৭ জুন এক নজরে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ ডিজিটাল বিপ্লবে অংশ নিচ্ছে : মোস্তাফা জব্বার
ঢাকা, ২৪ জ্যৈষ্ঠ (৭ জুন) :
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, দু’টি শিল্প বিপ্লব পুরোপুরি ও তৃতীয় শিল্প বিপ্লব আংশিক মিস করার পর পৃথিবীতে ২০০৮ সালে ডিজিটাল বিপ্লবের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ। এর তিন বছর পর চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের শব্দটি প্রথম উচ্চারিত হয়েছে। আট বছর পর চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ধারণা প্রকাশিত হয়। আমরা ডিজিটাল হাইওয়ে বা ডিজিটাল সংযোগের মহাসড়ক তৈরি করছি। একই সাথে ইন্টারনেটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব পালনে আমাদেরকেই উদ্যোগী হতে হবে। ডিজিটাল প্রযুক্তির পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়াতে আইপিভি (ইন্টারনেট প্রটোকল ভার্সন)-৬ এ আমাদেরকে এখনই যেতে হবে। সেই সাথে টেলিকম ও ইন্টারনেট সেবার মান নিশ্চিত করতে হবে। তিনি প্রযুক্তির লেটেস্ট ভার্সন ফাইভ-জি’র প্রয়োজনীয়তা এবং এর প্রয়োগ ক্ষেত্র সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি ও পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বিটিআরসি’সহ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থাসমূহকে নির্দেশ দেন।
মন্ত্রী আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ আয়োজিত চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও ফাইভ-জি প্রযুক্তি সম্প্রসারণে করণীয় বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মোঃ খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মাহবুব-উল-আলম, বিটিসিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোঃ রফিকুল মতিন এবং বিটিআরসি’র মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ নাসিম পারভেজ বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন বুয়েট-এর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আমাদেরকে ডেটার যুগে প্রবেশ করিয়ে দিয়েছে উল্লেখ করে বলেন, পৃথিবীতে ভবিষ্যৎ সম্পদের নাম হচ্ছে ডেটা। আমি চাই আমার ডেটা আমার দেশে থাকবে। মন্ত্রী ডেটা নিজের হাতে রাখার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কাজ শুরু হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রদূত মোস্তাফা জব্বার প্রযুক্তি প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল উল্লেখ করে বলেন, পরিবর্তিত প্রযুক্তির সাথে খাপ খাইয়ে চলার মানসিকতা নিয়ে কাজ করার বিকল্প নেই। ফাইভ-জি মোবাইল প্রযুক্তি কেবল কথা বলার প্রযুক্তি নয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, শিল্প, বাণিজ্য, কৃষি ও মৎস্য চাষসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর প্রয়োগ দেশের অর্থনীতিতে অভাবনীয় পরিবর্তনের সূচনা করবে।
ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার জনক মোস্তাফা জব্বার কম্পিউটারে বাংলা ভাষা প্রবর্তনে স্টিভ জবসের উদ্ভাবনের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশে করে বলেন, তিনি কম্পিউটারে ইংরেজি ভাষার বাইরে অন্য ভাষা প্রয়োগের সুযোগ করে দিয়েছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় ৮৭ সালে কম্পিউটারে বাংলা ভাষায় পত্রিকা প্রকাশের যাত্রা শুরু করতে পেরেছি। তিনি বলেন, ২০০৮ সালে অবিসংবাদিত রাজনীতিক শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসুচি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ অতীতের তিনটি শিল্প বিপ্লব মিস করে প্রযুক্তিতে শত শত বছরের পশ্চাৎপদতা অতিক্রম করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে বিশ্বে নেতৃত্বের থাকার সক্ষমতা অর্জন করেছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে একটি যন্ত্র সভ্যতার বিপ্লব আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, জাপানসহ পশ্চিমা বিশ্ব এখন ডিজিটাল মানবিক বিপ্লব তথা ৫ম শিল্প বিপ্লবের বা সোসাইটি ফাইভ পয়েন্ট জিরো’র কথা ভাবছে। এখন আইটি প্রযুক্তিতেই সীমাবদ্ধ থাকা নয়, ডিজিটাল প্রযুক্তিই হবে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার মূল শক্তি। শিক্ষার্থীদের বিশেষ করে আইটি শিক্ষার্থীদের বাস্তব জীবনের সাথে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে দক্ষ ডিজিটাল মানব সম্পদ হিসেবে তৈরি করতে হবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
তথ্য অধিদফতরের কর্মকর্তাদের ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে পরিদর্শন
ঢাকা, ২৪ জ্যৈষ্ঠ (৭ জুন) :
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে আজ ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে পরিদর্শন করেছে তথ্য অধিদফতরের এক পরিদর্শন দল। তথ্য অধিদফতরের সিনিয়র উপপ্রধান তথ্য অফিসার খালেদা বেগম ও মোঃ আবদুল জলিল ১৬ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। পরিদর্শনকালে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা এক্সপ্রেসওয়ের ঢাকা-মাওয়া অংশের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখেন এবং স্থানীয় জনগণের সাথে কথা বলেন।
এ সময় স্থানীয়রা জানান, এই এক্সপ্রেসওয়ে চালু হওয়ার ফলে রাজধানী ঢাকার সাথে এ অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার বৈপ্লবিক উন্নতি হয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য ও অন্যান্য অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডেও অভাবনীয় অগ্রগতি হচ্ছে। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর এক্সপ্রেসওয়ে পরিপূর্ণভাবে চালু হলে এক্সপ্রেসওয়ে সংলগ্ন এলাকায় ব্যবসা বাণিজ্য ও শিল্পকারখানা স্থাপন কার্যক্রমে আরো গতি আসবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন। সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত যেতে সময় লাগে মাত্র ৩০ মিনিট। প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের মতে, পদ্মা সেতু চালু হলে এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত যেতে সময় লাগবে মাত্র ৪২ মিনিট। এর ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াতে সময় ৪-৫ ঘণ্টা কমে আসবে। যার ফলে উপকৃত হবে বরিশাল ও খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলাসহ দেশের সমগ্র দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ। এসব জেলায় নতুন নতুন শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠিত হবে, অর্থনীতিতে আসবে নতুন গতি। কৃষি ও অন্য পচনশীল পণ্যসহ এসব জেলার উৎপাদিত পণ্যসমূহ তখন খুব কম সময়ে রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য এলাকায় সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২০ সালের ৮ এপ্রিল ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করেন। ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই এক্সপ্রেসওয়ে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা থেকে মাওয়া পর্যন্ত অংশের দৈর্ঘ্য ৩৫ কিলোমিটার এবং পদ্মা সেতু পার হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত অংশের দৈর্ঘ্য ২০ কিলোমিটার। আন্তর্জাতিক মানের ছয় লেন বিশিষ্ট এই এক্সপ্রেসওয়েতে ৫টি ফ্লাইওভার, ১৯টি আন্ডারপাস, ৩১টি সেতু, ৪৫টি কালভার্ট এবং দুইটি সার্ভিস লেন রয়েছে। এক্সপ্রেসওয়ের দুই অংশে যানবাহন চলাচল করলেও পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় এতদিন এই সড়কের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। আশা করা যাচ্ছে, আগামী ২৫শে জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ এ আধুনিক মহাসড়ক পরিপূর্ণভাবে ব্যবহার করতে পারবেন। দেশের প্রথম জাতীয় এক্সপ্রেসওয়ে হিসেবে যোগাযোগ, পরিবহন, শিল্পায়ন, কানেক্টিভিটি এবং জাতীয় অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে এর অবদান হবে সুদূরপ্রসারী।
সমাজকল্যাণ সচিব কর্তৃক সুবর্ণ ব্যক্তিদের পণ্য প্রদর্শনী ও বিক্রয় কেন্দ্রের উদ্বোধন
ঢাকা, ২৪ জ্যৈষ্ঠ (৭ জুন) :
আজ রাজধানীর মিরপুরস্থ জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের সুবর্ণ ভবনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সুবর্ণ ব্যক্তিদের পণ্য প্রদর্শনী ও বিক্রয় কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম।
এ সময় জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিশেষ শিক্ষা শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে সচিব জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন পরিদর্শন করেন ও কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন।
হাট ও বাজারের পেরিফেরি বহির্ভূত সরকারি খাসজমিতে মার্কেট নির্মাণের ব্যবস্থা
ঢাকা, ২৪ জ্যৈষ্ঠ (৭ জুন) :
হাট ও বাজারের পেরিফেরি বহির্ভূত সরকারি খাসজমিতে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বহুতলবিশিষ্ট মার্কেট নির্মাণ বিষয়ক এক নীতিমালা তৈরি করতে যাচ্ছে ভূমি মন্ত্রণালয়। আশা করা যাচ্ছে এতে স্থানীয় পর্যায়ে অর্থনৈতিক কার্যক্রম বাড়বে, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার হবে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সভাতিত্বে আজ ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘হাট ও বাজারের পেরিফেরি বহির্ভূত সরকারি খাসজমিতে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বহুতলবিশিষ্ট মার্কেট নির্মাণ’ নীতিমালা প্রস্তুত বিষয়ক এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভূমিমন্ত্রী এ সময় বলেন, এই ধরনের বহুতল মার্কেট নির্মাণ হলে তাতে স্থানীয় প্রকৃত ব্যবসায়ীদের অগ্রাধিকার প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ নিরাপত্তার নিশ্চিত করতে হবে।
ভূমি সচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান এসময় উপস্থিত ছিলেন। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন অর্থ বিভাগ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ।
উল্লেখ্য, ভূমি মন্ত্রণালয়ের মালিকানাধীন বিদ্যমান হাট-বাজারের পেরিফেরির মধ্যে অবস্থিত খাসজমিতে বহুতল মার্কেট নির্মাণের জন্য পৃথক নীতিমালা রয়েছে। এই নীতিমালায় হাট-বাজারের বাহিরের খাসজমিতে মার্কেট নির্মাণের কোনো বিধান নেই।
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহ স্ব স্ব এলাকায় ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার, স্থানীয় জনগণকে পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ে অধিকতর সেবা প্রদান এবং স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের আয় বৃদ্ধির স্বার্থে বিদ্যমান হাটবাজারের পেরিফেরির বাহিরে সুবিধাজনক খাসজমিতে বহুতল মার্কেট নির্মাণকল্পে ভূমি মন্ত্রণালয়ের নিকট খাসজমি বরাদ্দের আবেদন জানিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে যে-সকল স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান বিদ্যমান অকৃষি খাসজমি বন্দোবস্ত নীতিমালার আওতায় বাজারমূল্য দিয়ে খাসজমি বন্দোবস্ত নিতে সক্ষম নয় বা প্রত্যাশিত খাসজমি তাদের অনুকূলে দীর্ঘমেয়াদি বন্দোবস্ত দেওয়া সম্ভব নয় সে-সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে খাসজমিতে মার্কেট নির্মাণের সুযোগ দেওয়ার লক্ষ্যে উপর্যুক্ত নীতিমালা তৈরি করা হচ্ছে।
অংশীজনের মতামত ও প্রয়োজনীয় যাচাইয়ের পর এই নির্দেশাবলি অনুমোদিত হয়ে জারি হলে তিন পার্বত্য জেলা ব্যতীত সমগ্র বাংলাদেশে কার্যকর হবে। তবে তা কেবলমাত্র সংশ্লিষ্ট স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান (ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ ও সিটি-কর্পোরেশন) কর্তৃক স্ব স্ব এলাকায় বিদ্যমান হাট ও বাজারের পেরিফেরির বাহিরে অবস্থিত সরকারি খাসজমির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
এক্ষেত্রে, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনসাপেক্ষে দেশের যে-কোন স্থানে অবস্থিত হাট-বাজারের পেরিফেরির বাহিরের সরকারি খাসজমিতে কেবলমাত্র জনস্বার্থে ও সরকারি/বেসরকারি অর্থায়নে অথবা বৈদেশিক সাহায্যে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আধুনিক বহুতলবিশিষ্ট মার্কেট নির্মাণ করা যাবে। তবে এক্ষেত্রে বহুতল মার্কেট নির্মাণের অর্থায়নের উৎসসহ প্রকল্প প্রস্তাব স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ে আবেদনের সাথে তার অনুলিপি দাখিল করতে হবে।
পদ্মা সেতুর ভিত্তি নিয়ে মিথ্যাচার করে নিজের রেকর্ড ভাঙলেন মির্জা ফখরুল : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ২৪ জ্যৈষ্ঠ (৭ জুন) :
পদ্মা সেতুর ভিত্তি স্থাপন নিয়ে মিথ্যাচার করে বিএনপি মহাসচিব নিজের অসত্য কথনের রেকর্ড ভেঙেছেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ।
আজ রাজধানীর কাকরাইলে প্রেস ইনস্টিটিউটের সেমিনার কক্ষে সাংবাদিকরা মির্জা ফখরুলের সাম্প্রতিক মন্তব্য ‘বেগম জিয়া পদ্মা সেতুর ভিত্তি স্থাপন করেছেন’ এ নিয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী একথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, ‘ফেসবুকে দেখলাম যে ফখরুল সাহেব নিশ্চয়ই কিছু খেয়েছিলেন, সেজন্য এরকম বলেছেন। কিন্তু আমি নিশ্চিত, অনেকে খেলেও তিনি এরকম কিছু খান না। তিনি ভদ্র মানুষ। কিন্তু কোনো কিছু না খেয়েও যে তিনি জলজ্যান্ত মিথ্যা কথা বলতে পারেন, সেটি প্রমাণ করে মির্জা ফখরুল সাহেব নিজেই নিজের মিথ্যাচারের রেকর্ড ভঙ্গ করলেন। আসলে পদ্মা সেতু হয়ে যাওয়াতে তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে, খেই হারিয়ে ফেলেছে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০১ সালের ৪ জুলাই পদ্মা সেতুর ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন উল্লেখ করে মন্ত্রী এসময় তাঁর মোবাইল থেকে ভিত্তিপ্রস্তর, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী মোঃ আনিছুল হক চৌধুরীর বাণী ও স্মরণিকার ছবিগুলো উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপিকে এ ধরনের অপপ্রচার না করে ভুল স্বীকার করার অনুরোধ জানাই। বিএনপির এখন বলা উচিত, তারা যে পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করেছিলো, সেটি তাদের ভুল ছিলো। ভুল স্বীকার করতে কোনো বাধা নেই, লজ্জাও নেই।’
এর আগে প্রেস ইনস্টিটিউটের সেমিনার কক্ষে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) আয়োজিত ‘শিশু বিষয়ক উন্নয়নে সাংবাদিকতা’ বিষয়ে দিনব্যাপী কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী।
কর্মশালাটিকে সময়োপযোগী বর্ণনা করে ড. হাছান বলেন, শিশুরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। আর উন্নত ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজন তাদের আত্মিক উন্নয়ন। কারণ, শুধু বস্তুগত উন্নয়ন টেকসই হয় না। বস্তুগত বা অবকাঠামোগত উন্নয়নই যদি একমাত্র উন্নয়ন হতো তাহলে ইউরোপের দেশগুলোতে মানবিকতা ও মূল্যবোধের সংকট হতো না, দুর্ঘটনা হলে শুধু জরুরি সেবার অপেক্ষায় থাকতে হতো না, বয়স্ক ব্যক্তি মানেই বৃদ্ধাশ্রমে যেতে হতো না।
মন্ত্রী বলেন, ‘ইউরোপ-আমেরিকার অন্ধ অনুকরণ নয়, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা উন্নত রাষ্ট্র গঠনের পাশাপাশি একটি মানবিক রাষ্ট্রও গঠন করতে চান। সেজন্য নতুন প্রজন্মের মনের গভীরে মেধা, মূল্যবোধ, দেশাত্মবোধ, মমত্ববোধ -এই চারের সমন্বয় ঘটাতে হবে। এবং এই কাজে সাংবাদিকদের হৃদয়গ্রাহী তথ্যনির্ভর প্রতিবেদন শিশু, তাদের অভিভাবক, শিক্ষকসহ সমাজকে সচেতন করতে পারে।’
বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ বাদল, বাসসের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুর রহমান প্রমুখ কর্মশালায় বক্তব্য দেন। শেষে অংশগ্রহণকারীদের হাতে সনদ তুলে দেন মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ’র সহধর্মিণী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহান আরা বেগমের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
বরিশাল, ২৪ জ্যৈষ্ঠ (৭ জুন) :
আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বোনের ছেলে আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ’র সহধর্মিণী, মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেত্রী, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহান আরা বেগমের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে বরিশালে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও পরিবারের পক্ষ থেকে দিনব্যাপী বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। বরিশাল ক্লাব মিলনায়তনে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
মাহফিলে মরহুমার স্বামী পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, মরহুমার পুত্র বরিশালের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদেক আবদুল্লাহ্, সংসদ সদস্য মোঃ শাহে আলম, শওকত হাচানুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান জয়, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বরিশাল বিভাগের ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মাহফিলে দেশপ্রেমিক, সফল সমাজকর্মী ও মহিলা সংগঠক মরহুমা সাহান আরা বেগমের বর্ণাঢ্য জীবন ও কর্মের ওপর আলোকপাত করে তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মরহুমার শ্বশুড় সাবেক মন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাত, ১৫ই আগস্টের শহিদসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনাসহ দেশ ও জাতির অব্যাহত সুখ, সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
খাদ্য সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানকে একটি সংস্থার অধীনে আনার প্রক্রিয়া চলছে : খাদ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ২৪ জ্যৈষ্ঠ (৭ জুন) :
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, খাদ্য উৎপাদনকারী থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরের ব্যবসায়ীদেরকে সরকারি ১৮টি সংস্থার অধীনে কাজ করতে হয়। এজন্য বিভিন্ন জটিলতার সৃষ্টি হয়। এজন্য খাদ্য সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানকে একটি সংস্থার অধীনে আনার প্রক্রিয়া চলছে। তিনি বলেন, তবে খাদ্য ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কৃষি, বাণিজ্য, শিল্প এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সংস্থাগুলোর মধ্যে মতভেদ রয়েছে। এজন্য কারা তদারকি করবে সে বিষয়টি কেবিনেট (মন্ত্রিপরিষদ সভা) – এ উত্থাপন করা হয়েছে। কেবিনেট বলে দেবে এগুলো কার কাজ।
আজ বিশ্ব নিরাপদ খাদ্য দিবস ২০২২ উপলক্ষ্যে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘উন্নত অর্থনীতির জন্য নিরাপদ খাদ্য’ শীর্ষক সেমিনারের মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
খাদ্যসচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুমের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফরাসউদ্দিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গিয়াসউদ্দিন মিয়া, এফএওর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ রবার্ট সিম্পসনসহ খাদ্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাপ্রধান, এফএওর প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খাদ্য নিরাপত্তায় সবচেয়ে বেশি কাজ করছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ লাইসেন্সিং অথরিটি না। এক্ষেত্রে অনেক সময় কাজ করতে সমস্যা হয়।
খাদ্য ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, আপনারাও খাদ্যের মান উন্নয়ন করুন। কেউ কেউ মুনাফার জন্য ইচ্ছে করে অনিরাপদ খাদ্য তৈরি করে। সরকার চায় দেশের খাদ্য বিদেশের বাজার জয় করুক। এখন যেটুকু বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে, সেটা প্রবাসী বাংলাদেশিরা খাচ্ছে। বিদেশের বাজার জয় করতে পারলে অন্য দেশের মানুষও বাংলাদেশি পণ্য খাবে। চাল নিয়ে মন্ত্রী বলেন, চাল নিরাপদ করতে আমরা সেটা কতটুকু ছাঁটাই করা যাবে, কি মেশানো যাবে, কোনটা যাবে না, সে আইন করছি। তাতে পুষ্টিমান ঠিক থাকবে। খসড়া আইনটি কেবিনেটে পাস হয়ে এখন ভেটিংয়ে রয়েছে। আশা করছি আগামী অধিবেশনে সেটি পাস হবে। তখন চাল ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, চালের দাম স্থিতিশীল রাখার জন্য জনসচেতনতাও দরকার। আমরা বস্তায় চাল কিনি না। কিন্তু সেটা যখন পালিশ করে প্যাকেটে ভরে সেটা ১০ টাকা বেশি দিয়ে কিনি। সেজন্য ব্যবসায়ীরাও সেটা করে।
পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি করে টেকসই উন্নয়নে ভূমিকা রাখুন : পানি সম্পদ উপমন্ত্রী
ঢাকা, ২৪ জ্যৈষ্ঠ (৭ জুন) :
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, গবেষণার মাধ্যমে পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির দ্বারা টেকসই উন্নয়নে ভূমিকা রাখুন। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এবং আগামী প্রজন্মের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডেল্টা প্লান দিয়েছেন। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী ও দীর্ঘ মেয়াদি প্রকল্প নিচ্ছে। আপনারা সঠিকভাবে নদী সমীক্ষা করবেন। নদীমাতৃক বাংলাদেশের নদ-নদী শুকিয়ে যাচ্ছে। রুটিন কাজ নয়, সামাজিক দায়বদ্ধতা নিয়ে দেশের জন্য কাজ করবেন।
আজ রাজধানীর সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল এন্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সিইজিআইএস) কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে উপমন্ত্রী একথা বলেন।
এনামুল হক শামীম বলেন, প্রধানমন্ত্রী ডেল্টাপ্লান ২১০০ নিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কাজ করে চলেছেন। ২০১৯ সালে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন বলেছিলেন, ‘দুর্যোগ মোকাবিলায় সারা বিশ্বে শেখ হাসিনা শিক্ষকের ভূমিকা পালন করে চলেছেন’।
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী বলেন, নদী ড্রেজিংসহ নানা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়নের দায়িত্ব বেশি মাঠ প্রযায়ের কর্মকর্তাদের। কাজেই সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করুন। তিনি বলেন, এখন থেকে স্থায়ী প্রকল্প নিতে সুদূরপ্রসারী চিন্তাভাবনা দরকার। যথাযথ দায়িত্ব পালন করলে কোনো কাজই বাধা নয়। তিনি আরো বলেন, আগে প্রতিবছর হাজার হাজার ঘর বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হতো। গত ১৩ বছর বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকার আসার পর নদী ভাঙন কমে এসেছে। এজন্য দীর্ঘ ও মধ্যম মেয়াদি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, যাতে আর কেউ গৃহহারা না হন।
সিইজিআইএস এর কাজের প্রশংসা করে উপমন্ত্রী বলেন, আপনাদের গবেষণা কাজ অনেক সুফল দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক সুনাম বয়ে আনছেন। আরো ভালো করে কাজ করতে হবে।
এ সময় প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা আবদুল্লাহ খান, কর্মকর্তা ও উপদেষ্টাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ড. মাইনুল হক সরকার, মাহমুদুল হাসান, সাজ্জাত হাসান, মজিবুল হক, সারাফাজ ওয়াজেদ, দিলরুবা আহমেদ, রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।