পৃথিবীর ইতিহাসে আগস্ট মাসের মতো এত রক্ত আর কোনা মাসে ঝরেনি : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৬ ভাদ্র (৩১ আগস্ট) :
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, পৃথিবীর ইতিহাসে যত রক্ত ঝরেছে, আগস্ট মাসের মতো এত রক্ত আর কোনো মাসে ঝরেনি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ঘাতকরা ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট মহান মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে শোকাবহ আগস্ট উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত ‘শোক থেকে শক্তির অভ্যুদয়, স্বপ্নপূরণের দৃঢ় প্রত্যয়’ শীর্ষক মাসব্যাপী অনুষ্ঠানমালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবুল মনসুর।
প্রধান অতিথি বলেন, বঙ্গবন্ধু পরিবারের ওপর যতগুলো হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছিল বা হত্যাকাণ্ডের চেষ্টায় আক্রমণ চালানো হয়েছিল তার প্রতিটিতে জড়িত ছিল জিয়াউর রহমানের পরিবার। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র তত্ত্বাবধানে জিয়াউর রহমানের প্রত্যক্ষ ষড়যন্ত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল। আবার খালেদা জিয়ার ন্যস্ত প্রশাসনের উপস্থিতিতে তার পুত্র তারেক জিয়ার নির্দেশে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ১৯ বার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু মহান আল্লাহ তায়ালার রহমতে ও জনগণের দোয়ায় তিনি প্রতিবারই রক্ষা পেয়েছেন।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় সংস্কৃতি সচিব মোঃ আবুল মনসুর বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা কোনো আকস্মিক ঘটনা ছিল না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ তেইশ বছরের আন্দোলন-সংগ্রাম ও রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি লাভ করে বহুল কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। সচিব বলেন, বাংলাদেশ নামক ভূখণ্ড বা বঙ্গভূমি কোনোদিনই এদেশের কোনো মাটির সন্তান দ্বারা পরিচালিত বা শাসিত হয়নি। বঙ্গবন্ধুই এ মাটির প্রথম সন্তান যিনি এ ভূখণ্ডে স্বাধীনতা এনে দিয়ে দেশ পরিচালনা করার দায়িত্ব পেয়েছিলেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার অন্যতম প্রধান কারিগর সোনার মানুষ। আর সংস্কৃতি চর্চার মধ্য দিয়েই সে সোনার মানুষ গড়া সম্ভব।
প্রতিমন্ত্রী পরে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির কফি হাউজ সংলগ্ন উন্মুক্ত মঞ্চে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২২ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ আয়োজিত মাসব্যাপী ‘শ্রাবণের শোকগাঁথা’ শিরোনামে আবৃত্তি ও আলোচনার বিশেষ আয়োজনের সমাপনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
যুক্ত স্বাধীন বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু : শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, ১৬ ভাদ্র (৩১ আগস্ট) :
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘যুক্ত স্বাধীন বাংলা’র স্বপ্ন দেখেছিলেন। যে সময় ধর্মের ভিত্তিতে পাকিস্তান আলাদা হয়ে যাচ্ছে, তখন বঙ্গবন্ধু অনুধাবন করেছিলেন, এই স্বাধীনতা বাঙালির জীবনের প্রকৃত স্বাধীনতা নয়, তিনি গোড়াতেই তা বুঝেছিলেন।
আজ ঢাকা কলেজ আয়োজিত স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় মন্ত্রী এ কথা জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশভাগের ঠিক আগে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক গুরু হোসেন শহীদ সোওরাওয়ার্দী ও শরত বোসের সঙ্গে মিলে একটি যুক্ত স্বাধীন বাংলার প্রস্তাব দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু ধরেই নিয়েছিলেন এই এলাকার বাংলা ভাষাভাষীর মানুষদের নিয়ে একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু যখন একেবারেই ধর্মের ভিত্তিতে দুইভাগ হয়ে ভারত এবং পাকিস্তান হলো, সেই আন্দোলনে তিনি যুক্ত ছিলেন বটে কিন্তু স্বাধীন বাংলার যে প্রস্তাব তিনি করেছিলেন, নানান কারণে তা সম্ভব হয়নি। সেটি হলে এই উপমহাদেশের সমাজচিত্রটা অন্য রকম হতে পারতো।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যে সময় ধর্মের ভিত্তিতে পাকিস্তান আলাদা হয়ে যাচ্ছে, তখন বঙ্গবন্ধু অনুধাবন করেছিলেন, এই স্বাধীনতা বাঙালির জীবনের প্রকৃত স্বাধীনতা নয়, সে কারণে গোড়াতেই তিনি বাঙালির স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার জন্য সচেষ্ট হলেন। ১৯৪৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে একটি যুব সংগঠন করলেন-গণতান্ত্রিক যুবলীগ। তার কয়েক মাস পরেই ১৯৪৮ সালের জানুয়ারিতে ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ করলেন। কারণ, তিনি পাকিস্তান কাঠামোর মধ্যে পূর্ব বাংলা তথা বাঙালির প্রাণের যে অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে না, তা গোড়াতেই অনুধাবন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন-বাঙালিকে তাদের নিজের অধিকার নিজেদেরই প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
সম্প্রতি নারীর পোশাক নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে শালীনতার প্রশ্ন তোলার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, বার বার প্রশ্ন তোলে আমি বাঙালি না মুসলমান, এ প্রশ্নের মীমাংসা তো আগেই হয়ে গেছে। আমি বাঙালিও, আমি মুসলমানও। কিংবা আমি বাঙালি, আমি খ্রিষ্টান, কিংবা আমি বাঙালি এবং আমি হিন্দু, কিংবা আমি বাঙালি আমি বৌদ্ধ, আমার ধর্ম আমার জাতীয় পরিচয়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কিছু নয়। তারপরও বার বার কেনও এই প্রশ্নগুলোকে টেনে আনা হয়? আমার সংস্কৃতিকে কেনও ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়? আমাদের স্মৃতিকে কেনও মুছে ফেলবার চেষ্টা করা হয়? আবহমান কালের যে সংস্কৃতি কেনও নানান প্রশ্নে জর্জরিত করা হয়? নানানভাবে শালীনতার প্রশ্ন তোলা হয়, শালীনতা কি শুধু নারীর পোশাকের মধ্যে সীমাবদ্ধ? শালীনতা শুধু পোশাকে নয়, পোশাক, আচার-আচরণ, কথা কাজ, দৃষ্টিভঙ্গি, চিন্তার মধ্যে শালীনতা দরকার। শালীনতা শুধু নারীর নয় পুরুষ ও প্রত্যেকটি মানুষের জন্য প্রযোজ্য। শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে, সজাগ থাকতে হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, এই বাংলায় হাজার হাজার বছরের ঐতিহ্য রয়েছে, ইতিহাস ও সংস্কৃতি রয়েছে। আমাদের সমৃদ্ধ ভাষা রয়েছে। এই ঢাকার অদূরে ওয়ারি বটেশ্বরে অন্তত আড়াই হাজার বছর আগেই এই ভূখণ্ডের মানুষ একটি পরিকল্পিত নগর জীবন-যাপন করতো। আমি সেই সভ্যতার অংশ। সব সমাজের এত সমৃদ্ধ অতীত থাকে না। পৃথিবীর অনেক ধনী দেশ আছে যাদের তিনশ’ বছর আগে গেলেও সমৃদ্ধ ইতিহাস নেই, যেটুকু আছে সেটুকু শোষণের। এই ভূখণ্ডে অনেক ধরনের, ভাষার মানুষ এসেছে, অনেক সংস্কৃতির মানুষ এসেছে। সবাইকে নিয়ে আমরা একটা শান্তি ও সম্প্রীতির সমাজ তৈরি করেছিলাম। আমরা সেই ঐতিহ্যকে কেন ভুলে যাবো?
বিএনপিনেত্রী ও তাদের মহাসচিবেরই শিষ্টাচার শেখা প্রয়োজন : তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১৬ ভাদ্র (৩১ আগস্ট) :
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, বিএনপিনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, তাদের মহাসচিব এবং তার দলের শিষ্টাচার শেখার প্রয়োজন রয়েছে।
আজ রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন আয়োজিত ‘শোকাবহ ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্ট স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে’ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। সমসাময়িক বিষয় নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বেগম জিয়াকে বিদেশ পাঠানো নিয়ে কিছু কথা বলেছেন, সে প্রেক্ষিতে মির্জা ফখরুল সাহেব শিষ্টাচার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আমি ফখরুল সাহেবকে অনুরোধ জানাই, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন বেগম খালেদা জিয়ার পুত্র আরাফাত রহমান কোকো মৃত্যুবরণ করার পর তার দরজায় গিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন, ২০ মিনিট পরেও যখন দরজা খোলেননি এটা কোন ধরনের শিষ্টাচার।’
‘শুধু তাই নয়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন তাকে গণভবনে আমন্ত্রণ জানালেন যে আপনি আসুন আপনার সাথে আমরা আলাপ করি। তখন বিএনপিনেত্রী যে ভাষায় কথা বললেন সেটি কোন ধরনের শিষ্টাচার’ প্রশ্ন রেখে ড. হাছান বলেন, ‘দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, সংসদের বিরোধীদলীয় নেত্রী আহত হলেন আর সংসদে দাঁড়িয়ে বেগম খালেদা জিয়া বললেন উনাকে কে মারবেন, গ্রেনেড তো উনারাই নিয়ে গিয়েছেন ভ্যানিটি ব্যাগে করে -এটা কোন ধরনের শিষ্টাচার। শিষ্টাচার আমাদের শেখাবেন না। শিষ্টাচার আপনাদের শেখার প্রয়োজন রয়েছে, আপনার নেত্রীরও শেখার প্রয়োজন রয়েছে। শিষ্টাচার আপনাদের শেখা দরকার, বেগম খালেদা জিয়া, তার মহাসচিব এবং তার দলের শিষ্টাচার শেখার প্রয়োজন রয়েছে।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মহানুভবতা দেখিয়েছেন তারা ক্ষমতায় থাকলে সেটা দেখাতো না। গ্রেনেড মেরে হত্যার অপচেষ্টা করার পর মারতে পারে নাই এরপরও যারা উপহাস করে, তারা কি ক্ষমতা থাকলে আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মহানুভবতা দেখিয়েছেন সেটা দেখাতো!’
তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘ক’ দিন পরে পরে বিএনপি নেতারা বলে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ না নিলে তার জীবন সংকটাপন্ন। এগুলো বলার পর দেখা যায় বেগম জিয়া ভালো হয়ে ফেরত যায়। বেশি কথা বলতে চাই না, আমাকে আমার নেত্রী শিষ্টাচার শিখিয়েছেন, আমার পরিবারও শিষ্টাচার শিখিয়েছে। কিন্তু কারো জীবন যখন সংকটাপন্ন হয় তখন কি কেউ সেজেগুজে হাসপাতালে যায়! এটির জবাব মির্জা ফখরুল সাহেব নিশ্চয় দেবেন।’
‘১৫ আগস্ট এবং ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ড দু’টি একইসূত্রে গাঁথা’ উল্লেখ করে সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান বলেন, ‘১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান কুশীলব ছিল জিয়াউর রহমান। আর ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের অন্যতম কুশীলব হচ্ছে জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তার পুত্র তারেক জিয়া। সুতরাং দু’টি হত্যাকাণ্ড একই সূত্রে গাঁথা।’
প্রেস কাউন্সিল আইন সংশোধন নিয়ে সাংবাদিকদের আলোচনার প্রেক্ষিতে এ সময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রেস কাউন্সিলের সদস্য সবাই সাংবাদিক এবং প্রেস কাউন্সিল আইন সংশোধন করার প্রস্তাব প্রেস কাউন্সিলেরই। যারা এ নিয়ে কথা বলছেন তারাও এই সংশোধন প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেছেন। সংশোধনীতে শুধু প্রেস কাউন্সিলের ক্ষমতা বাড়িয়ে জরিমানা করার ক্ষমতার কথা বলা হয়েছে, এর বাইরে কিছু নয়। ইংল্যান্ডে প্রেস কাউন্সিল কত জরিমানা করবে তার কোনো সীমা বেধে দেয়া নেই। যত অর্থ সমীচীন তত জরিমানা করতে পারে। আমাদের প্রেস কাউন্সিলকে তার চেয়ে অনেক কম ক্ষমতা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। ইংল্যান্ডের মতো তো নয়ই, ভারতের প্রেস কাউন্সিলের মতোও নয়, তার চেয়ে অনেক কম সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা জরিমানা করার ক্ষমতার কথা বলা হয়েছে। এটি নিয়ে কোনো দ্বন্দ্ব হওয়ার সুযোগ নেই, এটি মন্ত্রণালয় করেনি। সংবাদপত্র মালিক পক্ষ, সাংবাদিক, সাংবাদিক সংগঠনের প্রতিনিধি সবাই মিলেই এটি করবে। এটি নিয়ে যেভাবে অপপ্রচারের চেষ্টা করা হয়েছে সেটি সমীচীন নয়।’
ওয়েজবোর্ড নিয়ে মামলা আছে, মামলাটা ‘ভেকেট’ করা হলে ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নের প্রতিবন্ধকতা দূর হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমার মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখাকে দায়িত্ব দিয়েছি, আপনারা যোগাযোগ রাখবেন তাহলে এটা দ্রুত হবে।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের-ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের-বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুক, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ বাদল, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, বিএফইউজে’র সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, সাবেক মহাসচিব আব্দুল জলিল ভূঁইয়া, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, ডিইউজে’র সহসভাপতি মানিক লাল ঘোষ, যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল আলম প্রমুখ।
শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে হবে : পানি সম্পদ উপমন্ত্রী
ঢাকা, ১৬ ভাদ্র (৩১ আগস্ট) :
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করছে সরকার। শোকের মাসে শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ শরীয়তপুরের নড়িয়ায় উপজেলা ও পৌরসভা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শামীম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে সারাজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নছিল তার। তাই আমাদের সবার দায়িত্ব হবে জ্ঞান-গরিমায় সমৃদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজকে সম্পূর্ণ করে বাংলাদেশকে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করা। তাহলেই শোকের মাসে আমরা চিরঞ্জীব এই মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে পারবো।
এনামুল হক শামীম বলেন, দেশবিরোধী বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র চলছে, চলবে। তারা জন্মলগ্ন থেকেই ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করে আসছে। বিএনপি মূলত রাজপথের আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থতার গ্লানি ঢাকতেই মাঝে মাঝে ফাঁকা আওয়াজ দেয়। এতে লাভ হবে না, বঙ্গবন্ধু হত্যার মাস্টার মাইন্ড জিয়াউর রহমান ও যুদ্ধাপরাধী রাজাকার আলবদরের গাড়িতে পতাকা তুলে দেয় খালেদা জিয়ার দল বিএনপি আর কোনো দিন ক্ষমতায় আসবে না। এদেশের জনগণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। তাই আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের রায় নিয়ে আবারও ক্ষমতায় আসবে।
নড়িয়া উপজেলা সৈনিক লীগের সভাপতি দবির সিকদার আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক মাল, সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম চুন্নু ও দপ্তর সম্পাদক মাস্টার শাহআলম সভায় বক্তব্য রাখেন।
নদীগর্ভে বিলীন স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব
ঢাকা, ১৬ ভাদ্র (৩১ আগস্ট) :
নদীগর্ভে বিলীন গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার অবকাঠামোবিহীন তিন থোপা রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ধালিপাটাধোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে বিদ্যালয়ের অবকাঠামো ও শিখন পদ্ধতি নিয়ে ঢাকা থেকে অনলাইনে আজ মতবিনিময় করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান।
গণশিক্ষা সচিব শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং নদী ভাঙনের ফলে নিদারুণ দুর্দশায় পতিত এলাকাবাসীর প্রতি তার সহানুভূতি প্রকাশ করে ভাঙন রোধ ও দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিদ্যালয়ের নতুন অবকাঠামো নির্মাণের আশ্বাস দেন।
তিনি শিক্ষার্থীদের বুদ্ধিবৃত্তিক ও গাণিতিক বিষয়ের দক্ষতা যাচাই করেন এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মানোন্নয়ন ও মানসিক উত্তরণে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাদের মাঝে সচিবকে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন এবং তাদের উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা প্রদানে এরকম কার্যক্রম অব্যাহত রাখার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
সুন্দরবন সুরক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে সরকার : পরিবেশমন্ত্রী
ঢাকা, ১৬ ভাদ্র (৩১ আগস্ট) :
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, সুন্দরবন সুরক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে সরকার। সুন্দরবন ও এর বাঘ সংরক্ষণে একাধিক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। সুন্দরবনের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য টহল জলযান ক্রয়সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে। গৃহীত প্রকল্পসমূহ সুন্দরবন ও বাঘ সংরক্ষণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে।
আজ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)
-এর জুলাই ২০২২ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত মাসিক সভায় সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিবেশ ও বন উন্নয়নে গৃহীত প্রকল্পসমূহ যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য পরিবেশমন্ত্রী এ সময় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি বলেন, অর্থবছরের শুরু থেকেই সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। প্রথম থেকেই গুরুত্বসহকারে কার্যক্রম সম্পাদনের মাধ্যমে বছর শেষে প্রকল্পের অগ্রগতি শতভাগ অর্জনে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।
সভায় উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, মোঃ মিজানুল হক চৌধুরী, মোঃ মনিরুজ্জামান ও সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ, বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমির হোসাইন চৌধুরীসহ দফতর প্রধানগণ ও বিভিন্ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকরা আলোচনায় অংশ নেন। সভায় সকলে চলমান প্রকল্পগুলো যথাসময়ে যথানিয়মে সম্পন্ন করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
এটকো’র ‘বাংলাদেশ ও চিরঞ্জীব বঙ্গবন্ধু’ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ১৬ ভাদ্র (৩১ আগস্ট) :
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ ও চিরঞ্জীব বঙ্গবন্ধু’ আলোচনা সভা করেছে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মালিকদের সংগঠন এসোসিয়েশন অভ্ টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স-এটকো। আজ রাজধানীর কাকরাইলে তথ্য ভবন মিলনায়তনে এটকো প্রেসিডেন্ট অঞ্জন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও ভাইস প্রেসিডেন্ট ইকবাল সোবহান চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আমির হোসেন আমু এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ সম্মানিত অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
আমির হোসেন আমু সভায় গণমাধ্যমকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় পাকিস্তানি প্রেতাত্মার সাথে নয়, স্বাধীনতার পক্ষের সাথে থাকুন। কারণ ’৭১-এর রাজাকার, ১৫ আগস্টের খুনিচক্র, ২১ আগস্টের ষড়যন্ত্রকারী ও পেট্রোলবোমা সন্ত্রাসীরাই সেই পাকিস্তানের অত্যাচারী শাসকদের প্রেতাত্মা। এরা কখনো বাংলাদেশের উন্নয়ন চায়নি এবং চায় না।’
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, ’১৫ আগস্ট এবং ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ড কেবল হত্যাকাণ্ডই নয়, এটা মানবাধিকার লঙ্ঘন। রাজনৈতিক অভিলাষ চরিতার্থ করার জন্য পৃথিবীর কোথাও গত কয়েক দশকে এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। যেখানে ঘটেছে, জাতিগত সংঘাতের কারণে ঘটেছে। অবরোধের নামে মানুষকে ১শ’ দিন ঘরের মধ্যে অবরোধ করে রাখা সেটাও তো মানবাধিকার লঙ্ঘন। জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা নিষ্কণ্ঠক রাখতে যারা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার তাদের পরিবার আজকে ডুকরে ডুকরে কাঁদছে। এটি কি মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়!’
গণমাধ্যম মানুষকে সঠিক চিন্তা করার ক্ষেত্রে, সমাজকে সঠিকখাতে প্রবাহিত করার ক্ষেত্রে, সমাজকে সঠিক তথ্য দেয়ার ক্ষেত্রে, সার্বিকভাবে দেশ গঠন করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আজকে আপনাদেরকে অনুরোধ জানাবো, এই ধারাবাহিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথাগুলো দয়া করে আপনারা উপস্থাপন করবেন।’
সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার ড. গোলাম রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরফুদ্দিন আহমেদ, এফবিসিসিআই সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিনসহ এটকোর পরিচালকবৃন্দ তাদের আলোচনায় বাঙালি, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ প্রেক্ষিতে মতামত তুলে ধরেন।
জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ পেলেন শিশুবিশেষজ্ঞ প্রফেসর এম কিউ কে তালুকদার
ঢাকা, ১৬ ভাদ্র (৩১ আগস্ট) :
‘বাংলাদেশ জাতীয় অধ্যাপক (নিয়োগ, শর্তাবলি ও সুবিধাদি) সিদ্ধান্তমালা-১৯৮১’ অনুযায়ী সেন্ট্রাল ফর উইমেন এন্ড হেলথ (সিডব্লিউসিএইচ) এর চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিশুবিশেষজ্ঞ প্রফেসর এম কিউ কে তালুকদারকে নিয়োগের তারিখ থেকে ৫ বছরের জন্য নিম্নোক্ত শর্তে জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হলো।
তিনি কোনো গবেষণা সংস্থা বা শিক্ষায়তনের সাথে সংশ্লিষ্ট থেকে নিজের পছন্দমত ক্ষেত্রে গবেষণামূলক কাজ করতে পারবেন এবং যেক্ষেত্রে তিনি কাজ করবেন তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগকে অবহিত করবেন; তিনি যে শিক্ষা/গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাথে সংযুক্ত থাকবেন সেই প্রতিষ্ঠানের নিকট তাঁর শিক্ষা/গবেষণামূলক কাজের বার্ষিক রিপোর্ট পেশ করবেন, সেই প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যানকে তাঁর কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত রাখবেন।
জাতীয় অধ্যাপক পদে কর্মরত থাকাকালীন তিনি জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ এর গ্রেড-১ অনুযায়ী বেতন-ভাতাদি ও অন্যান্য সুবিধা প্রাপ্য হবেন; তিনি স্বীয় পদে অধিষ্ঠিত থাকাকালীন অন্য কোনো বেতনভুক্ত চাকরি করতে পারবেন না।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
একটি ষড়যন্ত্রে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে : আইনমন্ত্রী
ঢাকা, ১৬ ভাদ্র (৩১ আগস্ট) :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ১৯৭৫ সালের একটি ষড়যন্ত্রে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। এই ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভুলুণ্ঠিত করা হয়েছিল। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎকে বদলে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। খুনিদের পুরস্কৃত করা হয়েছিল। আইনের শাসনকে ধ্বংস করা হয়েছিল। জিয়াউর রহমান ও এরশাদ ২১ বছর এদেশকে অন্ধকারে রেখেছিল।
আজ রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ মুসলিম নিকাহ রেজিস্ট্রার সমিতি এ সভার আয়োজন করে।
আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কখনও ক্ষমতার লোভে রাজনীতি করেননি। তিনি মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিয়ে দলকে সংগঠিত করেছিলেন। দেশের আনাচে-কানাচে গিয়ে দেশের মানুষকে তাদের অধিকার ও স্বাধিকার সম্পর্কে সচেতন করেছেন এবং জনগণকে সংগঠিত করে দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন।
আনিসুল হক বলেন, ১৯৭২ সালে দেশে ফিরেই বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করেন এবং তা দ্রুত গতিতে বাস্তবায়ন করতে থাকেন। কিন্তু দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে এদেশের বিশ্বাস ঘাতক দল তাঁকে সপরিবারে হত্যা করে। তারা বুঝতে পেরেছিল যে, বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু অবিচ্ছেদ্য। এটাকে ভাগ করতে হলে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে হবে। কিন্তু বাংলার মানুষ বঙ্গবন্ধুকে ভুলেনি। তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার দায়িত্ব দিয়েছে। শেখ হাসিনা ২০১২ সালে কথা দিয়েছিলেন দেশীয় অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করবেন, সেটা করে দিয়েছেন। কথা দিয়েছিলেন ২০২১ সালে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করবেন, তাও করেছেন। তিনি ২০৪১ সালে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাও নির্মাণ করে দিবেন।
সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে আনিসুল হক বলেন, ষড়যন্ত্র কিন্তু এখনো থেমে নেই। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড মেরে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। কোনো সভ্য দেশে কোনো সরকারের অধীনে এত বড় ঘৃণ্য বর্বরোচিত কাজ হতে পারে না, যেটা বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে হয়েছে। শুধু তাই নয় এ পর্যন্ত ১৯ বার তাঁকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ মুসলিম নিকাহ রেজিস্ট্রার সমিতির সভাপতি কাজী মোঃ খলিলুর রহমান সরদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মোঃ গোলাম সারওয়ার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হুমায়ুন কবির, নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শহিদুল আলম ঝিনুকসহ সমিতির নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠান শেষে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে নৃশংস হত্যাকণ্ডের শিকার বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর সাথে কাতারের ডেপুটি হেড অভ্ মিশনের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ১৬ ভাদ্র (৩১ আগস্ট) :
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সাথে আজ বাংলাদেশ সচিবালয়স্থ দপ্তরে বাংলাদেশে কাতার দূতাবাসের ডেপুটি হেড অভ্ মিশন ঝধববফ ঔধৎধষষধ ঝ ঝ অষ-ঝধসরশয সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে তারা দু’দেশের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় ছাড়াও ২০২৬ সালে আইটিইউ’র প্লেনিপটেনসিয়ারি কনফারেন্স -২৬ (চচ-২৬) এর নির্বাচন ও ভেন্যু নিয়ে আলোকপাত করেন। উল্লেখ্য এ বছর সেপ্টেম্বরে রুমানিয়ার বুখারেস্টে অনুষ্ঠিতব্য প্লেনিপটেনসিয়ারি কনফারেন্স-২২ এ সদস্য আইটিইউ সসদ্য দেশসমূহের ভোটের ভিত্তিতে প্লেনিপটেনসিয়ারি কনফারেন্স-২৬ এর ভেন্যু নির্ধারিত হবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বাংলাদেশ ও কাতার ভ্রাতৃপ্রতিম দু’টি দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক দু’দেশের
আর্থসামাজিক উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালে আইটিইউ’র সদস্য পদ অর্জন করে। কাতারও একই বছর আইটিইউ’র সদস্যপদ অর্জন করে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তিখাতসহ দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বে বাংলাদেশ অগ্রগতিতে বিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ডিজিটাল প্রযুক্তিখাতের অগ্রগতির অভিজ্ঞতা এবং এখাতের দক্ষ মানব সম্পদ কাতারের কাজে লাগানোর সুযোগ রয়েছে।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তিখাতসহ বিভিন্ন খাতে সরকারের বিনিয়োগবান্ধব নীতির ফলে দেশে ডিজিটাল যন্ত্র উৎপাদনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। সরকারের বিনিয়োগবান্ধব এই নীতি কাতার কাজে লাগাতে পারে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি আসন্ন ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপের মতো একটি বড় ইভেন্ট আয়োজন করার জন্য কাতারের ভূমিকার প্রশংসা করেন। ডেপুটি হেড অভ্ মিশন কম্পিউটারে বাংলা ভাষা প্রণয়নের জন্য মন্ত্রীকে অভিনন্দিত করেন এবং কাতার বিশ্বকাপে যোগদানের আমন্ত্রণ জানান। সৈয়দ যারাল্লা এস এস আল-সামিক বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগখাতসহ বাংলাদেশের সার্বিক অগ্রগতির প্রশংসা করেন। তিনি আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যকার বিদ্যমান সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দিতে হবে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
ঢাকা, ১৬ ভাদ্র (৩১ আগস্ট) :
দেশকে অস্থিতিশীল করার সব ধরনের ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
আজ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস ২০২২ উপলক্ষ্যে খুলনা জেলা সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকা আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
মন্ত্রী বলেন, আবার দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। একটি দুর্নীতিবাজ, স্বাধীনতাবিরোধী ও সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েমের চেষ্টা চলছে। একবার আল জাজিরা কাহিনী শুরু করা হয়েছিল। এখন আবার আয়না ঘর দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতীক হিসেবে যাদের গণ্য করা হয় সে সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এ সময় ঐক্যবদ্ধভাবে শেখ হাসিনাকে সব ষড়যন্ত্র থেকে মুক্ত রাখতে হবে বলে জানান তিনি ।
বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর সাংগঠনিকভাবে যে ভূমিকা রাখার কথা ছিল সে ভূমিকা আমরা রাখতে পারিনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বেঁচে না থাকলে আওয়ামী লীগ আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারত না, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হতো না, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দাম্ভিকতা চূর্ণ হতো না, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারসহ বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের বিচার হতো না, লাল-সবুজের পতাকাকে শ্রদ্ধা জানানো হতো না, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান ফিরিয়ে আনা হতো না। শেখ হাসিনা ফিরে না আসলে বাংলাদেশ নাম থাকলেও এ দেশ পূর্ব পাকিস্তানের চেয়ে কট্টর সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হওয়ার শঙ্কা ছিল।
মন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার ঘটনা ছিল পরিকল্পিত একটি হত্যাকাণ্ড। বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িতদের আমরা বিচারের মুখোমুখি করতে পারিনি। বঙ্গবন্ধু হত্যার ঘটনা জানার পর যারা প্রতিরোধের দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা অথবা রাজনৈতিক নেতৃত্ব তারা দায়িত্ব পালন করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু হত্যার যে খণ্ডিত বিচার হয়েছে, এ খণ্ডিত বিচার থেকে আত্মতুষ্টির কারণ নেই।
খুলনা জেলা সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকা’র সাধারণ সম্পাদক সাজু রহমানের সঞ্চালনায় ও সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাবের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য প্রদান করেন নিউজ টুয়েন্টিফোর টেলিভিশনের নির্বাহী সম্পাদক ও খুলনা বিভাগীয় সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি রাহুল রাহা, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিব, বৃহত্তর খুলনা সমিতির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শুক্কুর আলী শুভ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ জামাল, সাবেক সহসভাপতি আজমল হক হেলাল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক জিহাদুর রহমান জিহাদ প্রমুখ।
চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের ঝুঁকি মোকাবিলায় দক্ষ জনশক্তি তৈরি অপরিহার্য : শ্রম প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৬ ভাদ্র (৩১ আগস্ট) :
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের ঝুঁকি মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে হবে। প্রযুক্তিনির্ভর প্রতিযোগিতায় যারা পিছিয়ে পড়বে তারা সব জায়গা থেকে বাদ পড়ে যাবে। এখন কোয়ালিটির যুগ, এজন্য কোয়ালিটিসম্পন্ন দক্ষ জনশক্তি তৈরি অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
আজ রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রম ভবনের সম্মেলন কক্ষে ব্লেন্ডেড শিক্ষা ও দক্ষতা বিষয়ক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন বিষয়ে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, চাহিদামতো দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে পারলে ২০৪১ সাল পর্যন্ত যেতে হবে না, তার আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গঠন সম্ভব হবে। এজন্যই এই কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই এই কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে।
মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, সারা দেশে একশ’টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। এসকল অর্থনৈতিক অঞ্চলে কোটির বেশি দক্ষ জনশক্তির প্রয়োজন হবে। দক্ষ জনশক্তি এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরিতে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কর্মসংস্থান অধিদপ্তর গঠন করছে। কর্মসংস্থানের জন্য বাংলাদেশ থেকে লোকজন দেশের বাইরে যায়। সামনে দিন আসছে, উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশে বাইরের দেশ থেকে লোকজন বাংলাদেশে আসবে।
প্রতিমন্ত্রী ব্লেন্ডেড শিক্ষা ও দক্ষতা বিষয়ক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহযোগী দেশ, সংস্থা, শ্রমিক সংগঠনসহ অংশীজনদের সহযোগিতা কামনা করেন।
মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ এহছানে এলাহীর সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. সেলিনা আকতার ও জেবুন্নেছা করিম, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মোঃ নাসির উদ্দীন আহমেদ, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী, কেন্দ্রীয় তহবিলের মহাপরিচালক ড. মোল্লা জালাল উদ্দীন, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম, শ্রম মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিবগণ, শিক্ষা, এটুআই আইসিটি বিভাগ, আইএলও’র প্রতিনিধি, শ্রম মন্ত্রণালয়, শ্রম অধিদপ্তর এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন।
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংস্কৃতি বিকাশে সরকার সহায়তা দিচ্ছে : খাদ্যমন্ত্রী
নিয়ামতপুর, ১৬ ভাদ্র (৩১ আগস্ট) :
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নতুন প্রজন্মকে শিক্ষিত ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে সরকার কাজ করছে। পাশাপাশি তাদের নিজস্ব সংস্কৃতির বিকাশেও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেছেন খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার।
আজ নিয়ামতপুরের শিবপুরে ত্রিশুল কার্যালয়ে ‘ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃ-গোষ্ঠীর সংস্কৃতি বিকাশ ও জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভায়’ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, নানা উৎসব আর আন্দোলন নেতৃত্ব দান ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ঐতিহ্য। সেই নৃ- গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য দেশ ও দেশের বাইরের মানুষের কাছে তুলে ধরতেই ত্রিশূলের যাত্রা। ত্রিশূল সে কাজটি ভালোভাবেই করছে। তিনি বলেন, তারা সমাজের মূল স্রোত থেকে কিছুটা পিছিয়ে আছে এটা সত্য, তবে নতুন প্রজন্মের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা এখন এগিয়ে আসছে। এ সময় তিনি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নতুন প্রজন্মকে শিক্ষিত হয়ে সমাজে নেতৃত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান।
ত্রিশলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক উপকমিটির সদস্য প্রকৌশলী তৃণা মজুমদারের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নওগাঁর জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদি হাসান,পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক। এছাড়া রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জয়া মারিয়া পেরেরা, নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফরিদ আহম্মদ, পোরশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মঞ্জুর মোর্শেদ, সাপাহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সাহজাহান চৌধুরী, নিয়ামতপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফারুক সুফিয়ান এবং আওয়ামী লীগ নেত্রী ইসরাত জেরিন মিনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংস্কৃতির বিকাশের লক্ষ্যে ‘সোপার্জিত কৃষ্টির নীত’-স্লোগানে ২০১৯ সালে নিয়ামতপুর এলাকার ৩০ জন সাঁওতাল শিল্পী নিয়ে ‘ত্রিশূল’ নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন প্রকৌশলী ও নৃত্যশিল্পী তৃণা মজুমদার। প্রতিষ্ঠার পর থেকে নওগাঁর বিভিন্ন অঞ্চলে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী গ্রামে বেশ কিছু সাংস্কৃতিক দল গড়ে তুলেছে ‘ত্রিশূল’। ত্রিশূলের কর্মীদের মধ্যে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাঁওতাল ও উড়াও সম্প্রদায়ের মানুষের সংখ্যাই বেশি। স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ত্রিশূলের কর্মীরা তাদের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি তুলে ধরছেন।
সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি আর্তমানবতার কাজে ত্রিশূলের কর্মীরা নিয়োজিত। করোনা মোকাবিলার জন্য ত্রিশূলের কর্মীরা নিজ হাতে সেলাই করে এ পর্যন্ত ৩০ হাজার মাস্ক বিতরণ করেছেন। এছাড়া সংগঠনের পক্ষ থেকে অসহায় ও দরিদ্র মানুষের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ ও গাছের চারা বিতরণ করেছেন তারা।
সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ঝুঁকিপুর্ন বাঁধের কাজ করতে হবে : জাহিদ ফারুক
ঢাকা, ১৬ ভাদ্র (৩১ আগস্ট) :
পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, সামনে বন্যার আশংকা রয়েছে। তাই মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শন বাড়িয়ে ঝুঁকিপুর্ন স্থান চিহ্নিত করতে হবে। সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ঝুঁকিপুর্ন বাঁধের কাজ করতে হবে। নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়নের নির্দেশসহ ব্যর্থতার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। স্থানীয় প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের যৌথভাবে কাজ করারও নির্দেশনা দিয়েছেন মন্ত্রী।
আজ পানি ভবনের সম্মেলন কক্ষে ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাস্তবায়নাধীন এডিপিভুক্ত প্রকল্পসমূহের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার বন্যা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে মানুষের দুর্ভোগ ও ক্ষয়ক্ষতি যথাসম্ভব কমিয়ে আনার ব্যাপারে সচেতন ভূমিকা রাখছে। তাছাড়া বন্যা-পরবর্তী সময়ে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের স্বাস্থ্যসেবা জোরদার করাও জরুরি। মনে রাখতে হবে, বন্যার ক্ষয়ক্ষতি লাঘবে আগাম প্রস্তুতি একটি কার্যকর উপায়।
সভায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পর্যালোচনা সভায় ৮টি প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার, অতিরিক্ত সচিব মিজানুর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহপরিচালক ফজলুর রশিদ, অতিরিক্ত মহাপরিচালকবৃন্দ, প্রধান প্রকৌশলীবৃন্দ এবং মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর মাধ্যমে আরো টেকসই হচ্ছে দেশের বস্ত্রখাত : বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী
ঢাকা, ১৬ ভাদ্র (৩১ আগস্ট) :
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক বলেছেন, দেশ ও বিদেশে আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ ও বিভিন্ন অংশীজনদের পারস্পারিক সহযোগিতার মাধ্যমে আরো টেকসই হচ্ছে দেশের বস্ত্রখাত।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে CEMS Global Bangladesh কর্তৃক আয়োজিত ‘21st Textech Bangladesh International Expo’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ- এর প্রেসিডেন্ট ফারুখ হাসান, বিকেএমইএ- এর প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতিমসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশের বস্ত্রখাতকে যুগোপযোগী ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা সক্ষম তৈরি করতে নানামুখী নীতিমালা ও পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বস্ত্রখাতে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত বিশেষ প্রণোদনার কারণে এ খাত জাতীয় রপ্তানির ধারাকে করোনা ভাইরাসের ক্ষতিকর প্রভাবমুক্ত রাখতে সক্ষম হয়েছে। বস্ত্রশিল্পের ধারাবাহিক উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের গতি বেগবান করা এবং অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বর্তমান সরকার নানামুখী পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছে।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার পোশাকখাতে ব্যবসাবান্ধব নীতিমালা প্রণয়ন করে বেসরকারি খাতকে ব্যবসা পরিচালনায় উৎসাহিত করছে। এ খাতের ব্যবসাকে সহজতর করার জন্য নীতি সহায়তা প্রদান, অবকাঠামো সুবিধা বৃদ্ধিসহ সকল ক্ষেত্রে দৃঢ় সহায়তার ভূমিকা পালন করছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি, পোর্টের সুবিধা বাড়ানো, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন করা, চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া দ্রুত ও পরিকল্পিত শিল্পায়ন ও উন্নয়নের জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের কারিগরদের খুঁজে বের করতে কমিশন গঠন করা হচ্ছে : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৬ ভাদ্র (৩১ আগস্ট) :
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, কথিত আছে যে রাজধানী ঢাকার চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানকে সমাহিত করা হয়েছে। কিন্তু তার মৃতদেহ কেউ দেখেনি। সেখানে জিয়া নাকি অন্য কাউকে সমাহিত করা হয়েছে এ নিয়ে সবার মাঝে সংশয় রয়েছে। এ বিষয়ে বিজ্ঞানভিত্তিক তদন্ত হওয়া জরুরি।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর নলিনীকান্ত ভট্টশালী প্রদর্শনী গ্যালারিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে স্বেচ্ছায় রক্তদান এবং বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ ও ডায়াবেটিক পরীক্ষা কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পর্ষদ এর সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবুল মনসুর ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর মহাপরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র তত্ত্বাবধানে জিয়াউর রহমানের প্রত্যক্ষ ষড়যন্ত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু জানতে পেরেছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে কিন্তু তিনি স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি কোনো বাঙালি তাঁকে হত্যা করতে পারে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে যারা ছিল তাদের খুঁজে বের করতে কমিশন গঠন করা হচ্ছে। যারা বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যে ছিল বা এর ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছিল তাদের মুখোশ জাতির সামনে উন্মোচিত হবে।
বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী মেক্সিকান স্প্যানিশ ভাষায় মোড়ক উন্মোচন
মেক্সিকো সিটি, ৩১ আগস্ট :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী পালনের অংশ হিসেবে মেক্সিকো সিটিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস গতকাল মেক্সিকো সংসদ ভবনের নিম্নকক্ষে মেক্সিকো-বাংলাদেশ সংসদীয় ফ্রেন্ডশিপ দলের উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুর “অসমাপ্ত আত্মজীবনী” বইটির ল্যাটিন আমেরিকান সংস্করণ উন্মোচন করে।
অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে প্রেরিত এক ভিডিও বার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বঙ্গবন্ধু এবং মেক্সিকোর জনক মিগেল হিদালগো ই কোস্টিয়ার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন,
এ প্রকাশনা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস এবং বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন ‘সোনার বাংলা’ সম্পর্কে লাতিন আমেরিকার পাঠকদের জ্ঞানকে আরো সমৃদ্ধ করবে, যা সমগ্র জাতিকে শোষণমুক্ত, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও ন্যায়সঙ্গত সমাজ গঠনে অনুপ্রাণিত করেছিল।
রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম তার বক্তব্যে জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং সার্বভৌম ও স্বাধীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে তাঁর অপরিসীম অবদানের কথা তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য মেক্সিকো-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, মেক্সিকোর পাঠকেরা বাঙালির মুক্তির সংগ্রামের সাথে তাদের সংগ্রামের সাদৃশ্য খুজে পাবেন, যা বন্ধুপ্রতীম দুইটি দেশের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।
ঐতিহাসিক এ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পেরে দূতাবাসের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ফেডারেল ডেপুটি হোসে মিগেল ডে লা ক্রুজ তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, এ ধরনের অনুষ্ঠান বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর মধ্যে সংহতি আরো বাড়িয়ে তুলতে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে। তিনি অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রশংসা করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে, বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটির ল্যাটিন আমেরিকান সংস্করণের মাধ্যমে মেক্সিকোর তরুণ রাজনীতিবিদরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে আরো জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হবেন।
মেক্সিকোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া-প্যাসিফিক বিভাগের মহাপরিচালক ফার্নান্দো গঞ্জালেস সাইফে বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনীর মেক্সিকান স্প্যানিশ সংস্করণ প্রকাশের জন্য দূতাবাসের উদ্যোগের প্রশংসা করেন। এই ধরনের উদ্যোগ বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে নতুন গতির সঞ্চার করবে বলে মত প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেক্সিকো বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী দলের সভাপতি এবং মেক্সিকোর সংসদের নিম্নকক্ষের ফেডারেল ডেপুটি রোজালিন্ডা ডোমিঙ্গেজ ফ্লোরেস। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফেডারেল ডেপুটি হোসে মিগেল ডে লা ক্রুজ, মেক্সিকোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ফার্নান্দো গঞ্জালেস সাইফে, মেক্সিকো বাংলাদেশ সংসদীয় ফ্রেন্ডশিপ দলের অন্যান্য সদস্য, বুদ্ধিজীবী, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং দুতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের শেষ দিকে সম্মানিত অতিথি এবং অন্যান্য অতিথিবৃন্দ বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন। অনুষ্ঠান শেষে আমন্ত্রিতদের মধ্যে ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র ল্যাটিন আমেরিকান সংস্করণ, বাংলাদেশের হস্তশিল্প এবং ঐতিহ্যবাহী খাবার সংবলিত ব্যাগ উপহার দেয়া হয়।