পবিত্র আশুরা উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির বাণী
পবিত্র আশুরা উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২৪ শ্রাবণ (৮ আগস্ট) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ৯ আগস্ট পবিত্র আশুরা উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“পবিত্র আশুরা অত্যন্ত শোকাবহ, তাৎপর্যপূর্ণ ও মহিমান্বিত একটি দিন। বিভিন্ন কারণে এ দিনটি বিশ্বের মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত গুরু্ত্বপূর্ণ, পবিত্র ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ ।
হিজরী ৬১ সালের ১০ মহরম মহানবী হযরত মুহম্মদ (সঃ) এর প্রিয় দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেন (রাঃ) ও তাঁর পরিবারবর্গ কারবালা প্রান্তরে শাহদতবরণ করেন। সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় তাঁদের এ আত্মত্যাগ মুসলিম উম্মার জন্য এক উজ্জ্বল ও অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে।
করোনাভাইরাস আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। আমাদের সরকার এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। আমরা জনগণকে সকল সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছি।
আল্লাহ বিপদে মানুষের ধৈর্য পরীক্ষা করেন। এসময় সকলকে অসীম ধৈর্য নিয়ে সহনশীল ও সহানুভূতিশীল মনে একে অপরকে সাহায্য করে যেতে হবে। পাশাপাশি আমি এই মহামারিতে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পবিত্র আশুরা পালন করার অনুরোধ জানাই।
আমরা যেন ঘরে পরিবার-পরিজন নিয়ে পবিত্র আশুরার আনন্দ উপভোগ করি এবং আল্লাহতায়ালার দরবারে বিশেষ দোয়া করি যেন এই সংক্রমণ থেকে সবাই দ্রুত মুক্তি পাই।
আসুন, আমরা সকলে পবিত্র আশুরার মর্মবাণী অন্তরে ধারণ করে জাতীয় জীবনে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জনকল্যাণমুখী কাজে অংশ নিয়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের বৈষম্যহীন, সুখী, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
পবিত্র আশুরা উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ২৪ শ্রাবণ (৮ আগস্ট) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আগামীকাল ৯ আগস্ট পবিত্র আশুরা উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“পবিত্র আশুরা উপলক্ষ্যে আমি সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর প্রাণপ্রিয় দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেন (রাঃ) সহ কারবালা প্রান্তরে শাহাদত বরণকারী সকল শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।
পবিত্র আশুরা সমগ্র মুসলিম উন্মার জন্য এক তাৎপর্যময় ও শোকের দিন। সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে হিজরি ৬১ সনের ১০ মহরম হযরত ইমাম হোসেন (রাঃ), তাঁর পরিবারের সম্মানিত সদস্য ও ঘনিষ্ঠ সহচরবৃন্দ বিশ্বাসঘাতক ইয়াজিদের সৈন্যদের হাতে কারবালার প্রান্তরে শহিদ হন। ইসলামের সুমহান আদর্শকে সমুন্নত রাখার জন্য তাঁদের এই আত্মত্যাগ ইতিহাসে সমুজ্জ্বল হয়ে আছে। কারবালার শোকাবহ ঘটনার স্মৃতিতে ভাস্বর পবিত্র আশুরার শাশ্বত বাণী আমাদেরকে অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে উদ্বুদ্ধ করে, প্রেরণা যোগায় সত্য ও সুন্দরের পথে চলার। পবিত্র আশুরার মহান শিক্ষা আমাদের সকলের জীবনে প্রতিফলিত হোক – এ প্রত্যাশা করি।
ইসলাম শান্তি ও সম্প্রীতির ধর্ম। কোনো ধর্মই হানাহানি, হিংসা, দ্বেষ বা বিভেদ সমর্থন করে না। পবিত্র আশুরার এই দিনে আমি সাম্য, ন্যায়ভিত্তিক ও শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি মুসলিম উম্মার ঐক্য, সংহতি ও অব্যাহত অগ্রগতি কামনা করি। মহান আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”