সুবিধা প্রদান করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এখানে উল্লেখ যে, এই অগ্রাধিকার মূলক নোঙর এর জন্য বাংলাদেশ দূতাবাস দীর্ঘদিন যাবৎ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল।
শ্রীলংকা বন্দর কর্তৃপক্ষ, বেসরকারি টার্মিনাল পরিচলনাকারীবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ বাংলাদেশকে ধারাবাহিক অগ্রাধিকার প্রদানের ব্যাপারে নিশ্চয়তা প্রদান করে। সম্প্রতি গণমাধ্যমে কলম্বো বন্দর সংক্রান্ত নেতিবাচক প্রচারের বিষয় উল্লেখ করে তাঁরা জানান শ্রীলংকার সংকটাপন্ন অবস্থায়ও কলম্বো বন্দর পরিচালনা কোনো সমস্যার সম্মুখীন হয় নাই। এই ক্ষেত্রে উভয় পক্ষ শিপিং খাত সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডারদের মধ্যে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি উল্লেখ করেন যে গত বছরে কলম্বো বন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশের কনটেইনার পরিবহন উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই খাত সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশের প্রতিনিধিগণ কলম্বো বন্দরের ব্যবহারের অভিজ্ঞতা, উদ্ভূত ধারা এবং শিপিং কার্যক্রমে ভবিষৎ নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন।
আজ পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে ১০ জুলাই সারাদেশে পবিত্র ঈদুল আজহা
ঢাকা, ১৬ আষাঢ় (৩০ জুন) :
বাংলাদেশের আকাশে আজ ১৪৪৩ হিজরি সনের পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে আগামীকাল ১ জুলাই শুক্রবার থেকে পবিত্র জিলহজ মাস গণনা শুরু হবে। প্রেক্ষিতে, আগামী ১০ জিলহজ ১৪৪৩ হিজরি, ২৬ আষাঢ় ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, ১০ জুলাই ২০২২ খ্রি. রবিবার পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্যাপিত হবে।
আজ সন্ধ্যায় বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুঃ আঃ আউয়াল হাওলাদার।
সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মোঃ মুশফিকুর রহমান (অতিরিক্ত সচিব), প্রধান তথ্য অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোঃ শাহেনুর মিয়া, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম-সচিব মোঃ ছাইফুল ইসলাম, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কাজী হাফিজুল আমিন, বাংলাদেশ ওয়াক্ফ প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী প্রশাসক মোঃ শাহরিয়ার হক, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ টেলিভিশনের অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন) মোঃ হেলাল কবির, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ আজিজুর রহমান, সরকারী মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার উপাধ্যক্ষ মুহাম্মদ আবদুর রশীদ, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান, লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতী মুহাম্মদ নিয়ামতুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সভায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের প্রধান ইমাম আল্লামা ফরিদ উদ্দীন মাসউদ, তেজগাঁও মদিনাতুল উলুম কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক আল আযহারী।
ঢাকা, ১৬ আষাঢ় (৩০ জুন) :
‘দুদক এর নাম ভাঙ্গিয়ে প্রতারকচত্র কর্তৃক অর্থ বা অনৈতিক সুবিধা দাবির কোনো কার্যক্রম নজরে এলে তাৎক্ষণিকভাবে দুদকের হটলাইন-১০৬ অথবা মোবাইল- ০১৭১১৬৪৪৬৭৫, ০১৭১১৫৭৩৮৭৪ তে অবহিত করুন-দুর্নীতি দমন কমিশন।’
শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টায় ইউনূস সেন্টার : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ১৬ আষাঢ় (৩০ জুন):
পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধে ড. ইউনূসের তৎপরতা অস্বীকার করে ইউনূস সেন্টার যে বিবৃতি দিয়েছে তা ‘শাক দিয়ে মাছ ঢাকা’র অপচেষ্টা বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ।
আজ দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সামনে গণমাধ্যমে প্রকাশিত ইউনূস সেন্টারের বিবৃতির বিষয় তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, আজকে পদ্মা সেতু নির্মিত হওয়ায় অনেক বিরোধিতাকারীর সুর পাল্টেছে। বিএনপিও কিছুটা সুর পাল্টানোর চেষ্টা করছে, যদিও মির্জা ফখরুল সাহেব এখনো কিছু বলেননি। আজকে দেখলাম ইউনূস সেন্টারের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে, সেটির প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে।
‘পদ্মা সেতুর বিরোধিতাকারী, বিশেষ করে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধের কুশীলবদের অন্যতম প্রধান ব্যক্তি ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাহেবের প্রতি যথাযথ সম্মান-শ্রদ্ধা রেখেই এ ব্যাপারে কিছু বক্তব্য, কিছু তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরতে চাই’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘ড. ইউনূস সাহেব হিলারি ক্লিনটনের সাথে বিশেষ সখ্য থাকার সুবাদে পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধের ক্ষেত্রে যে মূল কুশীলবের ভূমিকা পালন করেছিলেন, সেটি দিবালোকের মতো স্পষ্ট, দেশ-বিদেশে সবাই সেটি জানে।’
মন্ত্রী জানান, ‘তখনকার বিশ্বব্যাংকের মি. জেলিক বলেছিলেন, এটি বন্ধ করার কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই। কারণ প্রথমত বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের অন্যতম অংশীদার দেশ অর্থাৎ সেখানে আমাদের শেয়ার আছে। দ্বিতীয়ত বাংলাদেশ কখনো ঋণখেলাপী হয়নি। ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে খুবই ভালো। এভাবে, যুক্তিসঙ্গত কোনো কারণ না থাকায় মি. জেলিকের ওপর ক্রমাগত চাপ প্রয়োগ করা হলেও তিনি কিন্তু সেটি করেননি। তিনি যেদিন অবসরে যাচ্ছেন, তার শেষ কর্মদিবসের শেষ ঘণ্টায় তিনি অর্থায়ন বন্ধের সিদ্ধান্তে সই করতে বাধ্য হয়েছিলেন।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এর কারণ ড. ইউনূস সাহেব বেআইনিভাবে ১০ বছর অতিরিক্ত সময় গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা এমডি ছিলেন এবং আরো থাকতে চেয়েছিলেন। ব্যাংকের এমডিদের বয়সসীমা বাংলাদেশে ৬০ বছর। কোনো বেসরকারি ব্যাংকেও এ বয়সের পর আর এমডি থাকা যায় না। তার বয়স তখন ৭০ এর কোঠায় অর্থাৎ কমপক্ষে ১০ বছর অতিরিক্ত সময় ধরে তিনি এমডি ছিলেন। আর গ্রামীণ ব্যাংক হচ্ছে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক বা কর্মসংস্থান ব্যাংকের মতো সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান, যেখানে সরকারের শেয়ার আছে। গ্রামীণ ব্যাংকে তখন সরকারের শেয়ার ছিল ৫১ শতাংশ ও অন্যদের ৪৯ শতাংশ। সংবিধিবদ্ধ অন্য ব্যাংকের জন্য যে আইন এখানেও সেই আইন। কিন্তু তিনি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এমডির দায়িত্বে ছিলেন। সরকার তাকে গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি পদ থেকে সরে ব্যাংক ছেড়ে যেতে বলেনি, বরং উপদেষ্টা হতে বলেছিল, তখন তিনি সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করলেন। মামলায় তিনি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ পর্যন্ত গেছেন এবং হেরেছেন। অর্থাৎ তিনি যে বেআইনিভাবে এমডি পদে ছিলেন, সেটি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ রায় দিয়ে নিশ্চিত করেছে।’
সরকার সবসময় গ্রামীণ ব্যাংককে বাঁচানোর চেষ্টা করেছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বিশেষ করে ১৯৯৮ সালের বন্যার পর যখন তাদের ঋণ গ্রহীতারা অর্থ ফেরত দিতে পারছিলো না, তখন শেখ হাসিনার সরকার বিভিন্ন সময়ে গ্রামীণ ব্যাংকে ৪শ’ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিল।
হাছান মাহ্মুদ জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমবার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে গ্রামীণ ফোনের লাইসেন্স দিয়েছিলেন এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাহেবকে লাইসেন্স দেয়া হয়েছিল গ্রামীণ ব্যাংকের নামে। তখন বলা হয়েছিল, গ্রামীণ ফোনের টাকাটা গ্রামীণ ব্যাংকে যাবে। কিন্তু সেই টাকা কি গ্রামীণ ব্যাংকে গেছে! যায়নি। গ্রামীণ ব্যাংকে না গিয়ে সেই টাকা বিভিন্ন জায়গায় গেছে এবং তিনি ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে যে অনুদান দিয়েছিলেন, তা গতকালের বিবৃতিতে অস্বীকার করেছেন। কিন্তু দেশ-বিদেশের সমস্ত পত্র-পত্রিকায় যখন সেটি বেরিয়েছিলো তখন তো তিনি অস্বীকার করেননি। আজ এতো বছর পর কেন তিনি অস্বীকার করছেন, অর্থাৎ ডাল মে কুচ কালা হ্যায়।’
‘কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নোবেল পুরস্কারের অর্থ দিয়ে ক্ষুদ্র ঋণ চালু করেছিলেন, আর ক্ষুদ্র ঋণের কথা বলে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ড. ইউনূসের পুরস্কারের অর্থ তার ব্যক্তিগত একাউন্টেই আছে, গ্রামীণ ব্যাংকেও যায়নি, অন্য কোনো জনহিতকর কাজেও তিনি খরচ করেননি’ বলেন সম্প্রচারমন্ত্রী।
‘ইউনূস সেন্টারের বিবৃতি সত্যের অপলাপ’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইউনূস সাহেব যে পদ্মা সেতু এবং এতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের বিরোধিতা করেছেন, সেটি দিবালোকের মতো স্পষ্ট। তিনি আগে কখনো বলেননি যে তিনি এই অপচেষ্টা চালাননি। বরং যখন বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধ হলো, তখন দম্ভ করে বিভিন্ন জায়গায় তিনি নানা কথা বলেছিলেন, যেগুলো এখনো বাতাসে ভেসে বেড়ায়। এভাবে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টায় কোনো লাভ নেই। যদি প্রয়োজন হয় আমরা আরো তথ্য-উপাত্ত নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হবো।’
ড. ইউনূস পদ্মা সেতুর জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন-এবিষয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এখন সারা দেশ যখন উল্লসিত, যারা পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করেছিলো, তারা প্রচণ্ড লজ্জিত। এটি তার লজ্জা ঢাকার অপচেষ্টার অভিনন্দন।’
ভূমিসেবা কার্যক্রম বিনিয়োগবান্ধব করা হচ্ছে : ভূমিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৬ আষাঢ় (৩০ জুন) :
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, দেশে ‘সহজে ব্যবসার সুযোগ’ বাড়াতে ভূমিসেবা কার্যক্রম আরো সহজ ও বিনিয়োগবান্ধব করা হচ্ছে।
আজ ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সরকারের কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির আওতায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এর আওতাভুক্ত দপ্তর ও সংস্থার ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী একথা বলেন। ভূমিসচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান পিএএ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
এ সময় সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, শিল্পে বিনিয়োগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে ভূমি। ভূমিসেবা ব্যবস্থাপনার মান এমন জায়গায় নিয়ে যেতে হবে যেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও চালানোর সময় ভূমি বিষয়ক প্রয়োজনীয় ও প্রযোজ্য আনুষ্ঠানিকতা (নামজারি, ভূমি উন্নয়ন কর কিংবা বন্দোবস্ত প্রক্রিয়া ইত্যাদি) দেখে প্রশংসা করে।
মন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগের বিকল্প নেই। এজন্য দ্রুত অর্থনৈতিক বিকাশের স্বার্থে ‘সহজে ব্যবসার সুযোগ’-এর সূচকে দেশকে আরো অনেক ধাপ এগিয়ে যেতে হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর জেলার আওতাভুক্ত বিদ্যমান সকল গুরুত্বপূর্ণ শিল্প প্রতিষ্ঠান, লিমিটেড কোম্পানি, রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং কোম্পানি থেকে কোম্পানির নামে নামজারি ৭ দিনে সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই ব্যবস্থা প্রয়োজনে আরো সম্প্রসারণ করা হবে।
অনুষ্ঠানে ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান সোলেমান খান, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পরিচালক মোঃ আরিফ ও হিসাব নিয়ন্ত্রক (রাজস্ব) দপ্তরের হিসাব নিয়ন্ত্রক (রাজস্ব) মোঃ মশিউর রহমান নিজ নিজ দপ্তর ও সংস্থার পক্ষে এপিএ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অপরপক্ষে ভূমি মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ভূমিসচিব চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
উখিয়া স্পেশালাইজড হাসপাতালে সেবাদান ও পরিচালনা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত
ঢাকা, ১৬ আষাঢ় (৩০ জুন) :
আজ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে উখিয়া স্পেশালাইজড হাসপাতালে সেবাদান ও পরিচালনা সংক্রান্ত এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (UNHCR) এর মধ্যে এ ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয় ।
সমঝোতা স্মারকে UNHCR এর পক্ষে বাংলাদেশ রিপ্রেজেন্টেটিভ Johannes van der Klaauw স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের পক্ষে সচিব ড. মুঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সচিব মোঃ কামরুল হাসান স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ্ রেজওয়ান হায়াতসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
উখিয়া স্পেশালাইজড হাসপাতালটি ২০১৭ সালে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক ও স্থানীয় জনগণের চিকিৎসার জন্য মালয়েশিয়ান সরকার ‘মালয়েশিয়ান ফিল্ড হাসপাতাল’ নামে চালু করে।
কোভিড-১৯ এর কারণে এ হাসপাতালে সেবা প্রদান ব্যাহত হয় এবং মালয়েশিয়া ২০২১ সালে এ হাসপাতাল পরিচালনায় অপারগতা প্রকাশ করে। মালয়েশিয়ান সরকার পরবর্তীতে বাংলাদেশ সরকারের নিকট হাসপাতালটি হস্তান্তর করলে সরকার হাসপাতালটি স্পেশালাইজড হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
উল্লেখ্য, ইউএনএইচসিআর এ হাসপাতালের জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল সংগ্রহ করে হাসপাতালের অবকাঠামো গড়ে তোলে। ১৭ হাজার ৫০০ বর্গফুটের এ হাসপাতালে মোট কক্ষ সংখ্যা ৬০টি। এখানে চোখ ও দাঁতের চিকিৎসা এবং অপারেশনসহ বিভিন্ন ধরনের বিশেষায়িত সেবা প্রদান করা হবে।
এ হাসপাতালের মাধ্যমে উখিয়ার স্থানীয় জনসাধারণ এবং বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের বিশেষায়িত স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা সম্ভব হবে।
কোরবানির পশুর হাটে ও কোরবানিকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশিকা
ঢাকা, ১৬ আষাঢ় (৩০ জুন) :
আসন্ন ইদুল-আজহা উপলক্ষ্যে পশুর হাট ব্যবস্থাপনায় নিম্নলিখিত নির্দেশনাসমূহ পালনের জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সরকার। নির্দেশনাগুলো হলো :
আজ স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে এই নির্দেশিকা জারী করা হয়।
বার্ষিক কর্ম সম্পাদনের ক্ষেত্রে টিম হিসেবে কাজ করে সফলতা আনতে হবে : রেলপথ মন্ত্রী
ঢাকা, ১৬ আষাঢ় (৩০ জুন) :
রেলপথ মন্ত্রী মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, সরকার নির্দেশিত বার্ষিক কর্ম সম্পাদনের ক্ষেত্রে একটি টিম হিসেবে কাজ করতে হবে। মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা মিলে টিম হিসেবে কাজ করলে এক্ষেত্রে অধিক সফল হওয়া যাবে।
মন্ত্রী আজ রেল ভবনের সম্মেলন কক্ষে রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের মধ্যে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, চুক্তিস্বাক্ষর অনুযায়ী আমরা কি অঙ্গীকার করছি এবং কতটুকু কাজ করেছি তার মূল্যায়ন নিজেদেরই করা দরকার। সরকার টার্গেট নির্ধারণ করে দিয়েছে, কোন টার্গেট না থাকলে সে কাজ সফল হয় না। আজ মন্ত্রণালয়ের সাথে অধিদপ্তরের চুক্তি স্বাক্ষর হলো। এভাবে অধিদপ্তর তার অধীনস্থ দপ্তরগুলোর সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করবে। তবে আমাদের প্রত্যেকেরই জানা দরকার কে কোন কাজ করছে এবং সে কতটুকু সফল ও ব্যর্থ হলো। এটাতে প্রত্যেকটা অফিসে একটা টার্গেট ঝুলিয়ে রাখা প্রয়োজন যেন কর্মকর্তা নিয়মিত সেটা দেখতে পারে তার কতটুকু বাস্তবায়ন হলো এবং কতটুকু বাকি আছে।
চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোঃ হুমায়ুন কবীর ও বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার। এ সময় রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন সংস্থাসমূহের মধ্যে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরিত
ঢাকা, ১৬ আষাঢ় (৩০ জুন) :
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন সংস্থাসমূহের মধ্যে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।
আজ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন-এর সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থাসমূহের সাথে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মোঃ হামিদুর রহমান, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো’র মহাপরিচালক মোঃ শহিদুল আলম, এনডিসি এবং বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট এন্ড সার্ভিসেস লিঃ (বোয়েসেল) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. বিল্লাল হোসেন।
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দেশপ্রেমে উদ্ধুদ্ধ হয়ে প্রবাসীদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে হবে। আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ কর্মী তৈরিতে অধিক গুরুত্ব আরোপ করতে হবে। এ অর্থবছরে বৈদেশিক কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, এর ফলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, প্রবাসীদের কল্যাণে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের জন্য দপ্তরসমূহের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। চলতি অর্থ-বছরে প্রবাসীদের জন্য যে সমস্ত টার্গেট নেয়া হয়েছে তা সর্বোচ্চ দক্ষতার সাথে পূরণ করার অঙ্গীকার করতে হবে।
বেগম রোকেয়া পদক
আবেদনের সময়সীমা ৩১ জুলাই
ঢাকা, ১৬ আষাঢ় (৩০ জুন) :
নারী শিক্ষা, নারী অধিকার, নারীর আর্থসামাজিক উন্নয়ন, সাহিত্য ও সংস্কৃতির মাধ্যমে নারী জাগরণ ও পল্লী উন্নয়ন এবং সরকার নির্ধারিত অন্য কোনো ক্ষেত্রে অবদানের সর্বোচ্চ স্বীকৃতিস্বরূপ পাঁচজন বাংলাদেশি নারীকে ‘বেগম রোকেয়া পদক, ২০২২’ প্রদান করা হবে। সম্প্রতি মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উল্লিখিত যে কোনো ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন এমন বাংলাদেশি নারীদের নিকট থেকে দরখাস্ত আহ্বান করা হয়েছে। আবেদনপত্রের ‘ছক’ মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েব-সাইট (www.mowca.gov.bd) এবং মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের ওয়েব-সাইট (www.dwa.gov.bd)- এ পাওয়া যাবে। ওয়েব-সাইটে প্রকাশিত ‘ছক’ ব্যতীত অন্য কোনো ছকের আবেদন/মনোনয়ন গ্রহণ করা হবে না।
আগ্রহীদের পদকপ্রাপ্তির ক্ষেত্র উল্লেখপূর্বক আগামী ৩১ জুলাই ২০২২ তারিখের মধ্যে নির্ধারিত ছক অনুযায়ী আবেদনের সফটকপি ই-মেইলে (sasadmn2@gmail.com) [(Nikosh-ফন্টে MS Word File-এ)] এবং ডাকযোগে/সরাসরি ২ (দুই) সেট হার্ডকপি সচিব, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা বরাবর প্রেরণ করতে হবে।