‘সম্মানিত কোরবানি দাতাগণ, পশু ক্রয়ের সময় পরিমাণমতো লবণ কিনুন এবং কোরবানির পর চামড়ায় ভালোভাবে লবণ লাগিয়ে গুণগত মান বজায় রাখতে সহায়তা করুন।’ জনস্বার্থে : শিল্প মন্ত্রণালয়।
টেলিযোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণসামগ্রী প্রেরণ অব্যাহত
ঢাকা, ২১ আষাঢ় (৫ জুলাই) :
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে বন্যাদুর্গত এলাকায় বিতরণের জন্য ত্রাণ বোঝাই আরো একাধিক গাড়ি বিটিসিএল থেকে নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ ও মদন উপজেলার উদ্দেশ্যে পাঠানো হচ্ছে। আজ এবং তার আগে ঢাকায় বিটিসিএল ভবনে ও ঢাকা জিপিওতে বিটিসিএল, টেশিস, আইবি এবং প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান জেডটিই এর পক্ষ থেকে বন্যার্তদের জন্য ৩ হাজার ৫৮০ প্যাকেট ত্রাণসামগ্রী বিতরণের জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের নিকট হস্তান্তর করা হয়। ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব খলিলুর রহমান এবং বিটিসিএল‘র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোঃ রফিকুল মতিন এসময় উপস্থিত ছিলেন। এসব ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে মোহনগঞ্জে ১ হাজার ৬৫ প্যাকেট শুকনো খাবার ও ৪০০ প্যাকেট চাল, ডাল ও তেল এবং মদন উপজেলায় ৮৬৫ প্যাকেট শুকনো খাবার ও ৪০০ প্যাকেট চাল, ডাল ও তেল রয়েছে।
এর আগে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে নেত্রকোণার খালিয়াজুরীতে ৫ হাজার ২১ প্যাকেট ও সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় এক হাজার প্যাকেট ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের নির্দেশে হাওরের বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ শুরু হয়। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং এর অধীন সংস্থাসমূহের পক্ষ থেকেও ত্রাণ পাঠানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আরো উল্লেখ্য টেলিযোগাযোগ বিভাগ হাওর এলাকায় ফিক্সড ফোন, মোবাইল নেটওয়ার্ক ও জরুরি সেবা সচল করা ছাড়াও স্যাটেলাইট হাব স্থাপন করেছে।
সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার সাথে প্রয়োজন দায়িত্বশীলতা : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ২১ আষাঢ় (৫ জুলাই):
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, সংবাদপত্রের বা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা যেমন অবশ্যই দরকার, তেমনি দায়িত্বশীলতারও প্রয়োজন।
আজ রাজধানীর কাকরাইলে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ মিলনায়তনে সাংবাদিকদের মাঝে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের কল্যাণ অনুদান ও করোনাকালীন ২য় পর্যায়ের আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।
গণমাধ্যমের দায়িত্বশীলতা নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী উদাহরণ দিয়ে বলেন, “ক’দিন আগে একটি পত্রিকায় দেখলাম দুই কলাম বড় খবর- বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে জাতিসংঘের উদ্বেগ প্রকাশ। কিন্তু সত্যিটা হচ্ছে, যে আইরিন খান উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, উনার মতো জাতিসংঘ সংশ্লিষ্ট আরো ৮০ জন র্যাপোর্টিয়ার সেখানে আছে। সেই ৮০ জনের একজনের মত নিয়ে যদি কোনো প্রথম শ্রেণির সংবাদপত্র লেখে ‘জাতিসংঘের উদ্বেগ প্রকাশ’, তাহলে সেটি কি সাংবাদিকতা না অপসাংবাদিকতা!”
‘কিন্তু আমাদের দেশে এই অপসাংবাদিকতার জন্য প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় না, কন্টিনেন্টাল ইউরোপ, ইউকেতে এ ধরনের সংবাদ পরিবেশনের জন্য শুধু প্রশ্নের মুখোমুখিই হতে হয় তা নয়, সেখানে নিয়মিত জরিমানা দিতে হয়, যা আমাদের দেশে হয় না’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সমালোচনা থাকবে, কারণ দায়িত্বে থাকলে সমালোচনা হবেই। যে দায়িত্বে নাই তার সমালোচনা করার সুযোগও নাই। কিন্তু সমালোচনাটা যেন বস্তুনিষ্ঠ হয়।
ড. হাছান বলেন, ‘সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আজকে সাংবাদিক সমাজের একটি ভরসার জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবং ট্রাস্ট থেকে সহায়তায় সবাইকে বিবেচনা করা হয়। যে সমস্ত সাংবাদিক নিয়মিত সরকারের বিরুদ্ধে লেখেন, কারণে-অকারণে লেখেন, লিখতে লিখতে হয়রান হয়ে যান, এমনকি সরকার পতনের জন্য তারা প্রেসক্লাবের সামনে কিংবা অন্য কোনোখানে বক্তৃতাও দেন গরম গরম, তাদেরকেও আমরা এই সহায়তা দিয়েছি এবং দিচ্ছি।’
ট্রাস্টের ব্যবস্হাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ বাদলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কাশেম হুমায়ুন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেনসহ ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। শেষে সাংবাদিকদের মাঝে আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ করেন মন্ত্রী ও অতিথিবৃন্দ।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আরো এক হাজার মেট্রিক টন চাল, নগদ ২ কোটি টাকা এবং ৪শ’বান্ডিল ঢেউটিন বরাদ্দ
ঢাকা, ২১ আষাঢ় (৫ জুলাই) :
বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে মানবিক সহায়তা হিসেবে বিতরণের লক্ষ্যে আরো এক হাজার মেট্রিক টন চাল, নগদ ২ কোটি টাকা এবং ৪শ’বান্ডিল ঢেউটিন বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে আজ এ বরাদ্দ প্রদান করা হয়।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সিলেট ও সুনামগঞ্জ প্রতিটি জেলার জন্য ৫শ’করে এক হাজার মেট্রিক টন চাল, এক কোটি করে নগদ দুই কোটি টাকা এবং ২শ’বান্ডিল করে মোট ৪শ’বান্ডিল ঢেউটিন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া প্রতি বান্ডিল ঢেউটিনের সাথে আবশ্যিকভাবে ক্রসড চেকের মাধ্যমে দেয়ার জন্য ৩ হাজার টাকা করে মোট এক কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
স্বাধীনতার পর সবচেয়ে বড় অর্জন পদ্মা সেতু : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২১ আষাঢ় (৫ জুলাই) :
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, পদ্মা সেতু কেবল একটি স্থাপনা নয়, এটি বাংলাদেশের গৌরব, মর্যাদা ও সক্ষমতার প্রতীক। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্জন পদ্মা সেতু। এটি কোন সামষ্টিক অর্জন নয়, পদ্মা সেতু নির্মাণের একক কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। বিশ্ব ব্যাংকের ঋণচুক্তি বাতিলের পর তাঁরই একক সিদ্ধান্তে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে।
আজ বাংলা একাডেমি আয়োজিত ‘স্বপ্নের পদ্মা সেতু’ নিয়ে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ সহজ ছিল না। অনেক ষড়যন্ত্র মোকাবিলা ও চড়াই উতরাই পেরিয়ে এটি নির্মিত হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো সাহায্য ছাড়া দেশের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন। তাই পদ্মা সেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসের অন্য নাম। তিনি বলেন, সততা, নিষ্ঠা ও কাজের প্রতি অবিচল থাকলে যে কোন অর্জন সম্ভব- বঙ্গবন্ধুকন্যা তা আরেকবার প্রমাণ করলেন।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাবিহা পারভীন। অনুষ্ঠানে স্বরচিতা কবিতা পাঠ করেন বিশিষ্ট কবি আসাদ মান্নান, নাসির আহমেদ, ফারুক মোহাম্মদ, মিনার মনসুর, ঝর্ণা রহমান ও আসলাম সানী। আবৃত্তি করেন দেশবরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় ও রূপা চক্রবর্তী। সংগীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী ও সুরকার মানিক রহমান।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারের মহাকাশ বিষয়ক দুইটি ডিজিটাল ফিল্ম, ভিআর কর্নার এবং পার্কিং এরিয়া উদ্বোধন করলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী
ঢাকা, ২১ আষাঢ় (৫ জুলাই) :
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারের প্ল্যানেটেরিয়াম হলে মহাকাশ বিষয়ক দুইটি ডিজিটাল ফিল্ম, ভিআর কর্নার এবং পার্কিং এরিয়া উদ্বোধন করেছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা বাবার স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর নেতৃত্বে অচিরেই এ দেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত হবে। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব হয়েছে, যা বিশ্বের দরবারে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার পাশাপাশি জাতির আত্মবিশ্বাসও বাড়িয়ে দিয়েছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, ফিল্মটিতে টেলিস্কোপের গঠন, কার্যকারিতা, ধরন ইত্যাদি বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে, যা একটি ডিজিটাল মহাকাশ বিষয়ক ফিল্ম। টেলিস্কোপ এমন একটি যন্ত্র যা দূরবর্তী লক্ষ্যবস্তু দর্শনের জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি দূরবর্তী বস্তু থেকে নির্গত বিকিরণ সংগ্রহ, পরিমাপ এবং বিশ্লেষণ করার কাজে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া এটি সৌরজগতের বিভিন্ন তথ্য আবিস্কারের দ্বার উন্মোচন করে। এই ফিল্মটির মূল লক্ষ্যই হলো বিজ্ঞান ও বৈজ্ঞানিক চিন্তাধারাকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। এতে তথ্য ও উদ্ভাবন বিষয়বস্তুগুলো সাধারণ মানুষ খুব সহজেই আত্মস্থ করতে পারবেন। ফলে তাদের মধ্যে বিজ্ঞানমনস্ক ভাবধারা গড়ে উঠবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জিয়াউল হাসান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারের মহাপরিচালক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রণালয়াধীন সংস্থার কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা, ২১ আষাঢ় (৫ জুলাই) :
‘বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য টোল ফ্রি নম্বর চালু করেছে বিজিবি; এসব নম্বরে বিনামূল্যে ফোন দিয়ে বিজিবি’র সহায়তা নেয়া যাবে; ০১৭৬৯৬০০৫৫৫ এবং ০১৬৬৯৬০০৫৫৫।’
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আফগানিস্তানের জনগণের জন্য বাংলাদেশের মানবিক সহায়তা প্রদান
ঢাকা, ২১ আষাঢ় (৫ জুলাই) :
আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে গত ২২ জুন শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে সহস্রাধিক নাগরিক নিহত, প্রায় দুই হাজারের বেশি গুরুতর আহত এবং শত শত ঘরবাড়ি সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত হয়। ভূমিকম্পের ফলে খাদ্য ও পানি সংকট, বাসস্থান সংকট ও জরুরি চিকিৎসা সেবার অভাবে সেখানে সার্বিকভাবে মানবিক বিপর্যয় দেখা দেয়। এ প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সরকার আজ মানবিক সহায়তা হিসেবে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ শুষ্ক খাদ্য (বিস্কুট, নুডল্স, গুঁড়ো দুধ), কম্বল, তাঁবু ও ঔষধসামগ্রী আফগানিস্তান সরকারের কাছে জরুরি ভিত্তিতে প্রেরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
ভূমিকম্পে সৃষ্ট আকস্মিক এ দুর্যোগ মোকাবিলায় আফগানিস্তানের সাধারণ জনগণের জন্য পাঠানো এসব ত্রাণসামগ্রী সশস্ত্রবাহিনী বিভাগ, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড, বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ), প্রাণ-আর এফ এল গ্রুপ, আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড থেকে অনুদান হিসেবে সংগ্রহ করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সশস্ত্রবাহিনীর সক্রিয় অংশগ্রহণ ও সহযোগিতায় এই ত্রাণসামগ্রী প্রেরণ করা হচ্ছে। বিমানবাহিনীর বিশেষ বিমান সি-১৩০জে যোগে উল্লিখিত ত্রাণসামগ্রী আফগানিস্তানে পৌছানো হবে ও আফগানিস্তান সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আফগানিস্তানের সাথে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সম্পর্ক বিদ্যমান। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের নিরাপদে গমনাগমনের বিষয়ে তৎকালীন আফগান সরকার ও সাধারণ জনগণ বিশেষ সহায়তা প্রদান করেছিল। সম্পর্কের এ ঐতিহাসিক যোগসূত্র ও প্রধানমন্ত্রীর সমন্বিত উন্নয়নের নীতির ভিত্তিতে, সাম্প্রতিককালে আফগানিস্তানে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলায় আফগানিস্তানের সাধারণ জনগণকে সহায়তার জন্য ইতোমধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বাজেট থেকে এক কোটি টাকা জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা UN OCHA-র তহবিলে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, অতীতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ অন্যান্য যেকোনো মানবিক বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর সহমর্মিতার নীতি অনুসরণ করে বাংলাদেশ দ্রুত সাড়া দিয়ে ত্রাণ সরবরাহ করেছে। ইতোপূর্বে, পাকিস্তানে প্রলয়ংকরী বন্যা এবং নেপালে বিধ্বংসী ভূমিকম্পের অব্যবহিত পরে বাংলাদেশ সরকারের জরুরি ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তা দেশ দুইটির জনগণ ও সরকার কর্তৃক ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়। কোভিড-১৯ অতিমারি কালেও ভুটান, নেপাল, মালদ্বীপ ও ভারতে জরুরি ঔষধ প্রেরণ করেছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি শ্রীলংকায় অর্থনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে জরুরি ঔষধসামগ্রী অনুদান হিসেবে প্রেরণ করা হয়েছে। এর ফলে, দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশি রাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভূমিকা ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
এপিএ বাস্তবায়নে আইসিটি বিভাগের দ্বিতীয়বারের মতো প্রথম স্থান অর্জন
ঢাকা, ২১ আষাঢ় (৫ জুলাই) :
২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে ৫১টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯৮ দশমিক ৬৬ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয়বারের মতো প্রথম স্থান অর্জন করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন মূল্যায়নের ৬৩টি সূচকের মধ্যে ৬০টিতে শতভাগ সফলতা অর্জন করে আইসিটি বিভাগ সেরা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাক্ষরিত এই সম্মাননা দেয়া হয়।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম গত ৩ জুলাই রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হকের কাছ থেকে উক্ত সম্মাননাপত্র গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম আজ এ বিভাগের সভাকক্ষে আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সম্মাননা হস্তান্তর করেন। এসময় বিভাগ, সংস্থা প্রধান এবং প্রকল্প পরিচালকগণ উপস্থিত ছিলেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক আজ এপিএ তে আইসিটি বিভাগ প্রথম স্থান অর্জন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি এই অর্জনের অংশীদার হিসেবে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব, সকল সংস্থা প্রধান এবং প্রকল্প পরিচালকগণকে তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল হিসেবে বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ২০২১-২২ অর্থবছরের জুন মাসের আরএডিপি-তে অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি বিষয়ক পর্যালোচনা সভায় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরসহ বিভাগের অধীন বিভিন্ন সংস্থা প্রধানগণ এবং বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালকগণ উপস্থিত ছিলেন।
জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ দুষণরোধে গৃহীত বিনিয়োগ প্রকল্প শিশুবান্ধব করতে হবে : ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা
ঢাকা, ২১ আষাঢ় (৫ জুলাই) :
জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ দুষণরোধে গৃহীত বিনিয়োগ প্রকল্প শিশুবান্ধব করা এবং বিশ্বব্যাপী প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের জন্য টেকসই পুনর্বাসন কর্মসূচি গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। তিনি বলেন, শিশুদের জন্য একটি টেকসই বিশ্ব গঠনের লক্ষ্যে দ্রুত কার্বন নির্গমন হ্রাস করতে আমাদের এখনই আন্তরিক প্রতিশ্রুতি এবং জরুরি পদক্ষেপ প্রয়োজন।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি থেকে সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওনাল নেটওয়ার্ক ফর আরলি চাইল্ডহুড (ARNEC) আয়োজিত “এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওনাল ভার্চ্যুয়াল কনফারেন্স অন আরলি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট” সম্মেলনে বক্তৃতায় একথা বলেন। এ সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ‘ইয়াং চিল্ড্রেন ইন ক্রাইসিস: এড্রেসিং দ্য ইমপ্যাক্ট অব দি কোভিড প্যানডেমিক, ক্লাইমেট চেঞ্জ এন্ড ইনভায়রনমেন্টাল ডিগ্রেডশন”। আরনেক (ARNEC) বোর্ড অব ডিরেক্টরস চেয়ার ড. শেলডন শেফারের সভাপতিত্বে চারদিনব্যাপী ভার্চুয়াল সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন ইউনিসেফের ইস্ট এশিয়া প্যাসিফিক ডেপুটি রিজিওনাল ডিরেক্টরস মায়ো জিন নয়েট, ইউনেস্কোর এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওনাল ডিরেক্টরস শিগেরু আয়োগি ও কম্বোডিয়ার শিক্ষা, যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী ড. হ্যাং চুন ন্যারন।
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, কোভিড মহামারিতে স্কুল ও শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিশ্বব্যাপী ১৫০ কোটি এবং দক্ষিণ এশিয়ায় ৪২ কোটি শিশুদের শিক্ষা ও বিকাশ বাধাগ্রস্থ হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের শিশুদের জীবনে ঝুঁকিগ্রস্থ করে তুলছে। দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশে ঘরের বাইরের বায়ু দূষণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আন্তর্জাতিক মানের ছয় গুণ বেশি। ফলে পরিবেশ দূষণের কারণে শিশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি এবং রোগের উচ্চ ঝুঁকির সৃষ্টি হচ্ছে।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ রাষ্ট্রগুলোর একটি বাংলাদেশ অথচ জলবায়ুর পরিবর্তনে বাংলাদেশের কোনো দায় নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। একটি মেধাসম্পন্ন জাতি গড়ার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার ‘আরলি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট নীতি ২০১৩’ ও ‘কর্মপরিকল্পনা ২০১৭’ বাস্তবায়ন করছে। যার ফলে শিশুদের সুষ্ঠু শারীরিক, বুদ্ধিবৃত্তিক, সামাজিক ও আবেগীয় বিকাশ হচ্ছে।
চার দিনব্যাপী এ সম্মেলনে নেপাল, ভুটান, ফিজি ও মার্শাল আইল্যান্ডের মন্ত্রীগণ যোগদান করেন। এছাড়া ইউনিসেফ, ইউনেস্কো, বিশ্বব্যাংক, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি ইসিডি, পুষ্টি, শিক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ দুষণ রোধ বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন।
সৈয়দা শামসে আরা: সিদ্ধেশ্বরী গালর্স কলেজের প্রাক্তণ অধ্যক্ষের ইন্তেকাল : পাটমন্ত্রীর শোক
ঢাকা, ২১ আষাঢ় (৫ জুলাই):
রাজধানী ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী গালর্স কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সৈয়দা শামসে আরা হোসেন গতকাল (সোমবার) সন্ধ্যা ৭টায় উত্তরায় ১৩ নং সেক্টরে নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি—-রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
আজ (মঙ্গলবার) বাদ ফজর উত্তরায় ১৩ নং সেক্টরে গাউসুল আজম মসজিদে মরহুমার প্রথম নামাজে জানাজা অনু্ষ্ঠিত হয়।
পরে তাঁর দীর্ঘদিনের কর্মস্থল নিউবেইলি রোডে সিদ্বেশ্বরী গার্লস কলেজে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মরহুমার সহকর্মী, কলেজের শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থী অংশ নেন। পরে তাঁকে আজিমপুর কবরস্থানে তাঁর বাবার কবরে দাফন করা হয়।
শিক্ষাবিদ, সৈয়দা শামসে আরা হোসেন ১৯৬৬ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বপালন করেন।
পাট মন্ত্রীর শোক
সিদ্বেশ্বরী গার্লস কলেজ-এর অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সৈয়দা শামসে আরা হোসেন এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দু:খ প্রকাশ করেছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক।
মন্ত্রী আজ এক শোকবার্তায় বলেন, দেশের নারী শিক্ষা ও নারী ক্ষমতায়নে বিশেষ করে রাজধানী ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী গালর্স কলেজ প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদান বিশেষভাবে স্মরণীয়। মন্ত্রী মরহুমার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মানবতা ও উন্নয়নে বাংলাদেশ বিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত : এনামুল হক শামীম
শরীয়তপুর, ২১ আষাঢ় (৫ জুলাই) :
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেছেন, যে কোনো দুর্যোগে আওয়ামী লীগই মানুষের পাশে থাকে। এটি আওয়ামী লীগের একটা সংস্কৃতি ও রীতি। আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় ছিল না, তখনো তাঁরা মানুষের পাশে ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মানবতা ও উন্নয়নে বাংলাদেশ বিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মানব কল্যাণে কাজ করছে এবং সবসময় মানবতার পাশেই থাকে।
আজ নড়িয়ায় পৌরসভায় অসহায়দের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ কালে তিনি একথা বলেন।
উপমন্ত্রী শামীম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতার মা। সিলেটে যখন ভয়াবহ বন্যায় তিনি সেখানে ছুটে গেছেন, ত্রাণ তৎপরতায়রত প্রশাসন ও আমাদের দলীয় নেতাদের উৎসাহ দিয়েছেন, নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী সিলেটের প্রধান নদীগুলো ড্রেজিং করার নির্দেশনা দিয়েছেন। কারণ, পলি জমার কারণে নদীর নাব্যতা কমে গেছে।
পরে গোলাম মওলা উড়াল সেতুর অগ্রগতি পরিদর্শন, নড়িয়া হাসপাতালের কাজের অগগ্রতি পরিদর্শন করেন এনামুল হক শামীম।
পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী রাশেদুজ্জামান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলু মাল সভায় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের বিকাশ হতো না : মোস্তাফা জব্বার
ঢাকা, ২১ আষাঢ় (৫ জুলাই):
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের বিকাশ হতো না। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের রাজধানী এখন ঢাকা। পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্যিকরাও স্বীকার করেন বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বাংলাদেশেই বেঁচে থাকবে। পৃথিবীর যে কোন ডিজিটাল যন্ত্রে বাংলা ভাষা লেখার কোন সীমাবদ্ধতাও এখন আর নেই।
মন্ত্রী গতকাল রাতে ঢাকায় বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে নগদ রকমারি বইমেলার ‘বেস্ট সেলার এওয়ার্ড ২০২২’ বিতরণ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
রকমারি ডট কমের চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান সোহাগের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. আকবর আলী খান, কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক, শিক্ষাবিদ ড. মো: কায়কোবাদ, আগামী প্রকাশনার প্রতিষ্ঠাতা ওসমান গণি এবং নগদের সিইও সাফায়েত আলম বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রী বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তর প্রায় সম্পন্ন হওয়ার দ্বারপ্রান্তে উল্লেখ করে বলেন, প্রকাশকদের বড় সমস্যার নাম মার্কেটিং। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ফলে সে সংকট আজ কেটে গেছে। তিনি দৃষ্টান্ত তুলে ধরে বলেন, এমন কোন পণ্য নেই যা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বেচা-কেনা হচ্ছে না। গত কোরবানি‘র ঈদেও চার লাখ গবাদি-পশু বিক্রি হয়েছে যা অভাবনীয় তিনি বলেন, কাগজের যুগ শেষ, সামনের দিন হবে ডিজিটাল বইয়ের যুগ। পৃথিবী এখন ফিজিক্যাল ও ডিজিটাল বইয়ের সংমিশ্রণের যুগ অতিক্রম করছে। কাগজের বইয়ের পাশাপাশি ডিজিটাল বই প্রকাশে এগিয়ে আসতে প্রকাশকদের পরামর্শ দেন ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের এই অগ্রদূত।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়নে তাঁর গতিশীল নেতৃত্ব বাংলাদেশ আজ পৃথিবীর কাছে এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তিনি বলেন, ডেস্কটপ পাবলিশিংয়ের আগে দেশে সীসার হরফ তার পর ফটো টাইপসেটার ছিল মূদ্রণ শিল্পের প্রযুক্তি। পৃথিবীতে প্রথম দেশ বাংলাদেশই ট্রেসিং পেপারে প্রকাশনার কাজ করেছে। এজন্য আমি একটি লেজার প্রিন্টার নষ্ট করেছি। দীর্ঘ প্রচেষ্টায় সফলতা পেয়েছি। এরই ফলে ৮ পৃষ্ঠার একটি পত্রিকা প্রকাশ করতে যেখানে ১২০ জন মানুষের প্রয়োজন হতো সেখানে মাত্র ২০ জন মানুষ ৮ পৃষ্ঠার পত্রিকা প্রকাশের জন্য যথেষ্ট। এরই ধারাবাহিকতায় প্রকাশনা শিল্পে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হয়। এটি আমার জন্য সৌভাগ্যের যে দেশের কাগজে প্রকাশিত বইয়ের শতভাগ আমার তৈরি অক্ষর দিয়ে ছাপা হয়। পরে মন্ত্রী বিজয়ীদের মধ্যে এওয়ার্ড হস্তান্তর করেন।
বাংলাদেশ কোন অবস্থা থেকে আজকের এই অবস্থানে এসেছে সেটা নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকা, ২১ আষাঢ় (৫ জুলাই) :
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, অনেকেই বাংলাদেশের অতীতের অবস্থাকে ভুলে যায়। বাংলাদেশ অতীতের কোন অবস্থা থেকে আজকের এই অবস্থানে এসেছে সেটা নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে। কীভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি আজকের এই পর্যায়ে এসেছে সেটা সবাইকে জানতে হবে।
আজ রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর গ্রন্থ ‘বাংলাদেশের ৫০: সাফল্য ও সম্ভাবনা’ -এর প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।
আলোচনা পর্বে অংশ নিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের অর্থনীতিকে যেভাবে রেখে গিয়েছিলেন আজ তাঁর অবর্তমানে সেই ধারাবাহিকতার সাফল্য উল্লেখ করার মতো। করোনা ম্যানেজমেন্টে আমরা সারাবিশ্বে পাঁচ নম্বর এবং দক্ষিণ এশিয়াতে এক নম্বর। প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় নেতৃত্বের কারণেই কেবলমাত্র সেটি সম্ভব হয়েছে। তাজুল ইসলাম আরোও বলেন, পদ্মা সেতুতে ঋণ দেওয়া নিয়ে বিশ্বব্যাংক সরে গেল। কিন্তু সেতু করতে এর থেকেও বড়ো চ্যালেঞ্জ ছিল টেকনিক্যাল ও টেকনোলজির বিষয়গুলো। অবশেষে সব বাধা পেরিয়ে আজ পদ্মা সেতু বাস্তব সত্য।
নতুন এই বইটির বিষয়ে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রতিটি অর্জন ও সাফল্যের গল্পগুলো পত্রিকায়, বইয়ে প্রকাশ করা উচিত যেন নতুন প্রজন্ম এগুলো জানতে পারে। আমাদের অনেক বড় বড় অর্জন রয়েছে। ২০২০ ও ২০২১ সালে আমাদের বড় ইভেন্ট হয়েছে। বাংলাদেশের ৫০ বছর ও মুজিব শতবর্ষ আমরা পালন করেছি। গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্যে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের সাফল্য ও তার ধারাবাহিকতা নিয়ে পোপ ফ্রান্সিসসহ বিশ্ব নেতারা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ড. মোমেন বলেন, বিভিন্ন সময়ে আমাদের সাফল্যগুলো নিবন্ধ আকারে পত্রিকায় লিখেছি। নতুন প্রজন্মসহ সবাই যেন এগুলো জানতে পারে সেজন্য এগুলো বই আকারে প্রকাশ করেছি।
ঝুমঝুমি প্রকাশনীর উপদেষ্টা কবি জসীম উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে গ্রন্থটির ওপর আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন, অনুষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান এবি ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আফজাল, জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি (নায়েম) এর মহাপরিচালক ড. নিজামুল করিম, অধ্যাপক শাহেদুল কবির চৌধুরী প্রমুখ।