শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত
ঢাকা, ২১ শ্রাবণ (৫ আগস্ট) :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী ৫ আগস্ট। ১৯৪৯ সালের এই দিনে তিনি গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। শহীদ শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার আজ তার সরকারি বাসভবন থেকে ১০ টাকা মূল্যমানের স্মারক ডাকটিকিট ও ১০ টাকা মূল্যমানের উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন এবং ৫ টাকা মূল্যমানের ডাটা কার্ড ও বিশেষ সীলমোহর প্রকাশ করেন।
মন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের বড় ছেলে শেখ কামাল বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। ছাত্রলীগের একজন নিবেদিত, সংগ্রামী ও আদর্শবাদী কর্মী হিসেবে ‘৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ওয়ার কোর্সে প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠন ও পুনর্বাসন কর্মসূচির পাশাপাশি সমাজের পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে সমাজ চেতনায় উদ্বুদ্ধকরণে মঞ্চ নাটক আন্দোলনের ক্ষেত্রে শেখ কামাল ছিলেন প্রথম সারির সংগঠক। তিনি বলেন, শেখ কামাল বন্ধু শিল্পীদের নিয়ে গড়ে তুলেছিলেন ‘স্পন্দন’ শিল্পীগোষ্ঠী।
এছাড়া ঢাকা থিয়েটারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, সাত রং নাট্যগোষ্ঠীর সদস্য, আবাহনী ক্রীড়াচক্রের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন শেখ কামাল। স্বাধীনতার পর শেখ কামাল সেনাবাহিনী থেকে অব্যাহতি নিয়ে পুনরায় লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদত বরণের সময় তিনি সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের এমএ শেষ পর্বের পরীক্ষার্থী ছিলেন।
শেখ কামাল এর ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বায়তুল মুকাররমে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ২১ শ্রাবণ (৫ আগস্ট):
বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এর ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ বাদ জুমা বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এসময় শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের রূহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমীন। মোনাজাতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব মোহাম্মদ আব্দুল কাদের শেখ, ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কায়সার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. মুহাম্মদ আবদুস সালাম, মোহাম্মদ মহীউদ্দিন মজুমদার, মো: আনিছুর রহমান সরকার, কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ ও সাধারণ মুসল্লিগণ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, এ উপলক্ষ্যে আজ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সকল বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, ৫০ টি ইসলামিক মিশন, ৭টি ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ও মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের গণশিক্ষা কেন্দ্রসমূহে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন আজ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ।
শহিদ শেখ কামাল আমাদের মাঝে চিরজাগরূক : টুঙ্গিপাড়ায় তথ্যমন্ত্রী
গোপালগঞ্জ (টুঙ্গিপাড়া), ২১ শ্রাবণ (৫ আগস্ট) :
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ কামাল তার স্বল্প সময়ের কর্মের মাধ্যমে আমাদের মাঝে চির জাগরূক হয়ে থাকবেন।
৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র শহিদ শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে মন্ত্রী হাছান সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শহিদ শেখ কামালকে দুষ্কৃতিকারীরা হত্যা করলেও তার স্বল্প বয়সের কর্মের মাধ্যমেই যুগ যুগ ধরে যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন তিনি আমাদের মাঝে জাগরূক থাকবেন। এই অল্প বয়সের মধ্যেই যে প্রতিভা ও সাংগঠনিক দক্ষতার স্বাক্ষর তিনি রেখেছিলেন, তাতে আমি মনে করি তিনি বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ আরো অনেক উপকৃত হতো।’
ড. হাছান বলেন, দেশের সংস্কৃতি ও ক্রীড়াঙ্গনকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে, সর্বোপরি বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে শহিদ শেখ কামাল বিরাট ভূমিকা রাখতে পারতেন, আজকের এই দিনে আমরা তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস. এম কামাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ছাত্রাবস্থায় ৬ দফা প্রচারে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং স্বাধীনতার পর সংস্কৃতি ও ক্রীড়া অঙ্গনকে গড়ে তুলেছেন।
এরপর টুঙ্গিপাড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে দিবসটি উপলক্ষে প্রান্তিক চাষীদের মাঝে বীজ বিতরণ করেন তথ্যমন্ত্রী।
কেন্দ্রীয়, গোপালগঞ্জ জেলা ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শহিদ শেখ কামালের ৭৩তম জন্মদিন উপলক্ষে ড. হাছান মাহ্মুদ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে এবং তারও পূর্বে ঢাকায় আবাহনী মাঠে দলীয়ভাবে শহীদ শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আগস্ট আমাদের দিয়েছে অনেক কিন্তু কেড়ে নিয়েছে সর্বস্ব : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২১ শ্রাবণ (৫ আগস্ট):
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, আগস্ট মাসে জন্মগ্রহণ করেছেন মহিয়সী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব। জন্মেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বাংলাদেশের আধুনিক সংস্কৃতি ও ক্রীড়া আন্দোলনের পথিকৃৎ, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল। আর এ আগস্ট মাসে আমরা হারিয়েছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে। এ মাসেই আমরা হারিয়েছি বাংলা সাহিত্যের দুই দিকপাল বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে। আর এ মাসের ২১ আগস্ট চালানো হয় বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলা। তাই বলতে হয়- আগস্ট আমাদের দিয়েছে অনেক কিন্তু কেড়ে নিয়েছে সর্বস্ব।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২২ উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘আমরা সূর্যমুখী’ আয়োজিত ‘জনক তুমি বাংলাদেশ’ শীর্ষক স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। স্মরণসভার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের বোর্ড অভ্ ট্রাস্টিজ এর সভাপতি ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরবর্তীকালে সংস্কৃতির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ জানাতে ‘আমরা সূর্যমুখী’ সাংস্কৃতিক সংগঠনটির যাত্রা শুরু। এটি ১৯৭৫ সালের ৩০ নভেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি বলেন, সংগঠনটি শুরু থেকে নতুন প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিতে ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শামসুল হক টুকু। স্বাগত বক্তৃতা করেন ‘আমরা সূর্যমুখী’র নির্বাহী পরিচালক শফিকুল ইসলাম সেলিম। অনুষ্ঠানে আবৃত্তি করেন বিশিষ্ট আবৃত্তিশিল্পী ও বাংলা একাডেমির উপপরিচালক ড. শাহাদাৎ হোসেন নিপু।
জুড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির জানাজায় শরিক হলেন পরিবেশমন্ত্রী
ঢাকা, ২১ শ্রাবণ (৫ আগস্ট):
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন আজ মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ বদরুল হোসেনের জানাজায় অংশগ্রহণ করেছেন।
মন্ত্রী এসময় মোঃ বদরুল হোসেন এর বর্ণাঢ্য জীবনের স্মৃতিচারণ করে বলেন, তিনি ছিলেন সবার নেতা, বড়ো ভাইয়ের মতো। তাঁকে বিশ্বাস করতাম, মানতাম। তাঁর হাত ধরেই রাজনীতি করেছি। তাঁর প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ, আওয়ামী পরিবার কৃতজ্ঞ। বদরুল ভাইয়ের মতো নেতা, জুড়ী, বড়লেখা তথা মৌলভীবাজারে বিরল। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন, শিক্ষকতা করেছেন, জনপ্রতিনিধিত্ব করেছেন। সফলভাবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিত্ব করেছেন।
মন্ত্রী বদরুল হোসেনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।
এখন শোকের মাস, সেপ্টেম্বরে মাঠে নামবো : টুঙ্গিপাড়ায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ), ২১ শ্রাবণ (৫ আগস্ট) :
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, আমরা গোপালগঞ্জের মাটিতে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধকে সামনে রেখে নেতা কর্মীদের উদ্দেশে বলতে চাই বিএনপি এখন ব্যাঙের মতো ডাকছে, পুঁটি মাছের মতো লাফাচ্ছে। তারা মূলত ষড়যন্ত্র করছে। তারা যদি জনগণের জানমাল নিয়ে ছিনিমিনি খেলে, অতীতের মতো পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে, তাহলে আগামী সেপ্টেম্বরে আমরা মাঠে নামবো। তখন বিএনপি পালানোর পথ খুঁজে পাবে না। কারণ আগস্ট মাস শোকের মাস। তাই আমরা শোক পালন করছি।
শহীদ শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে আজ টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়ার প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে ফলমূল, শাকসবজি ও সরিষা বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর সভাপতিত্বে বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন ও গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলী খান।
ড. হাছান মাহ্মুদ আরো বলেন, বিএনপি বাসায় বসে বক্তৃতা করে আর প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ করে। বিএনপি’র বিক্ষোভে যত লোক ছিল তার থেকে গাছে কাকই অনেক বেশি ছিল। আর করোনাকালীন সময়ে আওয়ামী লীগ ও তার নেতাকর্মীরা যেভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে অন্য কেউ দাঁড়ায়নি। তবে সবাই সতর্ক থাকবেন কারণ বিএনপি মূলত ষড়যন্ত্র করছে।
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক এডভোকেট সায়েম খানের সঞ্চালনায় কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাবুল শেখ প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ।
আলোচনা সভা শেষে মন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেলার ১ হাজার কৃষকের মাঝে ১৫ ধরনের সবজি, ফলমূল ও সরিষার বীজ বিতরণ করেন।
এর আগে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান এবং বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্টের সকল শহিদের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়ায় অংশ নেন। বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠপুত্র শেখ কামাল স্মরণে তথ্যমন্ত্রী বলেন, শহিদ শেখ কামালকে দুষ্কৃতকারীরা হত্যা করলেও তাঁর স্বল্প বয়সের কর্মের মাধ্যমেই যুগ যুগ ধরে, যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন তিনি আমাদের মাঝে জাগরূক থাকবেন। এই অল্প বয়সের মধ্যেই যে প্রতিভা ও সাংগঠনিক দক্ষতার স্বাক্ষর তিনি রেখেছিলেন, তাতে আমি মনে করি তিনি বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ আরো অনেক উপকৃত হতো। আজকের এই দিনে আমরা তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
বঙ্গবন্ধুর পরিবারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
ঢাকা, ২১ শ্রাবণ (৫ আগস্ট) :
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার এবং বঙ্গবন্ধুর পরিবারের বিরুদ্ধে দেশে ও বিদেশে বানোয়াট গল্প তৈরি করে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে তা রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আধুনিক বাংলাদেশ না থাকলে আমরা এ রকম সমৃদ্ধির অবস্থায় থাকতাম না। তাই নিজেদের স্বার্থে, ত্রিশ লাখ শহিদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের স্বার্থে, বঙ্গবন্ধুর আরাধ্য সাধনা বাস্তবায়নের স্বার্থে, শেখ হাসিনার অভীষ্ট লক্ষ্য পরিপূর্ণভাবে সফল করার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
আজ রাজধানীতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, শেখ কামাল তারুণ্যের অহংকারই শুধু নয়, এক সম্ভাবনাময় প্রতিভাও ছিলেন। সে প্রতিভা সুপরিকল্পিতভাবে অকালে বিনাশ করে দেওয়া হয়েছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি মুজিবকে হত্যার টার্গেট ছিল তা নয়, টার্গেট ছিল বঙ্গবন্ধু পরিবার ও মুক্তিযুদ্ধের সব কিছু নিঃশেষ করে দেওয়া।
রেজাউল করিম আরো যোগ করেন, ‘৭৫ এ একটি মহল চরম অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছিল। তারা বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধুর পরিবার ও আওয়ামী লীগকে ঘিরে জঘন্যতম মিথ্যা অপপ্রচার চালাতো। সে সময় শেখ কামালকে যারা বিতর্কিত করতে চেয়েছিল তারা সফল হয়নি। শেখ কামাল বিনম্র প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। তিনি ছাত্র রাজনীতিকে পরিশীলিত ও পরিমার্জিত করে দেশের গোটা যুব সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সংগঠকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে ১৯৭৫ সালে বিতর্কিত করার অপচেষ্টাকারীরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে উল্লেখ করে শ ম রেজাউল করিম আরো বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেশে ও দেশের বাইরে ‘৭৫ এর মতো সমালোচনা, অপপ্রচার, মিথ্যাচার ও নেতিবাচক প্রচারণা শুরু হয়েছে। অপপ্রচারকারীদের লক্ষ্য বঙ্গবন্ধু পরিবারকে বিতর্কিত করা। বর্তমানে বিদেশে বসে ইউটিউবে, ফেসবুকে এবং দেশের ভেতরে ভয়াবহ অপপ্রচার শুরু হয়েছে। শেখ কামালের জন্মদিনে আমাদের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে মিথ্যাচার ও অপপ্রচারকারীদের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ তৌফিকুল আরিফ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শেফাউল করিম, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ মনজুর হাসান ভুঁইয়াসহ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
আগামী প্রজন্মকে শেখ কামালের আদর্শে গড়তে পারলে দেশ আরো উন্নত হবে : কৃষিমন্ত্রী
ঢাকা, ২১ শ্রাবণ (৫ আগস্ট) :
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী শেখ কামাল ছিলেন অত্যন্ত সৃজনশীল ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের উজ্জ্বল নক্ষত্র। একাধারে তিনি ছিলেন রাজনৈতিকভাবে সচেতন ও দেশপ্রেমিক। তিনি ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। তাঁর আদর্শ ও চেতনা আগামী প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারলে বাংলাদেশ আরো উন্নত, বিকশিত ও সমৃদ্ধ হবে।
আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে আয়োজিত ‘শেখ কামাল : বহুমাত্রিক অনন্য প্রতিভাবান সংগঠক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, শেখ কামাল ছিলেন অনন্য ক্রীড়া সংগঠক, যিনি নিজে খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করেছেন, আবার ক্রীড়া সংগঠন গড়ে তুলে খেলাধুলায় নতুন যুগের সূচনা করেছিলেন। তিনি নিজে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছেন, পাশাপাশি সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘স্পন্দন’ গঠন করেছিলেন। অথচ বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের মধ্যে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড কম পরিলক্ষিত হচ্ছে। ফুটবল খেলার মাঠে ফুটবল না খেলে দলবেঁধে বসে মোবাইল নিয়ে মগ্ন থাকে। তাই দেশের যুবসমাজকে অবক্ষয়, অপসংস্কৃতি ও মোবাইল আসক্তি থেকে দূরে রাখতে শেখ কামালের আদর্শ এবং চেতনাকে তরুণদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে।
বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে ও সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অভ্ বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক মান্নান চৌধুরী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মশিউর রহমান, কলাম লেখক সুভাষ সিংহ রায় প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
শেখ কামাল ছিলেন তারুণ্যের প্রতীক : ড. মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী
ঢাকা, ২১ শ্রাবণ (৫ আগস্ট) :
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী বলেছেন, শেখ কামাল ছিলেন তারুণ্যের প্রতীক, উদ্যমী ব্যক্তি, মেধাবী ছাত্র, দক্ষ সংগঠক, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।
আজ ঢাকায় বিআইডব্লিউটিএ ভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে ড. মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী এ কথা বলেন।
সভায় বক্তারা শেখ কামালের জীবনী ও কর্মের ওপর আলোচনা করেন। তাঁরা শেখ কামালকে যুব সমাজের আইকন হিসেবে উল্লেখ করেন। তারা বলেন, শেখ কামালের মতো সম্ভাবনাময় নেতৃত্বকে থামিয়ে দেয়া হয়েছে। তিনি জীবিত থাকলে দেশের জন্য অনেক অবদান রাখতে পারতেন। বক্তারা এ সময় পাঠ্যপুস্তকে তাঁর জীবনী অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানান।
মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেগম লায়লা জেসমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুলতান আব্দুল হামিদ, নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমোডর মোঃ নিজামুল হক, বিআইডব্লিউটিএ’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুছ ছাত্তার শেখ এবং মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব তোফায়েল আহমেদ।
আগামী নির্বাচনে জনগণ শেখ হাসিনাকেই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করবে : পানিসম্পদ উপমন্ত্রী
শরীয়তপুর, ২১ শ্রাবণ (৫ আগস্ট) :
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা আওয়ামী লীগের শিকড় এদেশের মাটি ও মানুষের অনেক গভীরে। যত সংকট আর ষড়যন্ত্রই হোক না কেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জনগণের রায় নিয়ে আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় আসবে। যাকেই ইমাম মানেন লাভ হবে না, জনগণ শেখ হাসিনাকেই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করবে। আর রাজপথেই বিএনপির সকল ষড়যন্ত্রের জবাব দেয়া হবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার কার্তিকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ডিঙ্গামানিক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শামীম বলেন, রাজপথ জনগণের সম্পত্তি। সুতরাং রাজপথ দখলের নামে বিএনপি-জামাত যদি আবারও জ্বালাও পোড়াও এবং আগুন সন্ত্রাস করে, তাহলে জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে জনগণকে সাথে নিয়ে দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করতে করতে বিএনপি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তারা গণধিকৃত দলে পরিণত হয়েছে। তাই বিএনপির প্রতি জনগণের ভালোবাসা ও সমর্থন নেই।
উপমন্ত্রী আরো বলেন, দেশের সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আইন অনুযায়ী, নির্বাচন পরিচালনার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যস্ত। গণতান্ত্রিক চেতনায় বিশ্বাসী সকল রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে এবং বিএনপিও ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করে জনকল্যাণের রাজনীতিতে নিজেদের নিয়োজিত করবে বলে তিনি আশা করেন।
ডিঙ্গামানিক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান শিকদারের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন সুমনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন নড়িয়া পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক মাল, সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান খোকন ও সহ-সভাপতি বাদশা শেখ।
প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের পর্যটন শিল্প উন্নয়নের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাবে : পর্যটন প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২১ শ্রাবণ (৫ আগস্ট) :
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে অত্যন্ত আন্তরিক। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প উন্নয়নের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাবে।
আজ রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলের উদ্যোগে ‘রি-ডিসকভার ঢাকা’ শিরোনামে সিটি ট্যুর প্যাকেজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোকাম্মেল হোসেন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
মাহবুব আলী বলেন, আমাদের যে রিসোর্স আছে, যদি এটা সঠিকভাবে ব্র্যান্ডিং করতে পারি, মানুষকে জানাতে পারি, তাহলে আমাদের দেশ নিয়ে সারা বিশ্বে আগ্রহ বাড়বে। আজকের এই ট্যুরের মাধ্যমে বিদেশি পর্যটকেরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ঢাকা শহরে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি স্মারক এবং আমাদের ঐতিহাসিক স্থাপনাসমূহ সম্পর্কে জানতে পারবে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, দেশের পর্যটন শিল্পের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ প্রায় সমাপ্তির পথে। এবছরের ডিসেম্বর মাসে এই মহাপরিকল্পনার কাজ সমাপ্ত হবে। পর্যটন মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী দেশের পর্যটন শিল্পের সামগ্রিক ও পরিকল্পিত উন্নয়নের কাজ করা হবে। বাংলাদেশের পর্যটনের উন্নয়ন নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যে স্বপ্ন ছিল তা বাস্তবায়ন করা হবে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর ও সাবেক সচিব নজরুল ইসলাম খান, হোটেল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোঃ আমিনুর রহমান, বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম এম মোয়াজ্জেম হোসেন এবং হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও এর ভারপ্রাপ্ত জেনারেল ম্যানেজার আসিফ আহমেদ।
উল্লেখ্য, হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও আয়োজিত এই সিটি ট্যুরে দেশি-বিদেশি সকল পর্যটক অংশগ্রহণ করতে পারবেন। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর বাসভবন এই ট্যুরের প্রধান আকর্ষণ। বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ঐতিহ্য বহনকারী ঢাকার অন্যান্য দর্শনীয় স্থান যেমন – জাতীয় জাদুঘর, বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর ও শহিদ মিনার এই ট্যুরের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
টিকিটের মূল্য বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য জনপ্রতি ৪,৫০০ টাকা এবং বিদেশি পর্যটকদের জন্য জনপ্রতি ৫,০০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। টিকিটের এই মূল্যের মধ্যেই বিভিন্ন ঐতিহাসিক এবং দর্শনীয় স্থান ভ্রমণের পাশাপাশি পর্যটকদের জন্য অনবোর্ড স্ন্যাক্সসহ দুপুরের অথবা রাতের খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে।
নমপেনে ব্রুনাইয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে ড. মোমেনের বৈঠক
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ব্রুনাইয়ের সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ
ঢাকা, ২১ শ্রাবণ (৫ আগস্ট) :
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন মিয়ানমারের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে ব্রুনাইয়ের সহযোগিতা চেয়েছেন।
মন্ত্রী গতকাল কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেনে ব্রুনাই দারুসসালামের দ্বিতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাতো সেরি সেতিয়া হাজী এরিওয়ান বিন পেহিন দাতু পেকারমা জয়া হাজী মোহাম্মদ ইউসুফের সাথে বৈঠককালে এ বিষয়ে সহযোগিতার অনুরোধ জানান। বৈঠকে তাঁরা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন এবং আগামী দিনে বন্ধুপ্রতিম দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্ক আরো জোরদারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে ড. মোমেন মিয়ানমারের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের বিষয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগের কথা জানান এবং মিয়ানমারের ১১ লক্ষাধিক নাগরিকের (রোহিঙ্গা) দ্রুত, নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের জন্য অনুকূল পরিস্থিতি তৈরিতে মিয়ানমারকে রাজি করাতে আসিয়ান দেশগুলোর আরো সমন্বিত ও সক্রিয় সমর্থনের আহ্বান জানান। ড. মোমেন আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার (এসডিপি) হওয়ার জন্য বাংলাদেশের পক্ষে ব্রুনাই দারুসসালামের সমর্থনও প্রত্যাশা করেন।
বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরো সুদৃঢ় করতে উচ্চ-পর্যায়ের সফরের প্রয়োজনীয়তার ওপর তাঁরা জোর দেন। এছাড়া দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কৃষি, জলজ চাষ ও মৎস্য, জ্বালানি, স্বাস্থ্য ও ওষুধ, সংযোগ (কানেক্টিভিটি), আইসিটি, পর্যটন, হালাল বাণিজ্য, মানবসম্পদ উন্নয়ন, যুব ও সাংস্কৃতিক বিনিময় ইত্যাদি ক্ষেত্রে সহযোগিতা ত্বরান্বিত করতেও দু’পক্ষ সম্মতি জ্ঞাপন করেন।
ব্রুনাইয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাতো ইউসুফ মহামারির কারণে ২০২০ সালে স্থগিত হয়ে যাওয়া ব্রুনাইয়ের সুলতানের বাংলাদেশ সফরের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। ড. মোমেন এই প্রস্তাবকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান এবং উভয় মন্ত্রী এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণে একমত হন।
উল্লেখ্য, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বর্তমানে ২৯তম আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরাম (এআরএফ) এর মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে কম্বোডিয়ায় তিন দিনের সরকারি সফরে রয়েছেন।
জাতির পিতাকে হত্যাকারীদের অপপ্রচার গোয়েবলসকেও হার মানায় : গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী
ময়মনসিংহ, ২১ শ্রাবণ (৫ আগস্ট):
গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরিফ আহমেদ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যাকারীদের অপপ্রচার গোয়েবলসকেও হার মানায়।
আজ বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী চক্র এদেশের স্বাধীনতাকে অর্থহীন প্রমাণ করতে জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করতে চেয়েছিল। তারা এদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথ একেবারে রুদ্ধ করে দিতে চেয়েছিল। এ কারণে তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদেরকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে হত্যা করে। তারা জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদেরকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি বরং বিভিন্ন অপপ্রচারের মাধ্যমে তাদের চরিত্র হননের চেষ্টা করেছে। ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে তারা এদেশে হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি কায়েম করেছিল।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এদেশের আপামর জনসাধারণ স্বাধীনতা বিরোধীদের অপপ্রচারকে পেছনে ফেলে জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদেরকে যথাযোগ্য মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তারা জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব তুলে দিয়েছে। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী চক্র যেভাবে পরাজয় বরণ করেছিল, ’৭৫ এর পরবর্তী সময়ে দেশবাসীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আবারো তাদের শোচনীয় পরাজয় ঘটেছে।
অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
নতুন প্রজন্মের কাছে শেখ কামাল অনুপ্রেরণার উৎস : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
ঢাকা, ২১ শ্রাবণ (৫ আগস্ট):
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল বহু প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের আধুনিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের পথিকৃৎ। নতুন প্রজন্মের কাছে শেখ কামাল অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন।
আজ রাজধানীতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর অডিটোরিয়ামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য।
মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, এক সময় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ মুছে ফেলা হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের
প্রাপ্য সম্মান থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। যারা জীবন বাজি রেখে সকল মায়া ত্যাগ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছেন, তাঁদেরকে তিরস্কার করা হয়েছে। স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে বিতর্ক তৈরির পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযথ সম্মান দিয়ে নানা সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাসকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন।
এ সময়, ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে গোটা জাতিকে বিভক্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, জয় বাংলা স্বাধীনতার স্লোগান, বাংলাদেশের জন্মের স্লোগান। এই স্লোগানকে অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। যারা বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে অস্বীকার করে, জয় বাংলা বুকে ধারণ করে না তারা দেশের স্বাধীনতাকে কখনোই মনে প্রাণে মেনে নেবে না এটাই স্বাভাবিক। এরাই দেশে বসে স্বাধীনতার বিরোধিতা করে। তাদের সাথে কখনো বন্ধুত্ব হতে পারে না।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা ক্ষমতায় এসেছিলো তারা এদেশের মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন করতে পারেনি। দেশকে ভিক্ষুক আর মিসকিনের জাতিতে রূপান্তরিত করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে দেশকে দারিদ্র্যের কষাঘাত থেকে মুক্তি দিতে সক্ষম হয়েছেন। সকল খাতে আজ অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী সেখ মোহাম্মদ মহসীন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর প্রধান প্রকৌশলী মোঃ সাইফুর রহমান এবং স্থানীয় সরকার বিভাগ ও এর আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে মন্ত্রী বনানী কবরস্থানে শেখ কামালের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান এবং বঙ্গবন্ধুসহ সকল শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করেন।
লক্ষ মায়ের আত্মত্যাগ ও আত্মদানের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে স্বাধীনতা : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২১ শ্রাবণ (৫ আগস্ট) :
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে নারীরা একদিকে যেমন সরাসরি অংশগ্রহণ করেছে, অন্যদিকে বহু নারী বা মা দেশমাতৃকার স্বাধীনতার জন্য তাদের সন্তানকে যুদ্ধে পাঠিয়ে আত্মত্যাগ করেছেন। শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাডেট ল্যান্স কর্পোরাল নওফেলের মা’ও সেরকমই একজন আত্মোৎসর্গকারী নারী। এমন লক্ষ মায়ের আত্মত্যাগের বিনিময়েই আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর জাহাঙ্গীর গেট সংলগ্ন শাহীন হলে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) আয়োজিত শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাডেট ল্যান্স কর্পোরাল নওফেলের ওপর নির্মিত “Story of a Great Hero Nowfel” শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্রের প্রিমিয়ার শো এবং মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তৎকালীন ইউওটিসি (বর্তমান বিএনসিসি) থেকে প্রশিক্ষিত বর্তমানে জীবিত ১৫ জন নারী প্রশিক্ষণার্থীর সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রামাণ্যচিত্রটির মাধ্যমে একদিকে যেমন মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বিএনসিসি’র অবদান জাতির সামনে তুলে ধরা হয়েছে, অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধে মায়েদের আত্মত্যাগের কথাও এতে সুনিপুণভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। তিনি বলেন, এ ধরনের আয়োজন মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধের পরিচায়ক। তাই এ ধরনের আয়োজন আমাদের নিয়মিত করা উচিত।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) এর মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাহিদুল ইসলাম খান, বিএসপি, এনডিসি, পিএসসি এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন শহিদ ক্যাডেট ল্যান্স কর্পোরাল মেজবাহ উদ্দিন নওফেলের ছোট বোন নাজমুন নাহার খান, প্রামাণ্যচিত্রের পরিকল্পনাকারী ও নির্মাতা মোহাম্মদ নাদিম ইকবাল, সংবর্ধিত প্রশিক্ষণার্থী ও তৎকালীন (মুক্তিযুদ্ধকালীন) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী রোকেয়া কবীর।
দেশের উন্নয়নে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে :সমাজকল্যাণ সচিব
চট্টগ্রাম, ২১ শ্রাবণ (৫ আগস্ট):
সমাজকল্যাণ সচিব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, দেশের উন্নয়নে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। এখন যে সময় এসেছে, পরিবারের একজন সদস্যের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে যার যে দক্ষতা ও কর্মক্ষমতা আছে সেটা ব্যবহার করে উপার্জন করতে হবে।
সচিব আজ চট্টগ্রামে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আয়োজিত ‘অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচির প্রশিক্ষণোত্তর সনদ ও চেক বিতরণ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
সচিব বলেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, অনগ্রসর জনগোষ্ঠীসহ সমাজে যারা অবহেলিত, বঞ্চিত ও নির্যাতিত তাদের জীবনমান উন্নয়নে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘কাউকে পেছনে ফেলে উন্নয়ন নয়’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ দৃষ্টিভঙ্গিকে সামনে রেখে গ্রাম, উপজেলা, জেলা শহর ও নগরীতে নানাবিধ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তিনি অসহায় জনগোষ্ঠীর কল্যাণে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের সাথে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকেও সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোঃ মমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের পরিচালক কাজী নাজমুল ইসলাম ।
সচিব দিনের অপর একটি অনুষ্ঠানে সমাজসেবা অফিসারদের সাথে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন এবং চট্টগ্রাম জেলাধীন মানসিক প্রতিবন্ধী শিশুদের প্রতিষ্ঠান, সরকারি শিশু পরিবার (বালিকা) ও ছোটমনি নিবাস, শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র (পি এইচ টি) এবং প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল দেশপ্রেমিক, সৎ, সাহসী ও দক্ষ সংগঠক ছিলেন : বাণিজ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ২১ শ্রাবণ (৫ আগস্ট) :
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ছিলেন সৎ, সাহসী ও দক্ষ সংগঠক। রাজনীতির পাশাপাশি শেখ কামাল দেশের ক্রীড়াঙ্গন ও সংস্কৃতি জগতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন। ভালো ও দক্ষ সংগঠক হিসেবে শেখ কামালের ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। আবাহনী ক্রীড়াচক্র শেখ কামালের নিজের হাতে গড়া সংগঠন। শুধু রাজনৈতিক কারণে তাঁর চরিত্র হরণের অনেক অপচেষ্টা করা হয়েছে। শেখ কামাল ছিলেন সৎ এবং সাহসী।
ন্যায়ের পক্ষে তাঁর অবস্থান ছিল সুদৃঢ়।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় ধানমন্ডি সুলতানা কামাল মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এর ৭৩তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় শেখ কামালসহ একই ক্যাম্পে ট্রেনিং করার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার। তিনি একজন দক্ষ সেনা কর্মকর্তা ছিলেন। দেশ স্বাধীন হবার পর আমি খুব কাছে থেকে তাঁর সততা ও সাহসিকতা দেখেছি। তাঁর মতো নেতা এবং সাহসী সংগঠক খুব কমই দেখা যায়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ইতিহাসের নির্মম হত্যাকাণ্ডের সময় শেখ কামালকে প্রথম হত্যা করা হয়েছিল। দেশের রাজনীতি, ক্রীড়াঙ্গন এবং সংস্কৃতি জগতে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড টেরিফ কমিশনের চেয়ারম্যান (সচিব) মাহফুজা আখতার, বাংলাদেশ কম্পিটিশন কমিশনের চেয়ারপারসন মো. মফিজুল ইসলাম, বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউট এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মোঃ জাফর উদ্দিন, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান, আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তরের প্রধান নিয়ন্ত্রক শেখ রফিকুল ইসলাম, জয়েন্ট স্টক কোম্পানি এন্ড ফার্মসসমূহের প্রধান নিয়ন্ত্রক শেখ সোয়েবুল আলম মজুমদার, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান, ট্রেডিং করপোরেশন অভ্ বাংলাদেশ (টিসিবি) এর চেয়ারম্যান ব্রি জে মোঃ আরিফুল হাসান।
এর আগে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি’র নেতৃত্বে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্ত বিভাগসমূহের প্রধান এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ আবাহনী খেলার মাঠে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। আলোচনা সভা শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ কামাল বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হবে : আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২১ শ্রাবণ (৫ আগস্ট):
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ ক্যারাম ফেডারেশনের সভাপতি জুনাইদ
আহ্মেদ পলক বলেছেন, সৃজনশীল প্রতিভার অধিকারী শেখ কামালের অবদান ও স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখতে দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ কামাল বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হবে। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র, ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় দেশের প্রতিটি জেলায় ১টি করে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টারও তৈরি করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র, বাংলাদেশের আধুনিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, ক্যাপ্টেন শহিদ শেখ কামাল-এর ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ ক্যারাম ফেডারেশনের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা, দোয়া ও সংসদ সদস্যদের মাঝে ক্যারাম বোর্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
পলক বলেন, শেখ কামাল যে বয়সে জীবনকে তুচ্ছ করে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি ও ক্রীড়াঙ্গনকে আধুনিক হিসেবে গড়ে তুলতে ভূমিকা রেখেছিলেন, ঠিক সেই বয়সের ছেলে-মেয়েরাই এসএসসি-এইচএসসি পাস করে এসব ইনকিউবেশন ও বিজনেস সেন্টার থেকে সার্টিফিকেট বা ডিপ্লোমা কোর্স করে যার যার শহরে আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে শেখ কামালকে অনুভব করতে পারবে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, শেখ কামাল সাদামাটা জীবন ও উচ্চ চিন্তার অধিকারী একজন ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন। যিনি বাংলাদেশের তরুণদের আধুনিক, প্রগতিশীল ও অসাম্প্রদায়িক হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। তিনি বলেন, শেখ কামাল দেশের যুবসমাজের কাছে এক অনন্য অনুপ্রেরণার উৎস। এসময় বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ও নির্মল তারুণ্যের অগ্রদূত শেখ কামালকে অনুসরণ করার জন্য তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক চিফ হুইপ ও পটুয়াখালী ২ আসনের সংসদ সদস্য আসম ফিরোজ, ময়মনসিংহ ৮ আসনের সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম, টাঙ্গাইল ২ আসনের সংসদ সদস্য ছোট মনির।
পরে, প্রতিমন্ত্রী উপস্থিত সংসদ সদস্য ও প্রতিনিধিগণের মাঝে ক্যারাম বোর্ড বিতরণ করেন। এর আগে প্রতিমন্ত্রী আইসিটি বিভাগ এবং এর অধীন দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তাগণকে সাথে নিয়ে আইসিটি বিভাগ চত্বরে স্থাপিত শহিদ শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।