বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন করলে দুই যুগেও কাজ শেষ হতো না
বাংলাদেশের ৫০ : সাফল্য সম্ভাবনা বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
ঢাকা, ২০ আষাঢ় (৪ জুলাই):
বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন করলে দুই যুগেও কাজ শেষ হতো না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।
আজ রাজধানীর বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ঝুমঝুমি প্রকাশন থেকে প্রকাশিত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন রচিত ‘বাংলাদেশের ৫০ : সাফল্য সম্ভাবনা’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু থেকে বিশ্ব ব্যাংক অর্থায়ন প্রত্যাহার করায় তারা কী শিক্ষা নিলো। প্রতিষ্ঠানটি অর্থায়ন না করায় আমাদের স্বপ্নের সেতু দ্রুত বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় মনোবলের কারণে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু যেমনি বিশ্বে আমাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে তেমনি নিরাপদও হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, বিশ্ব ব্যাংক যদি সেতুতে অর্থায়ন করতো তাহলে তাদের মন মতো কাজ করতে হতো। ডিজাইন পরিবর্তন, টেকনিক্যাল সমস্যা, এখানে এই সমস্যা সেখানে সেই সমস্যা বলে তাদের মতামত আমাদের ওপর চাপিয়ে দিত। না করলে কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য করত। এতে অনেক সময় অপচয় হতো।
মন্ত্রী বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রকল্পে যে সকল দেশ ও সংস্থা অর্থায়ন করে থাকে তাদেরকে আমরা দাতা দেশ বা দাতা সংস্থা বলে থাকি, এটি ঠিক নয়। এসব দেশ ও সংস্থা আমাদের লোন দেয়, দান করেন না। এটি লাভসহ ফেরতযোগ্য। তাই তারা দাতা নয় বরং উন্নয়ন সহযোগী। অথচ তাদেরকে আমরা ভুল করে করে দাতা বলি, যা উচিত নয়।
বাংলাদেশের ৫০: সাফল্য ও সম্ভাবনা’ বইয়ের লেখক হিসেবে অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আমাদের অনেক বড় বড় অর্জন রয়েছে। ২০২০ ও ২০২১ সালে আমাদের বড় ইভেন্ট হয়েছে। বাংলাদেশের ৫০ বছর ও মুজিব শতবর্ষ আমরা পালন করেছি। এগুলো নিবন্ধন আকারে যখন পত্রিকায় লিখেছি, তখন সেগুলো সংরক্ষণে বই আকারে সন্নিবেশিত করেছি।
ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের সাফল্য ও তার ধারাবাহিকতা নিয়ে পোপ ফ্রান্সিসসহ বিশ্ব নেতারা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। অর্থনৈতিক সাফল্য ও জলবায়ু পরিবর্তনে যে শক্তিশালী ভূমিকা সেটি নিয়েও তারা বিস্মিত হয়েছেন। আমি এগুলোকে স্থান দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এ সময় গ্রন্হের লেখক পররাষ্ট্র মন্ত্রী বইটির প্রকাশনা ও এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
প্রকাশনা অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ও পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য ড. দেলোয়ার হোসেন, এ বি ব্যাংক লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আফজাল, নায়েমের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. নিজামুল করিম এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক শাহেদুল খবির চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।
বিডার নেতৃত্বে সমন্বিত পরিদর্শন টিমের বাণিজ্যিক ভবনসমূহ পরিদর্শন শুরু
ঢাকা, ২০ আষাঢ় (৪ জুলাই) :
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকার বহুতল বাণিজ্যিক ভবনসমূহ (মার্কেট ভবন) পরিদর্শন শুরু করেছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিডার নেতৃত্বাধীন সমন্বিত পরিদর্শন টিম। এ পরিদর্শন কার্যক্রমে বিডাকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর।
আজ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অধীনে গুলশানে পিংক সিটি শপিং কমপ্লেক্স এবং দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় গাউছিয়া মার্কেটে সমন্বিত পরিদর্শন টিম-৬ এবং টিম-৯ এর পরিদর্শন শুরু করেছে। এই পরিদর্শন কার্যক্রম ৮২টি প্রশ্ন সংবলিত নতুন চেকলিস্টের মাধ্যমে সম্পাদন করা হচ্ছে।
সমন্বিত পরিদর্শন কার্যক্রম প্রাক্কালে টিমের সদস্যদের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মোঃ নাসির উদ্দিন আহমেদ দিকনির্দেশনা দেন।
মহাপরিদর্শক বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলোর কাঠামোগত, বৈদ্যুতিক ও অগ্নি নিরাপত্তাসহ অন্যান্য ত্রুটি-বিচ্যুতি চিহ্নিত করার লক্ষ্যে পরিদর্শকগণ বহুতল বাণিজ্যিক ভবন (মার্কেট ভবন) কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগী মনোভাব নিয়ে আন্তরিকতার সাথে পরিদর্শন করবেন। পরিদর্শন রিপোর্টে যেন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও মার্কেটসমূহের সঠিক চিত্র প্রতিফলিত হয় সেদিকে গুরুত্বারোপ করবেন। পরিদর্শন রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
প্রাথমিকভাবে ১ হাজার৭২টি ভবন পরিদর্শনের লক্ষ্যে ১১টি সমন্বিত পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ টিম গঠন করা হয়েছে। সমন্বিত টিমগুলোতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর, পরিবেশ অধিদপ্তর, গণপূর্ত অধিদপ্তর, স্থাপত্য অধিদপ্তর, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, বিস্ফোরক পরিদপ্তর, এফবিসিসিআই, ডেসকো, ডিপিডিসি, রাজউক, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সদস্যগণ কাজ করবেন।
দেশে বন্যা প্রতিরোধে খাল-বিল, নদী-নালা খনন করা হবে : পরিবেশমন্ত্রী
ঢাকা, ২০ আষাঢ় (৪ জুলাই) :
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বন্যা প্রতিরোধে দেশের খাল-বিল, নদীনালা, হাওড়-বাঁওড়, বিলসহ অন্যান্য জলাশয় খননে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। জলাশয়সমূহের পানি ধারণক্ষমতা বাড়াতে পারলে বন্যার তীব্রতা কমানো সম্ভব হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ কমাতে পরিবেশ সংরক্ষণকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করতে হবে। অবাধে বৃক্ষ নিধন, পাহাড় ও টিলা কর্তন বন্ধ করতে হবে।
আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে সিলেট বিভাগ সাংবাদিক সমিতি, ঢাকা আয়োজিত ‘সিলেট অঞ্চলে ঘন ঘন
বন্যা : কারণ, পুনর্বাসন ও স্থায়ী সমাধান’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সুরমা ও কুশিয়ারার নদীপথ পুনরায় চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, সরকারের বিশেষ উদ্যোগে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। যেকোনো দুর্যোগে অসহায় মানুষের সহযোগিতায় সমাজের সামর্থ্যবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
সিলেট বিভাগ সাংবাদিক সমিতি, ঢাকার সভাপতি আজিজুল পারভেজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এবং পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম।
বিশেষজ্ঞ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. এম ফিরোজ আহমেদ, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মতীন উদ্দীন আহমেদ, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল, রিভার এন্ড ডেলটা রিসার্চ সেন্টার-আরডিআরসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ এবং বাংলাদেশ পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি কামরুল ইসলাম চৌধুরী। ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক এহসানুল হক জসীম।
তাঁতিদের আর্থসামাজিক উন্নয়নের ঋণ বিতরণ কার্যক্রম চলমান রেখেছে সরকার : বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী
ঢাকা, ২০ আষাঢ় (৪ জুলাই) :
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক বলেছেন, জামদানি ও মসলিন শাড়ি বাংলাদেশের ঐতিহ্য, এতে বাঙালিত্ব প্রকাশ পায়। তাঁত শিল্পের উন্নয়ন ও তাঁতিদের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নের জন্য ঋণ বিতরণ কার্যক্রম চলমান রাখা হয়েছে।
ঢাকার গুলশানে তাঁতিদের সরাসরি অংশগ্রহণে জামদানী প্রদর্শনী কেন্দ্র ‘টানাপোড়ন’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে তারাব পৌরসভার মেয়র মিসেস হাছিনা গাজী, পিকেএসএফ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. নমিতা হালদার উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, একসময় এদেশের তৈরি ঢাকাই মসলিনের সারা বিশ্বে কদর ছিল। বিভিন্ন কারণে প্রায় ১৭০ বছর পূর্বে এই গৌরবময় ঢাকাই মসলিন হারিয়ে যায়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ঢাকাই মসলিন পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে ২০১৮ সালে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।
বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে নিয়ে মসলিন সুতা তৈরির তুলার জাত উদঘাটন এবং তুলা দিয়ে ৭০০-১০০০ কাউন্টের সুতা তৈরিসহ মসলিন শাড়ি তৈরির প্রযুক্তি উন্মোচন করেছে। দেশের সাধারণ তাঁতিদের মাঝে এই প্রযুক্তি ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে আমরা রূপগঞ্জের তারাবো পৌরসভায় ‘ঢাকাই মসলিন হাউজ’ স্থাপন করেছি। একটি মসলিন শাড়ি তৈরি করতে প্রথমে সুতা তৈরি করতে হয় এবং পরে বুনন কাজ চলে। একটি মাঝারি মানের মসলিন শাড়ি তৈরি করতে ৫-৬ মাস সময় লেগে যায়। ফলে শাড়ির দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যায়। আমরা চেষ্টা করছি, বাণিজ্যিক উৎপাদনের মাধ্যমে মসলিনের স্বকীয়তা ঠিক রেখে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসতে।
মন্ত্রী আরো বলেন, ২৫ জুন পদ্মা সেতু চালু হয়েছে। এই সেতু অর্থনীতিতে নতুন বিনিয়োগ বাড়াবে পাশাপাশি বাড়াবে দেশের প্রবৃদ্ধির হার। পদ্মা সেতুকে সামনে রেখে শিল্পায়নের মাধ্যমে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলায় নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে চায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায় ১২০ একর জমির উপর ‘শেখ হাসিনা তাঁত পল্লি’ স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। প্রকল্পটির আওতায় তাঁতিদের কাপড় বোনা থেকে শুরু করে সব ধরনের সুবিধা দেওয়া হবে। তাঁতিদের জন্য থাকবে আবাসিক ভবন, তাঁত শেড, ডরমেটরি, রেস্ট হাউজ, সাইবার ক্যাফে ও বিদ্যুতের উপকেন্দ্র। তাঁতপল্লিতেই সপ্তাহে দুই দিন তাঁতপণ্যের হাট বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। সে হাটে সুতাসহ সবধরনের কাঁচামাল বিক্রয় ও প্রদর্শন করা হবে। তাঁতের কাপড় বোনা থেকে শুরু করে পোশাক তৈরি ও বিক্রি পর্যন্ত সব ব্যবস্থাই করা হবে।
বিএনপির বক্তব্যে মনে হয় পদ্মা সেতু তাদের গলার কাঁটা : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ২০ আষাঢ় (৪ জুলাই) :
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘পদ্মা সেতু হওয়াতে সারা দেশের মানুষ যেখানে উল্লসিত, পুলকিত ও গর্বিত, সেখানে বিএনপির বক্তব্যে মনে হচ্ছে তারা ঠিক সমপরিমাণ লজ্জিত এবং পদ্মা সেতু বিএনপির গলার কাঁটা হয়ে গেছে।’
আজ সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতর সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিকরা বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর মন্তব্য ‘পদ্মা সেতু উদ্বোধনে পাঁচ-দশ হাজারের বেশি লোক হয়নি’ এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। তিনি আরো বলেন, ‘পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতায় শুধুমাত্র ৩ হাজার মানুষকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, সেখানে আর কারো যাওয়ার সুযোগ ছিল না এবং তাদের প্রত্যেককে করোনা টেস্ট করে সেখানে যেতে হয়েছে। আপনারা যারা সাংবাদিক, যারা অনুষ্ঠানটি কভার করেছেন তাদেরকেও তাই করতে হয়েছে। আর এ উপলক্ষ্যে যে জনসভা হয়েছে, সেখানে লাখ লাখ মানুষের সমাবেশ হয়েছে। সেদিন যদি পদ্মা সেতু দেখার সুযোগ দেয়া হতো, সেখানে কত মানুষ হতো সেটা আমি জানি না, তবে তাহলে মনে হয় দেশের সব মানুষ সেখানে চলে যেত।’
ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপির কিছু নেতার বক্তব্যে মনে হচ্ছে তাদের সত্যিই মানসিক চিকিৎসার প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে না হলে তারা এভাবে উদভ্রান্তের মতো কথা বলতো না, বিশেষ করে রিজভী আহমেদ। তিনি বেশ কিছু দিন অসুস্থ ছিলেন এবং আমার মনে হয় পুরোপুরি সুস্থ হননি বলেই অসুস্থ মানুষের মতো কথা বলছেন। তার আরো একটু চিকিৎসার দরকার আছে বলে মনে হচ্ছে।’
বেগম জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপি আদালত ঘেরাও কর্মসূচি দেবে -এ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আদালত ঘেরাওয়ের বক্তব্য সরাসরি আদালতের হুমকিস্বরূপ। আমি জানি না আদালত সেটিকে কীভাবে বিবেচনা করবেন, তবে এটি সরাসরি আদালতকে হুমকি দেয়ার শামিল।’
এর আগে তথ্য অধিদফতর এবং বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ প্রকাশিত ৬টি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন মন্ত্রী। তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মোঃ মকবুল হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং প্রধান তথ্য অফিসার মোঃ শাহেনুর মিয়া, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মোঃ নিজামূল কবীর এসময় বক্তব্য রাখেন।
মুজিববর্ষে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসগুলোর ক্রোড়পত্রে প্রকাশিত বঙ্গবন্ধুভিত্তিক প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও কবিতা নিয়ে তথ্য অধিদফতর প্রকাশিত সংকলন ‘মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধু’ গ্রন্থটিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বর্ণনা করে মন্ত্রী বলেন, মুজিব শতবর্ষ আবার আসবে না, দেড়শত বা দুইশতবর্ষ আসবে তখন আমরা অনেকেই বেঁচে থাকব না। আমরা ভাগ্যবান যে আমরা মুজিব শতবর্ষ উদযাপন করতে পেরেছি। এই প্রকাশনার মাধ্যমে মুজিববর্ষের অনেক বিষয় সংরক্ষিত থাকবে।
বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের বাৎসরিক গবেষণা প্রকল্পপ্রসূত অন্যতম সেরা পাঁচ গ্রন্থ ‘চলচ্চিত্র সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধার’, ‘স্টেট, আইডেনটিটি এন্ড ডায়াসপোরা ইন তানভীর মোকাম্মেলস ফিল্মস’, ‘প্রেক্ষাগৃহে ছবি দেখা: পাঁচ দশকের বিবর্তন’, ‘বিদেশি চলচ্চিত্রে- বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের উপস্থাপন’ ও ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলচ্চিত্র সমালোচনার স্বরূপ’ বইগুলো থেকে অনেক কিছু জানার আছে বলেন ড. হাছান মাহমুদ। তথ্যসচিব মোঃ মকবুল হোসেন বলেন, তথ্যবহুল ও গবেষণালব্ধ এই গ্রন্থগুলো শুধু তথ্য মন্ত্রণালয়কেই নয়, দেশের তথ্য ও চলচ্চিত্র অঙ্গনকেও সমৃদ্ধ করেছে। তিনি বইগুলো সকলকে পড়ে দেখার আহ্বান জানান।
বিআরটিসি বাসের ঈদ স্পেশাল সার্ভিস
ঢাকা, ২০ আষাঢ় (৪ জুলাই) :
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা-২০২২ উপলক্ষ্যে ঘরমুখো মানুষের সহজ ও আরামদায়ক যাত্রা নিশ্চিত করতে আজ হতে ‘ঈদ স্পেশাল সার্ভিস’ আয়োজন করছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্পোরেশন (বিআরটিসি)।
গত ১ জুলাই তারিখ হতে বিআরটিসি’র সংশ্লিষ্ট ডিপো হতে অগ্রিম টিকেট বিক্রয় শুরু হয় এবং আগামী ১২ জুলাই পর্যন্ত ঈদ সার্ভিসের বাস চলাচল করবে। ঢাকায় মতিঝিল, জোয়ারসাহারা, কল্যাণপুর, গাবতলী, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, যাত্রাবাড়ি, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ বাস ডিপো (চাষাড়া) হতে নিম্নবর্ণিত রুটসমূহের (ঢাকা হতে) অগ্রিম টিকেট বিক্রয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মতিঝিল বাস ডিপোর নিয়ন্ত্রণে–ঢাকা-খুলনা, দাউদকান্দি, দিনাজপুর, রংপুর ও নেত্রকোনা রুটে, কল্যাণপুর বাস ডিপোর নিয়ন্ত্রণে–রংপুর, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, নওগাঁ, নেত্রকোনা, রানিশংকৈল, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর রুটে, গাবতলী ডিপোর নিয়ন্ত্রণে–ঢাকা-আরিচা, রংপুর, দিনাজপুর, আরিচা ও পাটুরিয়া, যশোর রুটে, জোয়ারসাহারা বাস ডিপোর নিয়ন্ত্রণে–ঢাকা-পয়সারহাট, বিশ্বরোড-পাঁচদোনা, রংপুর, নওগাঁ, জয়পুরহাট, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ ও বগুড়া রুটে, মিরপুর বাস ডিপোর নিয়ন্ত্রণে–ঢাকা-বরিশাল, রংপুর, কুষ্টিয়া, বগুড়া, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ ও নওগাঁ রুটে এবং মোহাম্মদপুর বাস ডিপোর নিয়ন্ত্রণে– ঢাকা-শরিয়তপুর, ফরিদপুর, রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া ও নওগাঁ রুটে এছাড়া গাজীপুর বাস ডিপোর নিয়ন্ত্রণে–বিশ্বরোড-পাঁচদোনা, টাঙ্গাইল, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও কুড়িগ্রাম রুটে, যাত্রাবাড়ি বাস ডিপোর নিয়ন্ত্রণে–ঢাকা-রংপুর, শরিয়তপুর রুটে, নারায়ণগঞ্জ বাস ডিপোর নিয়ন্ত্রণে–ঢাকা-গোসাইরহাট, রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, নীলফামারী, নওগাঁ, বগুড়া, গাইবান্ধা ও পাবনা রুটে, কুমিল্লা বাস ডিপোর নিয়ন্ত্রণে–ঢাকা-রংপুর রুটে এবং নরসিংদী বাস ডিপোর নিয়ন্ত্রণে–নরসিংদী-মাদারীপুর, চরমুগুরিয়া, রংপুর রুটে। যাত্রীসাধারণকে বিআরটিসি’র ‘ঈদ স্পেশাল সার্ভিস’ এর সেবা গ্রহণ করার জন্য বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্পোরেশন (বিআরটিসি) এর পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।
যাত্রীসাধারণের চলাচলের সুবিধার্থে আজ থেকে ঢাকার বিভিন্ন ডিপো/টার্মিনাল জরুরি সার্ভিস প্রদানের লক্ষ্যে ৬০টি বাস নিম্নলিখিত ডিপোতে/স্থানে স্ট্যান্ডবাই থাকবে-সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল, মিরপুর ১২ নম্বরস্হ মিরপুর বাস ডিপো, কল্যাণপুর বাস ডিপোর সামনে, নবীনগর, মতিঝিল বাস ডিপোর সামনে, মহাখালী বাস টার্মিনাল, জোয়ারসাহারা বাস ডিপো, মোহাম্মদপুর বাস ডিপো, গাজীপুর চৌরাস্তা, হেমায়েতপুর বাস স্ট্যান্ড এবং চন্দ্রা বাস স্ট্যান্ড। এ লক্ষ্যে নিম্ন উল্লেখিত নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে :
ম্যানেজার (অপাঃ) যথাক্রমে মতিঝিল বাস ডিপো-মোবাইলঃ ০১৭১১-৩৯১৫১৪, কল্যাণপুর বাস ডিপো-মোবাঃ ০১৭১১-৪৩৫২১৩, গাবতলী বাস ডিপো-মোবাঃ ০১৭৮৪-৫২০৯০০, জোয়ারসাহারা বাস ডিপো-মোবাঃ ০১৭১১-৭০৮০৮৯, মিরপুর বাস ডিপো-মোবাঃ ০১৭১৭-৭৬৩৮২০, মোহাম্মদপুর বাস ডিপো-মোবাঃ ০১৭১২-৩৮২১৪৪, গাজীপুর বাস ডিপো-মোবাঃ ০১৭৫৮-৮৮০০১১, যাত্রাবাড়ি বাস ডিপো-মোবাঃ ০১৯১৩-৭৪১২৩৪, নারায়ণগঞ্জ বাস ডিপো-মোবাঃ ০১৭১৫-৬৫২৬৮৩, কুমিল্লা বাস ডিপো-মোবাঃ ০১৭১৬-৬৮৪১৪৪, নরসিংদী বাস ডিপো-মোবাঃ ০১৫৫৩-৩৪৯৫৬৭। ডিপো-মোবাঃ ০১৫৫৩-৩৪৯৫৬৭।