গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখা সকল রাজনৈতিক দলের সম্মিলিত দায়িত্ব : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট) :
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, অব্যাহতভাবে নির্বাচনকে বর্জন ও প্রতিরোধের সংস্কৃতি লালন করলে গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়ে।
মন্ত্রী বলেন, দেশে গণতান্ত্রিক সরকার রাষ্ট্র চালাচ্ছে। গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করা কিংবা গণতন্ত্রকে সংহত করা কোনো একক রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব নয়। সমস্ত রাজনৈতিক দলের সম্মিলিত দায়িত্ব হচ্ছে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখা।
আজ রাজধানীর একটি হোটেলে ইউএসএইড এবং বেসরকারি আন্তর্জাতিক সংস্থা ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল আয়োজিত রাজনৈতিক ই-প্রশিক্ষণ প্লাটফর্ম পলিটিক্সম্যাটারসডটকমডটবিডি (politicsmatters.com.bd) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের চিফ অভ্ পার্টি ডানা এল ওল্ডসের সভাপতিত্বে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
আমাদের গত ৫০-৫১ বছরের ইতিহাসে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা তখনই হুমকির মুখে পড়েছে যখন অস্ত্র উঁচিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করা হয়েছে এবং সেই ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে রাজনৈতিক দল গঠিত হয়েছে, বলেন মন্ত্রী। দেশের কল্যাণে রাজনীতিসহ সকল অঙ্গনে সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশের ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, সাংঘর্ষিক রাজনীতি এবং সবকিছুতে না বলার যে রাজনীতি-সংস্কৃতি আমাদের রাজনীতিতে তিক্ততা বাড়িয়েছে, এটি থেকে বেরিয়ে আসতে পারলে পরিবেশ সৌহার্দপূর্ণ হবে। সুতরাং আমি আশা করবো যে, আগামী নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবে এবং একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে আগামী সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ সম্পর্কে ড. হাছান বলেন, দেশ ও সমাজের উন্নয়নে দেশাত্মবোধ, মানবিকতা এবং মমত্ববোধ জাগরণে রাজনৈতিক কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। রাজনীতির কর্মীরা অনেকেই জানে না যে রাজনীতি একটা ব্রত।
এসময় সদ্যপ্রকাশিত ই-প্রশিক্ষণ প্লাটফর্মের উদ্যোক্তাদের প্রশংসা করেন মন্ত্রী। উল্লেখ্য, পলিটিক্স ম্যাটারস ই-প্লাটফর্ম রাজনৈতিক প্রশিক্ষণে ৮টি কোর্স চালু করেছে।
শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে চার কোম্পানি লভ্যাংশ জমা দিল ৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা
ঢাকা, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট) :
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে চার কোম্পানি- মেঘনা পেট্রোলিয়াম, সিমেন্ট কোম্পানি লাফার্জ হোলসিম, ইস্পাত কোম্পানি বিএসআরএম এবং অক্সিজেন লিন্ডে বাংলাদেশ গত এক বছরের লভ্যাংশ জমা দিয়েছে ৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ।
আজ সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সাথে সাক্ষাৎ করে কোম্পানি চারটির প্রতিনিধিদল নিজ নিজ কোম্পানির পক্ষে প্রতিমন্ত্রীর হাতে ৬ কোটি ৯৫ লাখ ৭৪ হাজার ৪ টাকার চেক তুলে দেয়।
লাফার্জ হোলসিমের পক্ষে চিফ করপোরেট এফেয়ার্স অফিসার এবং মানবসম্পদ পরিচালক আসিফ ভূঁইয়ার নেতৃত্বে ২ কোটি ২৫ লাখ ৯২ হাজার ২৭ টাকা, বিএসআরএম এর পক্ষে হেড অভ্ করপোরেট এফেয়ার্স সৌমিত্র কুমার মুৎসুদ্দির নেতৃত্বে ১ কোটি ৯৯ লাখ ৩৮ হাজার ২৯৩ টাকা, মেঘনা পেট্রোলিয়ামের পক্ষে জসিম উদ্দিন ১ কোটি ৯১ লাখ ৭৮ হাজার ৬৮৪ টাকা এবং অক্সিজেন কোম্পানি লিন্ডে বাংলাদেশের পক্ষে মানবসম্পদ বিভাগের সহযোগী পরিচালক সাইকা মাজেদের নেতৃত্বে ৭৮ লাখ ৬৫ হাজার টাকার চেক জমা দেন।
দেশি, বিদেশি এবং বহুজাতিক মিলে ২৬৫টি প্রতিষ্ঠান তাদের লভ্যাংশের নির্দিষ্ট অংশ নিয়মিত এ তহবিলে জমা দিয়ে আসছে। আজ পর্যন্ত এ তহবিলে জমার পরিমাণ প্রায় ৭শ’ ৪৭ কোটি টাকা। শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের কল্যাণের জন্য বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী সরকার ফাউন্ডেশন তহবিল গঠন করে। এ তহবিল থেকে প্রাতিষ্ঠানিক অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের কর্মস্থলে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু, আহত ও দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত শ্রমিকের চিকিৎসা এবং শ্রমিকের মেধাবী সন্তানের উচ্চশিক্ষায় সহায়তা দেয়া হয়। এখন পর্যন্ত ১৫ হাজার ২৩৭ শ্রমিককে এ তহবিল থেকে প্রায় ৬৬ কোটি টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
চেক প্রদান অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক গোকুল কৃষ্ণ ঘোষ, বিএসআরএম এর আইআর এবং এমপ্লয়ি এনগেজমেন্ট সিনিয়র ম্যানেজার মোঃ ইসমাইল, মেঘনা পেট্রোলিয়ামের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার জসিম উদ্দিন আহমেদ এবং লিন্ডে বাংলাদেশের আইআর ও এডমিনের সহযোগী জেনারেল ম্যানেজার সুফিয়া ওয়াহেদ উপস্থিত ছিলেন।
সংকট সাময়িক, মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর
ঢাকা, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট) :
করোনা মহাসংকটের পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি সাময়িক উল্লেখ করে এ সংকট মোকাবিলায় দেশের মানুষকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।
আজ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত ‘নিত্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি: জনজীবনে চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
মন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ চলমান। এই যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বেই এখন টালমাটাল অবস্থা। অর্থনীতি, সামাজিক অবস্থা এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ সবকিছু নিয়েই মানুষ আতঙ্কিত। এখন আবার তাইওয়ান-চায়না উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। সেটির প্রভাব কিন্তু সারা বিশ্বে পড়বে। পৃথিবীতে কী হতে যাচ্ছে ভবিষ্যৎ বাণী করা কঠিন।
মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিশ্বের অনেক দেশ প্রয়োজনের বড় অংশ গ্যাসসহ ফুয়েলের ক্ষেত্রে রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল। ফুয়েল উৎপাদনে প্রথম হচ্ছে ভেনিজুয়েলা, এরপর সৌদি আরব এবং তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। যুদ্ধের কারণে এসব দেশ তেল সরবরাহ করতে না পারায় সারা বিশ্বেই দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের দেশও এর বাইরে নয়।
মন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষ কষ্টে থাকুক এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কখনোই চান না। জাতির পিতা দেশ স্বাধীন করেছেন এদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করে হাসি ফোটানোর জন্য। সেই লক্ষ্য পূরণে কাজ করছেন শেখ হাসিনা। তিনি আরো বলেন, গ্রাম-গঞ্জের কোনো মানুষ না খেয়ে নেই। প্রত্যেকটি মানুষ খেতে পারছে। প্রত্যেক মানুষের গায়ে জামা-কাপড় আছে। গ্রামের প্রায় সব রাস্তাঘাট পাকা হয়ে গেছে। প্রত্যেক গ্রামে প্রাইমারি স্কুল করা হয়েছে, ঘর না থাকলে ঘর করে দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, সবক্ষেত্রে ভর্তুকি দেয়া যায় না। ভর্তুকি দিয়ে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। সরকার কাকে ভর্তুকি দিবে? ধনীকে না গরিবকে? সবখানে ভর্তুকি দিলে অন্য খাতগুলো শৃঙ্খলা হারাবে। ভর্তুকি কোথায় দিতে হবে সরকার সেটি অ্যানালাইসিস করে তারপর দেয়।
মন্ত্রী বলেন, মানুষের জীবনযাত্রা অব্যাহত রাখার জন্য করোনা মহাসংকটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতি নিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চলমান রাখা হয়েছিল। দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে পূর্ব থেকেই করোনার টিকা ক্রয়াদেশ দেয়া হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী জানতেন টিকার ক্রাইসিস দেখা দিবে। বাংলাদেশ পৃথিবীর মধ্যে করোনা মোকাবিলায় পঞ্চম স্থান অর্জনে করেছে, এশিয়াতে এক নম্বর অবস্থানে রয়েছে। তিনি বলেন, স্বাধীনতার যুদ্ধে জাতির পিতার ডাকে সাড়া দিয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে এদেশ স্বাধীন করেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের ৯০ শতাংশ মানুষ একত্রে থাকলে আমরা যে কোনো সংকট মোকাবিলা করে বিজয় অর্জন করবোই। বর্তমান সংকট বৈশ্বিক তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি অমিতোষ পালের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল মামুনের সঞ্চালনায় সংলাপে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অভ্ বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি হিসেবে গোলাম রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) -এর অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হক ও ঢাবির উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক রিয়াজুল হক বক্তব্য রাখেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযোগ্য সম্মান ও সম্মানী শেখ হাসিনার সরকার-ই দিয়েছে : পরিবেশ মন্ত্রী
ঢাকা, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট) :
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযোগ্য সম্মান ও মাসিক ২০ হাজার টাকার সম্মানী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার-ই প্রদান করেছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা, বাসগৃহ এবং চিকিৎসা সুবিধাসহ আনুষঙ্গিক বিভিন্ন প্রকার সহযোগিতা বর্তমান সরকার প্রদান করে চলেছে। তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ বর্তমান সরকারের কাছে সর্বোচ্চ সম্মানের। আওয়ামী লীগ সরকার তাঁদের কল্যাণে ভবিষ্যতে প্রয়োজনীয় সবকিছু করবে ।
আজ মৌলভীবাজারের বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ডিজিটাল আইডি কার্ড ও ডিজিটাল সার্টিফিকেট বিতরণ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ঢাকাস্থ সরকারি বাসভবন হতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জ্বালানি তেলসহ দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি সাময়িক উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ইউরোপে চলমান যুদ্ধের কারণে উন্নত দেশগুলোতে কয়েক মাস পূর্বেই দ্রব্যমূল্য দ্বিগুণ, তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেসময় আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের ক্রয়মূল্য কয়েকগুণ বাড়লেও জনগণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রী জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করেননি। কিন্তু ক্রয়মূল্য ক্রমাগতভাবে বেশি হওয়ায় সরকার বর্তমানে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি করেছে। মন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্য হ্রাস পেলে বাংলাদেশে তা সমন্বয় করা হবে। তিনি দেশের স্বার্থে এ সময়টুকু জনগণকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বড়লেখা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সোয়েব আহমদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মোদাচ্ছির বিন আলী, বড়লেখা পৌরসভার মেয়র আবুল ইমাম মোঃ কামরান চৌধুরী এবং জুড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. এ. মোঈদ ফারুক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া সুলতানাসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বড়লেখা উপজেলার ১৮৫ জন জীবিত মুক্তিযোদ্ধাকে স্মার্ট আইডি কার্ড ও ডিজিটাল সার্টিফিকেট এবং ২৩৬ জন মৃত মুক্তিযোদ্ধার উপযুক্ত উত্তরাধিকারীকে ডিজিটাল সার্টিফিকেট প্রদান করেন। এছাড়াও জুড়ী উপজেলার ৭৫ জন জীবিত মুক্তিযোদ্ধাকে স্মার্ট আইডি কার্ড ও ডিজিটাল সার্টিফিকেট এবং ১০৭ জন মৃত মুক্তিযোদ্ধার উপযুক্ত উত্তরাধিকারীকে ডিজিটাল সার্টিফিকেট প্রদান করেন।
পরে অপর এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বড়লেখা উপজেলার ৯১ জন এবং জুড়ী উপজেলার ৫৩ জন গ্রাম পুলিশকে বাইসাইকেল প্রদান করেন।
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালনকালে কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যবিধিসমূহ
ঢাকা, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট) :
Photo exhibition at Bangladesh Secretariat on the occasion of National Mourning Day
Dhaka, 26 Shravan (10 August):
A week-long Photo Exhibition and Digital Display will be organized at the Bangladesh Secretariat as part of the observance of the National Mourning Day and the 47th martyrdom anniversary of the Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman. The Press Information Department (PID) will organize the program.
Minister for Information and Broadcasting Dr. Hasan Mahmud will inaugurate the Photo Exhibition tomorrow (Thursday, 11 August 2022 at 12:00 pm) at the Secretariat
Clinic, Building No. 9 premises. Hundreds of rare photographs and news clippings on life and work of Father of the Nation are on display.
উপাত্ত সুরক্ষা আইনের খসড়া
গণমাধ্যমকর্মীদের মতামত দিতে আগামী ১০ দিন সময় রাখা হয়েছে : আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট) :
উপাত্ত সুরক্ষা আইনের খসড়ায় গণমাধ্যমকর্মীদের মতামত দিতে আগামী ১০ দিন সময় রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল সম্মেলন কক্ষে প্রস্তাবিত ‘উপাত্ত সুরক্ষা আইন ২০২২’ এর খসড়া বিষয়ে সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের সুপারিশ ও মতামত নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা জানান।
আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্যে রাখেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রনজিৎ কুমার, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের পরিচালক তারেক এম বরকতুল্লাহ। বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিগণ খসড়া আইনটির বিষয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন।
দেশের তথ্য উপাত্তের স্বাধীনতা ও সার্বোভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই আইন করা হচ্ছে জানিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ডেটা অতি মূল্যবান সম্পদ। যারা এই ডিজিটাল ডেটা সঠিকভাবে সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা করতে পারবে তারাই হবে অত্যন্ত সম্পদশালী জাতি। তিনি বলেন, নাগরিকের তথ্য-উপাত্তের স্বাধীনতা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই এই আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। ডেটা যেন বিদেশি কেউ ব্যবহার করতে না পারে তার যথাযথ সুরক্ষা থাকছে এই আইনে। প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সম্মতি ছাড়া তৃতীয় পক্ষের কাছে যেন ডেটা না যায় সেই সুরক্ষার জন্য এই আইন করার উদ্যোগ নিয়েছি আমরা।
এছাড়াও উন্মুক্ত আলোচনায় সংবাদিকদের দেয়া নানা পরামর্শের ওপর খসড়া আইনটির বিভিন্ন বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন আইসিটি বিভাগের আইন ও পলিসি অনুবিভাগের পরামর্শক ও সাবেক লেজিসলেটিভ সচিব মোঃ শহীদুল হক। সভায় জানানো হয় খসড়া ‘উপাত্ত সুরক্ষা আইন ২০২২’ বিষয়ে পরবর্তীতে ডেটা বিজ্ঞানী ও মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর সাথে ইউএনএফপিএ’র বাংলাদেশ প্রতিনিধির সাক্ষাৎ
ঢাকা, ২৬ শ্রাবণ (১০আগস্ট) :
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার সাথে আজ তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন ইউনাইটেড ন্যাশনস পপুলেশন ফান্ড (ইউএনএফপিএ) এর বাংলাদেশে নিযুক্ত প্রতিনিধি Kristine Blokhus। তাঁরা বাংলাদেশে নারীর উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন, বাল্যবিয়ে এবং নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধানে নারী সমঅধিকার নিশ্চিত করেন। এরই ধারবাহিকতায় তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন, নারীর সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ আজ নারী উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমাতায়নে বিশ্বে রোল মডেল। জাতিসংঘের ৭৫ তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাপী ২০৪১ সাল নাগাদ কর্মস্থলে নারীর কর্মসংস্থান ৫০:৫০ উন্নীত করার অঙ্গীকার করেছেন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এই অঙ্গীকার বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, জাতিসংঘ এবং এর অঙ্গ সংস্থা ইউনিসেফ, ইউএনএফপিএ, ইউএন উইমেন ও ইউএনএফপি আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। সামনে নারীর ক্ষমতায়ন ও উন্নয়নে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদ, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন ও যুগ্মসচিব নার্গিস খানম উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে সচিবালয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শনী
ঢাকা, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট) :
জাতীয় শোক দিবস ও স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তথ্য অধিদফতরের উদ্যোগে বাংলাদেশ সচিবালয়ে সপ্তাহব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও ডিজিটাল ডিসপ্লের আয়োজন করা হয়েছে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ আগামীকাল সচিবালয়ে ক্লিনিক (৯নং ভবন) প্রাঙ্গণে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন। বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর শতাধিক বিরল আলোকচিত্র ও সংবাদ ক্লিপিংস প্রদর্শনীতে স্থান পাচ্ছে।
জাতীয় শোক দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন বিষয়ক নির্দেশনা
ঢাকা, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট) :
১৫ আগস্ট স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ভবন ও বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
জাতীয় পতাকা বিধি অনুসরণে পতাকার রং হবে গাঢ় সবুজ এবং 10:6 দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের আয়তাকার ক্ষেত্রের গাঢ় সবুজ রঙের মাঝখানে লাল বৃত্ত থাকবে। বৃত্তের ব্যাসার্ধ হবে পতাকার দৈর্ঘ্যের এক-পঞ্চমাংশ। ভবনে উত্তোলনের জন্য পতাকার তিন ধরনের মাপ হচ্ছে দশ ফুট বাই ছয় ফুট (10©x6©), পাঁচ ফুট বাই তিন ফুট (5©x3©) এবং আড়াই ফুট বাই দেড় ফুট (2.5©x1.5©)।
সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সময় প্রথমে পতাকা দণ্ডের সর্বোচ্চ চূড়া পর্যন্ত উত্তোলন করতে হবে। এরপর নামিয়ে অর্ধনমিত অবস্থায় বাঁধতে হবে। দিনশেষে পতাকা নামানোর সময় আবার দণ্ডের সর্বোচ্চ চূড়া পর্যন্ত উঠাতে হবে, তারপর ধীরে ধীরে নামাতে হবে।
ঢাকা, ২৬ শ্রাবণ (১০ আগস্ট) :
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখতে হবে। ছেঁড়া বা বিবর্ণ পতাকা ব্যবহার করা যাবে না। পতাকায় মানসম্মত কাপড় ব্যবহার করতে হবে।
স্বেচ্ছা রক্তদানের চর্চা পারিবারিকভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে : মোস্তাফা জব্বার
ঢাকা, ২৬ শ্রাবণ (১০আগস্ট) :
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, জীবন রক্ষায় স্বেচ্ছায় রক্তদানের চেয়ে মহৎ কিছু হতে পারে না। রক্ত দাতারা জাতির আলোকিত মানুষ। তিনি রক্তের চাহিদা মেটাতে স্বেচ্ছা রক্তদানের চর্চা পারিবারিকভাবে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
মন্ত্রী গতকাল রাজধানীর কাকরাইলস্থ আইডিইবি মিলনায়তনে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন আয়োজিত স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এমন কিছু রোগ আছে বিশেষ করে থ্যালাসেমিয়া রোগীদের অনেককেই মাসে দু‘তিন বার রক্ত দিতে হয়। এক সময় পেশাদার রক্তদাতাদের কাছ থেকে রক্ত কিনতে হতো কিন্তু সে দৃশ্য এখন অনেকটাই পাল্টে গেছে। স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের মাধ্যমে রক্তের এই চাহিদা এখন অনেকটাই মিটানো সম্ভব হচ্ছে। থ্যালাসেমিয়া রোগ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির পাশাপাশি থ্যালাসেমিয়া বাহক নির্ণয় করা আবশ্যক। দুই জন থ্যালাসিমিয়ার বাহক যাতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ না হয় সে বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, মানুষ তার নিজের কর্মের জন্যই সম্মানিত হয়। স্বেচ্ছা রক্তদাতারাও তাদের কর্মের জন্যে সম্মানিত। তারা শুধু নিজের কাছে নয়, সমগ্র জাতির কাছে সম্মানিত।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সুদৃঢ় অর্থনৈতিক ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত । সৃদৃঢ় এই ভিত্তির উপর দাঁড়িয়েই বৈশ্বিক মন্দার বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে অগ্রগতির সোপানে। তিনি বৈশ্বিক মন্দা পরিস্থিতির বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় আমদানি নির্ভর বিলাসি পণ্য ব্যবহারে সতর্কতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে কমপক্ষে ৩ বার, ১০ বার, ২৫ বার এবং ৫০ বার স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছেন- এমন প্রায় তিনশ’ স্বেচ্ছায় রক্তদাতাকে সনদপত্র, আইডি কার্ড ও সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোটিভেশন এম রেজাউল হাসান। সভাপতিত্ব করেন স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের প্রধান সমন্বয়ক মাদাম নাহার আল বোখারী।