৪ জুন এক নজরে বাংলাদেশ
গাজীপুরে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করলেন সমাজকল্যাণ সচিব
টঙ্গী (গাজীপুর), ২১ জ্যৈষ্ঠ (৪ জুন) :
আজ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুর জেলায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছেন।
পরিদর্শনকালে সচিব গাজীপুরের টঙ্গীতে মৈত্রী শিল্প মিলনায়তনে শারীরিক প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
শারীরিক প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ সেলিম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে গাজীপুর সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক এস এম আনোয়ারুল করিমসহ অন্যান্য কর্মকর্তা বক্তব্য রাখেন।
এর আগে সমাজকল্যাণ সচিব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম মৈত্রী শিল্পের মুক্তা পানি উৎপাদন প্ল্যান্ট পরিদর্শন করেন। এছাড়া সচিব গাজীপুরের কাশিমপুরে সরকারি আশ্রয় কেন্দ্র, কোনাবাড়ী শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র (বালিকা) ও টঙ্গীতে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র (বালক) পরিদর্শন করেন।
নবনির্মিত পদ্মা বহুমুখী সেতু দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের সার্বিক জীবনমানের উন্নয়ন ঘটাবে : আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্
আগৈলঝাড়া (বরিশাল), ২১ জ্যৈষ্ঠ (৪ জুন) :
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নবনির্মিত ‘পদ্মা বহুমুখী সেতু’ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের সার্বিক জীবনমানের উন্নয়ন ঘটাবে। এতে সারা দেশের সাথে এ অঞ্চলের সুষ্ঠু ও সমম্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ আজ বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার সেরালে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেন, রূপকল্প ২০২১ এর সফল বাস্তবায়ন শেষে রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়িত হচ্ছে। তিনি বলেন, ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে রূপান্তরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদেরকে সরকারের সহায়ক ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি নিরাপদ, সুখী, সুন্দর ও উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হবে। তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদেরকে ভোগে নয়, ত্যাগের মনোভাব নিয়ে বরিশালবাসীর সার্বিক জীবনমান উন্নয়নে কাজ করার আহ্বান জানান।
দেশীয় মাছ সংরক্ষণে সুদূরপ্রসারী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
পিরোজপুর, ২১ জ্যৈষ্ঠ (৪ জুন) :
দেশীয় মাছ সংরক্ষণে সরকার সুদূরপ্রসারী উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
আজ পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে মৎস্য অধিদপ্তর বাস্তবায়নাধীন দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বুদ্ধকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান। নাজিরপুর উপজেলা প্রশাসন ও সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় এ সভা আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, সরকার দেশের মৎস্য খাতের উন্নয়নে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা বিবেচনায় নিয়ে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রাকৃতিক জলাশয়ে এখন অনেক দেশি মাছ পাওয়া যায়, যেটা কয়েক বছর পূর্বেও পাওয়া যেত না। মাছ-মাংস দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানির সুযোগ আছে। এজন্য দেশে এগুলোর পর্যাপ্ত উৎপাদন করতে হবে। এ কাজে মৎস্যজীবীসহ সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, সরকার দেশীয় মাছ সংরক্ষণ করতে চায়। দেশীয় মাছ যাতে টিকে থাকে এবং সেটা পর্যাপ্ত পরিমাণে মানুষ খেতে পারে সে জন্য সরকার কাজ করছে। মৎস্যজীবীদের এক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে। যে মৌসুমে মাছ ডিম দেয় সে মৌসুমে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে হবে। মাছের পোনা কোনভাবেই আহরণ করা যাবে না। পোনা মাছ বড় হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। তাহলে মৎস্যজীবীরা যেমন লাভবান হবে তেমনি দেশীয় মাছও টিকে থাকবে। এক্ষেত্রে মৎস্যজীবীদের আরো যত্নশীল হতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকাকালে মৎস্যজীবীরা যাতে বেকার থাকতে না হয় সেজন্য সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। কোথাও ভিজিএফ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে, কোথাও বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য ভ্যান বিতরণ করা হচ্ছে, কোথাও গবাদিপশু বিতরণ করা হচ্ছে যাতে এসময় বিকল্প কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা যায়। তিনি আরো বলেন, দেশের সব খাতে উন্নয়ন করে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার সাথে থাকতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই। কারো ভুল পরামর্শে বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না।
নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য দপ্তরের উপপরিচালক আনিছুর রহমান তালুকদার ও নাজিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অমূল্য রঞ্জন হালদার। মৎস্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের পরিচালক এস এম আশিকুর রহমানসহ স্থানীয় সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পরে মৎস্য অধিদপ্তর বাস্তবায়নাধীন ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় জেলেদের বিকল্প
জাতীয় চা দিবসের অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী
দেশের চাহিদা মিটিয়ে চা রপ্তানির পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে
ঢাকা, ২১ জ্যৈষ্ঠ (৪ জুন) :
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দেশের চাহিদা মিটিয়ে চা বিদেশে রপ্তানির পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশের চা এর মান উন্নত হবার কারণে বিশ্ববাজারে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। দেশে চা এর উৎপাদন বাড়ছে, একই সাথে অভ্যন্তরীন চাহিদা বাড়ছে। সেজন্য প্রত্যাশা মতো চা রপ্তানি করা সম্ভব হচ্ছে না। ২০০৯ সালে দেশে চা উৎপাদন হতো ৬০ মিলিয়ন কেজি, ২০২১ সালে বেড়ে উৎপাদিত হয়েছে ৯৬ দশমিক ৫১ মিলিয়ন কেজি। তারপরও তেমন রপ্তানি করা সম্ভব হচ্ছে না। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরামর্শে দেশের উত্তরাঞ্চলে চা উৎপাদন শুরু হয়। ২০২১ সালে সেখানে ১৪ দশমিক ৫৫ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে। উত্তরাঞ্চলের পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম জেলায় এখন চা উৎপাদন হচ্ছে, এ অঞ্চলের মানুষ চা উৎপাদনে মনোযোগী হয়েছেন। সেখানে অনেক পতিত জমিতে চা উৎপাদন করা হচ্ছে। আজ দেশের উত্তরাঞ্চলে চা উৎপাদন না হলে বিদেশ থেকে চা আমদানি করতে হতো। চা এর উৎপাদন আমাদের আরও বাড়াতে হবে। এজন্য সরকার প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করছে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় ওসমানী মিলনায়তনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ টি বোর্ডের উদ্যোগে “২য় জাতীয় চা দিবস-২০২২” উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। এবারের জাতীয় চা দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে “চা দিবসের সংকল্প, সমৃদ্ধ চা শিল্প”।
মন্ত্রী বলেন, চা এর নতুন জাত উদ্ভাবন, উৎপাদন বৃদ্ধি, নিলাম, বাজারজাতকরণসহ প্রয়োজনীয় সকল ক্ষেত্রে সরকার সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। দেশের মানুষ অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হয়েছেন, ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে, ফলে দিন দিন চা এর চাহিদা বাড়ছে। চা শিল্পের সাথে জড়িত মানুষের জীবনযাত্রায়ও পরিবর্তন এসেছে। চা এর উৎপাদন বাড়াতে এবং রপ্তানি বৃদ্ধি করতে চা শিল্পের সাথে জড়িত সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী বলেন, চা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী ফসল। একসময় রপ্তানি ক্ষেত্রে আমাদের চা ছিল দ্বিতীয় স্থানে। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পরাজিত শক্তি চা শিল্পের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চা শিল্পকে নতুন করে গড়ে তোলার জন্য ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছিলেন। তারই ফলে আমাদের চা শিল্প আজ এ অবস্থানে এসেছে। চা শিল্পের রিটার্ন খুব তাড়াতাড়ি পাওয়া যায় না। একটি চা বাগান থেকে চা পাতা আহরণে সময় লাগে ৪ থেকে ৫ বছর। চা শিল্প থেকে উৎপাদন পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। এজন্য চা শিল্পের উন্নয়নের জন্য দীর্ঘমেয়াদের আর্থিক সহায়তা দরকার।
উল্লেখ্য, এবছর দেশে দ্বিতীয়বারের মতো জাতীয় চা দিবস উদযাপিত হচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালের ৪ জুন থেকে ১৯৫৮ সালের ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর জন্মশতবার্ষিকীতে চা শিল্পে অসামান্য অবদান এবং চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদানের তারিখকে স্মরণীয় করে রাখতে ৪ জুন জাতীয় চা দিবস পালন করা হচ্ছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন, টি ট্রেডার্স এসোসিয়েশন অভ্ বাংলাদেশের সভাপতি ওমর হান্নান, বাংলাদেশীয় চা সংসদের সভাপতি এম শাহ আলম এবং অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম।
শেখ হাসিনার সরকার ইসলামের জন্য যা করেছে অতীতের কোনো সরকার তা করেনি : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
চট্টগ্রাম, ২১ জ্যৈষ্ঠ (৪ জুন) :
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ইসলাম ও আলেম-ওলামাদের জন্য যা করেছে, অতীতের কোনো সরকার তা করেনি।
মন্ত্রী বলেন, আলেম ওলামাদের শত বছরের পুরনো দাবি ছিল বাংলাদেশে একটি স্বতন্ত্র ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা। ব্রিটিশ শাসন ভেঙে পাকিস্তান হলো, এরপর বাংলাদেশ হলো, কিন্তু ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় আর প্রতিষ্ঠা হয়নি। জামায়াত ইসলামীকে সাথে নিয়ে বিএনপি সরকার গঠন করলো, এরশাদ সাহেব মাওলানা মান্নানকে ধর্মমন্ত্রী বানালেন কিন্তু ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় হয়নি। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকারই ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করলো।
আজ চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা অডিটোরিয়ামে বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষক ও আলেমদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি লোকমানুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে ও ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জসিম উদ্দিন তালুকদারের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন রাঙ্গুনিয়ার বেতাগী দরবার-এ-আস্তানা শরীফের পীর গোলামুর রহমান আশরাফ শাহ, মেহেরিয়া মাদরাসার পরিচালক মাওলানা আনাস মাদানী।
ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতির দাবি বহু বছরের পুরনো। বেগম খালেদা জিয়া কিংবা বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখনো এই দাবি ছিল। উনি আলেম-ওলামাদের নিয়ে ভাত খাওয়াতেন, কিন্তু দাবি পূরণ করেননি। আমাদের রাঙ্গুনিয়ার কৃতি সন্তান মাওলানা আহমদ শফী সাহেব আলেম-ওলামাদের নিয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করলেন যেনো কওমি মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতি দেন।
মন্ত্রী বলেন, অনেকে ভেবেছেন আমাদের নেত্রী আশ্বাস দিয়েছেন কিন্তু বাস্তবায়ন হবে না। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনা কওমি সনদের স্বীকৃতি দিয়েছেন। স্বীকৃতি দেওয়ার পর অনেকে বলেছেন স্বীকৃতি দিয়েছেন কিন্তু চাকুরী হবে না, চাকুরী পেলে বেতন পাবেন না। কিন্তু আমাদের নেত্রী শুধু কওমি সনদের স্বীকৃতি দেননি, তাদের চাকুরীও দিয়েছেন, তারা এখন সরকারি বেতন পাচ্ছেন। এটি কল্পনার বাইরে ছিলো।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘আজকে সারা দেশে এক লাখ মসজিদভিত্তিক মক্তব করা হয়েছে, রাঙ্গুনিয়াতেও দুই শতাধিক মসজিদভিত্তিক মক্তব প্রতিষ্ঠা হয়েছে। প্রতিটি মক্তবের আলেম ৫২শ’ টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন। এটি আলেম সমাজ কখনো ভাবেনি। দারুল আরকাম এবতেদায়ি মাদ্রাসার প্রতিটিতে দু’জন করে শিক্ষক ১২ হাজার টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন। এখন হজে যাবার সময় ঢাকায় ইমিগ্রেশন হয়ে যাচ্ছে। সৌদি আরব গিয়ে আগের মতো ঘণ্টার পর ঘণ্টা থাকতে হচ্ছে না।’
আলেমদের উদ্দেশ্যে ড. হাছান বলেন, শেখ হাসিনার সরকার প্রতিটি জেলা-উপজেলায় ৫৬০টি মডেল মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেছেন, যা কেউ কখনো ভাবেনি। ব্রিটিশ আমলে দেশ বিভক্ত হয়েছিল মুসলমানদের জন্য একটি দেশ, হিন্দুদের জন্য আরেকটি দেশ। সেই পাকিস্তান আমলেও জেলা-উপজেলায় সরকারিভাবে কোন মসজিদ হয়নি।
‘জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকার ইসলামের জন্য এবং আলেম ওলামাদের জন্য যে কাজগুলো করেছে, আলেমরা অন্যদের কাছে তা দয়া করে বলবেন- এই ফরিয়াদ রইলো’ নিবেদন করে তথ্যমন্ত্রী নিজ নির্বাচনি এলাকা রাঙ্গুনিয়ায় ইসলামের খেদমতে কাজের বিবরণ দেন।
ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, আপনারা আমাকে এমপি নির্বাচিত করার পর সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি ইসলাম এবং আলেম-ওলামাদের খেদমত করার জন্য। আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশন ও আমাদের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বিশটিরও বেশি নতুন মসজিদ ভবন তৈরি করা হয়েছে। এভাবে প্রতিটি মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা ও হেফজখানায় সরকারি অনুদানের পাশাপাশি ব্যক্তিগত সহায়তাও পৌঁছানো হয়েছে।
মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, ইউএনও আতাউল গণি ওসমানি, পৌরসভার মেয়র শাহজাহান সিকদার, ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিছ আজগর, ইঞ্জি. শামসুল আলম তালুকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মাওলানা সৈয়দ আইয়ুব নুরী এবং রাঙ্গুনিয়ার নূরুল উলুম কামিল মাদ্রাসা, সরকারি কলেজ, আলমশাহপাড়া কামিল মাদ্রাসা, রাণীর হাট আল আমিন হামিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, খন্ডলিয়াপাড়া মাদ্রাসা ও কোদালা মাদ্রাসার শিক্ষকবৃন্দ।
দেশের মানুষ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ : পানি সম্পদ উপমন্ত্রী
শরীয়তপুর, ২১ জ্যৈষ্ঠ (৪ জুন) :
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সততায়, মেধায় ও দক্ষতায় সেরা। দেশের মানুষ একমাত্র বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।
আজ শরীয়তপুর সার্কিট হাউজে জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য মির্জা আজম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
উপমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু বাঙালি জাতির সাহসিকতার প্রতীক। বাঙালি জাতি কারো কাছে মাথা নত করেনি, করবেও না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু আমাদের মাথা উঁচু করে চলতে শিখিয়েছেন। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু বাস্তবায়ন করেছেন।
জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে’র সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু এবং আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ।
শিক্ষার্থীদের দেশের কল্যাণে কাজ করার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
নওগাঁ, ২১ জ্যৈষ্ঠ (৪ জুন) :
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, সাহস ও অনুপ্রেরণায় প্রকৃত মানুষ হয়ে শিক্ষার্থীদের দেশের কল্যাণে কাজ করতে হবে। জিপিএ ৫ পেয়ে পরবর্তীতে ধরে রাখতে হবে। পথভ্রষ্ট হলে জাতির প্রত্যাশা পূরণ হবে না। অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সন্তানরা যেন অসৎসঙ্গে জড়িয়ে না পড়ে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
মন্ত্রী আজ নওগাঁ কনভেনশন সেন্টারে ২০২১ সালে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, এখন ডিজিটাল বাংলাদেশে আমাদের বসবাস। ডিজিটাল প্রযুক্তির ভালো দিক গ্রহণ আর খারাপ বিষয়গুলো বর্জণ করতে হবে। জীবনকে গড়তে কাউকে মডেল হিসেবে নিতে হলে বঙ্গবন্ধুর চেয়ে বড় আদর্শ আর কেউ হতে পারে না। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম সম্পর্কে জানার আহবান জানান।
নওগাঁ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর সভাপতি মো. ইকবাল শাহরিয়ার রাসেল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. শহীদুজ্জামান সরকার ও সংসদ সদস্য মো: ছলিম উদ্দীন তরফদার।
করোনা মোকাবিলায় সফল বাংলাদেশ :খাদ্যমন্ত্রী
নওগাঁ, ২১ জ্যৈষ্ঠ (৪ জুন) :
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, করোনা মহামারি মোকাবিলায় সফল দেশের নাম বাংলাদেশ। প্রাণঘাতী এই ভাইরাস মোকাবিলায় বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম। তবে জনসংখ্যার বিবেচনায় অবস্থান আরো উপরে।
আজ নওগাঁ সদরে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে কোভিড-১৯ টিকার বুস্টার ডোজ ভ্যাকসিনেশন সপ্তাহ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস মহামারি থেকে মানুষের জীবন বাঁচাতে ও মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুরু থেকেই গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেন। একই সাথে দরিদ্র মানুষকে ত্রাণ প্রদানের পাশাপাশি জীবিকা ও অর্থনীতি বাঁচাতে নানা পদক্ষেপ নিয়ে বিশ্ব দরবারে প্রশংসিত হয়েছেন তিনি।
এসময় জেলা প্রশাসক মো. খালিদ মেহেদী হাসান, সিভিল সার্জন ডা. আবু হেনা মো. রায়হানুজ্জামান সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে এম মামুন খান চিশতি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জেলা সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুল খালেক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নিউইয়র্কে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী উদযাপিত
নিউইয়র্ক, ২১ জ্যৈষ্ঠ (৪ জুন) :
বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, নিউইয়র্ক-এ গতকাল বাংলা নববর্ষ ১৪২৯ উপলক্ষ্যে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানে কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, ইউনেস্কো পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রাকে ‘Intangible Cultural Heritage of Humanity’ এর অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ায় এটি বৈশ্বিক উৎসবে রূপ নিয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলাম-কে বাংলাদেশ তথা বিশ্ব সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ। কনসাল জেনারেল পহেলা বৈশাখের অন্তর্ণিহিত তাৎপর্য এবং রবীন্দ্র-নজরুলের চিন্তা চেতনা ও দর্শন বিশ্বশান্তি, সাম্য ও ঐক্য প্রতিষ্ঠায় অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।
জাতিসংঘে নিযুক্ত বালাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতেমা, ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্টদূত মোঃ শামীম আহসান, নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর জন ল্যু, নিউইয়র্কে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কনসাল জেনারেল ও কূটনীতিকবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ এবং নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।